শেরপুর
নালিতাবাড়ীতে কার্টনে মোড়ানো ২ নবজাতকের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে কার্টনে মোড়ানো অবস্থায় দুই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার গাগলাজানি খরাঘাট ব্রিজের নিচ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গাগলাজানি গ্রামের জেলে মুকুল হোসেন খরাঘাট ব্রিজের নিচে মাছধরার একপর্যায়ে পানির নিচে কার্টন সদৃশ্য বস্তু হাতে লাগলে সেটি ডাঙায় তুলে আনে। কার্টন খোলার পর দুই নবজাতকের লাশ দেখে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
খবর পেয়ে নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, কে বা কারা ওই নবজাতক দুটির লাশ ফেলে গেছে, তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার গভীর রাতে কেউ সেখানে ফেলে রেখে যেতে পারে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দু’টি শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি এলাকায় ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে মস্তকবিহীন নবজাতকের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে বস্তাবন্দি নারীর লাশ উদ্ধার
শেরপুর সদর উপজেলা থেকে এক নারীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া নিজপাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারী পাশ্ববর্তী নকলা উপজেলার ইসিবপুর গ্রামের গৃহবধূ নুরেজা বেগম (৪০)। দুই সন্তানের জননী নুরেজা বেগম কায়দা গ্রামের আজাহার আলীর প্রথম স্ত্রী।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৮ টার দিকে নিজপাড়া এলাকার রাস্তার পাশে স্থানীয় ফরমান মিয়ার ধান খেত থেকে ওই মহিলার লাশটি অজ্ঞাতনামা হিসেবে উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের লাশ শনাক্ত করা হয়। নিহত নারীর মাথায় ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক স্থান থেকে ২ নারীর লাশ উদ্ধার
শেরপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বন্দে আলী মিয়া জানান, নিহত মহিলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, রাতের বেলা লাশটি বস্তায় করে রাস্তার ধারে ধান খেতে ফেলে রাখা হতে পারে।
সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া এবং পিবিআই ও সিআইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হবে।
আরও পড়ুন: রৌমারীতে নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নাটোরে আটক ৬, সার জব্দ
বোরো মৌসুমে নাটোরের জন্য উত্তোলন করা ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার পাচারের সময় ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব র্যাব। এ সময় তিনটি ট্রাকে থাকা এক হাজার ২০০ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বামিহাল-শেরপুর সড়কে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রানীরহাট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব নাটোর ক্যাম্পের কমান্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা এই অভিযান চালান। আটক ব্যক্তিরা নাটোরের নামে উত্তোলন করা সার কালোবাজারির মাধ্যমে নাটোরের সার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে রাতের অন্ধকারে পাচার করছিল। সারগুলো সিংড়া উপজেলার জামতলী বাজারে পাঠানোর জন্য ভুয়া চালান তৈরি করে কথিত সার ব্যবসায়ী তুলা মিয়া সেগুলো বগুড়ার ধুনটে পাচার করছিল।
এ ঘটনায় ট্রাকের ছয় চালক ও সহযোগীকে আটক করে জব্দ করা সারসহ বগুড়ার শেরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবি: আটক ৪, লঞ্চ জব্দ
বরিশালে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই, ৩ ঘণ্টা পর আবার আটক
হাতি হত্যা: শেরপুরে ২ আসামি কারাগারে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় বন আদালতে দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই মামলার চার আসামির মধ্যে কৃষক সমেজ উদ্দিন (৪৪) এবং মো. শাহজালাল (৪১) রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বন আদালতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করে।
আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. শরিফুল আলম খান তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর দুই আসামি সমেজ উদ্দিন ও মো. আশরাফুল পলাতক রয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার দুইজনকে জেলা কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বনবিভাগের মামলায় এজাহারে তাদেরকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। হাতি হত্যার ঘটনাটি পরিকল্পিত নয়, ওই ঘটনার সঙ্গে আমার মক্কেলদের সম্পৃক্ততা নেই। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালতের সমন পেয়ে আমরা স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছি।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার
গত বছরের ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকার সোনাঝুড়ি টিলায় বনবিভাগের জমিতে অবৈধভাবে সব্জীর আবাদ করা জমিতে জিআই তার দিয়ে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের সংযোগ দেয় স্থানীয় কৃষকরা। রাতে হাতির দল খাবার সন্ধানে আসলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি বন্যহাতি মারা যায়। এ ঘটনায় বনবিভাগের বালিজুড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় প্রথমে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন। পরে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে জিআই তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়নের ফলে হাতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে হাতি হত্যার মামলা দায়ের করা হয়। বালিজুড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বাদী গত বছরের ১১ নভেম্বর বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর তফসিল ১ এর বিধি লংঘন করায় ৩৬ ধারায় চার জনের নামে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বন আদালতে চার জনকে আসামি করে হাতি হত্যার মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করলে নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
শেরপুরে আগুনে পুড়লো ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
শেরপুরে আগুনে পুড়ে গেছে সদর উপজলার কুসুমহাটি বাজারের ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রবিবার (২ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ পেয়ে দমকল বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডের সঠিক কারণ জানা না গেলেও বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে দমকল বিভাগ। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আনুমানিক কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
শেরপুর দমকল বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন তারেক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাতের প্রমাণ মিলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লছমনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই জানান, কুসুমহাটি বাজারটি একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। যুগ যুগ ধরে এখানে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু রবিবার দিনটি আমাদের জন্য কষ্টের। ভোর ৬টার দিকে আগুনে পুড়ে গেছে ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেখানে ছোট বড় ২০ জন ব্যবসায়ী একদম পথে বসে গেছেন।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা নিহত
আগুনে ভস্মীভূত সাদিয়া কসমেটিকস দোকানের স্বত্তাধিকারী সুজন মিয়া জানান, গতরাতেও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মালামাল ঢুকেছে। তার মোট তিনটি গোডাউনে কসমেটিকস, প্লাস্টিক ও সুতার আইটেম ছিল। আগুন তার সব শেষ করে দিয়েছে।
ঝর্ণা চাল আড়তের মালিক হযরত মিয়া বলেন, ভাই আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমার পরিবারের খরচ কী দিয়ে চালাব। আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আতপসহ নানা ধরনের চাল ছিল। আগুনে সব পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। আগুনে এখানকার ২০টি দোকানের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ সিআইডির
চলন্ত লঞ্চে আগুন: নিহতদের ৫০ লাখ ও দগ্ধদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে রিট
শেরপুরে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলায় মানুষের ঢল
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও শেরপুর শহরের নবীনগর ছাওয়াল পীরের দরগা সংলগ্ন খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নবীনগর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মেলায় সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছিল।
পৌষমেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ‘গাঙ্গি’ খেলা (কুস্তি) ছাড়াও ঘোড়দৌড়, সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কারর বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. নজরুল ইসলাম।
শেরপুরের এ পৌষ মেলার প্রধান আকর্ষণ ‘গাঙ্গী খেলা’। বড়-মাঝারি-ছোট এ তিনটি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয় গাঙ্গী খেলা। মেলায় বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের দোকানেও ছিল ব্যাপক ভিড়। শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে পৌষমেলা হয়ে উঠেছিলো জমজমাট ও প্রাণবন্ত।
রাতে এ উপলক্ষে দরগাহ প্রান্তরে আয়োজন করা হবে বাউল গানের আসর।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও পৌষ মেলা আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী শেখ মমতাজ জানান, স্থানীয় নবীনগর এলাকাবাসী প্রায় ২০০ বছর যাবত এ মেলার আয়োজন করে আসছে। প্রতি বছর বাংলা পৌষ মাসের শেষদিন (পঞ্জিকা মতে) ছাওয়াল পীরের দরগাহ সংলগ্ন মাঠে এ পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য বজায় রেখে এবছরও পৌষমেলার আয়োজন করেছি। এটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। এর মধ্য দিয়ে গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতি লালনের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হয়।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি একেবারেই নেই’
কসমস আতেলিয়ার৭১ এর আয়োজনে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন, সহযোগীর ১৪ বছরের সাজা
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন এবং তার সহযোগীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান বুধবার দুপুরে এ সাজার রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইগাতীর কালিনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩১) এবং তার সহযোগী হাসলিগাঁও গ্রামের ছানা মিয়া (৩৮)।
শেরপুর নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৫ সালের ২০ মে সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী চাচার বাড়ি থেকে নিজবাড়িতে ফিরছিল। পথে সাজাপ্রাপ্তরা রাস্তা থেকে জোর করে তাকে অপহরণ করে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শেরপুর, জামালপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শফিকুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। স্কুলছাত্রীর বাবার করা মামলায় পুলিশ দুই মাস পর ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন মিয়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক পর্যায়ে ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এ সাজার রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। রায়ে একইসাথে শফিকুলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল হক আধার উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে রেল যাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
বদিউজ্জামান বাদশার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদিউজ্জামান বাদশা মারা যান।
পড়ুন: আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা আর নেই
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা (৬৩) আর নেই। অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এ রাজনীতিবিদের প্রথম নামাজে জানাযা রাজধানীর মোহাম্মদপুর তার নিজ বাসভবন এলাকায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এ (কেআইবি) তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় নামাজে জানাযা হওয়ার হয়েছে। বাদ জোহর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে বাদ তৃতীয় এবং বাদ মাগরিব নিজ জন্মভূমি শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চতুর্থ নামাজে জানাযা শেষে লাশ দাফন করা হবে।
কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা ১৯৫৮ সালের ৫ জানুয়ারি শেরপুরে নালিতাবাড়ীর ছিটপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
বদিউজ্জামান বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, নালিতাবাড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৈদ্যুতিক শক দিয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী হত্যা দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে তিনি অসুস্থ হলে গত ২১ সেপ্টেম্বর তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৩ অক্টোবর তাকে ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংকটাপন্ন অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র নিয়ে গত ৯ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় এবং ওই দিনই রাজধানীর পান্থপথে বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতাল এবং পরে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রবিবার রাতে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
পড়ুন: টাঙ্গাইলের সাংসদ একাব্বর হোসেন আর নেই
নালিতাবাড়ীতে মানুষ-বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে সচেতনতামূলক কর্মশালা
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে এক সচেতনতামূলক কর্মশালা করেছে বনবিভাগ। শনিবার বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের মধুটিলা ইকোপার্কে ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বন্যহাতি হত্যা না করতে এবং জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়।
সেইসাথে গহীন অরণ্যে যেখানে হাতির আবাসস্থল, সেখানে বনবিভাগের জায়গা দখল করে সবজির আবাদসহ অন্যান্য চাষাবাদ করতেও নিষেধ করা হয়।
মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ভারত সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে দুইটি বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরই প্রেক্ষিতে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে বনবিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ৫ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত: সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ২০