শেরপুর
শেরপুর সীমান্তে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর পানিহাতা সীমান্ত থেকে শুক্রবার ভোরে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে দুটি মৃত হাতি উদ্ধারের ঘটনা ঘটলো।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকা থেকে একটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার হয়েছিলো।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন ও বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.আব্দুল করিম মৃত বন্যহাতি উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে হাতিটি কিভাবে মারা গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা: ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঘটনাস্থলে থাকা বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের গোপালপুর বীট কর্মকর্তা মো. শাহআলম মুঠোফোনে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পানিহাতা এলাকার মায়াঘাসি গ্রামে মৃত বন্য হাতিটি দেখা যায়। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া বন্যহাতিটি পুরুষ, বয়স আনুমানিক ২ বছর হতে পারে। হাতিটি অসুস্থ্ হয়ে মারা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঘটনাস্থলে থাকা পরিবেশবাদী সংগঠন বার্ড কনজারভেশন অব শেরপুর এর সভাপতি সুজয় মালাকার জানান, হাতিটির কেবল দাঁত উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা গর্ত খুড়ে হাতিটি মাটিচাপা দিতে চেষ্টা করছিলো।
আরও পড়ুন: তাহিরপুর সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে মেঘালয়ে ফিরে গেছে ৪ বন্য হাতি
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল পানিহাতা এলাকার লোকালয়ে নেমে এসে ফসলের ক্ষেতে হানা দিয়ে আসছিলো। স্থানীয় অধিবাসীরা বন্যহাতির কবল থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষায় চেষ্টা করছিলো।
এদিকে, গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় বিদ্যুতের ফাঁদে বন্যহাতি হত্যার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে বনবিভাগ।
শেরপুরে ৫ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত: সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ২০
দ্বিতীয় ধাপে শেরপুর জেলা সদরের ১৪ ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট উৎসব শুরু হয়। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ,সহিংসতার সংবাদ পাওয়া যায়। এতে চরমুচারিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়রাম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুলসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে ব্যালট ছিনতাই, ব্যালটবাক্স ভাঙচুর, সহিংসতা এবং কেন্দ্র দখলের অভিযোগে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে কেন্দ্রগুলো বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া কেন্দ্রগুলো হলো-কামারিয়া ইউনিয়নের খুনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,গণইভরুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী ও পুরুষ কেন্দ্র এবং চর শেরপুর ইউনিয়নের নাগপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। সংঘর্ষ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুনুয়া কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. মোখুলেছুর রহমান জানান, বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা হুড়মুড়িয়ে ভোট কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে পড়েন। তারা কর্তব্যরত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তিনটি করে ব্যালট বই-এর ৯ সেট ব্যালট পেপার জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তারা ব্যালট বাক্সও ভাঙচুর করে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং শর্টগানের এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যালট ছিনতাইয়ের পর কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মো.হাসান নাহিদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে কেন্দ্রটি বাতিল করা হয়। বিভিন্ন কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনার কথা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ২
এছাড়া মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষের জেরে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চকপাড়া কেন্দ্র ও গণইভরুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র এবং চরশেরপুর ইউনিয়নের চকপাড়া ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে কেন্দ্রগুলো বাতিল করা হয়েছে।
লছমনপুর ইউনিয়নের হাতিআলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বেলা পৌনে ১২টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে তোতা মিয়া (৩২) নামে একজন আহত হন। এসময় প্রায় দুই ঘন্টার মতো কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।
পাকুড়িয়া চকপাড়া এলাকার নুরুন্নবী মিয়া (২৫) নামে ছুরিকাঘাতে আহত একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া চরশেরপুর, পাকুড়িয়া ও চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ জনের মতো আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ এবং ৩৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতিও দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে নদীতে ভেসে এলো নারীর লাশ
শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি সীমান্তের মালাকাকোচা এলাকা থেকে মঙ্গলবার একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বনের ভেতর স্থানীয় কৃষক আমীর আলীর বাড়ির চারপাশে পাতা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ওই বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। হাতির মৃত্যুর পর ওই কৃষক হাতির শরীর থেকে বিদ্যুতের তার খুলে ফেলেন বলেও জানান তারা।
খবর পেয়ে বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাতির প্রাথমিক সুরতহাল পরীক্ষা শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। মৃত হাতিটি পুরুষ এবং বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর হতে পারে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে ভোরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে হাতিটি বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। তবে চূড়ান্ত তথ্য ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে আবারও বন্য হাতির আনাগোনা শুরু হয়েছে। ক্ষেতের ফসল পাকতে শুরু করতেই বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে এসে হানা দিচ্ছে আবাদী জমিতে। গত এক সপ্তাহ ধরে হাতির দল খেয়ে সাবাড় করছে, পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে খেতের আধপাকা ধান, সীম-বরবটি, করলাসহ নানা ধরনের সবজীর আবাদ।
মূলত: খাবারের সন্ধানেই বন্য হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে। হাতি তাড়াতে রাত জেগে জান-মাল রক্ষার চেষ্টা করছেন সীমান্ত অঞ্চলের অধিবাসীরা। এতে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই স্থানীয় পাহাড়ি অধিবাসীদের।
স্থানীয়রা জানান, ভারতের সীমানাঘেঁষা শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় গারো পাহাড়ের প্রায় ৪০টি গ্রাম রয়েছে। ওইসব গ্রামের চারপাশ ঘিরে গারো পাহাড়। কয়েকদিন যাবত ভারত থেকে নেমে আসা শতাধিক বন্য হাতি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ওইসব এলাকায় বিচরণ করছে। বন্য হাতির দল সারাদিন পাহাড়ি ঝোপ-জঙ্গলে থাকলেও সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে লোকালয়ে। হামলা চালাচ্ছে বাড়ি-ঘরে। খেয়ে সাবাড় করছে চলতি আমন মৌসুমের আবাদ। পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমির ফসল। আর ধ্বংস করছে সবজি খেত। বাধা দিতে গেলে শুরু হয় হাতি ও মানুষের যুদ্ধ। ঢাকঢোল পিটিয়ে, পটকা ফুটিয়ে আর মশাল জ্বালিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না হাতির তান্ডব। এখন ওইসব গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ হাতির আতঙ্কে দিন পার করছেন।
৩১ অক্টোবর রবিবার সরেজমিনে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি এলাকায় গেলে কথা হয় স্থানীয় গারো কৃষক ব্রতীন মারাকের সাথে। তিনি জানান, আমরা পাহাড়ে বসবাস করি। এখানকার প্রায় সবাই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বন্য হাতি খেতের সবজি আর ধান খেয়ে সাবাড় করছে। মাঝেমধ্যে বাড়ি-ঘরেও হামলা করছে। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানায় পৃথকভাবে অনেকে সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
আর পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
নেয়াবাড়ির টিলা ও পার্শ্ববর্তী মালাকোচা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহুল আমীন, মজনু মিয়া, আলাল মিয়া, আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা পাহাড়ের বাসিন্দা। ধান আর সবজি চাষ করি। এসব ফসলের আয় দিয়েই আমাদের সংসার চলে। প্রতিবছরই ধান পাকলেই হাতি আসে। সবজি আর ধানক্ষেত খাইয়া যায়। অনেক ক্ষতি করতাছে। এইবারও অনেক ক্ষতি করছে। এখন বউ পোলাপান নিয়া ক্যামনে চলমু, চিন্তায় আছি।
শ্রীবরদী উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. কোহিনুর হোসেন বলেন, আমরা একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্য মতে, জানতে পেরেছি, এই পাহাড়ে ১৯৯৫ সাল থেকে বন্য হাতির আক্রমণ চলছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শত শত। ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমির ফসল। বন্যহাতির তান্ডব থেকে মানুষের জান-মাল রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ দরকার।
শ্রীবরদী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা বলেন, গারো পাহাড়ে বেশির ভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজনের বসবাস। গ্রামবাসী হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ জন্য দিন দিন বন্য হাতির তান্ডবে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণ গেল ২ কিশোরের
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, আমরা বন্য হাতির হামলায় নিহত, আহত ও ঘরবাড়িসহ ফসল ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছি। তাছাড়া বন্যহাতি তাড়াতে মশাল জ্বালানোর জন্য এলাকাবাসীর মাঝে কেরোসিন তেল ও জেনারেটর চালাতে ডিজেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্থায়ীভাবে বন্য হাতির কবল থেকে রক্ষা পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জোরালো হস্তক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বনবিভাগের শেরপুরের এসিএসফ (সহকারি বন সংরক্ষক) ড. প্রাণতোষ চন্দ্র রায় বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে হাতি-মানুষে দ্বন্দ্ব নিরসনে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকায় এলাকায় এলিফেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। যাতে লোকালয়ে আসা বন্যহাতিকে উত্যক্ত না করে কিভাবে তাদেরকে ফের বনে ফেরত পাঠানো যায়। বন্যহাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণও দেয়া হচ্ছে। বনের ভেতর সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে হাতির খাবার উপযোগী বনবাগান সৃষ্টিরও চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে না আসে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণে নিহত ৩ পরিবার পাবে একলাখ টাকা করে
নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু, স্বজনদের অভিযোগ হত্যা
নেত্রকোণার মদনে অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার স্বজনদের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত অন্তর মিয়া (১৪) ময়মনসিংহ শেরপুরের বুটকান্দি গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে।
স্বজনদের অভিযোগ, গাবরতলা গ্রামের আনোয়ার আলী (৭০) ও মস্তু মিয়া (৬৫) পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে অন্তর মিয়াকে হত্যা করেছে।
জানা যায়, নিহত অন্তর ও অভিযুক্ত পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দুই পরিবারের মাঝে একাধিক মামলা চলছে।
সোমবার সকালে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার জেরে অন্তরের খালা শিপা আক্তার অভিযুক্ত পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এসব কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন অন্তরকে হত্যা করতে পারে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের নিহত ৩
অন্তরের নানা বাবুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, 'আমার নাতিকে আনোয়ার আলী ও মস্তু মিয়াসহ কয়েকজন ধাক্কা দিয়ে বিদ্যুৎ লাইনে ফেলে দেয়। পরে অন্তর অটোরিকশা চার্জের তারে জড়িয়ে মারা যায়। আমি এ ঘটনায় হত্যা মামলা করবো।’
অভিযুক্ত আনোয়ার আলী বলেন, 'অন্তর অটো চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে বলে শুনেছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।'
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত কিশোরের লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দাদা-নাতির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচি-ভাতিজার মৃত্যু
শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: দুই আসামি কারাগারে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সুলতান মাহমুদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ দিন জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারিন ফারজানা ধর্ষণের শিকার কিশোরীর (১৬) জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। পরে বয়স নির্ধারণী পরীক্ষার জন্য তাকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আদালত পরিদর্শক খন্দকার শহীদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে পাঠানো দুই আসামি হলেন- নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদ আলীর ছেলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুস সাত্তার (৪২) এবং আব্দুস সোবহানের ছেলে সাদেক আলী (৩০)।
এদিকে সোমবার শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার মা ও মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবীর সুমন তাদের মেডিকেল পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নারী চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড নালিতাবাড়ীর ধর্ষণ মামলার ভুক্তভোগী মা ও মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ তার কিশোরী কন্যাকে (১৬) নিয়ে নালিতাবাড়ীতে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। বেড়ানো শেষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ইজিবাইকে করে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। কিন্তু স্থানীয় এক দালাল ও ওই গৃহবধূর পাড়া-প্রতিবেশী ভাই তাদের সাথে নিয়ে সারাদিন নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করার পর রাতে পলাশীকুড় গ্রামে নিয়ে যায়। পরে তাদের কৌশলে একটি নির্মাণাধীন জনশুন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় সাত ব্যক্তি মিলে মা এবং মেয়েকে বাড়ির পৃথকস্থানে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে ভুক্তভোগী মা-মেয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনা প্রকাশ করলে স্বজনরা ৯৯৯ কল করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জড়িত সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আব্দুস সাত্তার ও সাদেক আলী গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, রবিবার সকালে ৯৯৯ থেকে ম্যাসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই জনকে আটক করি। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর করা মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
৯৯৯ এ কল: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো ভাই আটক
বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচা-ভাতিজাসহ নিহত ৩
জেলার শেরপুরে নিজ বসতবাড়ির উঠান পরিষ্কার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচা-ভাতিজাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের চুরকুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের চুরকুটা গ্রামের বির্জন চন্দ্র ভুঁইয়ার ছেলে ক্ষিতিশ চন্দ্র ভুঁইয়া (৬৫), তার ভাতিজা একই গ্রামের বিমল চন্দ্র ভুঁইয়ার ছেলে পলাশ চন্দ্র ভুঁইয়া (৩৫) ও প্রতিবেশি চাঁন চন্দ্র ভুঁইয়ার ছেলে ক্ষিতিশ চন্দ্র ভুঁইয়া (৩০)।
পড়ুন: নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের নিহত ৩
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, সকালে নিজ বাড়ির উঠান পরিষ্কার করছিলেন ক্ষিতিশ চন্দ্র। এক পর্যায়ে গ্রামের চুরকুটা দুর্গা মন্দির পূজামণ্ডপে অবৈধভাবে নেয়া বিদ্যুৎ লাইনের তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন তিনি। এসময় তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান ভাতিজা পলাশ চন্দ্র ভুঁইয়া, ছেলে শ্রী রুবেল চন্দ্র ভুঁইয়া, প্রতিবেশি ক্ষিতিশ চন্দ্রসহ ছয়জন। এরপর তারাও বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। হাসপাতালে নেয়ার পথে ওই তিনজন মারা যান।
ওসি জানান, অন্য আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত শ্রী রুবেল চন্দ্র ভুঁইয়াকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি চলে গেছেন। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পড়ুন: কানাইঘাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দাদা-নাতির মৃত্যু
চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের প্রাণহানি
শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
শেরপুরে নালিতাবাড়ীর নিভৃতপল্লির বাড়িতে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১০ অক্টোবর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদ আলীর ছেলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুস সাত্তার (৪২) এবং আব্দুস সোবহানের ছেলে সাদেক আলী (৩০)।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, শনিবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নালিতাবাড়ীর পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পলাশীকুড়া গ্রামে সাতজন মিলে পালাক্রমে এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। রবিবারর সকালে ৯৯৯ থেকে ম্যাসেজ আসার সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, থানায় মামলা দায়ের করার পর ভুক্তভোগী মা-মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ তার কিশোরী কন্যাকে (১৬) নিয়ে নালিতাবাড়ীতে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বেড়ানো শেষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ইজিবাইকে করে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। কিন্তু স্থানীয় এক দালাল ও ওই গৃহবধূর পাড়া-প্রতিবেশি ভাই, মা-মেয়েকে সাথে নিয়ে সারাদিন নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঘুরাফেরা করার পর রাতে পলাশীকুড় গ্রামে নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে কৌশলে একটি নির্মাণাধীন জনশুন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় সাতব্যক্তি মিলে মা এবং মেয়েকে বাড়ির পৃথকস্থানে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে ভুক্তভোগী মা-মেয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনা প্রকাশ করলে স্বজনরা ৯৯৯ কল করেন।
পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জড়িত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে ওসি জানান।
পড়ুন: পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
ফরিদপুরে এনজিওকর্মী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
ফসল কাটার প্রতিবাদে শেরপুরে বাগাছাসর বিবৃতি
শেরপুরে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় পাঁচ গারো আদিবাসীর ফসল কেটে ধ্বংস করার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শনিবার বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বসবাসরত গারো আদিবাসীরা যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। গারো আদিবাসী যে অঞ্চলে বসবাস করে আসছে সে অঞ্চলকে তারা তাদের ভিটে মাটিসহ আশেপাশের বনাঞ্চলকে সংরক্ষণ করে আসছে। গারো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা বন ধ্বংস করে না, তারা বন সংরক্ষণ করে। এক কথায় বলা চলে তাদের বসবাসরত অঞ্চলের মাটিকে মা আর বনকে সন্তানের মত লালন-পালন করে আসছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, কতিপয় অসৎ বন কর্মকর্তা কর্মচারীর পাল্লায় পরে গারোদের বিভিন্ন সময় শত বছরের ভিটে মাটি ছাঁড়তে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ আগস্ট শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি অঞ্চলের পাঁচ জন গারোর বাগান বনবিভাগের কতিপয় অসৎ বন কর্মকর্তা-কর্মচারী অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেটে দিয়েছে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে, শ্রম দিয়ে পরম যত্নে যে বাগান তৈরি করা হয়েছিলো, তা কেটে তছনছ করে ধ্বংস করা হয়ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ না দেয়া কিংবা জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় না আনা হলে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও জানানো হয়েছে।
গত ১২ আগস্ট শ্রীবরদী উপজেলায় বন বিভাগের বালিজুরি রেঞ্জ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় ভারতী মৃ, সভানী সিমসাং, সবিতা মৃ, কমলা রেমা, পয়মনি চিরানের কষ্টের আবাদকৃত সবজীর আবাদ ও সুপারি বাগানের গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুম ফসল কেটে ফেলায় রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি
বনবিভাগের তথ্যমতে, শেরপুরে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার প্রায় ২০ হাজার একর বনভূমির মধ্যে অন্তত আড়াই হাজার একর বনের জমি অবৈধ দখলদারের কবলে রয়েছে। বনাঞ্চলের এসব জমি উদ্ধারে সম্প্রতি দখলদারদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে বনবিভাগ। ওই তালিকায় প্রায় ৬ শতাধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ দুই হাজার ব্যক্তির নাম রয়েছে।
শেরপুরে বজ্রপাতে কিশোরসহ নিহত ৪
শেরপুরে বজ্রপাতে দুই কিশোরসহ চার জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চার জন। বুধবার দুপুরে ভারী বর্ষণের সময় সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া, শ্রীবরদীর গোসাইপুর, ঝিনাইগাতির মালিঝিকান্দা (ইছামারি) এবং নকলার লাভা গ্রামে পৃথক এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মোস্তফা মিয়া (৪০), নকলার বদিউজ্জামানের ছেলে কৃষক আজিজুল হক (৩৫), ঝিনাইগাতির পাইকুড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আরমান মিয়া (১২) এবং ওই উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারি গ্রামে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কিশোর রাসেল (১৪)।
আহতরা হলেন, কৃষ্ণপুর গ্রামের জোসনা আলীর ছেলে আবু সাঈদ (৩৪) ও ফজু মিয়ার ছেলে বদু মিয়া (৩৫) এবং নকলার লাভা গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে বাবু মিয়া ও মোক্তার হোসেনের ছেলে হুমায়ুন ওরফে ফকির।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে রোপা-আমনের খেতে কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে মোস্তফা মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় আবু সাঈদ ও বদু মিয়া আহত হন। এর মধ্যে বদু মিয়া শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং আবু সাঈদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে নকলার লাভা গ্রামেও রোপা-আমনের খেতে কাজ করার সময় কৃষক আজিজুল হক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহত হন বাবু মিয়া ও হুমায়ুন।
একই সময়ে শ্রীবরদীর গোসাইপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আরমান রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় বজ্রপাতে মারা যায়।
এছাড়া এদিন ঝিনাইগাতির মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারি গ্রামে বজ্রপাতে কিশোর রাসেল মারা যায়।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের সময় করণীয়