নেত্রকোণা
নেত্রকোণায় ট্রেনের ধাক্কায় সংবাদকর্মীর মৃত্যু
নেত্রকোণায় বারহাট্টায় ট্রেনের ধাক্কায় সংবাদকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকালে ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রেলপথের উপজেলার ইস্পিঞ্জাপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত পাপ্পু মজুমদার (৩৫) একই জেলা শহরের অজহর রোডের স্বপন মজুমদারের ছেলে। তিনি ৭১’ বাংলা টিভি অনলাইনের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সংবাদকর্মী পাপ্পু মজুমদার বুধবার বিকালে মোটরসাইকেলে করে শিশু সন্তানকে নিয়ে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে স্ত্রীর কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাক্টর চূর্ণবিচূর্ণ
তারা আরও বলেন, বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রেলপথের ইস্পিঞ্জাপুর নাম স্থানে মোটরসাইকেল থামিয়ে সন্তানকে একটি দোকানে বসিয়ে রেখে রেলাইনের পাশে যান। পরে মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেল লাইনের পাশ দিয়ে সন্তানের কাছে ফিরছিলেন। এ সময় মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মহুয়া কমিউটার ট্রেন তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পাপ্পু মজুমদারের মৃত্যু হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এবার খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ধ্রুব এষ ও পাপড়ি রহমান
নেত্রকোণায় ২৬তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হবে। এবারের পুরস্কার পাচ্ছেন চিত্রশিল্পী ও সাহিত্যিক ধ্রুব এষ এবং কথাসাহিত্যিক পাপড়ি রহমান।
নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
তিনি জানান, সংগঠনটি ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর পহেলা ফাল্গুনে বরেণ্য লেখক, কবি, সাহিত্যিককে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
এছাড়া ধ্রুব এষ প্রচ্ছদ শিল্পী ছাড়াও কবিতা, শিশুসাহিত্য ও গল্পে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। সুপারি পাতার গাড়ি, সূর্য মামার বাচ্চাদের গল্প, ঠিক দুক্কুরবেলা, ভূতপুর, রাফখাতা তার উল্লেখযোগ্য শিশুসাহিত্য।
আর কথাসাহিত্যিক পাপড়ি রহমানের অষ্টরম্ভা, ধূলিচিত্রিত দৃশ্যাবলি, পোড়া নদীর স্বপ্নপূরণ, বয়ন, পালাটিয়া উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সংগঠক এবং নেত্রকোণা সরকারি কলেজের বাংলাবিভাগের অধ্যাপক সরোজ মোস্তফা জানান, বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে এর আগে ২৭ জন কবি-সাহিত্যিককে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন-যতীন সরকার, আনিসুজ্জামান, কবীর চৌধুরী, হুমায়ূন আহমেদ, নির্মলেন্দু গুণ, রাহাত খান, হেলাল হাফিজ, রফিক আজাদ, বুলবন ওসমান, মহাদেব সাহা, জাফর ইকবাল, নাসরিন জাহান, আবু হাসান শাহরিয়ার, সেলিনা হোসেন, সেলিম আল দীন, আলতাফ হোসাইন, আনিসুল হক, জাকির তালুকদার, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ নুরুল হক, আসাদ চৌধুরী, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, খালেদ মতিন (মরণোত্তর), রফিকউল্লাহ খান, মারুফুল ইসলাম, কামাল চৌধুরী, শামসুজ্জামান খান (মরণোত্তর) ও শামীম রেজা।
আরও পড়ুন: ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৮’ পেলেন রঞ্জনা বিশ্বাস
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ১৫ ব্যক্তি
নেত্রকোণায় কাদায় আটকে বন্য হাতির মৃত্যু
নেত্রকোণার কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকায় কাদায় আটকে একটি বন্য হাতির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য হাতিটির নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে কলমাকান্দা উপজেলা বন বিভাগের ফরেস্ট কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক পাঠান কলমাকান্দা থানায় জিডি করেছেন বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আহাদ খান জানান।
এ সময় মৃত হাতির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কনিকা সরকার বলেন, ‘হাতিটির কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু
মৃত হাতিটিকে মাটিচাপা দিতে ভেকু আনা হচ্ছে এবং বিকালের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে দুর্গাপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম জানান।
শুক্রবার সকালে কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাচগাঁও সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেতগড়া গ্রামের ফসলি ক্ষেতের কাদা মাটিতে একটি হাতিকে মৃত অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের ধারণা , মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির দলের মধ্যে একটি হাতি কাদায় আটকে মারা গেছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
নেত্রকোণায় কলাবাগান থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণার পূর্বধলায় রাস্তার পাশের একটি কলাবাগান থেকে অজ্ঞাত এক নারীর (৩২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার খলিশাউর ইউনিয়নের বালুচরা বাজারের তালতলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তালতলা বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে কলাবাগানে নারীর লাশটি দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে সকাল ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার
খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশে খবর দেই, পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেছে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দুই দিন আগে মেরে এখানে ফেলে রাখে গেছে।
তিনি আরও জানান, লাশের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া লাশের পেটে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের ৫ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
বান্দরবানে আটকে থাকা লিফট থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণায় ধান কেটে ও বাহারি পিঠা দিয়ে নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন
`কাস্তে হাতে মাঠে চলি, নতুন ধান ঘরে তুলি` এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নতুন রোপা আমন ধান কেটে নেত্রকোণায় শুরু হয়েছে ধান কাটা ও নবান্ন উৎসব।
অগ্রহায়ণের দ্বিতীয় দিনে সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে নেত্রকোনা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ধান কাটা ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে। মাঠে ধান কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
আরও পড়ুন: সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী
এ উপলক্ষে কৃষকদের নিয়ে এক আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়।
নেত্রকোণা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নূরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মানিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, মৌগাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান খান আবুনী, কৃষক আমিনুল ইসলাম।
বক্তারা, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পতিত জমিসহ চাষাবাদের জমিতে বেশী করে ফসল উৎপাদন ও বাড়ির আশপাশে শাক-সবজি আবাদ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নেত্রকোণায় নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন ফসলের মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা, ধান মাড়াই, ধান শুকানো ও গোলায় ধান ভরার কাজ।
নবান্ন উৎসবের আনন্দকে আরও ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় বাহারি পিঠা পুলি পায়েস তৈরি এবং পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের মাঝে বিতরণ।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় গ্রামীণ খেলাধুলা, বাউল গান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ী: সবুজ রঙে সেজেছে কৃষকের মাঠ
ঘেরের পাড়ে সবজি চাষে স্বাবলম্বী তেরখাদার চাষিরা
নেত্রকোণায় ঠিকানা বিহীন গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!
নেত্রকোণার সদর উপজেলায় গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির আঙ্গিনায় গৃহকর্মী সমলার লাশ গাছে ঝুলতে দেখে মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সমলা আক্তার(৪০) ওই নারী সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন তালুকদারের বাড়িতে গৃহকর্মী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জানান, চার থেকে পাঁচ মাস আগে ঠিকানা বিহীন মহিলার থাকা খাওয়ার জায়গা না থাকায় আমার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার ভোর বেলায় বাড়ির আঙ্গিনার কাঁঠাল গাছে তার লাশ দেখতে পেয়ে আমি পুলিশকে খবর দেই।
এ ব্যাপারে সদর সার্কেল মোরশেদা খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সমলা নামের ঠিকানা বিহীন গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি।
ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণায় কলপাড় থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
নেত্রকোণার পূর্বধলায় সমলা খাতুন (৩৭) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৫ই অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের হাটকান্দা দক্ষিণপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ির কলপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।ঘটনার পর থেকে তার স্বামী সাদেক মিয়া পলাতক রয়েছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর তার ছেলে ইমরানকে সঙ্গে নিয়ে আনুমানিক রাত ১২টার দিকে ঢাকার শ্রীপুর সাপলাইট গ্রিন টেক্সটাইল থেকে দুই দিনের ছুটি নিয়ে সমলা বাড়ি আসেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
ভোরে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের সামনের কলপাড় থেকে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল সোয়া ৬টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সকালেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশটির থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ঘটনায় নেত্রকোণা সদর সার্কেল এ এস পি মোর্শেদা খাতুন পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি রহস্যজনক মৃত্যু। রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত চলমান আছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার
কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: সীতাকুণ্ডে আরও একজনের লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন, আটক ২
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় এক কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৮ অক্টোবর) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সাদ্দাম হোসেন (১৭) ওই গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: মসজিদে জমি দেয়ায় ছেলে ও নাতির হাতে বৃদ্ধ খুন
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন বলেন, রাত ১১টার দিকে সাদ্দাম হোসেন বাড়ির পাশে রাস্তায় বসে মোবাইল দেখছিল। এ সময় কে বা কারা তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর জখম হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সাদ্দামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘নারীর ছদ্মবেশে থাকা যুবক’খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বামীর হাতে নারী খুনের অভিযোগ
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুর রহমানকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। এর আগে ১৮ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখার আদেশ দিয়েছিলেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, এ মামলার চার আসামির মধ্যে বিচার চলাকালেই তিনজনের মৃত্যু হয়। একজন আসামি বেঁচে আছেন। তিনিও পলাতক। আজ তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: গফরগাঁওয়ের ৩ জনের আমৃত্যু, ৫ জনের ২০ বছর করে দণ্ড
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
শুরুর দিকে এ মামলায় পাঁচ আসামি ছিল। এর মধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বাকি চারজন হলেন-নেত্রকোণার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী ও জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ। তবে বিচার চলাকালে বাকি তিন আসামিও বিভিন্ন সময়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ: মোহাম্মদপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
এ মামলার অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপূর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগপত্রে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দু’জনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র থেকে আরও জানা যায়, আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। পরবর্তীতে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: রাজধানী থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বারমারী সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে মো.শাহান মিয়া (৩৬) নামের এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ১১৬৩ নং সীমান্ত পিলারে ভারতের অভ্যন্তরে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
শাহান মিয়া উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মেনকীফান্দা গ্রামের মো. ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
নিখোঁজের স্বজনরা জানান, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে মেনকীফান্দা গ্রামের কালাম নামের একজনের চোরাই কাঠ কাটতে ভারতে যান। সেখানে সন্ধ্যার দিকে পাঁচ সদস্যের আরেকটি চোরাই টিম ভারতীয় কসমেটিক্স আনতে অনুপ্রবেশ করে। এসময় মো. শাহান মিয়া ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এর হাতে আটক হন। ঘটনার পরদিন ভোর বেলায় ওই পাঁচজন পালিয়ে চলে আসে। কিন্তু আটকা পড়ে যান শাহান মিয়া।
এ বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি সদস্যদের জানানো হলে বুধবার দুপুরে এক দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন পরিবারের লোকজন বলেও জানা গেছে।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের অভিযোগ
নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বারমারী বিওপি’র সুবেদার মো.লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শাহান মিয়া চোরাকারবারি দলের সঙ্গে ভারতে যান, সেখান থেকে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে। বর্তমানে তিনি ভারতের রংরা থানা হেফোজতে রয়েছেন। তবে তিনি সুস্থ রয়েছেন। আইনি কিছু প্রক্রিয়া শেষে আগামী ৩-৫ দিনের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের হাতে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফের আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে। তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় আমাদের যা করণীয় সেটাও চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল
চোর সন্দেহে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা