নেত্রকোণা
নেত্রকোণায় ট্রলি উল্টে চালক নিহত
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় কাঠবোঝাই একটি হ্যান্ড ট্রলি উল্টে চালক নিহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়কের ভঙ্গানিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চালক শাকিল (২৩) জামালপুর সদরের নামা কচুন্দরা এলাকার ইমান আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, শাকিল কাঠবোঝাই হ্যান্ড ট্রলিটি নিয়ে রাতে জামালপুর থেকে কেন্দুয়া উপজেলা সদরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাত আড়াইটা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে যে কোনো সময়ে কেন্দুয়া-আঠার বাড়ি সড়কের বঙ্গানিয়া এলাকায় পৌঁছলে ট্রলিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে চালক কাঠের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছেলের সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনে মায়ের মৃত্যু
পরে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করতে বের হলে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় কাঠের নিচে চাপা পড়া চালক শাকিলের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই: নারী গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার পূর্বধলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এক গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে আসামির স্বজনরা। শনিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব ভিকুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারামারি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বুলবুলকে (২৮) পূর্ব ভিকুনিয়া গ্রামের জনৈক আশরাফ আলীর বাড়ির পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় খবর পেয়ে আসামি বুলবুলের ভাই নজরুল ইসলাম (৪৮), মুঞ্জুরুল ইসলাম (৫০) ও বুলবুলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু (২৪)পুলিশের পথরোধ করে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি বুলবুলকে ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় তাদের হামলায় এএসআই (উপপরিদর্শক) আমিনুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পূর্বধলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক বুলবুলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে একই পরিবারের ৫ জনকে হত্যা: গ্রেপ্তার ২২
ঝিনাইদহে ‘জ্বীনের বাদশা চক্র’ এর ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
কেন্দুয়ায় পরাজিত ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে পরাজিত প্রার্থীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হারেছ মিয়া কুতুবপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে এবং রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। আহত শফিকুল ইসলাম শফিক একই গ্রামের মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ইউপি নির্বাচনে হারেছ মিয়া জয়লাভ করায়, ওই দিন রাতে বিজয় মিছিল নিয়ে পরাজিত প্রার্থী শফিকের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ ব্যাপারে শফিক বাদী হয়ে হারেছ মিয়াসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় হত্যার পর গরু ব্যবসায়ীর লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ
বৃহস্পতিবার হারেছ মিয়া মেম্বার হিসাবে শপথ নেয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আলী হোসেন, এনামুল, মাসুদ, খায়রুলসহ ১৫/২০ জন লোক শফিকের বাড়ীতে গিয়ে তাকে এলাপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় শফিককে উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)শাহনেওয়াজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: নেত্রকোণায় হামলা ও সংঘর্ষে আহত ২৫
নেত্রকোণায় চাকরি দেয়ার নামে ‘প্রতারণা’, গ্রেপ্তার ৩
নেত্রকোণায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এএসআইসহ নিহত ২
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বেড়াতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে কলমাকান্দা লেঙ্গুড়া সড়কের ফুলবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
নিহতরা হলেন, নেত্রকোণা পুলিশ লাইনস্ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম সবুজ (৪৬) ও মোহাম্মদ ইনচান উদ্দিন (৩০)। হতাহতদের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার পোলাবেশ গ্রামে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
স্থানীয়দের বরাতে নেত্রকোণা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, কলমাকান্দার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা সাত শহীদের সমাধিস্থল ঘুরে বেড়ানোর পর তারা একটি মোটরসাইকেলযোগে ফিরছিলেন। পথে ফুলবাড়িয়া বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন। এসময় গুরুতর আহত সুমন মাহমুদকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১
তিনি জানান, লাশ কলমাকান্দা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নেত্রকোণায় হত্যার পর গরু ব্যবসায়ীর লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় হাত-পা বাঁধা ও আগুনে দগ্ধ অবস্থায় এক গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের তেরোতোপা গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুরের পাশ থেকে তার দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ী হলেন- তেরোতোপা গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান (৫০)।
নিহত মজিবুর রহমানের বড় ভাই আতাউর রহমান বলেন, আমার ভাই গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। তাকে কে বা কারা বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি পুকুরে পাশে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তার হাত পা জিআই তার দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় আগুনে পুড়লো দিনমজুরদের ৮ ঘর
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ খান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মুজিবুরের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে পুকুরের পাশের জমিতে আগুন দেখতে পান এলাকাবাসী। তখন এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুজিবুরের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আগুনে দগ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। লাশের মুখ দেখে মুজিবুরের লাশ শনাক্ত করেন তার স্বজনেরা।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা মুজিবুরকে হত্যার পর তার শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতির পাশাপাশি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নাজিরাবাজারে জুতার কারখানায় আগুন
সোনাগাজীতে মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের আগুন
নেত্রকোণা সীমান্তে ৪৭ লাখ টাকার ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস জব্দ: বিজিবি
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী গোপালপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ সীমান্তে আটক ৭: বিজিবি
তথ্য মতে, দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের বারমারী বিওপি’র হাবিলদার মো. শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি টিম বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গোপালপুর সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি’র টহল দলটি ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে একদল চোরাকারবারিকে মালামাল নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখে। বিজিবি’র জোয়ানরা চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা মালামাল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচার ঠেকাতে কঠোর নজরদারি বিজিবির
পরে বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে চোরাচালানকৃত বিপুল পরিমান ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিস জব্দ করে।
উদ্ধার করা শাড়ি ও থ্রিপিসের মূল্য ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। এ সকল মালামাল শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোণা কাস্টমস্ অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
কেন্দুয়ায় ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের সবুজা
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে সবুজ মিয়া ওরফে সবুজা (৪৯) নামে তৃতীয় লিঙ্গের একজন প্রার্থী হয়েছেন।
তিনি ৫ ডিসেম্বর কেন্দুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে শিক্ষা অফিসার মো. ছানোয়ার হোসেনের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
সবুজা গড়াডোবা ইউনিয়নের বাশাটি গ্রামের আবুল কালাম ও মরিয়ম দম্পতির সন্তান। তিনি গড়াডোবা ইউনিয়নের ৭,৮,৯ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) ওয়ার্ডে নির্বাচন করবেন।
সবুজা বলেন, আমি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। বিয়ে নেই, স্বামী-সন্তান নেই। সাধারণ মানুষের সেবা করতে নির্বাচন করছি। আমি গরীব-দুঃখি মানুষের পাশে থাকতে চাই, সবার দোয়া চাই।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে দুই সতীন মুখোমুখি, বিপাকে স্বামী
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ছানোয়ার হোসেন বলেন, রবিবার গড়াডোবা ও গন্ডা দুই ইউনিয়নের মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার দায়িত্ব পালন করেছি। গড়াডোবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে মজিবুর রহমান বাবলু ও বাংলাদেশ ইসলামিক আন্দোলন এর প্রার্থী মো. জিয়া উদ্দিন ও সংরক্ষিত আটজন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৭ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে সংরক্ষিত ৭,৮,৯ ওয়ার্ডে সবুজ মিয়া ওরফে সবুজা নামে একজন তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী রয়েছেন।
অপরদিকে গন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন-শহীদুল ইসলাম আকন্দ, সিরাজুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম রুবেল, মো.আঞ্জু মিয়া এবং বাংলাদেশ ইসলামিক আন্দোলন এর মনোনীত প্রার্থী মাওলানা রায়হারুল ইসলাম। এছাড়া সংরক্ষিত (মহিলা) ছয়জন ও সাধারণ সদস্য ১৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য,পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: লালমনিরহাটে স্বামী-স্ত্রীর লড়াই
ইউপি নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে দুই ভাইয়ের ভোটযুদ্ধ
সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, তবুও তিনি শিক্ষক!
নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার সাতগাঁও এমবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিক জমিলা খাতুনের বিরুদ্ধে জাল সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভূয়া তথ্য ব্যবহার করে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শিক্ষিক জমিলা খাতুন মৌলভী পদে আস্থায়ী নিয়োগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। পরে এই শিক্ষিকা ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করেন এবং তার বোন জমিলা খাতুনের সনদ ব্যবহার করে শুধুমাত্র নাম ও স্বামীর নাম দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: হলে স্মাটফোন ব্যবহার: এসএসসি পরীক্ষা থেকে ৪ শিক্ষক বহিষ্কার
অভিযোগে জানা গেছে, চাকরিতে যোগদানের পর তিনি তিনবার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। প্রথম আবেদন নামুঞ্জুর হলেও পরের বার তার নাম পরিবর্তন করে সার্টিফিকেটের নাম অনুযায়ী মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নাম দেন এবং তৃতীয়বার তিনি জন্ম তারিখ ০৯/০৫/১৯৬২ এর জায়গায় ০১/০৫/১৯৬২ পরিবর্তন করেন। মূলত তিনি তার বোন মোসাম্মাৎ জমিলা খাতুনের সার্টিফিকেটের নামের সাথে তার ব্যক্তিগত তথ্যের যাতে গড়মিল না থাকে সেই চেষ্টা করেছেন। এক পর্যায়ে তিনি মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নিয়ে ১৯৮৭ সালে থেকে আজ পর্যন্ত চাকরি করে আসছেন।
এ ব্যাপারে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) নেত্রকোণা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন মোহাম্মদ শফিউল নামে এক ব্যক্তি। অনুলিপির কপি দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমিলা খাতুন বিদ্যালয়ে নিয়োগ নেয়ার সময় ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সনদ জমা দেন তাতে দেখা যায়, ১ বছর বয়সে জমিলা খাতুন ১ম শ্রেণি, দশ বছর বয়সে দশম শ্রেণি (দাখিল) ও ১২ বছর বয়সে দ্বাদশ (আলিম) পাস করেন। এমনকি তৎকালীন নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে সুকৌশলে তিনি বাবা-মায়ের নাম ব্যবহার করেননি। এত অনিয়ম কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আরও পড়ুন: এবার লক্ষ্মীপুরে ৭ মাদরাসাছাত্রের চুল কর্তন, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক
অভিযোগকারী মোহাম্মদ শফিউল বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।
অভিযুক্ত জমিলা খাতুন বলেন, ‘আমার সার্টিফিকেট যদি জাল হয় আপনারা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে খোঁজ নেন, বোর্ড আমার সার্টিফিকেট দিয়েছে। পরে আবার দুইটা মিনিস্ট্রিতে অডিট হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুদর্শন সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগের কাগজ আমরা পাইনি। এ রকম কোন বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে শাবি শিক্ষকের নিজের লেখা বইয়ের সৌজন্য সংখ্যা
জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘এরকম একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
বারহাট্টায় সৎ ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই খুন
নেত্রকোণার বারহাট্টায় জমিতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে সৎ বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পলাশ মিয়া (৩০) মারা যাওয়ার পর পরই অভিযুক্ত বড় ভাই আলামিন মিয়া (৪০) বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা ওই উপজেলার গোড়াউন্দ গ্রামের রব মিয়া ছেলে।
নিহত পলাশের ছোট ভাই মো. পিতাস বলেন, আমার বড় ভাই পলাশ মিয়া ও সৎ বড় ভাই আলামিন মিয়াসহ আমরা শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির উঠানে আলোচনা করছিলাম জমিতে সেচ দেয়ার বিষয়ে। আলোচনার এক পর্যায়ে আলামিন উত্তেজিত হয়ে আমার ভাই পলাশকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার সময় পলাশ মারা যায়।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
জমি নিয়ে বিরোধ: পাবনা, খুলনা ও ভোলায় নিহত ৪
নেত্রকোণায় বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণা পৌরসভার নাগড়া এলাকা থেকে বাবা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকার আনোয়ার স্মৃতি সড়কের রুহুল আমিনের বাসার চতুর্থ তলা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার খামার গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে ও নেত্রকোনায় নাগরা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে করর্মরত আবদুল কাইয়ুম (৩২) এবং তার দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিল।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে নার্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতের খাবার খেয়ে রাত ১টার দিকে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর ৫টায় উঠে পাশের রুমে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে তিনি সকালে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান। এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে আবদুল কাইয়ুম নিজেও আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য দু’জনের লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।