রাঙামাটি
সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ১, আহত ১
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক চাকমা যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের নিউলংকর দাড়ি পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সুখেন চাকমা (২০) ওই এলাকার মঙ্গল চাকমার ছেলে এবং পেশায় মোটরসাইকেল চালক।
আহত সজীব চাকমা (২২) ওই এলাকার বিধুমঙ্গল চাকমার ছেলে এবং পেশায় মোটরসাইকেল চালক।
ঘটনার পর পরই আহত সজীব চাকমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় গ্রামবাসী।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আহত ও নিহত দু’জনেই পেশায় মোটরসাইকেল চালক ও সম্পর্কে চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে। তারা পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সমর্থক বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান।
এদিকে, এই ঘটনার জন্য পাহাড়ের আরেক আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন জেএসএস সন্তু বাঘাইছড়ি উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমা।
ত্রিদিপ চাকমা বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সাজেক অঞ্চলের সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোন সম্পর্ক নেই।
এছাড়া নিউলংকর এলাকায় ইউপিডিএফ এর কোন কর্মকাণ্ড নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা
এটি জেএসএস-এর অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানান তিনি।
বাঘাইছড়ি ও সাজেক থানার সার্কেল এএসপি, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পাওয়ার পরপরই এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
এলাকাটি খুবই দুর্গম। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে, তাই কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাঘাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল জনসমাবেশের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।
তার দুইদিন আগে এমন ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সমাবেশকে ঘিরে বড় সংঘাতের আশঙ্কা করছে অনেকে। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন পয়েন্টে।
আরও পড়ুন: মাটিরাঙ্গায় গোলাগুলিতে আহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গুলিতে নারী নিহত
রাঙামাটিতে শেষ হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দানোৎসব
শান্তি ও মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লাখো পূর্ণার্থীর শ্রদ্ধা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যের মধ্যদিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান উদযাপিত হলো। শুক্রবার দুপুরে রাঙামাটির রাজবন বিহারে চীবর উৎসর্গের মধ্যদিয়ে শেষ হলো ৪৯তম কঠিন চীবর দানোৎসব।
এদিন দুপুরে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘন্টায় তৈরীকৃত চীবর রাঙামাটি মহাপরিনির্বাণ প্রাপ্ত বনভন্তের শীর্ষ রাঙামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের হাতে চীবর উৎসর্গ করেন রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
চীর উৎসর্গের সময় ভক্তদের সাধু,সাধু,সাধু কন্ঠধ্বনিতে রাজবন বিহারের সমগ্র আশেপাশে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
বিহার প্রাঙ্গণে আগত লাখো লাখো পুর্ণার্থীর সামনে রাঙামাটি রাজবন বিহারের প্রধান মহাপরিনির্বাণ প্রাপ্ত শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভন্তের অমৃত কথা অডিও উপস্থাপন করা হয়। পরে আগত দায়ক দায়িকার উদ্দেশ্যে স্বধর্ম দেশনা দেন রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। এসময় তিনি কৌশল কর্ম, সৎ চেতনা ও সৎ জীবন নিয়ে জীবনযাপন করার জন্য হিতোপোদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী
চীবর দান উৎসবে রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম, রাঙামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, বিএনপির নেতা দীপন তালুকদার, রাজবন বিহারের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিয় খীসাসহ দেশি-বিদেশি পূর্ণার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
একদিনের ব্যবধানে আবারও ‘চান্দের গাড়ি’ দুর্ঘটনা, আহত ১২
একদিনের ব্যবধানে আবারও রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ‘চান্দের গাড়ি’ (পর্যটক বহনকারী যান) দুর্ঘটনায় ১২ যাত্রী গুরতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের কংলাক পাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে মাচালং বাজারে যাওয়ার পথে রুইলুই পাহাড় থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত দিঘীনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে ‘চান্দের গাড়ি’ খাদে পড়ে পর্যটক নিহত
তিনি জানান, ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের কংলাক পাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে মাচালং বাজারে যাওয়ার পথে রুইলুই পাহাড় থেকে নামার সময় ‘চান্দের গাড়ি’ (ঢাকা- ঘ ৫৭৬১) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাউজ পাড়ায় আনুমানিক ১০০ ফুট গভীর পাহাড়ি খাদে পড়ে যায় এতে গাড়িতে থাকা সবাই আহত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আহতরা সবাই সাজেকের স্থানীয় বাসিন্দা তৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজেক বাঘাইহাট সড়কে যানচলাচল বেড়ে যাওয়ায় ইদানীং দুর্ঘটনা বেড়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে শিগগিরই চালক ও মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার পদক্ষেপ নেয়া হবে, এছাড়া আজকের পর থেকে এই সড়কে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোন চালক গাড়ি নিয়ে বের হতে পারবে না, প্রশাসন সেই পদক্ষেপ নিয়েছে।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও হেডম্যান জুপ্পুই থাং ত্রিপুরা জানান, সাজেক সড়কে চলাচল করা অধিকাংশ ‘চান্দের গাড়ি’র ফিটনেস নেই চালকদের ও লাইসেন্স নেই তাই ঘন ঘন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, একটি পর্যটন এলাকায় এভাবে পর পর দুর্ঘটনা দুঃখজনক উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিগিগিরই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ফিটনেস বিহীন যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
রাঙামাটিতে ৬ কোটি টাকার ৫ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে পাচঁটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে সরকারি এসব উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থরের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
আরও পড়ুন: দেশে ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাইকা
সংশ্লিষ্টরা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় ছয় কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব পাঁচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: জাবির উন্নয়ন প্রকল্প দেখভালে অনভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন -পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, রাঙামাটি পৌরসভার কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জমির উদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
রাঙামাটিতে সাফজয়ী ৫ নারী ফুটবলারকে উষ্ণ সংবর্ধনা
সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়ন দলের পাঁচ সদস্য আনাই মগিনি, আনুচিং মগিনি, রূপনা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে ফিরলে তাদের উচ্চ বিদ্যালয়ে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
রাঙামাটির ঘাগড়া বাজারে পৌঁছলে ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পাঁচ ফুটবলারকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য উল্লাসে মেতে ওঠে।
একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ও আতশবাজির মাধ্যমে তাদের বিদ্যালয়টিতে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে ওঠার প্রাথমিক শিক্ষা তারা পান।
জেলা প্রশাসন দুপুর আড়াইটা থেকে শহর প্রদক্ষিণকারী ফুটবলারদের জন্য একটি উন্মুক্ত-ডেক গাড়ির ব্যবস্থা করে।
আরও পড়ুন: আইফোন ও টাকা পেলেন সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন দলের তিন ফুটবলার
বিকাল ৪টার দিকে তারা রাঙামাটি স্টেডিয়ামে পৌঁছালে সেখানে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের বীর সংবর্ধনা দেয়া হয়।
মগছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীর সেন চাকমা অনেক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে এই খেলোয়াড়দের মমতায় বড় করেছেন। পরবর্তীতে ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শান্তি মনি চাকমা তাদের পুরো দায়িত্ব নেন।
আরও পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নদের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা সেনাবাহিনীর
সাফ জেতার মধ্য দিয়ে মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে সমালোচনা জয় করেছি: সাবিনা
রূপনা ও রিতুকে বরণ করতে প্রস্তুত নানিয়ারচরবাসী
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বাসিন্দারা অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছে সাত দেশের সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়ন দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার তাদের দুই কন্যা রূপনা ও রিতু পর্ণাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য।
টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক রূপনা চাকমা, যিনি গোলবারের নিচে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন এবং ডিফেন্ডার রিতু পর্ণা চাকমা এখন নানিয়ারচরের গর্ব।
টুর্নামেন্টে তাদের ঐতিহাসিক জয়ের পর রুপনা ও রিতু পর্ণার পরিবার ও প্রতিবেশিরা তাদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এমনকি তাদের পরিবারকে অভিনন্দন জানাতে ভক্ত ও সাংবাদিকরা তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন।
তাদের সাফল্যের পর মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিষ্টি, ফল ও ফুল নিয়ে রূপনা ও রিতু পর্ণার বাড়ি পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের শিরোপা জয়
ডিসি তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে এক লাখ ৫০ হাজার টাকার চেকও তুলে দেন।
ডিসি মিজানুর বলেন, রূপনা ও রিতু পর্ণা সাফ টুর্নামেন্ট এবং বিশেষ করে ফাইনালে তাদের অসাধারণ দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে।
তিনি পার্বত্য অঞ্চলের খেলোয়াড়দের সুনাম সমুন্নত রাখতে প্রতিটি এলাকায় নিয়মিত খেলাধুলার চর্চার আহ্বান জানান।
রূপনার জরাজীর্ণ বাড়ি পরিদর্শনকালে ডিসি নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বজলুর রহমানকে তার জন্য একটি নতুন বাড়ি নির্মাণ এবং বাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তাটি উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করার নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: সর্বোচ্চ গোলদাতা সাবিনার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়
এদিকে, আগামীকাল বুধবার বিকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের সম্মানে জমকালো সংবর্ধনার জন্য জাতি প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) সদ্য মুকুট বিজয়ীদের অভ্যর্থনা জানাতে একটি ছাদখোলা বাস প্রস্তুত করেছে।
সোমবার ফাইনাল ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ দল। খেলার ১৩তম মিনিটে শামসুন্নাহার প্রথম গোলটি করেছিলেন। এবং কৃষ্ণা রানী সরকার ৪২তম এবং ৭৭ মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে শেষ দুটি গোল করে দেশের প্রথম সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুুন: ‘সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে আপনাদের সমর্থনের প্রতিদান দিতে চাই’
প্রশাসনের আশ্বাসে রাঙামাটিতে অটোরিকশা ধর্মঘট প্রত্যাহার
প্রশাসনের দেয়া ক্ষতিপূরণ প্রদান ও দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসের ভিত্তিতে অটোরিকশা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাঙামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন। রবিবার সকাল ১১টায় শহরের শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এক বিক্ষোভ মিছিল করে সেখান থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় সংগঠনটির নেতারা।
সমাবেশে রাঙামাটি সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি পরেশ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাবু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো রাঙ্গামাটিতে চলাচলরত প্রতিটি সিএনজিতে চাঁদা দাবি করে আসছে।
তিনি জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর চারটি সিএনজি অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় তা উদ্ধার করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর কাপ্তাই রাবার বাগান এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া শনিবার রাত ১০টায় এক সিএনজি চালককে মারধর করে সিএনজি ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
এসময় পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে পরবর্তীতে আবারও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
এদিকে সকাল থেকে রাঙামাটি জেলায় শহরে একমাত্র যাত্রী পরিবহন সংস্থা সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে রাঙামাটির সাধারণ মানুষ ও বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
হঠাৎ সকাল থেকে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় এবং শহরে বিকল্প কোনো যানবাহন না থাকায় স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবীদের পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে।
তবে এসএসসি পরীক্ষার্থী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জরুরি সেবায় সিএনজি ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছিল সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি।
বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার দুপুরে জরুরি সভা করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার (এমপি), রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, রাঙামাটি পৌর মেয়র মো.আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি পরেশ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাবুসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাঙামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া, শনিবার রাতে সিএনজি চালকের ওপর হামলা এবং সিএনজি ভাঙচুরের প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।
তার প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে তাৎক্ষণিকভাবে সমিতির সকলের সিদ্ধান্তে রবিবার সকাল থেকে রাঙামাটি শহরে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে মাইকিং করে শহরবাসীকে জানিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অটোরিকশা বন্ধের ঘোষণা!
রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ
রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে জেলা শহরে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি শহর এলাকায় এ হরতাল পালিত হবে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ৫ দিনব্যাপী বৈসাবি মেলা আয়োজন
সোমবার দুপুরে রাঙামাটির একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই হরতালের ডাক দেয়া হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সকল নেতাদের পক্ষে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মুজিবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, রাঙামাটি শহর এলাকায় ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩২ ঘন্টা হরতাল পালন করবে নাগরিক পরিষদ। হরতাল চলাকালে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল, পথসভাসহ ভুমি কমিশনের বৈঠককে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সাত দফা দাবিগুলো হচ্ছে-
১. পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে।
২. পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি নিরোধ নিষ্পত্তির কার্যক্রম শুরুর আগে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে।
৩. জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির ওপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে।
৪. পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের মতো জেলা প্রশাসকদের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে।
৫. কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারণে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
৭. বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর জামান ডালিম, যুগ্ম-সম্পাদক রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা, রাঙামাটি জেলা কমিটির মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসমা মল্লিক।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাপ্তাইয়ে ১৪৪ ধারা জারি
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বিএনপি ও উপজেলা ছাত্রলীগ একই জায়গায় সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার রাতে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, রবিবার (২৮ আগস্ট) উপজেলা সদর বড়ইছড়ি এলাকায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এছাড়া একই স্থানে একই সময়ে কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তারেক জিয়ার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে জনজীবনে অসুবিধা ও উপজেলার স্বাভাবিক শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা ও আশঙ্কায় আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলা সদর এবং এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হল।
এ বিষয়ে কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, যেকোনো নাশকতা, দাঙ্গা হাঙ্গামা ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করতে এবং এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাপ্তাইয়ের আশেপাশে ও সমাবেশের স্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা কঠোর অবস্থানে থেকে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এই ব্যাপারে তৎপর রয়েছে। তবে ১৪৪ ধারা জারির কারণে সকাল থেকে কোন দল সমাবেশস্থলে আসতে পারেনি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার দূরছড়ি গ্রামে এবং উত্তর হিরারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বড় দূরছড়ি গ্রামের পুলিন বিহারী চাকমার মেয়ে ও খেদারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রুপসী চাকমা এবং হিরারচর গ্রামের মিহির কান্তি চাকমার ছেলে ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষে ছাত্র অর্কো চাকমা।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
খেদারমারা ইউপি চেয়ারম্যান বিটু চাকমা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মা-মেয়ে ভাত খাবার সময়ে হঠাৎ বাড়ির আঙ্গিনায় গাছে পড়া বজ্রপাতটি ছিটকে ঘরে পড়লে শিক্ষার্থী রুপসী চাকমা নিহত হন। এসময় তার মা অনিতা চাকমা আহত হন।
এদিকে, সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় বাঘাইছড়ি উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর হিরারচর গ্রামে বজ্রপাতে অর্কো চাকমা নামে এক ছাত্র নিহত হয়েছেন।
অর্কো চাকমার বন্ধু পিয়াল চাকমা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাত হলে সে জ্ঞান হারায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্কো চাকমার ও রুপসী চাকমার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।