রাঙামাটি
বাঘাইছড়িতে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে আঞ্চলিক দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত ও এক জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার দুই কিলো নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জেএসএস (সন্তু লারমা) দলের সদস্য জানন চাকমা ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের সদস্য মনিময় চাকমা। এ ঘটনায় মো. মনু মিয়া নামে আহত ব্যক্তিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এতে বেশ কয়েকজন হতাহতের খবর শোনা গেলেও সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: পাথরঘাটায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘জলদস্যু’ নিহত
কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
পারিবারিক কলহের জেরে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ৮নং ওয়ার্ডের এ ব্লক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মমতাজ জাহান রিয়া (১৯) ওই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে ও বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেকানিকেল ডিপার্টমেন্টের ৩য় বর্ষের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: পাহাড়তলীতে ঋণগ্রস্ত গার্মেন্টস মালিকের আত্মহত্যা!
কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহিনুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টা ৪৫ মিনিটে রিয়া কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় তাঁর নিজ শয়ন কক্ষ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডা. তায়েফ মাহমুদ জানান, হাসপাতালে আসার আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর ‘আত্মহত্যা’
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন জানান, প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে প্রবাসী বড় ভাই কাতার থেকে মোবাইল ফোনে ছোট বোনকে শাসন করায় অভিমান করে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বড়দিন: রাঙামাটির খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
বড়দিন উদযাপনে রাঙামাটির খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের মধ্যে এখন চলছে উৎসবের আমেজ। এ উপলক্ষে গীর্জাগুলোকে ফুল দিয়ে নানান রঙে সাজাঁনো হয়েছে।
গত দুই বছর করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে বড়দিন পালন করলেও এবছর করোনার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করবেন খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা।
রাঙামাটি শহরে সাতটি খ্রিস্টান পল্লী রয়েছে। তার মধ্যে আসামবস্তি, নতুনবস্তি, বন্ধু যীশুটিলা, রির্জাভমুখসহ অন্যান্য গ্রামের মানুষ গীর্জায় প্রার্থনা করে নানা আয়োজনে প্রভু যীশুর জন্মদিন পালন করবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বড়দিন ঘিরে নানা আয়োজন, নিরাপত্তা জোরদার
এছাড়া কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ও বিলাইছড়ির পাংখো পাড়ায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী পাংখো ও খিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ বড় দিন উৎযাপন করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
রাঙামাটি ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জেওমে ডি. রোজারিও বলেন, দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের শান্ত পরিস্থিতি ও করোনার পরিস্থিতিতে সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা করবে সকলে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে গুর্খা সম্প্রদায়ের ‘টিকা লাগাউনে’ উৎসব
রাঙামাটিতে জেএসএস নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির সদর উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এক নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাঙামাটির সদর উপজেলার লংগদু’র বন্দুকভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবিস্কার চাকমার বাড়ি বাঘাইছড়ির সারোয়াতলী ইউনিয়নের সিজক এলাকায়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় আবিস্কার চাকমা নিহত হন।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিমকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলর সোহেল হত্যা: আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
মামলার সাক্ষী হওয়ায় চাচাকে কুপিয়ে হত্যা!
রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
রাঙমাটির সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার ভোর রাতে নানিয়ারচর সেনা জোনের সদস্যরা এই সব অস্ত্র উদ্ধার করে।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নানিয়ারচর জোনের আওতাধীন বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তর্গত ত্রিপুরাপাড়া এলাকায় ইউপিডিাফে (মূল) দলের ১৬-১৭ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল চাঁদা সংগ্রহ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ক্যাম্প স্থাপন করে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত গেল সেনাবাহিনীর সাইক্লিং দল
এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে নানিয়ারচর জোন এবং স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় যৌথ বাহিনী সন্ত্রাসীদের আস্তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুল ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে। তবে সেনা সদস্যরা আস্থানায় পৌঁছানোর আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ সময় একে ৪৭ (চায়না) রাইফেল ম্যাগজিনসহ ১৮ রাউন্ড এ্যামুনিশন, একটি ৭.৬৫ মি: মি: অটোমেটিক পিস্তল চায়না ম্যাগজিনসহ ২ রাউন্ড এ্যামুনিশন, দেশীয় এলজি, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ওয়াকিটকি সেট, ৩ সেট ইউপিডিএফের (মূল) ব্যবহৃত ইউনিফর্ম, কালো ব্যাগ, রাইজিং ষ্টার মাইক ম্যাগাজিন, ল্যান্ড ফোন (সীম দ্বারা পরিচালিত), দুটি মোবাইল ফোন, তিনটি চাঁদার রশিদ ও নগদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ দেশি বিদেশি পুরোনো মুদ্রাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে চিকিৎসা সেবা প্রদান
এ ব্যাপারে রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপশ রঞ্জন পাল জানান, যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেন। সশস্ত্র সন্ত্রসীরা পালিয়ে যাওয়ার কারণে কাউকে আটক করা না গেলেও তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী নানিয়ারচর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এই সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা কার্যক্রম চলছে।
সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
শরতের সাদা মেঘ দিয়ে আকাশ ক্যানভাসে আঁকিবুকি করার কোন দিন, অথবা শীতের কোন রৌদ্রস্নানের দিন! দীঘিনালা ছাড়িয়ে রাঙামাটির ছাদের খোঁজে কেউ এলে, রুইলুই ও কংলাক পাড়ার লুসাই, ত্রিপুরা বা পাংখোয়ারা এখন আর অবাক হয়না। যে কোন বইপোকার কাছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়নটি হয়ত শুধুই একটি স্থানের নাম। কিন্তু ভারতের মিজোরাম সীমান্ত ঘেষা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচু সাজেক ভ্যালির মেঘ ছোঁয়ার জন্য কোন পর্বতপ্রেমীর ছেলেমানুষী কোন কিছু দিয়েই তুলনা করা যাবে না। সেই পর্বতপ্রেমীদের জন্যই সাজেক ভ্যালির এই ভ্রমণ গাইড।
সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক নৈসর্গ
লুসাই পাহাড় থেকে কর্ণফুলী স্রোতকে অনুসরণ করে এগোলে দেখা মিলবে সাজেক নদীর। আর সেই সাথে হৃদয়ঙ্গম হবে নৈসর্গিক এই উপত্যকার নামকরণের সার্থকতা। চান্দের গাড়ি চড়ে পাহাড়ী রাস্তা ধরে এগোনোর সময় আদিবাসী শিশুদের সঙ্গে স্বাগতম জানাবে পাহাড়ের ঢালের সবুজ বন। প্রবেশদ্বারের রুইলুইপাড়া থেকে সাজেকের শেষ প্রান্ত কংলাকপাড়ার মাঝে চোখ জুড়াবে উপত্যকা গ্রাম, হাজাছড়া ঝর্ণা, কমলক ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও বনবিহার আর দুরের নিস্তব্ধ নীলিমা। বিজিবি ক্যাম্পের হেলিপ্যাড থেকে মেঘের সমুদ্রে প্লাবিত সূর্যোদয়ের দৃশ্য যে কোন সতর্ক দৃষ্টিকে ভুলিয়ে দিবে যে সে দাড়িয়ে আছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিজিবি ক্যাম্পে। সূর্যাস্তের সময় আবার সেই রাজকীয় অগ্নিকুণ্ডের আত্মবিসর্জনে পুরো সাজেককে মনে হবে এক অপার্থিব তোরণ। রাতের আকাশে কোটি তারার লন্ঠন ছায়াপথ জুড়ে জমিয়ে রাখা মহাজাগতিক চলচ্চিত্রের বায়োস্কোপ দেখাবে।
মধ্য আগস্টের সকাল থেকে শুরু করে প্রথম নভেম্বরের প্রথম কুয়াশা; যে কোন দিন হতে পারে পর্বতপ্রেমীদের জন্য এমন স্বপ্নের দিন।
আরও পড়ুন: নাজমুন নাহার: পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক
কাপ্তাইয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় ইউপি সদস্য নিহত
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নতুন বাজার মা বেকারীর সামনে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত সজিবুর রহমান ৫ ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। আহতরা হলেন-মো. আলাউদ্দিন (৪৫), মো. সালাউদ্দিন (৫৫) ও আব্দুল জলিল।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ওমর ফারুক জানিয়েছেন, রাতে আহত অবস্থায় চার জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কাপ্তাই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার সজিবুল রহমান মারা যান। অন্যদের চিকিৎসা চলছে।
পড়ুন: কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব বলেন, ‘নতুন বাজারে চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতি থেকে মারিমারির ঘটনা ঘটে। পরে সজিবুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় চার জনকে পুলিশ আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।’
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর রাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাপ্তাইয়ের চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেথোয়াই মারমা নিহত হন।
পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কাপ্তাই লেক থেকে ৭ পর্যটক উদ্ধার
কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নেথোয়াই মারমা (৫৬) চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী জানান, নিহত নেথোয়াই মারমার ছেলে রাতে তাকে খবর দিয়ে জানান যে, সবুজ গেঞ্জি পরিহিত ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের ঘরের সামনে দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। দরজা না খুলায় সন্ত্রাসীরা পেছনের রান্না ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তার বাবাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
পড়ুন: ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নেথোয়াই মারমাকে তার নিজ বাড়ি একই ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকায় শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সশস্ত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে এলোপাতারি গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
রবিবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
পড়ুন: রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, আহত ২
কোরআন অবমাননা: বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি-পুলিশ সংঘর্ষ
বাঘাইছড়িতে জেএসএস নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বঙ্গলতলীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তরে বঙ্গলতলী ইউনিয়নের জারুলছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুরেশ কান্তি চাকমা ওরফে দীনেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সদস্য ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোরে একদল অস্ত্রধারী বঙ্গলতলী ইউনিয়নের জারুলছড়ি গ্রামে সুরেশ কান্তি চাকমাকে বাড়িতে গিয়ে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, গুলিবিদ্ধ ৫
কাপ্তাইয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ‘কৃষক’ নিহত
জেএসএস সন্তু লারমা দলের অন্যতম নেতা ত্রিদিপ চাকমা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং ঘটনায় জেএসএস এমএন লারমা (সংস্কার) দলকে দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে জেএসএস এমএন লারমা (সংস্কার) দলের বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বঙ্গতলীতে আমাদের এমএন লারমা (সংস্কার) দলের কোন লোক নেই।
তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ঘটনাটি ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘সামনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ পাহাড়কে অস্থিতিশীল করে তুলতে এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খাঁন জানান, খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজ বাসার খাটের নীচ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কারা এঘটনার সাথে জড়িত তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
কাপ্তাইয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ‘কৃষক’ নিহত
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কুকিমারা এলাকায় সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের গোলাগুলির সময় এক পথচারী কৃষক নিহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত থোয়াই অংপ্রুগ্রী মারমা (৭০) কুকিমারা মারমা পাড়ার মৃত থোয়াইসাউ মারমার ছেলে।
৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অংসাপ্রু মারমা জানান, বিকাল ৫ টার পর গুলির শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষের সময় একজন কৃষক নিহত হয়েছে। কৃষক তার কাজ সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন।
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কাপ্তাই থানার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত ব্যক্তি কীভাবে মারা গেছে তা এখনও জানা যায় নি। তদন্ত করে এ ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ২
কক্সবাজারে গুলিতে নিহত ২