কক্সবাজার
রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবেন না, সহযোগিতা বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাচেলেট
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রভাবের কারণে খাদ্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রোহিঙ্গাদের সঙ্কট মোকাবিলায় সহায়তার জন্য তাদের সমর্থন বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে না এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে; এমনকি তারা তাদের সমর্থন বাড়াতে পারে কিনা তাও দেখবে।’
তিনি জানান, বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও তারা যে সমস্যাগুলো দেখছেন, তার মধ্যে একটি হলো খাবারের দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এবং এর অর্থ হল যে একই পরিমাণ অর্থ দিয়ে আগে বেশি খাবার কিনতে পারত, এখন কম কিনতে পারে। এবং এটি কক্সবাজারের মানুষের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের শ্রদ্ধা
মিশেল ব্যাচেলেটের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট মঙ্গলবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ও তার দল কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা এবং শরণার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সেন্টার পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজারে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
মিশেল ব্যাচেলেট শরণার্থী নারী, যুবক এবং ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং কথা বলেছেন।
আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের
কক্সবাজারে পর্যটকদের টার্গেট করা হয়। এরপর মাদক আর নারী দিয়ে তাদের ফাঁদে ফেলা হয়। ফাঁদে ফেলার কৌশল হিসেবে গোপন ক্যামেরায় নারীদের সঙ্গে তাদের বিশেষ ছবি তোলা হয় এবং মাদকসহ তোলা হয় আরও নানা ছবি। পরে পর্যটকদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা দাবি করে। তা না দিলেই নারী ও মাদকের সঙ্গে তোলা ছবি ফাঁস করে দেবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
এমনটি স্বীকার করেছেন চার পর্যটককে ব্ল্যাকমেইল করে বন্দি করার দায়ে অভিযুক্ত দুই আসামি। ১৩ আগস্ট ট্যুরিস্ট পুলিশের হাতে আটক হওয়া দুই আসামি পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেন।
এমন তথ্য দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, ৭ আগস্ট কক্সবাজার পর্যটন জোনে কথিত শিউলি কটেজে চার পর্যটককে অপহরণ করে টাকা আদায়ের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের নামে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই হামিদ মামলাটি তদন্তকাজ পরিচালনা করছে। তদন্তে সেদিনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারমধ্যে সরাসরি জড়িত দুইজন আসামিকে ১৩ আগস্ট রাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে কটেজ থেকে চারজন উদ্ধার, ‘দালালচক্রের’ ১১ সদস্য আটক
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামপুরের নুরুল আজিমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৫) , একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মো. সাকিল (২২)। তাদের ১৩ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টের পাশ থেকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে আরও ৮/১০ জন জড়িত রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত তারা ট্যুরিস্টদের বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে এই কটেজে এনে নারী, মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে। তারা পর্যটকদের আপত্তিকর ছবি ধারণ করে রাখে এবং ভয় ভীতি দেখায় যে কোথাও অভিযোগ দিলে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে। যার কারণে ভুক্তভোগীরা কেউ অভিযোগ দেয় না।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সঙ্গে জড়িত একটি বড় দালাল সিন্ডিকেটের তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় মূলত কয়েকটি কটেজে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়ে আসছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম আরও জানান, তদন্তে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। উক্ত ঘটনায় সম্পৃক্ত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার ২
কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো জেসিআইয়ের সাধারণ সদস্য সভা
প্রথমবারের মতো কক্সবাজারে জুনিয়র চেম্বার্স ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ইস্টের সফলভাবে তৃতীয় সাধারণ সদস্য সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ আগস্ট (শুক্রবার) কক্সবাজার ‘নিশোরগো হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লোকাল প্রেসিডেন্ট শেজান আজিমের সভাপতিত্বে সভায় বোর্ড অব ডিরেক্টরসসহ সংগঠনের অন্যান্য সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেসিআই বাংলাদেশের জেনারেল লিগাল কাউন্সেল ইমরান কাদির ও জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজমুল হোসেন সবুজসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের মিশন ও ভিশন ঘোষণার পর লোকাল অর্গানাইজেশনের সভাপতি সভায় উপস্থিত নতুন সদস্য ও বিশেষ অতিথিদের স্বাগত জানান।
সাধারণ সদস্য সভায় সংগঠনের কোরাম প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে নতুন সদস্যদের পরিচিতি ও ত্রৈমাসিকে সম্পাদিত প্রকল্প সম্পর্কে সভায় উপস্থিত সকলকে অভিহিত করা হয়।
উল্লেখ্য, জেসিআই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণ সক্রিয় নাগরিকদের একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা যারা তাদের সমাজে অর্থবহ প্রভাব তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ|
পড়ুন: ইউএস-বাংলার ব্যাংকক রুটের ‘টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি’
ইউএস-বাংলার খরচে পাইলট হবার সুযোগ
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: কক্সবাজারে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকায় পর্যটকদের সমুদ্রের পানিতে না নামার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশ আগত পর্যটকদের পানিতে নামার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছেন। সৈকতে টহলরত ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা পর্যটকদের সচেতনতায় মাইকিং অব্যাহত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কাপ্তাই হ্রদে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া জানান, কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকে গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে পরবর্তী সংকেত না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
উখিয়া ক্যাম্পে গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নেতা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ক্যাম্প ১৫ এর সি/৯ ব্লকের দুর্গম পাহাড়ের ঢালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উখিয়া ক্যাম্প ১৫ ব্লক সি/১ এর আব্দুর রহিমের ছেলে হেডমাঝি (নেতা) আবু তালেব (৪০) ও একই ক্যাম্পের সি/৯ এর ইমাম হোসেনের ছেলে সাব ব্লক মাঝি সৈয়দ হোসেন (৩৫)।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৮-১০ জন দুষ্কৃতিকারী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৫ এর সি ৯ ব্লক থেকে আনুমানিক ১৫০ ফিট ওপরে দুর্গম পাহাড়ের ঢালে জৈনক আসিয়া বেগমের সেড ( নাম্বার ১০১০) এর সামনে রোহিঙ্গা মাঝি সৈয়দ হোসেন ও আবু তালেবকে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে জামতলী এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ হোসেনকে চিকিৎসক সেখানেই মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আবু তালেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুতুপালং হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। পরবর্তীতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করতে ক্যাম্পে ব্লকরেইড দিয়ে অভিযান চলছে। লাশ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পড়ুন: টেকনাফে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
কক্সবাজারে কটেজ থেকে চারজন উদ্ধার, ‘দালালচক্রের’ ১১ সদস্য আটক
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কটেজ জোনের বন্দিদশা থেকে রবিবার রাতে চারজনকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসময় ১১জন ‘দালাল’কে আটক করা হয়েছে।
কলাতলীর শিউলি কটেজ থেকে এই বন্দীদের আটক করা হয় এবং বিভিন্ন স্থান থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দালালদের আটক করা হয়।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে দুইজন শিশু ও দুইজন যুবক রয়েছে। শিশু দুটির বাড়ি কক্সবাজার বাসটার্মিনাল এলাকার দক্ষিণ ডিককুল ও দুই যুবকের বাড়ি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সাতকানিয়া।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে দালালসহ আটক ৯
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, ‘দালালরা ভুল বুঝিয়ে কটেজ জোনের শিউলি কটেজে নিয়ে গিয়ে কয়েকজন পর্যটককে আটকে রাখার খবর পায় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এই খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বন্দি চারজনকে উদ্ধার করা হয়। তবে পিছনের গোপন পথ দিয়ে পালিয়ে যায় অপরাধীরা।’
তিনি আরও জানান, ‘সারারাত কটেজ জোনের বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ১১জন দালালকে আটক করা হয়।’
উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কর্মকতা বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের দুইজন রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসে রাত কাটানোর জন্য সস্তা কক্ষ খুঁজতে কটেজ জোনে যায়। সেখানে পথিমধ্যে দালালের খপ্পরে পড়ে তারা। দালালরা কম দামের কক্ষের কথা বলে শিউলি কটেজে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে আরও অধিক দাম দাবি করে। তা না দেয়ায় তাদের কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কটেজ জোন কেন্দ্রিক একটি গড়ে ওঠা অপরাধীরা নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এর মধ্যে পর্যটক হয়ররানি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, অসামাজিক কার্যকলাপসহ আরও নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।’
এসব অপরাধী আইনের আওতায় আনতে ট্যুরিস্ট পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ৬ সদস্য আটক
চট্টগ্রামের বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ৩০ দালাল আটক
টেকনাফে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
কক্সবাজারে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে রোহিঙ্গাদের দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার (৭ আগস্ট) রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইব্রাহিম (৩০) নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের সি-ব্লকের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক এডিআইজি হাসান বারী নূর।
স্থানীয়দের বরাতে এডিআইজি বলেন, পাহাড়ী এলাকায় দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে গোলাগুলির খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ইব্রাহিমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ১০
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শতাধিক মৃত জেলিফিশ
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকালে শতাধিক মৃত জেলিফিশ ভেসে এসেছে।
লাবণী, সুগন্ধা, সায়মনবিচ ও দরিয়া নগর পয়েন্টসহ হিমছড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ ৫০ কিলোমিটারের একাধিক পয়েন্টে ছোট-বড় প্রায় শতাধিক মৃত জেলিফিশ জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে বালুতে আটকে আছে। তবে এগুলো কি কারণে মারা যাচ্ছে এর সঠিক কারণ কেউ বলতে পারছেন না।
এবিষয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবু সাইয়েদ মো.শরীফ বলেন, ‘জেলিফিশ সাধারণত শীতকালে মারা যায় এবং মৃত অবস্থায় সাগর উপকূলে ভেসে আসে। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা সাগরে ভেসে আসা জেলিফিশ গুলো পরীক্ষা করে দেখেছি, ভেসে আসা এসব জেলিফিশ জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। যেহেতু, এতদিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এখন মাছ ধরা শুরু হওয়ায় জেলেদের জালে আটকা পড়ছে এসব জেলিফিশ। এছাড়াও জেলিফিশ যেহেতু কম সাঁতার কাটতে জানে, সেহেতু জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে সাগর পাড়ে বালুচরে আটকে মারা যাচ্ছে। সাগরে পরিবেশ বিপর্যয়ের মত কিছুই হয়নি।’
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জেলেদের বলেন, এই সময়ে মাছগুলো মরার কোন সিজন নয়। হয়তোবা জেলিফিশ উপকূলের কাছাকাছি এসে জেলেদের জালে আটকা পড়েছে। পরে জেলেরা মাছগুলো ফেলে দেয়ায় মরা মাছ সৈকতের বেলাভূমিতে আসতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, মৃত জেলিফিশের দুর্গন্ধের কারণে আশেপাশে হাঁটা-চলা করতে পারছেন না পর্যটকেরা। এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে গোটা সৈকতে দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় জেলেদের কাছে জেলিফিশ সাগরের ‘লোনা’ হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: আবারও কক্সবাজারের সৈকতে বিশাল মৃত তিমি
কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি, এপিবিএন সদস্য গুলিবিদ্ধ
কক্সবাজারের টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি হাসান বারী নূর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ এপিবিএন সদস্যের নাম কাউসার আহমেদ। তার বাড়ি নোয়াখালীতে। তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে নয়াপাড়া ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে যায় এপিবিএনের একটি দল। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন এক সদস্য। এছাড়া পাহাড়ে অবস্থানকারীরা রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপের সদস্য। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গুলি করে হত্যা
পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন