কক্সবাজার
কক্সবাজারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মিজানুর রহমান (২৬) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাইম্যাখালী এলাকায় একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই শিশুর মৃত্যু, পরিবার বলছে আত্মহত্যা
নিহত মিজানুর রহমান উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচোরা এলাকার আশেক এলাহীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ৮টার দিকে তার নিজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- ‘বাবা তোমার কথা রাখতে পারলাম না, জীবন মানে সংগ্রাম, আমি হেরে গেলাম, পারলে ক্ষমা করবে। স্বপ্নগুলো পূরণ হলো না।’ এরপর ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
নিহতের বাবা আশেক এলাহী বলেন, ‘আমার ছেলে যে এরকম সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি কোনোদিন কল্পনাও করতে পারিনি।’
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘এক যুবক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় স্কুলছাত্রীসহ ২ জনের আত্মহত্যা
চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের আগে চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন করছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দোহাজারী স্টেশন থেকে মোটর ট্রলিতে করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
এর আগে তিনি কালুরঘাট রেলসেতু মেরামতের কাজ পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের কালুরঘাট সেতু মেরামত কাজের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী।
আগামী ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, মূলত কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিতেই মন্ত্রীর এই সফর। উদ্বোধন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মন্ত্রী দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেবেন এবং কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের কাজ দেখবেন।
রেল পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রী রেললাইন পরিদর্শন করছেন। কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানোর কাজ শেষ এবং ট্রেন চলাচলের উপযোগী অবস্থায় রয়েছে।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: আট মাস পর ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী
ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে পৃথক ঘটনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী গ্রুপের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। রবিবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টা ও ভোর ৪টার দিকে এই ঘটনা দু’টি ঘটে।
নিহত ছানা উল্যাহ (২৭) ২নং ক্যাম্পের বাসিন্দা ও অপর নিহত আহম্মদ হোসেন (৩৬) ৭নং ক্যাম্পের বাসিন্দা।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ভোর ৪ টায় ২নং ক্যাম্পে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে মাহমুদুল হকের বসত ঘরে সামনে এসে গুলি করে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে ছানা উল্যাহ গুলিবিদ্ধ হন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ছানা উল্যাহ। এই ঘটনার এক ঘন্টা আগে ৭ নং ক্যাম্পে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা ও গুলিতে আহম্মদ হোসেন নামে আরও একজন নিহত হন।
তিনি জানান, আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৫ থেকে ১৬ জন সন্ত্রাসী রাতে একটি চায়ের দোকানের সামনে গুলি করলে ঘটনাস্থলে নিহত হয় আহম্মদ হোসেন।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের
কক্সবাজারে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী স্পিডবোট ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ২৩
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে স্পিডবোট ডুবে সৈয়দা বেগম নামে এক নারী মারা গেছেন। এসময় জীবিত ২৩ পর্যটককে উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সৈয়দা বেগম সেন্টমার্টিন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক নারী সদস্য।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট সংঘর্ষ: আরও ৩ জেলের লাশ উদ্ধার
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোটে পর্যটক ও স্থানীয় ২৪ জন ছিলেন। এটি সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি এলে উল্টে যায়। কোস্টগার্ড খবর পেলে তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযান পরিচলনা করে ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা। এর মধ্যে একজন মারা যায়। বাকি পর্যটকদের সেন্টমার্টিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট উল্টে শিশু নিখোঁজ
যমুনায় দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিহত এক
এবার কক্সবাজার প্লাস্টিক মুক্ত করার ঘোষণা স্পিকারের
সেন্টমার্টিনের পর এবার কক্সবাজার প্লাস্টিক মুক্ত করার উদ্যোগ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের (বিটিবি) আয়োজনে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের এ মেলা ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের একক ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনকে প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকেও প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকারের সব পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য আমরা সবাই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে এর একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, যদি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পরিবেশ তৈরি করা যায় তবে বিদেশি পর্যটকরা আরও বেশি পরিমাণে আগ্রহী হবে।
স্পিকার বলেন, শ্রীলঙ্কা শুধু পর্যটনের আয়ে চলছে। তাদের মতো করতে পারলে আমাদেরও আয় বাড়বে। এজন্য আমরা ঢাকায় ট্যুরিস্ট বাসের ব্যবস্থা করতে পারি। এতে বিদেশি পর্যটকরা একটি ট্যুরের মাধ্যমে ঢাকা শহরের ঐতিহ্যগুলো দেখতে পারবে। পুরান ঢাকার জন্য একটি রুট, নতুন ঢাকার জন্য একটি রুট, নদী পথেও একটি ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য অনেক কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: কৃষকই শেখ হাসিনার উন্নয়নের মূল কারিগর : ডেপুটি স্পিকার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার।
চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালে ২০টি হোটেল রিসোর্ট, অঞ্চলভিত্তিক খাবারের স্টল ৭০টি, ডিস্ট্রিক্ট ব্রান্ডিং এর আওতায় ২৯টি জেলা, ক্রাফট স্যুভিনিউর ২৬টি, এয়ারলাইনস দুইটিসহ বিনোদন পার্ক, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, বিদেশি দূতাবাসসহ ১৬০টিরও অধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ: স্পিকার
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকা।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২ নম্বর শরনার্থী শিবির, বালুখালী ৮ নম্বর শরনার্থী শিবির এবং ২০ নম্বর শরনার্থী শিবিরের বর্ধিত অংশ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্ত ২
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, সফরকালে ভুনিওয়াকা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং ক্যাম্পের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জড়িত অন্যান্য মানবিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর আগে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং শরণার্থী শিবিরের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন।
রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বেশ কিছুদিন ধরেই নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দেখভালের জন্য গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে একাধিকবার এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে এ পর্যন্ত কক্সবাজারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য এর আগে পর্যন্ত জাতিসংঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের কোনো প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফরে আসেননি।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব সোমবার সকালে কক্সবাজারে আসেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
জানা গেছে, উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকা রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ও করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য কক্সবাজার সফর করছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে
ডব্লিউএফপি’র সহায়তা হ্রাসে রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়তে পারে অপরাধ, উগ্রপন্থা: এআরএসপিএইচ
কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী বিচ কার্নিভাল ও পর্যটন মেলা শুরু আজ
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জমকালো আয়োজনে কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী উৎসব।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এই উৎসবের উদ্বোধনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এরই মধ্যে তারকামানের হোটেলগুলোর শতভাগ রুম বুকিং হয়েছে। চাঙাভাব ফিরবে পর্যটন ব্যবসায়।
পর্যটন মেলা ভালো ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কক্সবাজারের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, বিশ্ব পর্যটন দিবসের সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে সার্কাস প্রদর্শনী, বিচ বাইক র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে শো, আতশবাজি, রোড শো, সেমিনার, ঘুড়ি উৎসব, ম্যাজিক শো, ফায়ার স্পিন, লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, ফানুস উৎসব, সার্ফিং প্রদর্শনী, বিচ ম্যারাথন, বিচ ভলিবল, কনসার্ট থাকছে।
আর কার্নিভালে দর্শক মাতাবে দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দল চিরকুট, আভাস, সুনামগঞ্জের শাহ আবদুল করিমের দল, কুষ্টিয়ার লালন গীতির দল, সিলেট, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহের পালা গানের দলসহ জনপ্রিয় ব্যান্ড ও সংগীত শিল্পীরা।
নৃত্য পরিবেশন করবেন তিন পার্বত্য জেলা-বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা।
ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের প্রধান ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, প্রতি বছর হাজারো বিদেশি পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসেন। তবে এখনো এই শহরের পর্যটন ব্যবস্থা আশানুরূপ ভাবে উন্নতি হয়নি, সংশ্লিষ্ট সকলে চেষ্টা করছেন বিদেশিদের কাছে এই শহরকে আকর্ষনীয় ভাবে তুলে ধরতে, যাতে তারা এই শহরের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
বালুকাবেলায় নোনাজলের ফেনিল ছাপ এখন স্পষ্ট। সমুদ্রের গর্জন ধেয়ে আসে কিনারে। আছড়ে পড়ে ঢেউ। বালুকাবেলার গর্ত থেকে বেরিয়ে ছোটাছুটিতে ব্যস্ত লাল কাঁকড়ার দল।
একে অপরের সঙ্গে মেতেছে খুনসুঁটিতে। প্রকৃতিও বলে দিচ্ছে শীত আসছে, নিজের মতো করে নতুন সাজে সাজছে সৈকতের চারপাশ। এরমধ্যে পর্যটনি মেলা উপলক্ষে সৈকত নগরীও সেজেছে ছে নতুন সাজে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বউ-শাশুড়ি মেলা!
লাবণী মঞ্চের সামনে সড়কের দুপাশে তৈরি হয়েছে স্টল। হোটেল কল্লোলের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষেও দোকানপাট বসানো হচ্ছে। তিন রাস্তার মুখে বসানো নৌকা থেকে কিছু দূরে নির্মিত হয়েছে মঞ্চ।
দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর
আগামী ১৫ অক্টোবর দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রেলপথের ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিতিতে ট্রেনটি পরীক্ষামূলক চালানো হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ প্রায় শেষ প্রান্তে। আইকনিক রেল স্টেশন, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং, হাইওয়ে ক্রসিংয়ের নির্মাণ শেষ হতে চলেছে।
মফিজুর রহমান বলেন, ১০২ কিলোমিটার দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্প প্রায় শেষ এবং এখন এটি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে রুটে পরক্ষিামূলক চালুর জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং প্রথমে ছয়টি বগি নিয়ে একটি লোকোমোটিভ ট্রেন চালানো হবে এই রুটে। অক্টোবরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পরে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন স্থাপন প্রকল্পটি প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন
প্রকল্প পরিচালক জানান, প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে ঝিনুকের আদলে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক রেলওয়ে স্টেশনের নির্মাণের পাশাপাশি দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, সংরক্ষিত বন এলাকায় রেললাইন স্থাপনে বন্য হাতি ও বন্যপ্রাণী চলাচলের জন্য ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫০ মিটার রেলপথ পুনঃসংস্কার শেষ হয়েছে। অতি দ্রুত এ রুটটির কাজ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
কক্সবাজার পর্যটক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, রেলপথ চালু হলে পর্যটকের সংখ্যা তিন গুণ বাড়তে পারে।
কক্সবাজারের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হলেও দোহাজারী-কক্সবাজার প্রকল্প তাদের স্বপ্ন পূরণ করবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ অক্টোবর রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আরও পড়ুন: মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, অক্টোবরে চলবে ট্রেন
পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আসছে কক্সবাজার
পর্যটকদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পর্যটন শহর কক্সবাজারকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আবুল কালাম সিদ্দিক।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ে পর্যটক হয়রানি রোধে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটে কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি: ইসি রাশিদা
তিনি বলেন, পর্যটন এলাকায় অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ, অপরাধীকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ব্যবহৃত হয় ডিজিটাল পদ্ধতি। এভাবেই খুব সহজে ও দ্রুত অপরাধীদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব হয়।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোনো পর্যটককে হোটেল কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি ভাড়া দেওয়া হয় হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন টুরিস্ট পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা, জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার হোটেল মালিক সভাপতি আবুল কাশেম সিকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে না সিসিটিভি ক্যামেরা
চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য নতুন করে আরও ৩০ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪২ কোটি টাকা) সহায়তা ঘোষণা করেছেন।
যুক্তরাজ্য সরকারের এই নতুন সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে দেওয়া হবে।
স্যার ফিলিপ বার্টন পঞ্চম যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কৌশলগত সংলাপে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছেন।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে একটি আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার যে অঙ্গীকার, এই কৌশলগত সংলাপ তাকেই প্রতিফলিত করে।
যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন বলেন, ‘আমি ইউএনএইচসিআর-এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকারের আরও তিন লাখ পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি পঞ্চম কৌশলগত সংলাপে যোগ দিতে সোমবার ঢাকা আসছেন
তিনি বলেন, ‘নতুন এই সহায়তা কক্সবাজার ও ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন পরিষেবা এবং রান্না করার জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতার পর তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এর পর ছয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ও এই সংকটদ্বারা আক্রান্ত সকলের পাশে আছে।’
পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, আমরা দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছি। যাতে করে শরণার্থীরা নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে; যখন সেখানকার অবস্থা তাদের জন্য অনুকূলে থাকে। যতদিন তা না হয়, যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়কে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে সহায়তা করার জন্য ৩৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৫ হাজার কোটি টাকার বেশি) অর্থ প্রদান করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, আশ্রয়, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থাসেবা ও সুরক্ষা পরিষেবা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য ৫ম কৌশলগত সংলাপ মঙ্গলবার
জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ সফরে আসছেন ৯ সেপ্টেম্বর