পাবনা
পাবনায় আ.লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
পাবনার সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর প্রামাণিককে (৫০) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়ার নজুর মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুর প্রামাণিক ওই ইউনিয়নের চর প্রতাপুর কাবলিপাড়ার মৃত হারান মালিথার ছেলে। তিনি পাবনা পৌর শাখা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, জুম্মার নামাজের ঠিক কয়েক মিনিট আগে নজুর মোড়ের একটি চায়ের দোকানে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বসে ছিলেন। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় ভয়ে তার সঙ্গীরা দৌড় দিয়ে পালিয়ে গেলেও দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে ফেলে রেখে চলে যায়।
জুম্মার নামাজ শেষে মুসল্লিরা গুলির শব্দ শুনে দ্রুত সেখানে ছুটে আসেন। এসময় মৃত অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, দুপুর ১টার দিকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একই স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে উপজেলার শরৎনগর বাজার এলাকায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি এবং জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শরৎনগর বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরও যদি কোন পক্ষ মিছিল-সমাবেশ করার চেষ্টা করে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পড়ুন: পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ১৪৪ ধারা জারির চিঠি পেয়েছি। আমরা ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছি। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমাদের ৭-৮ দিন আগে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়া ছিল। এটা আমাদের চলমান কর্মসূচি, সেটা সরকার পতনের নয়, শুধুমাত্র দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচি। এমন কর্মসূচিতে যদি বাধা দেয়া হয়, তাহলে এর চেয়ে অগণতান্ত্রিক ও অসভ্যতা আর কি হতে পারে?
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, বিএনপির এটা মূলত নৈরাজ্য সৃষ্টির কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ভাঙ্গুড়া তো শান্তিপূর্ণ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। তাই এখানে যেন কোন ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা একটা কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।
আরও পড়ুন: পাবনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
পাবনায় ‘চরমপন্থী’ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
পাবনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এরশাদ শেখ (৩২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চলনা গ্রামের মাদারতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ শেখ চলনা গ্রামের মাদারতলা এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে।
পড়ুন: পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
পাবনার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, রবিবার বিকালে জমির ফসল ছাগলে খাওয়াকে কেন্দ্র প্রথমে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাতে দুই গ্রুপ আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়ায় এবং বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি চলে। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
তিনি জানান, আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ এরশাদ শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আরও উত্তেজনা দেখা দেয় এবং বেশ কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিরোধের জেরে সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনায় চেয়ারম্যানের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পাবনায় হত্যা মামলার এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ধর্ষণচেষ্টার দায়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাশ গুমের দায়ে দুই বছর অনাদায়ে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডবল মার্ডার : বিশ্বনাথে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত টুটুল সাঁথিয়া উপজেলার চর পাইকারহাটি গ্রামের আতাহার মুল্লিকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত আলেয়া খাতুন একই গ্রামের আরদোশ মুল্লিকের স্ত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, আলেয়া খাতুন বাড়ির পাশে লাকড়ি কুড়াতে যান। এসময় টুটুল তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তাকে শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং ধান খেতে লুকিয়ে রাখে। এই ঘটনার ছয় দিন পর সন্দেহজনকভাবে টুটুলকে আটক করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লুকানো লাশ বের করে দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনায় আলেয়া খাতুনের মেয়ে সাবানা আক্তার বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় টুটুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই রায় ঘোষণা করা হলো।
ঘাতকরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর চেষ্টা করছে: শিক্ষামন্ত্রী
ঘাতকরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, আজও তারা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর জন্য চেষ্টা করছে। একাত্তরের ঘাতক, পঁচাত্তরের ঘাতক, ২০০৪’র গ্রেনেড হামলাকারীরা এবং ২০১৩-২০১৪ এর অগ্নি সন্ত্রাসীরা এক ও অভিন্ন। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে।’
শুক্রবার দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পড়ুন: পাঠ্যপুস্তকে ধর্ম নিয়ে কোন কিছু পরিবর্তন হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার মাটি আর মানুষের সন্তান। অনেক নেতা থাকলেও বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের বঞ্চনা, বৈষম্য, নিগ্রহ, শোষিত হওয়া, দারিদ্র্য ও সাম্প্রদায়িকতা দেখেছিলেন। তিনি বৈষম্য, বঞ্চনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন। তিনি বাঙালির মুক্তির প্রাণের তৃষ্ণাকে ধারণ করে আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দেন। তিনি বাঙালির প্রাণের আকাঙ্ক্ষা ধরতে পেরেছিলেন। তাই ২৪ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালির আর নিজের মুক্তির তৃষ্ণা এক কাতারে এনে ৭ মার্চের ভাষণ দান অতঃপর স্বাধীনতার আন্দোলন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মত আর কেউ বাংলা আর বাঙালিকে ধারণ করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় শব্দ ছিল মুক্তি। বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্খিত মুক্তি তিনি এনে দিয়েছিলেন। বাঙালি রাষ্ট্রের বিনির্মাণ, অর্থনৈতিক মুক্তি, সাংস্কৃতিক তথা মুক্তির দূত হয়ে তিনি বাঙালি ও বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছিলেন। শেখ মুজিবের নামে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ। এ জন্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্রের মহানায়ক।
পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনছি। শিক্ষাকে আনন্দময় করতে চেষ্টা করছি। শিক্ষা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হয় সেই চেষ্টা করছি। এছাড়া শিক্ষা যেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব হয় সেই চেষ্টাও করছি।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম মোস্তফা কামাল খান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
পাবনা সদর উপজেলার চর ঘোষপুর নফসারের মোড়ে সুজন হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় হামলায় আহত হয় আরও অন্তত ১০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নফসারের মোড়ে সুজন ও তার সমর্থকদের সঙ্গে লোকজনের চুল-দাঁড়ি কাটা নিয়ে তর্ক হয়। এর আধা ঘণ্টা পর লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েক’শ লোক সুজন ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় তারা সুজন ও তার সমর্থকদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সুজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত সুজনের স্ত্রী শাহানা খাতুন বলেন, আমাদের এলাকার শেখ গোষ্ঠীর লোকজন লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, নিহত সুজন সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুর গ্রামের আনিছুর রহমান মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রী ছিলেন।
এছাড়া ওই ঘটনার মূলহোতা আলাল হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন:দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে এনে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা!
পাবনায় বিরোধের জেরে সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় যৌতুকের দাবিতে রুমানা পারভিন নামে এক নারীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী আব্দুল্লাহ ওরফে অকাতকে ফাঁসির আদেশ এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল্লাহ ওরফে অকাত ভাঁড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম দামুয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ প্রামাণিকের ছেলে। এবং নিহত রুমানা পারভিন একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে মৃত্যুদণ্ড আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং খালাসপ্রাপ্তদের মুক্তির আদেশ দেয়া হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে ভালোবেসে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে আসছিলেন স্বামী আব্দুল্লাহ। একাধিকবার টাকা দিলেও ঘটনার কয়েকদিন আগে আবারও যৌতুকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে ঘরে থাকা বন্দুক দিয়ে রুমানাকে গুলি করে হত্যা করেন স্বামী।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই রায় ঘোষণা করা হলো।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম ফরিদ উদ্দিন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ট্রাইব্রুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব।
পাবনায় ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পাবনার সদরে ট্রাকটাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পাবনা-পাকশী মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-পাবনা শহরের কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন খান (৫২) ও বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার নাটিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখ (৫৪)। তারা দুজনই ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ কিশোর নিহত
হেমায়েত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বলেন, শনিবার রাতে একটি ট্রাক দ্রুত গতিতে পাবনার দিকে যাচ্ছিল। উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর হাইস্কুলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক মোটরসাকেল আরোহী নিহত হন। গুরুতর আহত অপরজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রাক সংঘর্ষে বাগেরহাটে নিহত ৩
লাশ দুটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্তকর্তা।
পাবনায় বাসচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় বাসের চাপায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের উপজেলার কাশিনাথপুরের করিয়াল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কাশিনাথপুরের দুর্গাপুরের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আবু সাইদ (৫৫), তার ছেলে তাওহিদ (৪) এবং আবু সাঈদের ভাই আমির হামজার মেয়ে রওজা (৫)।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসক নিহত
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিুকুল ইসলাম জানান, তারা দাওয়াত খেয়ে ভ্যানে করে বাড়ি ফেরার পথে করিয়াল এলাকায় ঢাকাগামী সি-লাইন পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজন এবং হাসপাতালে পৌঁছানোর পর আরেকজন মারা যান।
দুর্ঘটনা কবলিত ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাধপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবদুল কাসেম আজাদ।
স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় স্ত্রী মৃত্যু
পাবনার সাঁথিয়ায় স্বামীর জন্য মাঠে খাবার নিয়ে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ৫২ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বিষ্ণুপুর পূর্বপাড়া এলাকার রেল লাইেন এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিলুফা খাতুন বিষ্ণুপুর এলাকার কৃষক শহীদ আলীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলছাত্র নিহত
স্থানীয় ও থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে কৃষক শহীদ আলী তার জমিতে কৃষি কাজ করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে ট্রেন লাইন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তার স্ত্রী নিলুফা। এ সময় ঢালারচর থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় পাশের পোলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
নিহতের স্বামী শহীদ আলী বলেন, এর আগেও এই রুটে অনেক মানুষ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। সেজন্য সাবধানে ট্রেন লাইন পার হওয়ার কথা বলেছিলাম।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রেনে কাটাপড়ে মা-ছেলে নিহত
সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঈশ্বরদী জিআরপি পুলিশে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।