ইউনুছ আলী আকন্দ
লকডাউন নিয়ে রিট: ইউনুছ আলী আকন্দকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা
জরুরি অবস্থা ঘোষণা ছাড়া করোনা মহামারিকালে চলমান লকডাউন দেয়ার চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করার পর শুনানিতে অংশ না নেয়ায় অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।
বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেন, রিট করে তিনি (অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ) মিডিয়ায় প্রচার করেন। কিন্তু মামলা তালিকায় আসার পর তিনি আর কোর্টে থাকেন না। এ কারেণই এই জরিমানা।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া লকডাউন দেয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে এ রিট আবেদন করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিট আবেদনে চলমান লকডাউনের ওপর স্থগিতাদেশ এবং আর যাতে লকডাউন দেয়া না হয়, সেজন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: টিকা-অক্সিজেন নিয়ে রিট করে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না: হাইকোর্ট
আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটিকে বিবাদী করা হয়।
ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া জনগণের চলাফেরার অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার সরকার স্থগিত রাখতে পারে না। এটা সংবিধানপরিপন্থী। কিন্তু সরকার জরুরি অবস্থা জারি ছাড়াই লকডাউন দিয়েছে, যা সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৫ ও ৩৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
আলোচিত বিষয় নিয়ে ‘জনস্বার্থের’ নামে রিটকারী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ গত বছরের ১২ অক্টোবর ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেন। এতে গুরুতর আদালত অবমাননা হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দকে দোষী সাব্যস্ত করেন আপিল বিভাগ। এ ঘটনায় তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে তাকে তিন মাসের জন্য আইনপেশা থেকে বরখাস্ত করেন আদালত।
ইউনুছ আলী আকন্দকে সতর্ক করল হাইকোর্ট
সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি না হয়েও রিট দায়ের করায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দকে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, শখের বশে কোনো মামলা (রিট) করবেন না। এ ধরনের রিট করলে খারিজ করে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হবে। জরিমানা দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
রাজধানীতে সম্প্রতি এক নারী ডাক্তারের সাথে এক ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের বাকবিতণ্ডার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে ও লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
শুনানির শুরুতে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন চেয়ে রিট ও লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন।
তখন আদালত বলেন, মিস্টার আকন্দ আপনি শখের বশে মামলা করবেন না। চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় রিট করার আবেদনের এখতিয়ার (লোকাস স্ট্যান্ডি) আপনার নেই। এটা আগেই বলেছি। এ ধরনের রিট রিজেক্ট করলে বড় অঙ্কের জরিমানা (হেভি কস্ট) দিয়ে রিজেক্ট করব। প্রস্তুত থাকবেন।‘
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
এর আগে সোমবার লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এই আইনজীবী। রিটে চিকিৎসককে হয়রানির অভিযোগ এনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মামুনুর রশিদ ও সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এছাড়া ওইদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
এদিকে গত ২৫ এপ্রিল জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া লকডাউন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। দুটি রিটই দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
আলোচিত বিষয় নিয়ে রিটকারী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ গত বছরের ১২ অক্টোবর ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেওয়ায় গুরুতর আদালত অবমাননা হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আপিল বিভাগ।
এ ঘটনায় তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে তাকে তিন মাসের জন্য আইনপেশা থেকে বরখাস্ত করেন আদালত। এছাড়া এর আগে রিট করে জরিমানাও গুণেছেন এই আইনজীবী।