ফেনী
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেনীতে ১৭ প্রার্থী নির্বাচিত
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ফেনী সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৭ প্রার্থী বিজয় হতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আটজন, সাধারণ সদস্য পদে চার ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে পাঁচ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
রবিবার মনোনয়ন প্রত্যহারের শেষ দিনে সাতজন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে আটজন প্রার্থী নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ভোট শুরুর আগেই সহিংসতায় নিহত ২
বিনা ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন, বালিগাঁও ইউপিতে মোজাম্মেল হক বাহার, ফাজিলপুর ইউপিতে মজিবুল হক রিপন,শর্শদী ইউপিতে জানে আলম ভূঁঞা,ধর্মপুর ইউপিতে শাহাদাত হোসেন সাকা,কাজীরবাগ ইউপিতে কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ,মোটবী ইউপিতে হারুন অর রশীদ,ফরহাদ নগর ইউপিতে মোশাররফ হোসেন টিপু,কালীদহ ইউপিতে দেলোয়ার হোসেন ডালিম।
তাদের মাঝে কালীদহ ইউপিতে দেলোয়ার হোসেন ডালিম ছাড়া অপর সাতজন বর্তমানে সংশ্লিষ্ট ইউপিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, তফসিল অনুযায়ী রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে সাতজন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। তার মধ্যে বালিগাঁও ইউনিয়নে তিন জন, ফরহাদনগর ইউনিয়নে দুই, ফাজিলপুর ইউনিয়নে এক ও কালীদহ ইউনিয়নে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় বালিগাঁও ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাহার, ফাজিলপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন, ফরহাদনগর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন টিপু ও কালীদহ ইউপিতে দেলোয়ার হোসেন ডালিমকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর (রবিবার) চেয়ারম্যান পদে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাই শেষে মোটবী ইউপিতে ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী, ধর্মপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী, শর্শদীতে এক ও ছনুয়াতে এক জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। ফলে এসব ইউনিয়নের মধ্যে একক প্রার্থী হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ধর্মপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাকা, শর্শদী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁঞা, মোটবী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদকে বিনাভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে কাজীরবাগ ইউপিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত একক প্রার্থী থাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপি নির্বাচন ৫ জানুয়ারি
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে আট জন, সাধারণ সদস্য পদে চার ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে পাঁচজনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল মোতাবেক সোমবার চুড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৫ জানুয়ারি ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোনাগাজীতে মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের আগুন
ফেনীর সোনাগাজীতে আবুল কাসেম নামে আওয়ামী লীগের এক মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় চর দরবেশ ইউপি নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে আপেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ওই ওয়ার্ড আ .লীগের সভাপতি আবুল কাসেম। দক্ষিণ পশ্চিম চরদরবেশ গ্রামের মধ্যের সমাজে নির্বাচনি কাজ পরিচালনার জন্য জনৈক ওমর ফারুক থেকে একটি ভাড়া ঘরে অফিস করেন তিনি। তার কর্মী সমর্থকেরা প্রতিদিনের মতো নির্বাচনী কাজ শেষে কার্যালয়টি বন্ধ করে বৃহস্পতিবার রাতে যার যার বাড়ি চলে যান। রাত দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল ঢেলে কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। মুহূর্তের মধ্যে মালামালসহ পুরো ঘরটি পুড়ে যায়।
আবুল কাসেম দাবি করেন, ওই দিন রাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জামশেদ আলম ও তার সমর্থকেরা গভীর রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় মিছিল করেছেন। তার নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের কারণে এক দিকে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে তার কর্মী সমর্থকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে আফ্রিকাফেরত প্রবাসীর বাড়ি লকডাউন
এ ঘটনায় আবুল কাসেম বাদী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জামশেদ আলমসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।
তবে মেম্বার প্রার্থী জামশেদ আলম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অগ্নিসংযোগের সঙ্গে তিনি বা তার কোনো সমর্থক জড়িত নয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
অপপ্রচারের অভিযোগে ফেনীতে ৩ যুবক আটক: র্যাব
সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড
নোয়াখালীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা, জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী-ফেনী শাখার তিন কর্মকর্তাকে ৩১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৮৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আসামিদের উপস্থিতিতে জেলা জজ আদালতের স্পেশাল জজ (জেলা জজ) এ এন এম মোর্শেদ আলম সোমবার বিকালে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী শাখার ম্যানেজার মো. রহিম উল্যাহ খন্দকার, শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম ও সহকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে কথিক চিকিৎসককে জরিমানা ও কারাদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সাব রেজিস্ট্রার মতিগঞ্জ, সোনাগাজীর দলিল রেজিস্ট্রিতে ব্যবহৃত ও সরকারি খাতে জমার জন্য সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ২৫টি বাণ্ডিল একত্রে চালানে পে-অর্ডার নম্বর, টাকা ও তারিখ উল্লেখ করে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত তিন জন জমাকৃত ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৫ টাকার ১৬৬টি পে-অর্ডার সরিয়ে রেখে পরবর্তীতে নগদে উত্তোলন, পে-অর্ডারের টাকার অংক বাড়িয়ে নগদে উত্তোলন ও সরকারি খাতে জমার জন্য চালানের সাথে ফেরত আসা পে-অর্ডার নিজেদের কাছে রেখে পরস্পরের যোগসাজশে নিজেরা গ্রাহকের ভুয়া সই দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
পরে এ ঘটনায় দুদক নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তৎকালীন দুদক নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাবরের ৮ বছরের কারাদণ্ড
মামলা পরিচালনাকারী দুদকের আইনজীবী পাবলকি প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কাশেম জানান, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ এর ২ ধারায় প্রত্যেককে ৩১ বছর করে কারাদণ্ড ও ২৮ লাখ করে মোট ৮৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
তিনি জানান, এ রায় বাংলাদেশের সব দুর্নীতিবাজদের জন্য একটি মেসেজ। এ রকম রায়ের মধ্যদিয়ে দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাবে। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে এমন রায়ের প্রয়োজন রয়েছে।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন ও মো. আব্দুল হক।
একরাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ফেনীতে বহুল আলোচিত ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেনী মডেল থানা পুলিশের একটি টিম বালিগাঁও ইউনিয়নের ধুমসাদ্দা গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ‘গ্রেপ্তার’ করে।
তবে আটক আসামির বাবার নামের সাথে গরমিল রয়েছে বলে জানান ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ফেনীর একরাম হত্যা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি এখনো পলাতক
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২০ মে বহুল আলোচিত ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরামকে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শহরের ব্যস্ত সড়কে চারদিক থেকে ব্যারিকেড দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে, বোমা মেরে ও পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল একরামকে। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ ৩৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন ফেনীর আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩৯ জনের মধ্যে ১৭ জনই পলাতক। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২২ জন রয়েছে কারাগারে, আটজন জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক এবং চার্জশিটভুক্ত নয়জন শুরু থেকে পলাতক।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪
২ হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুক্তরাজ্য প্রবাসী ঢাকায় গ্রেপ্তার
আটকের ৬ ঘণ্টা পর সাংবাদিক নেতা আবদুল্লাহ মুক্ত
ফেনীর সোনাগাজীতে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটকের ৬ ঘণ্টা পর রাত ১২ টায় মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে (একাংশের) সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও তার ছোট বোন রাশেদা আক্তার।
একই সময় জামায়াত নেতা মাওলানা কালিম উল্যাহর বাড়ি থেকে আটক তার স্ত্রী ও শালিকাসহ জামায়াতের ৮ নারী কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ। সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওই বাসা থেকে জামায়াতের সাংগঠনিক বেশকিছু বই ও চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদে তারা জানতে পারে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর কালিম উল্যাহর বাসায় একদল মহিলা নাশকতার পরিকল্পনা করে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার মাশকুর রহমান ও ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকারের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহর তিন বোনসহ ৯ নারীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১
তারা হলেন জেলা মহিলা জামায়াতের সেক্রেটারী শাহিদা আক্তার (৫০), সাংবাদিক এম আবদুল্লাহর বোন ও জামায়াত নেতা কালিম উল্লাহর স্ত্রী জাকিয়া আক্তার (৪২), রাশেদা আক্তার (৩৫), রাবেয়া আক্তার (২৯), মোসাম্মৎ জাহানারা বেগম (৪৩), মোসাম্মৎ লুৎফুন নাহার ( ৪৫), মোসাম্মৎ আমিনা বেগম (৪৫), মোছাম্মৎ শাহানাজ আক্তার (৫০) ও মোছাম্মৎ কুসুম আক্তার (৪৩)।
সাংবাদিক এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘আটকের পাঁচ মিনিট আগেই ওই বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে আগে থেকে কারা ছিল সে বিষয়ে আমার কোন ধারনা নেই। নিজ উপজেলায় বোনের বাড়িতে প্রায় দেড় বছর পর বেড়াতে এসে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হলাম। সাংবাদিক সংগঠনের নেতা হিসেবে আমার জন্য বিষয়টি লজ্জাজনক।’
সাংবাদিক এম আবদুল্লাহ সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের লমি পাটোয়ারী বাড়ির মরহুম মাওলানা নুরুল হুদার ছেলে।
জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার মাশকুর রহমান বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ ও তার সাথে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা বোন রাশেদা আক্তারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে একই বাসা থেকে আটক জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নারী কর্মী বলে জানা গেছে। অন্যান্যদের গোপন বৈঠকে সংশ্লিষ্ট থাকায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাও. কালিম উল্যাহ বলেন, তিনি নতুন বাসায় উঠেছেন হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত দিয়েছেন। উদ্ধারকৃত বইগুলো ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ের বলে তিনি দাবি করেন।
পড়ুন: খুলনায় অপহৃত কলেজছাত্র আমিনুরের মরদেহ উদ্ধার
সেগুনবাগিচা থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
টিকটকে তরুণীর ছবি, চিরকুটে নির্যাতনকারীদের নাম লিখে তরুণের আত্মহত্যা !
ফেনীর সোনাগাজীতে টিকটকের ভিডিওতে তরুণীর ছবি নিয়ে নির্যাতনের অপমান সইতে না পেরে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাতে উপজেলার পশ্চিম চর দরবেশ এলাকায় নিজ বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই তরুণের লাশ উদ্ধারের দাবি করেছে তার পরিবার।
পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আগে লিখে রেখে যাওয়া ওই চিরকুটে মৃত্যুর কারণ ও নির্যাতনকারী আটজনের নাম লিখে গেছেন ইমরান।
নিহত ইমরান হোসেন (১৮) উপজেলার পশ্চিম চর দরবেশ এলাকার মো. মাঈন উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
ইমরানের বাবা মাঈন উদ্দিন জানান, কয়েক দিন আগে উপজেলার পশ্চিম চর দরবেশ ও আদর্শগ্রাম এলাকায় মুছাপুর সড়কে গিয়ে ইমরান একটি টিকটক ভিডিও বানায়। ভিডিও করার সময় ভুলবশত স্থানীয় এক মেয়ের ছবি উঠে যায়। সেই ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আটজন যুবক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় ইমরান ভুল স্বীকার করে তাদের কাছে ক্ষমা চায়। এরপরও ওই যুবকেরা তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও মারধোর করে।
আরও পড়ুন:আশুলিয়ায় স্ত্রী, সন্তানকে হত্যার পর রিকশাওয়ালার ‘আত্মহত্যা’
তিনি আরও বলেন,‘আমার ছেলে শ্রমিক। রাজমিস্ত্রির কাজ করে খায়। অপমান সইতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করেছে। মৃত্যুর পর ইমরানের বিছানার নিচ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। কাগজে যেসব ছেলেদের নাম লিখে গেছে তাদের আমরা চিনি। কাগজে সব লেখা আছে। কাগজটি পুলিশকে দিয়েছি।’
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত্যুর পর তার বিছানার নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া ‘সুইসাইড নোট’ এর কথা উল্লেখ করে,ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখার কথা জানান তিনি।
তবে,এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!
আপত্তিকর ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল, প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা
ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
ফেনীতে মন্দিরে হামলা-ভাংচুরের সময় সংঘর্ষে ‘পুলিশের গুলিতে’ গুরুতর আহত এনামুল হক কাউছারের (১৯) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজধানীর কাকরাইল ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত ১৫ অক্টোবর মন্দির ও মসজিদে হামলা-ভাংচুরের সময় সংঘর্ষে ‘পুলিশের গুলিতে’ গুরুতর আহত হয় কাউসার।
তিনি সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভোয়াগ গ্রামের ব্যবসায়ী একরামুল হক সবুজের ছেলে।
নিহত কাউসারের চাচা আতাউল ইসলাম জানান, গত ১৫ অক্টোবর দোকানের মালামাল কিনতে কাউছার ফেনী শহরে যায়। এরপর বড় মসজিদের সামনে সংঘর্ষের সময় তার মাথা ও মুখে গুলি লাগে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী শহরের বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
পরে শুক্রবার রাতেই তার লাশ সোনাগাজী পৌর শহরের কাশ্মির বাজার সড়কের ভাই ভাই মঞ্জিলের বাসায় আনা হলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা।
কাউছারের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ থেকে নিশ্চিত করেন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নাটোরে জলাশয় নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
হামলার দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
টোকেন-স্টিকার দিয়ে সড়কে চলছে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা
ফেনীতে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার টোকেন-স্টিকার দিয়ে হাজারের অধিক অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা জেলার বিভিন্ন সড়কে চলছে। এসব অটোরিকশার নম্বর প্লেট, রোড পার্মিট কিংবা বৈধ কোনো কাজগপত্র না থাকলেও টোকেন দেখালে তাদের পুলিশ ছেড়ে দেয়।
চালকরা একটি টোকেন বা স্টিকার দিয়ে সড়ক ব্যবহার করছেন। পুলিশকে দেয়ার কথা বলে শ্রমিক সংগঠন প্রতি মাসে টোকেন প্রতি তাদের কাছ থেকে আদায় করছে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফেনী জেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা ২৪ হাজার অটোরিকশার ৯০ ভাগের নিবন্ধন কিংবা বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে নিবন্ধন করা ৯ হাজার ২০০ সিএনজি অটোরিকশা থাকলেও ছয় হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা নবায়ন করা হয়নি। মাত্র দুই হাজার ৬০০ সিএনজি বৈধভাবে চলছে। এছাড়া নিবন্ধিত চালক আছেন মাত্র এক হাজার ২৫৫ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক জানান, নবায়ন বা নতুন লাইসেন্স করতে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। তার উপর নানা হয়রানি। অথচ মাসে ৫০০ টাকা হারে বছরে ছয় হাজার টাকার স্টিকার খরচ দিয়ে ‘টেনশন ছাড়া’ চলছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর প্রতিটি খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে: মন্ত্রী
নম্বরবিহীন কয়েকটি অটোরিকশা থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাইলে চালকরা গাড়ির সামনের গ্লাসে লাগানো স্টিকার দেখান বা একটি টোকেন ধরিয়ে দেন। অনেক চালক তাদের হাতে চাবির রিং দেখিয়ে বলেন, এটা দিয়ে পুরো নোয়াখালী অঞ্চল বিনা বাধায় চলাচল করা যায়। তবে রিংয়ের দাম স্টিকার থেকে দিগুণ।
এসব টোকেনে লেখা পুলিশ ডিউটির জন্য! এর অর্থ জানতে চাইলে চালকরা জানান, এই টোকেন সড়কে চলাচলের বৈধতা। টোকেন থাকলে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিবন্ধন, ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ রুট পারমিটের বিরুদ্ধে বিআরটিএ এবং ট্রাফিক পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। তবে অভিযানের খবর আগেই পেয়ে যান অবৈধ অটোরিকশা চালকরা। যেসব অটোরিকশাচালক অবৈধ টোকেন নিতে বিলম্ব করেন বা নিতে অস্বীকার করেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা কিংবা রেকার লাগিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়।
জানা গেছে, মোটরযান আইন অনুযায়ী বিআরটিএ’র নিবন্ধন ছাড়া কোনো গাড়ি রাস্তায় চলাচলের সুযোগ না থাকলেও শুধু শহর ও যানবাহন পরিদর্শক-ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন নামের টোকেনে ফেনী শহরে অনায়াসে চলছে এসব গাড়ি। রয়েছে ‘প্রাইভেট’ ও ‘নিলাম’সহ বিভিন্ন প্রতীকী সংকেত লেখা অনিবন্ধিত সিএনজিচালিত অটোরিকশা।
আরও পড়ুন: নবগঙ্গা নদী গর্ভে ১শ একর ফসলি জমি
ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পিকআপ চালক ও তার সহযোগীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছনুয়া ইউনিয়নের বোগদাদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ সুজন, মাদারীপুরের গোবিন্দপুরের শামীম হাসান ও চাপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট শাঙ্খ আলমপুর সন্যাসিতলা গ্রামের শহিদুল ইসলাম। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ সুজন পিকআপ চালক এবং তার সহযোগী শামীম হাসান ও শহিদুল ইসলাম।
ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পিকআপটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। এসময় ছনুয়া ইউনিয়নের বোগদাদিয়া স্থানের বাগদাদ কনভেনশন সেন্টারের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গাড়িটি উল্টে যায়। তাৎক্ষণিক গুরুতর জখম অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত ৩
খুলনায় চালকদের প্রতিযোগিতা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনা বাড়ছে
রংপুর ও ফেনীর এসপিসহ ৭ কর্মকর্তাকে বদলি
রংপুর ও ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) সহ পুলিশের সাত কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বদলিকৃত কর্মকর্তারা হলেন- রংপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) বিপ্লব কুমার সরকারকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি), পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরীকে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার, ফেনী জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবীকে পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনকে ফেনী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিজয় বসাককে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), সিলেট মহানগরীর উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) সঞ্জয় সরকারকে পুলিশ সুপার চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় এবং পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. সোহেল রানাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
পড়ুন: কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলা: ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা