ফেনী
ফেনীতে বিএনপি নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপি সভাপতি আকবর হোসেনের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার গভীর রাতে দাগনভূঞা উপজেলার আলাইয়ারপুর গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বাড়ির লোকজন জানান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও দাগনভূঞা পৌরসভার সাবেক মেয়র আকবর হোসেন সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে ফেনী কারাগারে আছেন। বাড়ির পেছনে রাখা ছিল তার গাড়ি। সোমবার গভীর রাতে কে বা কারা ওই স্থানে গিয়ে গাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়।
তারা আরও জানান, খবর পেয়ে ফেনী থেকে দমকল বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে আগুন নেভালেও গাড়িটির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে আ. লীগ নেতার বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
আকবরের স্ত্রী ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহীনা আকবর বলেন, গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বোমা ফাটিয়ে প্রথমে আতঙ্ক ছড়ায়। পরে তারা দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে গাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার জন্য তিনি সরকারি দলের লোকজনদের দায়ী করেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং আগুন নেভাতে দমকল বাহিনীকে সহায়তা করে।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এটা কোনো নাশকতা, না কি কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে শনিবার সন্ধ্যায় তুলাতুলী এলাকায় মশাল মিছিল থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেনকে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ঘেরাও করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আরও পড়ুন: আগারগাঁওয়ে বিস্ফোরণে আহত ৪
রাজধানীর মৌচাকে ইউএনবি কার্যালয়ের কাছে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫
সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, ফেনী, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ ও লালমনিরহাট জেলায় শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনসহ কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে দুই নারী, আট মাস বয়সী এক শিশু, একজন পুলিশ কনস্টেবল, দুই জন ভারতীয় নাগরিক এবং তিনজন শ্রমিক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তালতলায় ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির অসীম কুমার বিশ্বাস (৫৯) ও ছবি বিশ্বাস (৪৮)।
তিনি খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক ছিলেন। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারতে যাচ্ছিলেন।
এদিকে, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার তালবাড়িয়া বিসিক সড়কে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি লরির ধাক্কায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- আলমগীর ওরফে আলম (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৪২) ও মাসুদ মিয়া (৩৫)।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মহাসড়কের পূর্ব পাশে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পাইপলাইন বসানোর কাজ করছিলেন চার শ্রমিক।
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় লরির ধাক্কায় পুলিশের একটি ভ্যান উল্টে গেলে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত বিতান বড়ুয়া গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে (জিএমপি) কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
অন্যদিকে, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আট মাসের শিশুসহ দুইজন নিহত এবং একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার ফুলগাজী উপজেলার হরিপুসকার্নি গ্রামের অটোরিকশা চালক সাইফুল ইসলাম (২২) এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে আনাস (৮ মাস)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় কনস্টেবল নিহত, এসআইসহ আহত ২
আহতরা হলেন- শিশুটির বাবা আকরাম হোসেন, মা জান্নাতুল মুন্নি, ভাই হাশিম বিন আকরাম ও নানা জামাল উদ্দিন।
কিছুদিন আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে পরিবার নিয়ে ফুলগাজী উপজেলার পুবরো বসন্তপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যান আকরাম।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় দিনের সবচেয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এসময় উপজেলায় ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন নিহত এবং একজন আহত হন।
নিহতরা হলেন- ইনসাব আলী (৭৫), তার ছেলে আইয়ুব আলী (৩৮), বোন পারভীন (৩৫), পারভীনের মেয়ে শারমিন (১৭) ও অটোরিকশাচালক মোকলেস আলী (৪৫)।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কান্তপুর গ্রাম থেকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী শহরে যাচ্ছিলেন ওই পরিবারের চার সদস্য।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নিহত রফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার খোরশেদপুর এলাকার বাসিন্দা বলে শিবালয় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মসজিদের ইমাম আবিজ উদ্দিন মুন্সী নিহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের সিরাজুল মার্কেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির দুর্ঘটনায় ইমামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় দম্পতি নিহত
ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
ফেনীর ফুলগাজীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপের সংঘর্ষে শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। হতাহতদের মাঝে সিএনজিচালক ছাড়া সবাই একই পরিবারের সদস্য।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৮টায় উপজেলার আমজাদ হাট-মুন্সিরহাট সড়কের শনিরহাট মনিপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নিহত সিএনজিচালক সাইফুল ইসলাম হাড়িপুষ্করণী এলাকার নুর হোসেনের ছেলে এবং ৮ মাস বয়সী নিহত শিশু আনাস কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার চিওড়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে।
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আকরাম হোসেন, তার স্ত্রী জান্নাতুল মুন্নী, হাসিম বিন আকরাম ও জামাল উদ্দিন শশুরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার আমজাদ হাট-মুন্সিরহাট সড়কের শনিরহাট মনিপুর এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও পিকআপের সংঘর্ষ হয়।
পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সিএনজিচালক সাইফুল ও আরোহী শিশু আনাছকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্ব বসন্তপুর এলাকার ইউপি সদস্য জয়নাল আবদীন জানান, সিএনজিচালক সাইফুল ব্যতীত দুর্ঘটনায় হতাহত সবাই হাড়িপুষ্করনী এলাকার গ্রাম সরকার লুৎফুলের বাড়ির একই পরিবারের সদস্য। তারা ওই বাড়ির এক বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরে বাড়িতে এসেছিলেন।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম জানান, দুর্ঘটনার পর পিকআপচালক শাহীনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ ও সিএনজি পুলিশ জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নানী-নাতনি নিহত
চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকের মৃত্যু
ফেনীতে ৩টি পৃথক দুর্ঘটনায় ৩জন নিহত
ফেনীতে বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে পৃথক ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার(২৪ নভেম্বর) সকালে নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া না গেলেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার ফল ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহত অপর দুইজন হলেন-ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মোটরসাইকেল আরোহী মো. শাহপরান এবং নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার রেহানিয়া এলাকার মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে ফারুক উদ্দিন জিহাদ (২৩)।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ কলেজছাত্রী আহত
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুর স্টার লাইন ফিলিং স্টেশনের সামনের ইউটার্ন দিয়ে সড়ক পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগ্রামী কাভার্ডভ্যান সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে অজ্ঞাত ফল ব্যবসায়ী ও চালক গুরুতর আহত হন। ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর ফলব্যবসায়ীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর সিনজি চালক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকের মৃত্যু
বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনীয়া এলাকায় মোটরসাইকেলের চাকা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চালক মো. শাহপরান আহত অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার বিসিক সড়কের মোড় এলাকায় একটি লরী সিএনজিকে ধাক্কা দিলে ফারুক উদ্দিন জিহাদ (২৩) নামে এক বিক্রয়কর্মী আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল পৃথক ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানানা তিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
ফেনীতে মালবাহী কাভার্ডভ্যানে আগুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপোল লাতু এলাকায় একটি মালবাহী কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে কাভার্ডভ্যানটির সামনের অংশ পুড়ে যায় এবং কাভার্ডভ্যানে থাকা মালামালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাত দেড়টার দিকে আগুন লাগার খবর পাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি আরও জানান, কাভার্ডভ্যানটি চট্টগ্রাম থেকে কার্টুনভর্তি মালামাল নিয়ে ছেড়ে এসেছিল। এটি ডায়মন্ড কার্গো সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পরিবহন।
ফেনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল মজিদ বলেন, কাভার্ডভ্যানটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। গাড়িটির সামনের অংশ পুড়ে গেছে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে- আগামী ৪৮ ঘণ্টার হরতালকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের লোকজন এ অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটাতে পারে।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় ককটেল নিক্ষেপে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন
নাটোরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তের আগুন
ফেনীতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: গাছ পড়ে যোগাযোগ বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ফেনী শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝড়ে গাছ ভেঙে সড়কে উপড়ে পড়েছে। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে রাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। অন্যদিকে ঝড়ো বাতাসে ২৮২ হেক্টর জমিতে পাকা ও আধপাকা আমন ধান নুয়ে পড়েছে। গাছ ভেঙে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। এতে জেলার বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে জেলায় শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে দুই হাজার ৩৯২ হেক্টর, দুর্যোগের কবলে পড়েছে ২৩ হেক্টর। সরিষা আবাদ হয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে, দুর্যোগ কবলিত দুই হেক্টর জমির সরিষা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি
এ ছাড়া দুর্যোগের কবলে পড়েছে আধা হেক্টর জমির খেসারি। ঝড়ের কারণে ধানের তেমন ক্ষতি না হলেও রবিশস্য আবাদ পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ও ভারতীয় উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ফুলগাজী বাজার প্লাবিত হয়েছে। শনিবার ভোরে ফুলগাজীর ভেতরের বাজার (কাঁচা বাজার) সংলগ্ন এলাকায় মুহুরী নদীর পানি গার্ডারের নিচ দিয়ে প্রবেশ করে। এতে ফেনী-পরশুরাম সড়কের কিছু অংশ পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাবিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, পরশুরামের শালধরে একটি বাঁধের মেরামত কাজ চলছিল। সেখানে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে লোকালয়ে কিছুটা পানি প্রবেশ করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, দমকা হাওয়ায় জেলায় ৫৫টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনটি ঘরের চাল উড়ে গেছে।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া ও গাছ ভেঙে পড়ে ৫৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৭২টি স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জেলার প্রায় ৬০ শতাংশ জায়গায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়নি। বিদ্যুৎ কর্মীরা নিরবচ্ছিন্ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ফেনীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক একরাম উদ্দিন বলেন, দুর্যোগ আক্রান্ত আমন ফসলি জমির মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ১১০ হেক্টর, ছাগলনাইয়ায় ৭০ হেক্টর, ফুলগাজীতে ১৫ হেক্টর, পরশুরামে ২০ হেক্টর, দাগনভূঞায় ১৭ হেক্টর ও সোনাগাজীতে ৫০ হেক্টর।
এছাড়া শীতকালীন সবজি ও সরিষা চাষ হয়েছে ফেনী সদর উপজেলায় ৬ হেক্টর, ছাগলনাইয়ায় সাড়ে ৪ হেক্টর, ফুলগাজীতে আড়াই হেক্টর, পরশুরামে ২ হেক্টর, দাগনভ‚ঞায় ৫ হেক্টর, সোনাগাজীতে ৫ হেক্টর, খেসারি আধা হেক্টর। ফেনীতে ১৭ নভেম্বর বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭ দশমিক ৩৩ মিলিমিটার ও ১৮ নভেম্বর বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬১ দশমিক ৩৩ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি'র প্রভাবে ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি
তিনি আরও বলেন, ঝড়ো বাতাসের কবলে ধান হেলে পড়েছে।আক্রান্ত ধানের স্তর দানা ও পাকা পর্যায়ে রয়েছে। সবজি ও অন্যান্য আক্রান্ত ফসল আর বৃষ্টি না হলে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
পরশুরামের বীরচন্দ্র নগর এলাকার কৃষক মো. আলী বলেন, ফলন ভালো হলেও আমন ধান ঘরে তুলতে পারব কি না জানি না। বাতাসে ২০ শতকের বেশি জমির ধান নুয়ে পড়েছে। এছাড়া সকাল থেকে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। সবকিছু স্বাভাবিক না হলে আমাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়েনের কে. পাহালিয়া এগ্রোর উদ্যোক্তা মো. মজিবুল হক রিপন বলেন, ঝড়ে এগ্রো ফার্মে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একশর বেশি পেঁপে গাছ ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি গাছে এক-দেড় মণ পেঁপে ছিল।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূইয়া বলেন, সড়কের যেসব স্থানে গাছ পড়েছে তা রাতে থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস গাছ সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করেছে।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত হলে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, মিধিলির প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। ঘর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে টিন দিয়ে সহযোগিতা করবে জেলা প্রশাসন। এই মুহুর্তে নগদ ২১ লাখ টাকা ও প্রায় ৮৯০ টন চাল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিশু ও গো-খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ রয়েছে। গত বছরের ৪২ বান্ডেল টিন আছে যা অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সারা দেশে ৫১টি স্থানে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়েছে ফায়ার সার্ভিস
ফেনীতে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফেনীর দাগনভূঞায় মোটরসাইকেল ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে রতন কুমার দেবনাথ (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলা গেট সংলগ্ন পাকিস্তান বাজানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ কলেজছাত্রী আহত
নিহত রতন কুমার দেবনাথ গ্রামীণ ব্যাংকের দাগনভূঞা এরিয়া ম্যানেজার ও জামালপুর জেলার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো সকালে রিপন তার অফিসে যাচ্ছিলেন। এসময় বিপরীত থেকে আসা একটা কাভার্ড ভ্যান তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ফেনী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মোস্তফা কামাল কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩০
কাতারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪ বাংলাদেশির মধ্যে ২ জন ফেনীর
কাতারের রাজধানী দোহায় একটি গাড়ির গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বাংলাদেশিসহ ৬ অভিবাসী নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার রাতে দোহার ফিরোজ আবদুল আজিজ এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে তা নিকটবর্তী একটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত ৪ বাংলাদেশির মধ্যে ২ জন ফেনীর এবং আরও দু’জনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত বাকি দু’জন পাকিস্তানি নাগরিক।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
ফেনীর নিহতরা হলেন, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দিস মোহাম্মদ ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মীর হোসেন ফরহাদ ।
জায়লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর বশীদ মিলন কাতারের দোহায় একটি গাড়ির গ্যারেজে আগুনে মীর হোসেন ফরহাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। ফেনী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সেলর বাহার মিয়া মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: রূপসায় জুটমিলে অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা
খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
মিরসরাই থেকে ফেনীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে মো. জাফর উল্লাহ ভূঁইয়া (৫৩) নামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নিজামপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
নিহত জাফর উল্লাহ ভূঁইয়া ফেনী সদরের লেমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের নারায়ণপুর কসকা বাজার এলাকার মৃত নুরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে।
দীর্ঘদিন তিনি একা মিরসরাইয়ের নিজামপুর কলেজ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এলাকাবাসী জানায়, জাফর উল্লাহ গত তিন বছর ধরে মিরসরাইয়ের নিজামপুর বাজারের একটি ভবনে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। প্রতিদিন বাসার নিচে একটি চায়ের দোকানে চা পান করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় চা পান করে রুমে যাওয়ার ২৪ ঘন্টা পরও চায়ের দোকানে না আসায় দোকানদার তাকে ডাকতে গিয়ে ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রবিবার রাতে শোয়ার ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, রবিবার রাতে খবর পেয়ে তার ভাড়া বাসার শোয়ার ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। ধারণা করছি শনিবার রাত ১০টা থেকে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে যে কোনো সময় তিনি মারা গেছেন।
তিনি জানান, তার স্বজনদের কাছে জেনেছি যে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তিন বছর আগে থেকে নিজামপুরের একটি ভাড়া বাসায় একা বাস করতেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্টে মনে হচ্ছে তিন স্ট্রোক অথবা শারীরিক অসুস্থতায় মারা যেতে পারেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
উদ্ধার করা দুটি হনুমান ও ১৬টি কাছিম অবমুক্ত
ফেনীতে দুটি বিপন্ন প্রজাতির মুখপোড়া হনুমান ও ১৬টি কাছিমসহ আহাদুজ্জামান রাজু নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-মহাসড়কের লালপোল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আহাদুজ্জামান রাজু খুলনার কোতোয়ালি থানার মো. আবদুল হালিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলাপাড়ায় ৪৮টি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার, খালে অবমুক্ত
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ফেনীর কাজীরবাগ ইকোপার্কে কাছিমগুলো অবমুক্ত করা হয়।
হনুমান দুটি বন বিভাগের ফেনী সদর উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহফুজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাস (খুলনা মেট্রো ব-১১-০২০৬) থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। গাড়ির মালামাল রাখার বাক্স থেকে খাঁচায় বন্দি দুটি মুখপোড়া হনুমান ও চটের বস্তায় ১৬টি কাছিম উদ্ধার করা হয়। এ সময় গাড়ির সুপারভাইজার আহাদুজ্জামান রাজুকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, গাড়ির সুপারভাইজারকে আটক করে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওয়ার্ল্ড এনিমেল রেসকিউ টিমের ফেনী জেলা সভাপতি সাইমুম ফারাবী বলেন, আমরা সব সময় পুলিশ ও বন বিভাগকে সহযোগিতা করে থাকি। উদ্ধার করা প্রাণীগুলো অবমুক্ত করতে আমরা সহযোগিতা করছি।
ফেনী সদর উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক জানান, ফেনীতে হনুমানের বসবাসের কোনো আবাসস্থল নেই। সে কারণে হনুমান দুটি কক্সবাজারের চকরিয়া ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সাড়ে ১০ ফুট লম্বা অজগর অবমুক্ত
সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত