ফেনী
ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশি বাধার অভিযোগ
ফেনীতে পুলিশের বাধার কারণে বিএনপির পদযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের বড় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে ২০০ গজ সামনের প্রেসক্লাবের সামনে এই পদযাত্রা শেষ হয়।
পরে বিএনপির নেতারা বড় বাজারে তাদের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন।
তেল, গ্যাস ও সারসহ নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে জেলায় জেলায় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চালক নিহত
প্রায় ২০০ গজের এই সংক্ষিপ্ত পদযাত্রার বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি পদযাত্রায় নামে। বড় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি প্রেসক্লাবের সামনে গেলেই পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। মাঠের রাজনীতিতে নামতে দিচ্ছে না তারা। বিএনপি আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পদযাত্রা থেকে ফিরে যায়।’
এ বিষয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থোয়াই অং প্রু চাকমা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না হয় সেজন্য পুলিশ মাঠে ছিল।’
এদিকে, শনিবার সকালে পৌরসভার সামনে থেকে শান্তি সমাবেশ করেছে জেলা যুবলীগ নেতাকর্মীরা। সমাবেশের একটি মিছিল ফেনী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেছে।
জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজিজ রাজিব এর নেতৃত্বে মিছিলটি ট্রাঙ্ক রোডের দোয়েল চত্বর, খেজুর চত্বর ও বড় মসজিদ এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পৌরসভা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে তারা দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানান এবং আন্দোলনের নামে কেউ দেশে সন্ত্রাস নৈরাজ্যের করতে চাইলে কঠোর জবাব দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্ধ হয়ে গেলো সব সিনেমা হল
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেনী রেলস্টেশনের অদূরে গুদাম কোয়ার্টার রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল হালিম (৫০) বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের সাওলিয়া এলাকার মৃত বশির উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি ফেনীতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনী স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় গেটম্যান গেট বন্ধ করে দেন। তখন রিকশাসহ বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে চলাচল শুরু করে।
এ সময় আবদুল হালিমের রিকশা রেললাইনে ওঠার পরপরই ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়েন। তার রিকশাও দুমড়েমুচড়ে যায়। আবদুল হালিম ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে রেল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ফেনী রেলস্টেশন জিআরপি পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ আলী চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় লাকসাম জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
ফেনীতে জামায়াতের ১২ নেতাকর্মী আটক
ফেনীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১২ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ফেনী জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে একটি বৈঠক থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মোহাম্মদ শফিউল্যাহ(৫৩), মোস্তফা আজিম(৪০), মোহাম্মদ শাহ আলম(৪৮), আবু তাহের(৫৪), আব্দুল মতিন(৪৪), মো. সালাউদ্দিন(৩২), আলমগীর(৪০), জাকির হোসেন(৩৫), আব্দুল মোতালেব(৩৮), মনির হোসেন(৪১), মো. মহিউদ্দিন(৩৪), মো. ইসরাফিল(১৮)।
আরও পড়ুন: ডিএমপি’র মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৬০
আটককৃত প্রত্যেকের বাড়ি ফেনী জেলায় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সকালে ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি রোড়স্থ জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় নাশকতার পরিকল্পনাকালে ৫টি ককটেল ও জিহাদী বইসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, আটকরা ওই কার্যালয়ে বসে গোপন বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার শামসুদ্দীন পুলিশের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে জানান, সেখানে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের একটি সভা ছিল। সেখানে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ কাল্পনিক ও বানোয়াট। অবিলম্বে আটকদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ববিতে হলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম: আটক ৪
চসিকের সার্ভার হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ উত্তোলন, আটক ৪
ফেনীতে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন!
ফেনীতে ফুয়েল রিকোভারি পলিথিন রিডিউজ পাইরোলাইসিস প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে ওঠা প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন করা শুরু হয়েছে।
ফেনী শহরের সুলতানপুর এলাকায় স্থাপিত এ প্ল্যান্টে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল। এ প্ল্যান্টে ৫০০ কেজি পলিথিন থেকে ২০০ লিটার গ্রিন ওয়েল উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর দেশে যে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে সেটি থেকে উৎপাদিত জ্বালানি তেল গৃহস্থালি ছাড়াও কারখানায় ব্যবহার করা যাবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ফুয়েল রিকোভারি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছে ফেনী পৌরসভা।
এ প্ল্যান্টে গৃহস্থালির ব্যবহৃত প্লাস্টিকের খালি বোতল, ব্রাশ, প্রসাধনীর খালি প্যাকেট, খাদ্যদ্রব্যের মোড়কের প্যাকেট, স্যালাইনের প্যাকেট, পানির খালি বোতল, কোমলপানীয়ের বোতল, বাসাবাড়িতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অপচনশীল প্লাস্টিক দ্রব্য মেশিনে দিয়ে তেল উৎপাদন করা হচ্ছে।
ফেনী জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রের পাশে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে চার মাস আগে পলিথিন রিডিউজ পাইরোলাইসিস মেশিন স্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনে সহায়তা করবে সরকার: মন্ত্রী
এ মেশিনে পলিথিন রিডিউজ করা হলে এখান থেকে গ্রিন ওয়েল নামে এক ধরনের তেল উৎপাদন হবে, যা জ্বালানি ও বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছেন ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আলমগীর হোসাইন।
তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের জন্য এ প্রজেক্ট পরিচালনা করা হবে। এখানে মেশিনে রিয়্যাক্টর, এয়ারব্যাগ, কুলিং সিস্টেম, ড্রাফটিং সিস্টেম, গিয়ার বক্স, গ্যাস ওয়াটার, ওয়েল ট্যাংক, প্রেশার গ্রেস, টেম্পারেচার মিটার, ইমারজেন্সি ভারসহ মোট ১১টি যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো ধরনের ধোঁয়া বা বায়ুদূষণ ছাড়া পলিথিনকে রিডিউজ করে বাষ্পের সাহায্যে পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তেল উৎপাদন করা হবে। এ মেশিনটি চালাতে ১০ জন অপারেটর প্রয়োজন। তবে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আমরা একজন অপারেটর, একজন ম্যানেজার, দুইজন অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
এখানে চাহিদামতো পলিথিন সংগ্রহ হলে রিসাইক্লিন ও রিডিউজের মাধ্যমে পাইরোলাইসিস করে প্রতিদিন ৫০০ কেজি পলিথিন থেকে ২০০ লিটার গ্রিন ওয়েল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট তানভীর আহমেদ বলেন, ফেনী পৌরসভার সঙ্গে পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা অরবিট হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন চুক্তিবদ্ধ। তারা যদি ঠিকমতো হাসপাতাল ও গৃহস্থালি বর্জ্যের পলিথিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালকে সাপ্লাই দিতে পারে তা হলে সরকারের ভিশন বাস্তবায়ন হবে।
ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাম্মৎ শওকত আরা কলি বলেন, পলিথিন রিডিউজ করে পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ায় তেল উৎপাদন করলে একদিকে পরিবেশ রক্ষা হবে, অন্যদিকে তেল উৎপাদনে আয় বাড়বে। এ প্ল্যান্ট যেসব জেলায় স্থাপন করা হয়েছে সেখানে পরিবেশের আমূল পরিবর্তন হবে। এজন্য শুধু শহর নয় গ্রামের হাট-বাজার, বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত পলিথিন, প্লাস্টিকের খালি বোতলসহ অপচনশীল দ্রব্য নির্দিষ্ট স্থানে জমিয়ে রেখে তা পৌরসভার মাধ্যমে প্ল্যান্টে পাঠানো উত্তম। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি বলেন, পলিথিন প্রক্রিয়াজাত করে তেল উৎপাদন করলে একদিকে পরিবেশ রক্ষা হবে, অন্যদিকে তেল উৎপাদনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও পৌরসভার নাগরিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে ফেনী জেলা বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পলিথিন ও ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য বন্ধে ১ বছর সময়
পরিত্যক্ত পলিথিন পুড়িয়ে জ্বালানি তেলসহ এলপি গ্যাস উদ্ভাবন
হিমালয়ান প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় হিমালয়ান প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করেছে বন বিভাগ ও প্রাণী বিষয়ক সংগঠন ফেনী ওয়াইল্ড লাইফ রেস্কিউ টিম। উপজেলার চর খন্দকার ইঞ্জিনিয়ার পাড়ায় নদীর পাশ থেকে রবিবার সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় শকুনটি উদ্ধার করা হয়।
ফেনী ওয়াইল্ড লাইফ রেস্কিউ টিমের ডিরেক্টর অ্যান্ড রেস্কিউয়ার সাইমুন ফারাবি জানান, রবিবার বিকালে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চর খন্দকার গ্রামে নদীর পাশে আহত অবস্থায় শকুনটিকে দেখতে পেয়ে উপজেলা বন বিভাগকে জানানো হয়। পরে ফেনীর সামাজিক বন বিভাগ ও ফেনীর প্রাণিবিষয়ক সংগঠন ফেনী ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ টিম এসে শকুনটিকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সঙ্খ নদীর বেড়িবাঁধের ওপর পড়েছিল বিরল প্রজাতির শকুনটি
সোনাগাজী উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শকুনটি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ টিমের তত্ত্বাবধানে দেয়া হয়েছে। শকুনটি সুস্থ হলে অবমুক্ত করে দেব।
ফেনীর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মাকসুদ আলম বলেন, উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির হিমালয়ান শকুনটি সুস্থ হলে ঢাকার বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে ঢাকায় পাঠানো হবে কিংবা ফেনীতে অবমুক্ত করা হবে।
বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, ২০ কেজির বেশি ওজনের বিশাল আকৃতির হিমালয়ান শকুনটি ঠান্ডার কারণে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে উষ্ণ আবহাওয়ার সন্ধানে বাংলাদেশে এসেছে। এটি ডানা মেলে প্রায় সাড়ে ৫ ফুট। উচ্চতা আড়াই ফুটের ওপরে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও একটি হিমালয়ী গৃধিনী শকুন উদ্ধার
চিকিৎসার পর বন বিভাগ কার্যালয়ে বিলুপ্তপ্রায় শকুন
ফেনীতে বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
ফেনীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া বাজার এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল হক ফাহিম (১৫) ফেনী সদরের মাথিয়ারা গ্রামের সেরাজুল হক বাচ্চুর ছেলে। সে পাঁচগাছিয়া এ জেড খান মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে মিনিবাসচাপায় মায়ের মৃত্যু, মেয়ে গুরুতর আহত
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ বলেন, আশরাফুল শুক্রবার রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে পাঁচগাছিয়া ফুড অ্যান্ড ফান্ড রেস্তোরাঁর সামনে গেলে বিপরীত থেকে আসা যাত্রীবাহী জোনাকি পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আশরাফুলের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
শার্শায় বাসচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
প্রবাসী স্বামীকে ঢাকা থেকে আনতে গিয়ে স্ত্রী নিহত
ফেনী সদর উপজেলায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চালকসহ এক নারী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী বাজার সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- গাড়ীচালক ইমাম হোসেন রিপন (২৩) এবং জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৬)। ইমাম হোসেন নোয়াখালীর সেনবাগের দক্ষিণ মোহাম্মদ পুর গ্রামের আবদুল মতিন বাবুল মিয়ার ছেলে। এবং জান্নাতুল ফেরদৌস ফেনীর দাগনভূঞার সেবারহাট এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের প্রবাসী বেলাল হোসেনের স্ত্রী।
আহতরা হলেন- বেলায়েত হোসেন (৪৫) সাবের হোসেন (১৪), সাব্বির হোসেন (১০), ফাহমিদা আক্তার (২২) শরিফ উদ্দিন (৩০) ও লিমন হোসেন (৮)। আহত প্রবাসী স্বামীসহ অপর ৬ জনকে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, মাইক্রোবাসটি বেলাল হোসেন নামে কুয়েত প্রবাসী এক যাত্রীকে নিয়ে ঢাকা থেকে দাগনভূঞা উপজেলার সেবারহাট এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামে যাচ্ছিল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে গাড়িটির। এতে ঘটনাস্থলেই চালক ইমাম হোসেন রিপনের মৃত্যু হয়। পরে আহত অবস্থায় সাতজনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে এক নারীর মৃত্যু হয়। আহত সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফেনী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতরা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১
দেবীদ্বারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
ফেনীর অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর ধরে বাক্সবন্দী
ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ও ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া জেলার আর কোনো সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে যন্ত্র চালু নেই।
বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঞা উপজেলায় কোটি টাকার এক্স-রে যন্ত্র।
ফেনীর মহিপালে অবস্থিত ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টার ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালেও এক্স-রে করা হয় না ১৫ বছর ধরে। হাসপাতালগুলোয় কোটি টাকা দামের নতুন এক্স-রে যন্ত্র সরবরাহ করা হলেও দক্ষ লোকবলের অভাবে সেগুলো স্থাপন (ইনস্টল) করা যাচ্ছে না।
ফেনীর সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বছরের পর বছর ধরে রোগীরা এক্স-রে সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি এক্স-রে যন্ত্র থাকলেও ১০ বছর ধরে সেবা পাচ্ছে না মানুষ।
এ উপজেলায় ২০১৬ সালে ৩০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়। সেটি স্থাপন করা হলেও চালানোর জন্য দক্ষ লোক নেই। এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৫০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন সিমেন্স কোম্পানির আরেকটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র সেখানে পাঠানো হয়, তা এখনো স্থাপন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের যক্ষ্মা শনাক্তে ভ্রাম্যমাণ এক্স-রে ভ্যান চালু
একই অবস্থা পরশুরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরও এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট হয় ২০১৬ সালে। সেটি মেরামত না করেই ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়। কিন্তু যন্ত্রটি স্থাপন করার মতো দক্ষ লোক না থাকায় সেটিও বাক্সবন্দী পড়ে আছে।
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৩ সাল থেকে এক্স-রে করা হয় না। ২০২১ সালের ২ মার্চ ৫০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন ফিলিপস কোম্পানির একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়। কিন্তু স্থাপন না হওয়ায় তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
২০১৮ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাগাজী উপজেলায় নতুন ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র বরাদ্দ দেয়। তবে তা চালু করার জন্য আজও কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনালেজিস্ট মাহবুব আলম বলেন, ২০০৭ সালে জানে আলম ও ২০১৩ সালে মাহবুব আলম নামের দুজন এক্স-রে টেকনালজিস্ট হাসপাতালে যোগ দেন। কিন্তু এক্স-রে যন্ত্র বিকল হওয়ায় দু-এক মাস পর তারা বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান।
একই অবস্থা ফুলগাজী উপজেলায়ও।
প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে কোনো মেডিকেল টেকনালেজিস্ট নেই। দাগনভূঞা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এক্স-রে করার মতো লোক নেই ২০০৮ সাল থেকে।
সরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান ফেনীর মহিপাল এলাকার ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টারে ১৫ বছর ও ফেনীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ১০ বছর ধরে টেকনালেজিস্ট নেই। এ কারণে এসব হাসপাতালেও এক্স-রে হয় না।
ফেনীর সিভিল সার্জন রফিক-উস ছালেহীন বলেন, ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র স্থাপন ও পরিচালনার প্রশিক্ষণ নেই স্বাস্থ্যকর্মীদের। জনবল নিয়োগ ছাড়া এক্স-রে সেবা দেয়া সম্ভব নয়। নিয়োগের ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন। যদি অনুমোদন পাই, তাহলে নিয়োগের মাধ্যমে সেবা আরও ভালোভাবে দেয়া যাবে।
থ্রি আই মার্চেন্ডাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ফেনীতে নতুন ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্রগুলো সরবরাহ করেছে। সেগুলো ইনস্টল করতে ওই প্রতিষ্ঠানকে অনেকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আসেনি।
আরও পড়ুন: নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটি ১১ বছর ধরে কক্ষবন্দী
ফেনীতে গয়নার দোকানে ডাকাতি: আহত মালিকের মৃত্যু
ফেনীর সোনাগাজীর জমাদ্দার বাজারে নিজের গয়নার দোকানে ডাকাতদের হামলায় আহত দোকান মালিক মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় চট্টগ্রাম ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের নাম অর্জুন চন্দ্র ভাদুড়ি (৫০)। তিনি ওই উপজেলার জমাদ্দার বাজারের একজন গয়নার ব্যবসায়ী।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৩০ অক্টোবর) ফেনীর সোনাগাজীর জমাদ্দার বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাকে অজ্ঞাত ডাকাত দল কুপিয়ে গুরতর জখম করেন। ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত অর্জুন চন্দ্র ভাদুড়িকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় জটিল অপরারেশনের পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে টানা ১১ দিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডাকাতি মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
অর্জুন ভাদুড়ির ভাতিজা মানিক ভাদুড়ি জানায়, আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শারিরিক জটিলতা বেড়ে যায়। শুক্রবার বিকালে কিডনি ডায়ালেসিস করার পর তার শারিরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, দুটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা ছয়জন সশস্ত্র ডাকাত ছিল।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ হোসেন বলেন, সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ হোসেন জানান, দুই মোটরসাইকেলে করে একদল সশস্ত্র ডাকাত জমাদ্দার বাজারে অর্জুন চন্দ্রের গয়নার দোকানে প্রবেশ করে। তারা মালিককে ছুরিকাঘাত করে এবং একটি বোমা ফাটিয়ে অর্জুনকে গুরুতর আহত করার পর ৫০ লাখ টাকার সোনার অলংকার নিয়ে যায়।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কাজ চলছে।
জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলেও জনান ওসি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯
সিরাজগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
ফেনীতে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজার ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজা এলাকায় মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-কাভার্ডভ্যান চালক কুমিল্লা সদর থানার দুর্গাপুর এলাকার নাজমুল (৩৫), পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার ফোরকান (৫০), লক্ষ্মীপুর জেলার রিয়াজ উদ্দিন এবং অপর একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় উল্টো পথে আসা কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে দ্রুতগামী বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ, আহত ৬
তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে ১০ থেকে ১৫ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে বাস চালকের লাশ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফেনী মহিপাল হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দলের সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এসএম সোহরাব আল হোসাইন বলেন, আহতদের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নিহতদের লাশ হাসপাতালে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নেত্রকোণায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এসআই নিহত