ফেনী
ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ!
ফেনীর পরশুরামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযুক্ত ছেলে ও তার শ্যালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত আবদুল মোমিন (৬০) পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব আলকা গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার ছেলের নাম মো. ফারুক ওরফে রাজিব (৩৫) এবং তার শ্যালক আবদুল মজিব ওরফে সুমন (৩২)।
পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির দুই মেয়ে ও এক ছেলে। দুই মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। একমাত্র ছেলে ফারুকের সঙ্গে জমি নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিল মোমিনের। এই বিরোধের জের ধরে দলিল লেখক ফারুক তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কয়েক মাস আগে পরশুরাম শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
অন্যদিকে, স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন মোমিন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ফারুক ও তার শ্যালক আবদুল মজিব গ্রামের বাড়িতে যান। এ সময় আবদুল মোমিন ও তার ছেলে ফারুকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল মোমিনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে আবদুল মোমিন গুরুতর আহত হলে ফারুক ও তার শ্যালক পালিয়ে যায়। পরে আবদুল মোমিন ও তার স্ত্রীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টায় আবদুল মোমিন মারা যান।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সম্পত্তির ভাগ নিয়ে বিরোধের জেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার একমাত্র ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বাবাকে মারধরের ঘটনাটি ডাকাত দলের হামলা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় নিহত আবদুল মোমিনের মেয়ে পানু আক্তার বাদী হয়ে রাতেই পরশুরাম মডেল থানায় ফারুকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় পুলিশ ফারুক ও আবদুল মজিবকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার দু’জনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে নবজাতক হত্যার অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
কক্সবাজারে সুপারি গাছে বেঁধে শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
ফেনীতে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর
ফেনীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ফেনী জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ইমরান সালেহ আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন বলে আদালতের পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী জানান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন-ফেনী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন মাস্টার, ফেনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন বাবলু, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেন রিয়াদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিমুল, দাগনভূঞা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ভিপি ইমাম, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত, দিদারুল আলম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফজলে রাব্বী, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম পাটোয়ারী ইবু, যুবদল নেতা ফজলুল হক মুন্না ও মামুন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন না পেয়ে মেয়রসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর পদত্যাগ
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। এ উপলক্ষে শহরের ইসলামপুর রোডে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের দুই থেকে আড়াইশো নেতাকর্মী জড়ো হন।
এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও সেখানে সমাবেশের জন্য জড়ো হন।
বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালিয়ে তিনজন আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ওপর হামলা: ৯ বিএনপি নেতাকর্মীর মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনের যাবজ্জীবন
এতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এসময় পুলিশ রাবার বুলেটসহ মোট ২৭ রাউন্ড ফাঁকাগুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পরে পুলিশ বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করে।
বিড়ালের র্যাম্প শো!
দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে বিড়াল পালনের প্রবণতা। একই সঙ্গে হচ্ছে ব্যতিক্রম আয়োজনও। তেমনি ফেনীতেও প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রমী আয়োজনে দেশি-বিদেশি বিড়াল প্রদর্শনী ও র্যাম্প শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় এনিম্যাল লাভার্স এর আয়োজনে রাজাঝি দিঘীর পাড়ে অবস্থিত নবীনচন্দ্র সেন কালচারাল সেন্টারে এ আয়োজন হয়।
আয়োজক কমিটি জানায়, প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ২৫টি বিড়াল প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: কন্যা দিবসে ৩ মেয়ের জন্ম, নাম পদ্মা-মেঘনা-যমুনা
যার মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণের জন্য বিড়ালের র্যাম্প শো’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিনামূল্যে প্রাণীর ভেটেরিনারি চিকিৎসা সেবাও প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান আয়োজক ও ফেনী এনিম্যাল লাভার্স’র সিইও সাইমুন ফারাবী বলেন, পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধে এবং মানুষের ভালোবাসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ব্যতিক্রমী আয়োজন। এর আগে রাজধানী বা বিভাগীয় শহরগুলোতে এমন আয়োজন হলেও মফস্বলের জন্য এটি অনেক বড় প্রাপ্তির বিষয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে পরিমাণ দর্শনার্থী সমাগম আশা করেছিলাম তারচেয়ে তিনগুণ বেশি হয়েছে। সহযোগিতা পেলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজন করব।
ফেনী প্যাড ক্লিনিকের ভেটেনারি চিকিৎসক ডা. মো. ইব্রাহীম বলেন, প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষ পোষাপ্রাণীর সম্পর্কে জেনেছে এবং মানুষের মধ্যে বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। পরে প্রদর্শনীটি আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে। আয়োজনে অংশ নেয়া ২৫টির বেশি বিড়ালের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: এবার দেখা মিলেছে ৪ পাওয়ালা মোরগের!
ব্যতিক্রম আয়োজনের প্রশংসা করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী আহসান জোবায়ের বলেন, এমন আয়োজন ফেনীর জন্য নতুন একটা মাইলফলক। রাজধানী ঢাকায় বা অন্য কোনো জেলায় এরকম স্বতন্ত্র ও ব্যতিক্রমী আয়োজন হয় বলে আমার জানা নেই। দারুণ এই আয়োজন দেখতে ছোটবোনসহ চলে এসেছি। আশা করি ফেনীতে এমন আয়োজন আরও হবে। আমরা পশু ও প্রাণির প্রতি সদয় হবো। ফেনীর এই আয়োজন সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে।
ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তারান্নুম আক্তার বলেন, প্রদর্শনীতে চারটা বিড়াল নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে একটি বিদেশি জাতের। বিড়াল পালনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এ শিক্ষার্থী বলেন, শুরুতে পরিবারের সদস্যরাও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।
সানজিদ আরেফিন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মফস্বলে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাণিদের প্রতি অহিংস মনোভাব তৈরি হবে। আয়োজনস্থলে অনেক গরম ছিল। এতে বিড়াল নিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। আগামীতে বাইরে আরও বড় জায়গা এমন আয়োজন করলে সাধারণ মানুষও এ বিষয়ে জানতে পারবে।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারীদের ফি ও খরচ প্রসঙ্গে ফারাবি বলেন, সকলের জন্য প্রদর্শনী উম্মুক্ত ছিলো। এখানে ১০ টাকা দামের একটি র্যাফেল বিক্রি করা হয়েছে। এখান থেকে ৬০ শতাংশ ভ্রাম্যমাণ অসুস্থ কুকুর-বিড়ালের চিকিৎসায় খরচ করা হবে।
বাকি ৪০ শতাংশ অনুষ্ঠানের খরচে ব্যবহৃত হবে।
আরও পড়ুন: মানসিক বিকাশে শিশুর সঙ্গে মা-বাবার টেলিভিশন দেখা হতে পারে উপকারী
ফেনীতে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
ফেনীর ছাগলনাইয়ার মধুগ্রামে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ফারজানা আক্তার (২৪) নামের এক নারী।
বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা শহরের জেড ইউ হাসপাতালে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম!
ফারজানা আক্তার ফেনীর ছাগলনাইয়ার রাধানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। তার স্বামী খাগড়াছড়ির রামগড় শহরের একজন মুদি দোকানি।
নবজাতকদের বর্তমানে হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে।
ওই নারীর স্বামী আলমগীর হোসেন জানান, বিয়ের ছয় বছরেও কোনো সন্তান না হওয়াতে হতাশায় ছিলেন তারা।
তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের সুস্থতার জন্য সবার দোয়া কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৮ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম
হাসপাতালটির গাইনি বিশেষজ্ঞ রোকসানা বেগমের তত্ত্বাবধানে ওই চার নবজাতকের জন্ম হয়।
ডা. রোকসানা বেগম বলেন,জন্মের পর ওই চার নবজাতককে ফেনীর জেড ইউ মডেল হাসপাতালের এনআইসিইউ রাখা হয়েছে। ওজন স্বাভাবিক থাকায় প্রথম জন্ম নেয়া দুই শিশুকে শুক্রবার মায়ের কাছে দেয়া হবে। তবে অন্য দুই নবজাতকের ওজন কম থাকায় আরও কিছুদিন এনআইসিইউতে রাখতে হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের মা সুস্থ আছেন। চার শিশুর মধ্যে প্রথমজনের ওজন প্রায় ২০০০ গ্রাম, দ্বিতীয় জনের ২১০০ গ্রাম, তৃতীয় জনের ওজন ১৫০০ গ্রাম এবং চতুর্থ জনের ওজন ১৩০০ গ্রাম। এখন পর্যন্ত সব বাচ্চাই ভালো আছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
আবদুল আউয়াল মিন্টুর গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর গাড়িবহরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় গাড়িবহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকালে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বিকালে উপজেলা সদরের আলাইয়ারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা বিএনপির এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। সমাবেশ শেষে তিনি দাগনভূঞা ত্যাগ করেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন অভিযোগ করেন, বিকেল চারটার দিকে আবদুল আউয়াল মিন্টু গাড়িবহর নিয়ে সভাস্থলের দিকে যাওয়ার সময় ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের দাগনভূঞা উপজেলা সদরের ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ সড়কের মাথায় হামলা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বহরের পেছনের ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে উপজেলা সদর ও বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পড়ুন: গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত করুন: সরকারকে ফখরুল
সোনাগাজীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ আহত ৭
ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে। এতে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) মাশকুর রহমান ও সেকেন্ড অফিসার আমির উদ্দিন দোলন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হন। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় পুলিশ অন্তত ৪০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। বিএনপি কর্মীদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয় তারা ।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় আহত জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপারকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিকেল ৪টা থেকে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কমপক্ষে ৪০ রাউন্ড টিয়ালশেল নিক্ষেপ করেছে। বিএনপির দাবি, তাদের পাঁচ কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে বলেও জানান ওসি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সোনাগাজীতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। বিকালে ভৈরব রাস্তার মাথায় বিএনপির সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা সোনাগাজীর জিরো পয়েন্টের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ইটের আঘাতে আহত হন সার্কেল এএসপি মাশকুর। তার মাথা ও তলপেটে আঘাত লেগেছে।
বিএনপি অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি করছে শরতলীর ভৈরব রাস্তার মাথায়। অপরদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে শহরের জিরো পয়েন্টে। আর আগে সকাল থেকেই থেমে থেমে চলছিল সংঘর্ষ।
এদিকে বিএনপি তাদের ৫ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু।
সকাল থেকে পৌর শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। সড়কে মানুষের চলাচলও রয়েছে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। এদিকে পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোনাগাজীতে বিএনপি ও ছাত্রলীগের মধ্যে কর্মসূচি নিয়ে এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পৌর শহরের টহল জোরদার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩ মামলা
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় ৭ আসামির ২২ বছর কারাদণ্ড
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় সাত আসামিকে ২২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউছুপ এ রায় দেন।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৪), মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জিয়া (৩৩), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ চনুয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে হুমায়ুন কবির মিন্টু (৩৫), মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩৪), রুহুল আমিনের ছেলে ওসমান গনি (৩৬), কসবা গ্রামের জাফর আলী জমাদ্দার বাড়ির নুরুল হুদার ছেলের সাখাওয়াত হোসেন (৩০) ও সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের আব্দুল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম সবুজ (৩৬)।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ফরিদ আহম্মদ হাজারী ও আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল হোসেন মামলা পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন:সিলেটে পাহাড়কাটার অভিযোগে ৬ জনের কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার কৌঁসুলি ফরিদ আহম্মদ হাজারী বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম ছাড়া অন্য পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাত আসামির প্রত্যেককে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। এছাড়া পলাতক দুজন গ্রেপ্তার হলে বা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে তখন থেকে তাদের রায় কার্যকর হবে। এছাড়া অন্যরা জামিনে থেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল পুলিশ ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় একটি কক্ষ থেকে একটি গুলিসহ দেশীয় বন্দুক, একটি গুলিসহ একনলা বন্দুক, একটি গুলিসহ দেশি পাইপগান, দুটি ছুরি ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে ওই সাত জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, চোরা ও রামদা রাখার অপরাধে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করে।
২০১৪ সালের ২৯ মে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক মোতাহার হোসেন সাত জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট চার্জ গঠন করেন। এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় একজনের ১৭ বছর কারাদণ্ড
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
ফেনীতে একই স্থানে বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশ ঘিরে ১৪৪ ধারা
ফেনীর পরশুরামে একই সময়ে একই স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা শমসাদ বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধির এই ধারা বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন:ফেনীর ফুলগাজীতে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের পর ১৪৪ ধারা জারি
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে পরশুরাম স্টেশন এলাকা উপজেলা বিএনপির অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করে বিএনপি। একই সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরশুরাম বাজারসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করে। দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ আদেশ জারি করা হয়।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হালিম মানিক জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে কর্মসূচি ছিল। এতে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
এদিকে, একই স্থানে বাজারের স্টেশন রোডে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। একই সময়ে একই স্থানে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করেছে তারা।
পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম শফিকুল হোসেন মহিম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরশুরাম বাজার স্টেশন রোডে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা বাজারে মহড়া দিয়েছে। রাত ৯টার পর থেকে পরশুরাম বাজারের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে একই স্থানে উপজেলা বিএনপি ও ছাত্রলীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। ১৪৪ ধারা জারি করার পরপরই পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
আর পড়ুন:বেলকুচিতে ১৪৪ ধারা জারি
রশিক রায় জিউ মন্দিরে ফের ১৪৪ ধারা জারি
ফেনীতে ভুয়া চিকিৎসকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
এমবিবিএস পাস না করেই নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন মো. আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেট লিখন বনিক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেনী সদর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
লিখন বনিক জানান, বিএমডিসি সনদ না থাকলেও মানুষকে পাইলস চিকিৎসাসহ সার্জারি চিকিৎসা করেন তিনি। যার কারণে সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন:খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
তিনি আরও জানান, শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের মহিপাল চৌধুরী বাড়ী এলাকায় ভুঁইয়া মেমোরিয়াল পাইলস ও পলিপস চিকিৎসালয় লিমিটেড’ নামের প্রতিষ্ঠানে সত্বাধিকারী ভুয়া চিকিৎসক মো. আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়াকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
অভিযানে ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এস আর মাসুদ রানা, ডা. যুবায়ের ইবনে খায়ের ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিখন বনিক জানান।
আরও পড়ুন:দিনাজপুরে ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড, চেম্বার সিলগালা
ফেনীতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে বিএনপির মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় উল্লেখিত ২৪ আসামিদের মধ্যে সবাই বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
শুক্রবার রাতে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজ মিয়া কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিমুল, সাধারণ সম্পাদক এসএম কায়সার এলিন, ছাত্রদলের সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাস্টার নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত ও দিদারুল আলম, পৌর যুগ্ম-আহ্বায়ক নুর ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদ, সদর উপজেলা সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, পৌর আহ্বায় তাজুল ইসলাম পাভেল, সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন ইবু রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেড়িং ও ভোলায় হত্যার প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের ইসলামপুর রোড়স্থ ফেনী জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের ট্রাংক রোডে গেলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা করে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও পাল্টা হামলা করে। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ধাওয়া করে। এতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে বিএনপির কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। বিএনপি ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে ১৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
পড়ুন: বিএনপির পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরা ফের মাঠে, প্রতিরোধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী