খালেদা জিয়া
বঙ্গবন্ধুর খুনিকে মরণোত্তর চাকরি ফিরিয়ে দেয় খালেদা জিয়া: জয়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা আজিজ পাশাকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মরণোত্তর চাকরি ফিরিয়ে দেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জয় লেখেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী হয় খালেদা জিয়া। এরপর যাবতীয় নিয়ম ভঙ্গ করে মৃত আজিজ পাশাকে আবারও চাকরিতে বহাল করে সে। মৃত এই খুনির চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে তারপর মরণোত্তার অবসরে পাঠানো হয়। এমনকি তাকে “মরণোত্তর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা” হিসেবে ঘোষণা করে যাবতীয় আর্থিক সুবিধা প্রদান করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।’
তিনি লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে বর্বরভাবে যারা খুন করে আজিজ পাশা তাদের অন্যতম। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার কাছে বিশেষ আস্থাভাজন ব্যক্তি হয়ে উঠেছিল সে।’
জয় লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি আজিজ পাশাকে প্রথমে উপহার স্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেয় জিয়াউর রহমান। জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় আর্জেন্টিনা, কেনিয়া ও ইতালিতে কূটনীতিক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আজিজ পাশা। এরপর ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকার গঠনের পর আরও কাছে টেনে নেয় তাকে। খালেদার একান্ত বিশ্বাসভাজন কর্মকর্তা হিসেবে জিম্বাবুয়ের ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োজিত ছিল সে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় লেখেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আজিজ পাশাকে পদচ্যুত করা হয় এবং তাকে দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সে আর দেশে ফেরেনি। জিম্বাবুয়েতে আত্মগোপন করে খুনি আজিজ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবশেষে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতেই মারা যায় সে।'
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জয়ের
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের রাষ্ট্রদূত বানায় খালেদা জিয়া: জয়
শনিবারের মধ্যে খালেদাকে বিদেশ যেতে না দিলে আন্দোলন: বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
আগামী শনিবারের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিলে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের (বিজেএএফ) আয়োজিত এক সমাবেশে বিজেএএফ-এর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, আমরা সরকারকে চার দিন সময় দিচ্ছি- বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার (আমাদের দাবি পূরণের জন্য)। অন্যথায় আমরা আইনজীবীরা রবিবার সারা দেশে অনশন করব।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করতে তারা ধীরে ধীরে আন্দোলন জোরদার করবে।
ফজলুর রহমান বলেন, এমন সময় আসবে যখন দেশের মানুষ মিছিল নিয়ে রাজপথে নামবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়। আসুন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আন্দোলন শুরু করি।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর আইনি বিকল্প খুঁজে বের করতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, আইন মানুষের জীবনের চেয়ে বড় নয়।
আরও পড়ুন: এবার মুরাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি বিএনপির
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ ধারায় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে।
ফখরুল বলেন, আইন নয়, দখলদার সরকার এখানে বাধা।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করায় আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সমাবেশ আমাদের আশার সঞ্চার করেছে। আমরা এই দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। সারাদেশের আইনজীবীরা আজ (মঙ্গলবার) আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। আমরা নিশ্চয়ই সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে এক প্রবল গণআন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে পাঠাতে পারব।
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, তিনি এত অসুস্থ যে আমি বলে বোঝাতে পারব না। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অবিলম্বে বিদেশের যেকোনো উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার চিকিৎসা করা দরকার।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দিলে কোটি মানুষ রাজপথে নামবে: ফখরুল
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিলে কোটি কোটি মানুষ রাজপথে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না করলে কোটি কোটি মানুষ রাজপথে নামবে। তাই, নিজেদের স্বার্থেই দেরি না করে তাকে (খালেদাকে) বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন।’
রবিবার বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
সমাবেশে তিনি অভিযোগ করেন, সরকার বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে ঝুঁকিতে ফেলার ‘ষড়যন্ত্র’ করছে।
এসময় ফখরুল বলেন,‘আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করুন, যাতে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন এবং সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে পারেন। অন্যথায়, আপনারা পালানোর পথও খুঁজে পাবেন না এবং আপনাদের অবশ্যই জনগণের আদালতে দাঁড়াতে হবে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি স্যাঁতসেঁতে, পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ ভবনে দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাখা হয়েছিল, যার কারণে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
তিনি বলেন,‘এই অসুস্থতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এভারকেয়ার হাসপাতালের ডাক্তার এবং অন্যান্য চিকিৎসকরা বলছেন তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে না নিয়ে গেলে তার জীবন বাঁচানো কঠিন হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেটে কাফনের কাপড় পড়ে ছাত্রদলের মিছিল
ছাত্রদের লাল কার্ড দেখানো
সড়ক বিশৃঙ্খলা রোধে সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন,‘আমি পত্রিকায় দেখেছি, তারা (ছাত্ররা) সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। শিক্ষার্থীরা কেন রাস্তায় নামছে? তার কারণ আপনারা কথা রাখেন নি!’
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আশ্বাস দিয়েছিল সরকার বলে ফখরুল বলেন, আপনারা সঠিকভাবে সড়ক নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, এটা আপনাদের ব্যর্থতা।’
বিএনপির এই নেতা বলেন,‘জনগণ সরকারের ওপর চরম ক্ষুব্ধ, কারণ কোনো কিছুর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই।’
আওয়ামী লীগ এখন বিএনপির ভূতে ভীত
ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বিএনপির ভূত ছাড়া আর কিছু দেখেন না। তিনি সব সময় বিএনপির কথা বলেন। তিনি বিএনপিকে নিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন,‘ওবায়দুল কাদের বিএনপির অস্তিত্ব দেখতে না পেলেও দলের ভয়ে সব সময় বিএনপিকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেন।’
তিনি শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় হয়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হতে সহকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার’ ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন
ফখরুল বলেন, ‘সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করায় সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় বহু মানুষ মারা গেছে।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন না হওয়ায় মানুষ ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে না।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনারকে অপসারণ করাই যথেষ্ট নয় কারণ সরকারকেও সরাতে হবে। জনগণের ভোটে সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।
সরকার উন্নয়নের কথা বললেও সাধারণ মানুষের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন,‘বরং দারিদ্রের সংখ্যা দুই কোটি থেকে ছয় কোটি হয়েছে। এ কারণেই আমরা, দেশের মানুষ, ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। আর তাই এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৩ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ২৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অবিলম্বে বিদেশে নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে সব দায় সরকারকে নিতে হবে: বিএনপি
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেটে কাফনের কাপড় পড়ে ছাত্রদলের মিছিল
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার দাবিতে সিলেটে কাফনের কাপড় পরে মিছিল করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ও মহানগর ছাত্রদল এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
শনিবার সকালে নগরের আম্বরখানা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহীদ সোলেমান হলে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে গিয়ে মিলিত হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান লিটন,মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফাহিম রহমান মৌসুম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ উদ্দীন রাজিব, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইমরানুল ইসলাম জাসিম, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক ছদরুল ইসলাম লোকমান, যুগ্ম সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা ছাত্রদলের আইন সম্পাদক এডভোকেট নাজমুল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম হাসান, সদিওল হোসাইন, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম সুয়েব আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ মাহফুজ চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন ইমরান, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মিনহাজ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইব আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক লায়েক আহমদ, ল’ কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, জেলা ছাত্রদলের সহ-ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক সাকের আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সদস্য আলম রহমান,জাবেদ হাসান, ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য সচিব নাজমুল ইসলাম আখল, যুগ্ম আহ্বাবায়ক নজরুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্ববায়ক বাবুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাসিম আহমদ রাফি, ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্ববায়ক রুম্মান আহমদ, জেলার ছাত্রদলের সদস্য শেখ মো. নাদিম উদ্দীন, মানিকুর রহমান, জামির হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর-সিলেট আন্তনগর ট্রেন এখনও স্বপ্ন!
সিলেটকে চিকিৎসা সেবার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেট থেকে পণ্য পরিবহনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে: ড. মোমেন
খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার’ ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার তাদের দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে তিলে তিলে ‘হত্যার’ ষড়যন্ত্র করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিন। এটা ন্যূনতম দাবি। এটা দয়া, মহানুভবতা ও মানবিকতার বিষয় না, এটা তার নাগরিক অধিকার। আপনারা বলছেন তিনি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিও এ দেশের নাগরিক এবং তারও নাগরিক অধিকার রয়েছে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত মানবন্ধনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন ও বুদ্ধিজীবীরা তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব না: ড্যাব
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের নেত্রীকে (খালেদা) মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে তিলে তিলে হত্যা করা হচ্ছে।’
ফখরুল সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জনগণ জেগে উঠতে শুরু করেছেন। চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা এ সরকারকে সরাবে।
খালেদা জিয়ার বর্তমান স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এটা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলে তাহলে তিনি আর বাঁচবেন না।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন তার লিভার সিরোসিস হয়েছে। এটা খুবই মারাত্মক রোগ। আমাদের দেশে এ ধরনের রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এই রোগের চিকিৎসা শুধু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে ভালো হয়।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আবেদন বিবেচনা করবেন।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসায় আইন নয়, সরকার বাধা: ফখরুল
খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে সব দায় সরকারকে নিতে হবে: বিএনপি
বিদেশি চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব না: ড্যাব
সরঞ্জাম ও বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিমের অভাবে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে করানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের এ সংঠন মানবিক কারণে যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানায়।
ড্যাবের সভাপতি হারুন-আল-রশিদ বলেন, ‘কিছু মানুষ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার কথা বলে শুধু সময়ক্ষেপণ ও সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করছে।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষিত একটি মেডিকেল টিম ও সহায়ক যন্ত্রপাতি লাগবে। ‘তাই অন্য দেশ থেকে চিকিৎসক এনে তাকে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।’
ডা. হারুন বলেন, বেশ কয়েকবার রক্তক্ষরণের কারণে বিএনপি প্রধানের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আর সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। ‘চিকিৎসার জন্য একটি সম্পূর্ণ টিম ওয়ার্কের প্রয়োজন। এই ধরনের চিকিৎসা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির সব জায়গায় না, শুধু কয়েকটি সেন্টারে রয়েছে।’
তিনি বলেন, যদি বাইরে থেকে কোনো চিকিৎসক আনা হয় তাহলে তিনি একা প্রশিক্ষিত নার্স, ওয়ার্ড বয় ও সরঞ্জাম ছাড়া কাজ করতে পারবেন না। ‘এমনকি একজনের ভুলের জন্য পুরো কাজ পণ্ড হয়ে যেতে পারে।’
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সোমবার রাতে রক্তক্ষরণের পর তার হিমোগ্লোবিনের স্তর কিছুটা কমেছে। ‘তাকে বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনও সেগুলোর রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা রবিবার বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তার দ্রুত বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসায় আইন নয়, সরকার বাধা: ফখরুল
খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে সব দায় সরকারকে নিতে হবে: বিএনপি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার কিছু হলে এক মুহূর্তও সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশরচন্দ্র রায় বলেছে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা করানো। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা যে দেশে হয় তাকে সে দেশেই পাঠানো। আর যদি খালেদা জিয়ার অনাকাক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে এক মুহূর্তও এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বিএনপির চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে পাঠানোর দাবিতে খুলনা নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, মন্ত্রীরা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর প্রতিবন্ধকতার ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছেন। এর আগে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আ স ম আব্দুর রবকে রাষ্ট্রের ৩৬ লাখ টাকা খরচ করে জার্মানিতে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
খালেদা জিয়া সম্পর্কে যে সব মন্ত্রীরা ঠাট্টা-মস্করা করছেন তাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, যারা এ ধরনের মন্তব্য করছেন ভবিষ্যতে তাদের কী পরিণাম হবে তা আমি বলতে পারি না।
যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, রাতের ভোটে নির্বাচিত তাদের কাছে কিসের অনুমতি চাইতে হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
বিদেশে চিকিৎসা করাতে হলে আগে রাষ্ট্রপতির কাছে খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের এই মন্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্ষমা চাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার জন্ম হয় নাই। তিনি হলেন, এ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি এদেশের আপসহীন নেত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রে তার অবদান রয়েছে। তিনি শুধু ক্ষমা চাইতে পারেন সৃষ্টিকর্তার কাছে। আর কারো কাছে নয়।
সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা জানিয়ে দেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে মুক্তি দেয়া হবে না। তারপর এক মুহূর্তও আপনার ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, মেহেদী আহমেদ রুমি, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুন্ডু প্রমুখ।
দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থাকলেও সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে সমাবেশস্থলে বিএনপির মিছিল আসতে থাকে। সমাবেশস্থলের প্রবেশ পথে বসানো পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙ্গে মিছিলকারীরা সমাবেশে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের উদ্যোগ চান সাংবাদিকরা
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন তার অবস্থা গত রাতের চেয়ে ভালো।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী পালিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে মঙ্গলবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, ডা. জাহিদ (খালেদা জিয়ার চিকিৎসক) গতরাতে (সোমবার রাতে) আমাকে ফোন করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার অনুরোধ করেন। আমি রাত ১২টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে দেখি যে ম্যাডামের চিকিৎসার সাথে জড়িত ১০ জন ডাক্তার খুব চিন্তিত। আমিও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।
তিনি বলেন, ম্যাডামের কী হয়েছে তা জানতে চাইলে চিকিৎসকেরা জানান, আমরা যা ভয় পাচ্ছিলাম, ম্যাডামের তাই হয়েছে। তার লিভার সিরোসিস হয়েছে। আল্লাহর রহমতে ডাক্তাররা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এর আগের তিনবারের মতো সংকট কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।
ফখরুল আরও বলেন, ড. জাহিদ মঙ্গলবার সকালে জানায়, খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা মনে করছেন লক্ষণ মোটেও ভালো না। কারণ, তারা স্পষ্টভাবে বলেছে, তিনি যে রোগে ভুগছেন, তার কোনো চিকিৎসা এখানে (বাংলাদেশ) নেই।
তাই চিকিৎসকরা বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে হবে।
সমাবেশে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আরও আটটি বিভাগীয় শহরে একই ধরনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা ১৩ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রবিবার তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
তারা আরও বলেন, খালেদার তিনবার রক্তপাত হয়েছে এবং তৃতীয়বার রক্তক্ষরণ তীব্র ছিল, যা তার লিভারের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করেছে।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের উদ্যোগ চান সাংবাদিকরা
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার বিএনপির সমাবেশ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
‘গুরুতর অসুস্থ’ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীতে সমাবেশ শুরু করেছে দলটি।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে।
দুপুর সোয়া ১টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের উদ্যোগ চান সাংবাদিকরা
সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হন দল ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী।
সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ সিনিয়র নেতারা।
এর আগে সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেছিলেন, দলের চেয়ারপার্সনের বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যে কোনো বিদেশি চিকিৎসক আনা যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিভিন্ন জটিল রোগে খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। রবিবার তার মেডিকেল বোর্ডও তার অসুস্থতার বর্তমান অবস্থা প্রকাশ করেছে।
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন বাঁচাতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো এখন জরুরি।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয়দিন পর ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার দ্রুত বিদেশে যাওয়া দরকার: ফখরুল
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফেরার পর নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের উদ্যোগ চান সাংবাদিকরা
বিএনপির অসুস্থ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিজ উদ্যোগে জামিন দিয়ে বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসার পথ প্রশস্ত করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী একদল সাংবাদিক। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ আহ্বান জানান তারা।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বিএনপিপন্থী সাংবাদিকরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
মানববন্ধনে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘(কারাগারে) তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাই আমরা উচ্চ আদালতের বিচারকদের কাছে দাবি জানায়, তারা যেন নিজ উদ্যোগে তাঁর জামিন দেন।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়ার ক্ষমতা সর্বোচ্চ আদালতের রয়েছে। কেননা এর আগে কয়েকজন মন্ত্রীর সময় এমন হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি প্রদানে সরকার ওপর চাপ বাড়াতে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান শওকত মাহমুদ। ‘যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে দাবি আদায়ে আমরা রাজপথে নামব।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, এটা দুর্ভাগ্য যে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়া মারা গেলে জনগণ মেনে না: বিএনপি
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার বিএনপির সমাবেশ