খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি পরিবারের
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে তার পরিবার।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির বলেন, রবিবার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, বিএনপি প্রধানের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার ও তার ব্যক্তিগত সচিব আব্দুস সাত্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন জমা দিয়েছেন।
শায়রুল বলেন, আবেদনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়েছেন শামীম ইস্কান্দার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা আবেদনটি গ্রহণ করেছি এবং আইনি মতামতের জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, এরপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশসহ আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
এর আগে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ পাঁচবার বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ২৩ মার্চ।
এর আগে শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যদি খালেদা জিয়ার পরিবার সাজা স্থগিতের আবেদন করেন, তাহলে বিএনপি প্রধানের দুর্নীতির দু’টি মামলার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে গুলশানে তার বাসভবনে থাকবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না এই শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে ছয়মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানহানির ২ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের’ দুর্নীতির মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান। এরপর তিনি আরও একটি মামলায় দণ্ডিত হন।
কারাগার থেকে মুক্তির পর ৭৭ বছর বয়সী বিএনপি প্রধান তার গুলশানের বাসভবন থাকছেন। এরপর বেশ কয়েকবার তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল তার চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
আরও পড়ুন: ফের খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ফখরুলের
হাসপাতাল থেকে ফিরোজায় খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে তিন দিন থেকে শারীরিক পরীক্ষা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় তার বাসা ফিরোজায় ফিরেছেন।
বিএনপি প্রধান বিকাল সাড়ে ৫টায় হাসপাতাল থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় গুলশানের বাসায় পৌঁছান বলে জানান তার মিডিয়া উইং মেম্বার শামছুদ্দিন দিদার।
বিএনপি প্রধানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে কিছু শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পরীক্ষা শেষ ও শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করেছে বোর্ড।’
তিনি বলেন, বিএনপি প্রধান মেডিকেল বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
জাহিদ বলেন, খালেদা তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
হাসপাতালে তার সর্বশেষ বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টের আলোকে মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন।
বেশ কিছু পরীক্ষা শেষে আবার ছয়দিন পর গত রবিবার রাতে খালেদা জিয়া আরও কিছু শারিরীক পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করে মেডিকেল বোর্ড।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনায় এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেশকিছু মেডিকেল পরীক্ষা শেষে আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন।
বিএনপি মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়ার আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সব পরীক্ষার রিপোর্ট এবং তার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করবে।
শায়রুল জানান, বিকাল ৫টার দিকে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, রবিবার রাতে খালেদা জিয়াকে আরও কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করে মেডিকেল বোর্ড।
পড়ুন: ফের খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ফখরুলের
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনায় এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
ফের খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ফখরুলের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম আলমগীর দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির (জাফর) এর প্রয়াত চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল (রবিবার) তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আমাদের দল দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে, কিন্তু ‘অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ সরকার তাকে ক্ষমতায় থাকার প্রধান বাধা বলে মনে করে তাতে কর্ণপাত করছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই কর্মসূচি থেকে আমিও তার (নিঃশর্ত) মুক্তি দাবি করছি।’
এর আগে রবিবার রাতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা ও কিছু মেডিকেল টেস্টের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড তার পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছে। ‘তার পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য তার আরও কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।’
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
তার পরিবার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে একটি উন্নত কেন্দ্রে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা দিয়েছে। কিন্তু সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ তিনি দুটি মামলায় দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
সরকার জনগণের ঐক্যে ভীত
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের ‘দুঃশাসনের’ কারণে জাতি এক সংকটময় সময় পার করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে গণতন্ত্র ও সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেশকে ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদীতে পরিণত করেছে।
ফখরুল বলেন, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করেছে এবং সর্বত্র জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে এতে অংশ নিচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আন্দোলনকে ভয় পেয়ে সরকার আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের আমাদের নেতাকর্মীদের ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাতে দিয়েছে।’
এছাড়া বিএনপি নেতা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুঁড়ছে, হামলা চালাচ্ছে, বহু মানুষ আহত হচ্ছে। ‘এটি আবারো সরকারের ভয়ানক সন্ত্রাসী চেহারা উন্মোচিত করেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকারের সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে জনগণ একটি দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলেছে। জনগণের এই ঐক্য সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে।’
আরও পড়ুন: বিকালে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
সরকারের পতনই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য: ফখরুল
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রবিবার আবারও রাজনাধীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান। এরপরই চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার গণমাধ্যম শাখার সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কিছু মেডিকেল টেস্ট করতে পরামর্শ দিয়েছে তার মেডিকেল বোর্ড।
পড়ুন: খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড আশা করছে সোমবার তার পরীক্ষার ফলাফল দেখে পরবর্তী চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিবেন।
খালেদা জিয়া হাসপাতালের কেবিনে আছেন বলেও জানান জাহিদ।
ছয়দিন আগেও তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
এর আগে ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনায় এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
সমঝোতার ভিত্তিতে ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ
২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
রবিবার মন্ত্রণালয়টির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাওয়া টিম স্বীকার করে যে তারা আইনের বিধান সম্পর্কে অবগত ছিল না । তাই সিনেমার পরিচালকের আপোষ নিষ্পত্তি করার আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন্যপ্রাণী অপরাধ প্রতিরোধ ইউনিটের করা মামলাটি প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হাওয়া’র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের আপিল গ্রহণ করেন।
যেহেতু মামলাটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৩ এবং সিআরপিসি’র ২৪৮ ধারা অনুযায়ী জটিলতাপূর্ণ, আপিল জমা দেয়া হয়েছিল।
আদালত আপিলের শুনানি করে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি দেখে গত ১৭ আগস্ট বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা মামলাটি করেন।
২২ আগস্ট, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের জন্য হাওয়া চলচ্চিত্রের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইনি নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশে সিনেমাটির লাইসেন্স প্রত্যাহার এবং শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বিশ্বব্যাপী এর প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা উচিত বলেও জানানো হয়েছে।
উপরন্তু, ভবিষ্যতে কোন সিনেমাকে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র দেয়ার আগে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে চলচ্চিত্রটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন-২০১২-এর কোনও ধারা লঙ্ঘন করে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিনেমায় ট্রলারে শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে পাখিটিকে মেরে খেয়ে ফেলা হয়।
এছাড়া সিনেমাটিতে বেশ কিছু দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন, ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এর ফলে মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় বন্দি ও নিধনে উৎসাহিত হবে।
এই দৃশ্য প্রচারের জন্য বন বিভাগ থেকে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি, বিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
বিকালে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রবিবার আবারও রাজনাধীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নেয়া হবে। ছয়দিন আগেও তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে আজ (রবিবার) বিকালে ম্যাডামকে কিছু পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে। এ বিষয়ে হাসপাতালে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
এর আগে ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ম্যাডামকে কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তিনি ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং আরও কিছু রক্ত পরীক্ষা করিয়েছেন।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, খালেদার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ফলোআপ টেস্ট করার কথা ছিল, যা প্রায় ১০ সপ্তাহ আগে ১১ জুন করা হয়েছিল।
জাহিদ বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে এটা করতে পারিনি, তাই, জরুরি ভিত্তিতে নিয়মিত চেক-আপ হিসাবে আজ (সোমবার) তাকে ওই পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। কিছু পরীক্ষা আজ করা হয়েছে এবং কিছু পরীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করার পর করা হবে।’
বুধবারের মধ্যে সব পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এই চিকিৎসক।
জাহিদ বলেন, এ লক্ষ্যে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়া তার বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সর্বশেষ পরীক্ষার রিপোর্ট পরীক্ষা করে তার চিকিৎসার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।
জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার লিভার, ফুসফুস, বাত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ আরও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ড আবারও মত দিয়েছে যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের একাধিক দীর্ঘস্থায়ী রোগ ও স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে বিদেশে একটি উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে তার চিকিৎসা খুবই জরুরি।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন গুলশানের বাসা থেকে বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান এবং ডাক্তারি পরীক্ষা করান। তিনি সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বের হন এবং সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে তার বাসায় পৌঁছান।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিভিন্ন রোগে ভুগছেন
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
চিকিৎসকরা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আজ (সোমবার) বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজ (সোমবার) বিকাল ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
চিকিৎসকরা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
বোন ও নাতনির সঙ্গে ঈদের দিন কাটাবেন খালেদা জিয়া
বোন সেলিনা ইসলাম ও নাতনি জাহিয়া রহমানসহ নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে গুলশানের বাসায় ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
ঈদের দিন দুপুরে রান্না করা খাবার নিয়ে খালেদার বাসায় যাবেন সেলিনা। সন্ধ্যায় তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে সেলিনা ইসলাম বলেন, তার বোন এখনো অসুস্থ এবং তাকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফলে, আমরা যখনই ইচ্ছা তার সাথে সরাসরি দেখা করতে পারি না। যেহেতু আগামীকাল (রবিবার) ঈদ, আমি তার বাসায় যাব এবং তার সাথে দিনটি কাটাব।’
সেলিনা জানান, খালেদার নাতনি জাহিয়া, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ছোট মেয়েও তার সঙ্গে ঈদের দিন কাটাবেন।
তিনি বলেন, তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার এবং তার দুই ছেলের শাশুড়িসহ আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৩ দিন থাকার পর গত ২৪ জুন নিজ বাসভবনে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ১০ জুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার