খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩২ জেলায় বিএনপির সমাবেশ
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারকে বাধ্য করতে ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩২ জেলায় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি।
বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দল ও সহযোগী সংগঠনের যৌথসভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আমরা জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কর্মসূচি ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবং ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিএনপির
বিএনপি নেতা জানান, জনসভা সফল করতে সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে বিভিন্ন টিমও গঠন করেছেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটি ২২, ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন ছয়টি সমাবেশ করবে এবং ২৮ ও ৩০ ডিসেম্বর প্রতিদিন সাতটি সমাবেশ করবে।
২২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ, যশোর, বগুড়া, দিনাজপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয়টি জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এইদিন টাঙ্গাইলে সমাবেশে বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।
এর আগে একই দাবিতে সারাদেশে মানববন্ধন, গণঅনশন, সমাবেশ ও ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঢাকা দক্ষিণ মহানগরের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তর মহানগরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে সব দায় সরকারকে নিতে হবে: বিএনপি
খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি বুধবার
১৫ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন নিয়ে জারি করা রুল এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাকিলা রওশন ও অ্যাডভোকেট সাগুফতা আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সকল নথি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি বলেন, খালেদা জিয়া বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন সময়ে জন্মদিন পালন করেছেন। তার জন্মদিন সংক্রান্ত পাসপোর্ট অফিস, নির্বাচন কমিশন, ম্যারিজ সার্টিফিকেট, এভারকেয়ার হাসপাতালের ভর্তির ফরম, মেট্রিকুলেশনের সার্টিফিকেটের তথ্য আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আগামীকাল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে।
গত ৩১ মে যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ১৩ জুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে কী কী তথ্য আছে তা জানতে চান হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পাসপোর্টসহ জন্ম তারিখ সংক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কাছে থাকা সব নথিপত্র তলব করেন আদালত।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে: ফখরুল
দুই মাসের (৬০ কার্যদিবস) মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে এসব নথিপত্র দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে জাতীয় শোক দিবসকে অবমূল্যায়ন ও ক্ষুন্ন করতে ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিনে জন্মদিন পালন করায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রিটের শুনানিতে নাহিদ সুলতানা যুথী আদালতে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন করছেন বেশকিছুদিন ধরেই। অথচ আমরা নথিপত্র থেকে দেখতে পাচ্ছি, তার একাধিক জন্ম তারিখ। তার এসএসসির নম্বরপত্রে জন্মতারিখ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬। কাবিননামায় জন্মতারিখ লেখা রয়েছে ৯ আগস্ট, ১৯৪৪। ২০০১ সালে নেয়া পাসপোর্টে জন্মতারিখ ৫ আগস্ট, ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তার করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্মতারিখ লেখা আছে ৮ মে, ১৯৪৬। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের দিন জাতীয় শোক দিবসেও জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। এটা করা হচ্ছে জাতীয় শোক দিবসকে অবমূল্যায়ন করতে।
তিনি বলেন, একজন মানুষের কয়টি জন্মদিন থাকতে পারে? তিনি(খালেদা জিয়া) একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তারতো এভাবে একাধিক জন্মদিন পালন করার কথা নয়।
এসময় আদালত বলেন, আমার যতটুকু মনে পড়ে, এই ঘটনায় একটি সিভিল মামলা হয়েছিল। বিচারপতি মোমতাজউদ্দিন হয়তো কোনো আদেশ দিয়েছিলেন। হয়তো সেই সিভিল মামলাটি বিচারাধীন। তাই একই ঘটনায় রিট আবেদন করার সুযোগ আছে কীনা? জবাবে নাহিদ সুলতানা যুথী বলেন, অবশ্যই সুযোগ আছে। কারণ এরসঙ্গে জনস্বার্থ জড়িত। সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী একাধিক জন্মদিন পালন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। বহির্বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, সিভিল মামলায় রুল বিচারাধীন থাকলেও আদালত একটি রুল দিয়ে বিস্তারিত শুনতে পারেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
এসময় আদালত বলেন, এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্টরা কি উদাসীন? তারা কেন নিষ্ক্রিয়? সরকার যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তবে আদালতের করার কি আছে? এসময় আরেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, প্রকৃত জন্ম তারিখে তা পালন করুক। কিন্তু তারতো জন্ম তারিখ একাধিক। এসএসসি, বিবাহ নিবন্ধন, পাসপোর্টে একাধিক জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে। সর্বশেষ করোনা সনদে আরেকটি তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, একেক দিন জন্মদিন পালন করায় বিশাল জনগোষ্ঠী সংক্ষুব্ধ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার প্রতি অনেক উদারতা দেখিয়েছি: শেখ হাসিনা
খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় ফখরুল বলেন, আমাদের চেয়ারপার্সন গুরুতর অসুস্থ, দেশে তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে চায় না। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে রাজি হচ্ছে না। কারণ তারা তাকে প্রচণ্ড ভয় পায়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, মানুষ রাস্তায় নামছে। আমরা বিশ্বাস করি আরও বেশি লোক আমাদের আন্দোলনে শামিল হবে। এবং আমরা অবশ্যই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে সরকারকে বাধ্য করতে আরও জোরদার আন্দোলন করতে পারব।
এসময় খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য জনগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে রাস্তায় নামার জন্য পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য `অপ্রত্যাশিত’: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, দলের বর্তমান আন্দোলন শুধু খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নয়। এটি সমগ্র জাতির মুক্তির আন্দোলন।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ‘দুঃশাসনের’ মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জাতির সকল অর্জন ধ্বংস করছে।
তিনি বলেন, এজন্য আমাদের এই ফ্যাসিবাদী, ভয়ংকর দানব আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের সঙ্গে একজোট হয়ে শক্তিশালী আন্দোলন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না আশা প্রকাশ করে বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ তার জন্য দোয়া করছেন। আশা করছি খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে মানুষের মাঝে ফিরে আসবেন। তবে আমি আপনাদের (বিএনপি) তার (খালেদার) চিকিৎসা ও মুক্তির জন্য যে আন্দোলন শুরু করেছেন তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
মান্না আরও বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় থাকার বাধা হিসেবে বিবেচনা করে বলেই, তাকে বিদেশে যেতে দিতে চায় না।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দিলে কোটি মানুষ রাজপথে নামবে: ফখরুল
খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার’ ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
মুরাদের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা, শুনানি ১৫ ডিসেম্বর
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে সিলেটে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেম মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
রবিবার সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিলেটের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর আক্তার খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। একই দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায় সংগঠনটি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মুরাদ হাসানের কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল ভাষায় নারী বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের কারণে বিচার চেয়ে এ মামলা করা হয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মুরাদ হাসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘জারজ’ আখ্যা দেন এবং তারেকের মেয়ে জাইমা রহমান প্রতি রাতে একজন কালো মানুষের সঙ্গে ছাড়া ঘুমাতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও ও ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে তিনি অভিনেত্রীকে ‘অপমানজনক মন্তব্য’, হুমকি এবং অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: কানাডা ও আমিরাতে ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরলেন মুরাদ
মুরাদের বিরুদ্ধে খুলনায় মামলার আবেদন, শুনানি মঙ্গলবার
মুরাদের বিরুদ্ধে খুলনায় মামলার আবেদন, শুনানি মঙ্গলবার
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও ইউটিউবার মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের (নাহিদ রেইন্স) বিরুদ্ধে খুলনায় করা মামলা গ্রহণ করেছেন আদালত। এছাড়া এ মামলার আবেদনের শুনানির দিন মঙ্গলবার ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, খুলনার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোল্লা গোলাম মওলা এ মামলার আবেদন করেন।
অভিযোগে বলা হয়, সিবিএমের উপস্থাপক নাহিদের নেয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ভাষায় নারী বিদ্বেষী বক্তব্য দেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আনিসুর রহমান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী দিপন কুমার মন্ডল জানান, আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মুরাদ হাসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘জারজ’ আখ্যা দেন এবং তারেকের মেয়ে জাইমা রহমান প্রতি রাতে একজন কালো মানুষের সঙ্গে ছাড়া ঘুমাতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও ও ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদের দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে তিনি অভিনেত্রীকে ‘অপমানজনক মন্তব্য’, হুমকি এবং অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
মুরাদের বিরুদ্ধে এবার চট্টগ্রামে মামলার আবেদন
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে চট্টগ্রামের আদালতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও ইউটিউবার মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের (নাহিদ রেইন্স) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার।
এ বিষয়ে পরে শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম আদালতের সাবেক পিপি ও আইনজীবী মোহাম্মদ এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ‘জাইমা রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ১ ডিসেম্বর মুরাদ ও নাহিদ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে অপমান, অপদস্ত ও হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল এবং নারীবিদ্বেষী ভিডিওটি প্রকাশ ও প্রচার করেছেন।’
‘যা সার্বিকভাবে জিয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক।’
এর আগে একই অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলার আবেদন এবং সিলেটে মামলা করা হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মুরাদ হাসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘জারজ’ আখ্যা দেন এবং তারেকের মেয়ে জাইমা রহমান প্রতি রাতে একজন কালো মানুষের সঙ্গে ছাড়া ঘুমাতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে তিনি অভিনেত্রীকে ‘অপমানজনক মন্তব্য’, হুমকি এবং অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
কানাডার পর দুবাইয়ে প্রবেশেও বাধা, আজ দেশে ফিরতে পারেন মুরাদ
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য `অপ্রত্যাশিত’: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য `অপ্রত্যাশিত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ এবং তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার যে চিকিৎসা দরকার তা দেশে সম্ভব নয়। তাকে আর বিলম্ব না করে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানো দরকার।’
বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল এ সব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ স্মৃতি পরিষদ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যিনি ক্ষমতা দখল করে দেশ চালাচ্ছেন, তিনি (খালেদার প্রতি) এত মানবিকতা দেখিয়েছেন! আর কী করার বাকি আছে? - তার কাছ থেকে এটি শোনা দুর্ভাগ্যজনক। একটি সভ্য দেশের একজন নেতার কাছ থেকে এটি আশা করা যায় না।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়ার সংগ্রাম এবং গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য তার দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা স্মরণ করে ফখরুল অভিযোগ করেন যে তাদের নেত্রীকে এখন তার জীবন বাঁচানোর জন্য উন্নত চিকিৎসা নিতে দেয়া হচ্ছে না।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে অনেক উদারতা দেখানো হয়েছে, যদিও সবসময়ই তার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ক্ষতি করা।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দিলে কোটি মানুষ রাজপথে নামবে: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা আমাদের কাছ থেকে আর কী আশা করে? আমরা তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি এবং তাকে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা কি যথেষ্ট নয়? এটা কি বিরাট উদারতা নয়? মানবিক কারণেই নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকতে ও চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন তিনি (খালেদা) দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আবেদন বিবেচনা করবেন।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসায় আইন নয়, সরকার বাধা: ফখরুল
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার দ্রুত বিদেশে যাওয়া দরকার: ফখরুল
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কিছুদিনের মধ্যেই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেছেন, বিএনপি'র ১৫ জন আইনজীবী তাঁর সাথে দেখা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে এই উপমহাদেশের কোন আদালতে কোন নজির আছে কিনা তিনি সেটা খতিয়ে দেখছেন। এখনো তা শেষ হয়নি, প্রায় শেষ প্রান্তে। কিছুদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
তবে তিনি এ ব্যাপারে এও বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তি হয়ে থাকে, সেই দরখাস্তকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার কোন 'স্কোপ' নাই। তার এই আইনি ব্যাখ্যাই সঠিক।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্য ‘আইনি উপায়’ খোঁজা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া এখন মুক্ত, তিনি সরকারি হেফাজতে নেই: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার প্রতি অনেক উদারতা দেখিয়েছি: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকতে এবং বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি দিয়ে অনেক উদারতা দেখানো হয়েছে, যদিও সবসময়ই তার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ক্ষতি করা।’
বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন,‘তারা আমাদের কাছ থেকে আর কী আশা করে? আমরা তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি এবং তাকে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা কি যথেষ্ট নয়? এটা কি বিরাট উদারতা নয়? মানবিক কারণেই নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকতে ও চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন তিনি (খালেদা) দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক কাটা অর্থ কী? এদিন যারা বাবা-মা, ভাই ও সন্তানদের হারিয়েছেন,এটা শুধু তাদের কষ্ট দেয়ার জন্য; তাই না? খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন। যদি তাই হয়,তাহলে তারা কীভাবে আমার কাছ থেকে আরও বেশি আশা করতে পারে?’
আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, ‘এই জন্মদিন ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিভিন্ন নথিতে তার জন্মদিন হিসেবে আরও বেশ কয়েকটি দিনের উল্লেখ করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আবারও রক্তক্ষরণ হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবারও রক্তক্ষরণ হওয়ার তার অবস্থার অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (মঙ্গলবার) হাসপাতালে গিয়েছি। সব চিকিৎসক ছিলেন। তার (খালেদা) অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। তার আবারও রক্তক্ষরণ হয়েছে।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপিপন্থী শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, চিকিৎসকরা স্পষ্টভাবে বলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন বাঁচাতে দেরি না করে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশের কোনো উন্নত হাসপাতালে পাঠানো জরুরি। ‘তিনি আইসিইউতে আছেন এবং তার অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চিকিৎসকরা তাকে প্রতি মুহূর্তে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করছেন।
আরও পড়ুন: শনিবারের মধ্যে খালেদাকে বিদেশ যেতে না দিলে আন্দোলন: বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন সরকার বাতিল করেছেন।
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট দ্রুত নবায়নের পদক্ষেপ নিতে এবং চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘অন্যথায় তার অবস্থা যদি আবারও খারাপ হয় কিংবা তার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটে তাহলে আপনারা দায়ী থাকবেন।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আবেদন বিবেচনা করবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দিলে কোটি মানুষ রাজপথে নামবে: ফখরুল
খালেদা জিয়ার জন্য ‘আইনি উপায়’ খোঁজা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী