লালমনিরহাট
তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানীতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের পাশে দোয়ানী এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মালেক (৪২) গড্ডিমারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দোয়ানী এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে।
আরও পড়ুন:শাহরাস্তিতে নারীকে কুপিয়ে হত্যা
লালমনিরহাট সিনিয়ন সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) তাপস সরকার জানান, আব্দুল মালেক বাড়ির সামনে একটু অন্ধকারে একা বসেছিলেন। এ সময় পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে আব্দুল মালেকের পরিবারের সাথে কথা বলে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন: কাঁটাতারে বাঁধা শিক্ষক-শিক্ষার্থী!
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নামে ‘ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড’ সাইনবোর্ড লাগিয়ে কাঁটাতারে দিয়ে ঘিরে ফেলায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী শৌলমারী ও কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঝুকিঁ নিয়ে কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। শুধু শিক্ষকরাই নন, শিক্ষার্থীসহ শৌলমারী চরে বসবাসকারী মানুষজনও এ অবস্থায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এনিয়ে তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে তিস্তা চরবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: মামলা জটিলতায় স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ, ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
সংশ্লিষ্টরা জানান, তিস্তা নদীতে শৌলমারী চরে অবস্থিত কালিকাপুর ও শৌলমারী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যায়লের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপজেলা শহর থেকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। কিন্তু বিদ্যালয়ের যাওয়া একমাত্র রাস্তাটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নামে ‘ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড’ সাইনবোর্ড লাগিয়ে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। ফলে কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।
এছাড়া এই রাস্তা দিয়েই মূলত চরবাসীর যোগাযোগ উপজেলার শহররের সাথে। সরকারিভাবে প্রতিবছরই রাস্তাটি মেরামত করা হয় বলেও জানান স্থানীয়রা। অথচ সেই রাস্তাটিও দখলে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শৌলমারী চরে শিক্ষার আলো জ্বালানোর দায়িত্বে যেসব শিক্ষক রয়েছেন তাদের প্রায় সবার বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের আশপাশে। প্রতিদিন স্কুলে যেতে প্রথমে নৌকা যোগে পরে দীর্ঘ পথ হেটেঁ শৌলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছতে হয় তাদের। কিন্তু নদীর ঘাট থেকে যে রাস্তাটা সরাসরি গিয়ে স্কুলে ঠেকেছে, সেটি যে কাঁটাতারে ঘিরে ফিলবে বেসরকারি কোন কোম্পানি তা হয়তো জানা ছিল না তাদের। তাই বাধ্য হয়ে কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে স্কুল যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।
আরও পড়ুন: হাতছানি দিয়ে ডাকছে রূপবতী ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’
শৌলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইতি মনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা দিয়েই স্কুলে যাওয়া আসা করছি। এখন সেই রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় বাধ্য হয়েই কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। একজন নারী শিক্ষক হয়ে ওই কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে যাতায়াত কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো মুশকিল। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।’
লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই কিশোরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি নাউখৈয়া দিঘির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলো উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি গ্রামের মিঠুর রহমানের ছেলে সিয়াম (১৩) ও মজিবর রহমানের ছেলে মাহিম (১৪)।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুন্দ্রাহবি বিলের একটি মাছের প্রকল্পে গোসল করতে নামে চার কিশোর। এ সময় সেখানে থাকা বালুতে তলিয়ে যায় তারা। পরে দুজন উঠে আসতে পারলেও সিয়াম ও মাহিন পানিতে তলিয়ে যায়। আশাপাশের কয়েকজনের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে অনেক খোঁজাখুঁজি করলে তাদের না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। প্রায় এক ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর তাদের মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার রায় বলেন, দুই কিশোরকে হাসপাতালে আনার আগেই তারা মারা গেছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘মাছের প্রজেক্টে বালু থাকায় সেখানে তারা তলিয়ে গেছে। এ বিষয় কেউ এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর মানিকদিয়ায় নৌকা ডুবে যুবকের মৃত্যু
মাগুরায় বন্যার পানিতে রাস্তা ডুবে জনদুর্ভোগ চরমে
গোলাপগঞ্জে পানিতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু
গুলিতে নিহত দুই যুবকের লাশ ৪ দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ
লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশি যুবকের লাশ চারদিনেও ফেরত দেয়া হয়নি।
লাশ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় নিহত ইউনুস আলীর বাবা বুলবুল মিয়া, মা রাবেয়া বেগম, স্ত্রী আন্জু বেগম ও বোন বুলি খাতুন চার দিন ধরে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে যাচ্ছে। কিন্তু কবে বা কখন তারা লাশ ফেরত পাবেন এ নিয়ে কিছুই বলছেন না বিজিবি, এমন অভিযোগ তাদের।
এদিকে লাশ ফেরতের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকার নিহত দুই বাংলাদেশি যুবকের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তারা বন্দরের আমাদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন।
এর আগে গত রোববার ভোররাতে ওই উপজেলার বুড়িমারী বান্ধেরমাথা সীমান্তের ৮৪৩ নং মেইন পিলারের কাছে বিএসএফ’র গুলিতে সাগর ও ইউনুছ নামে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ওই সীমান্ত দিয়ে রোববার ভোরে ভারতীয় গরু পারাপার করতে যায় বাংলাদেশি কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের টহলদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। সাগর এবং ইউনুস গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বিএসএফ তাদের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে বলে জানা যায়। চার দিন অতিবাহিত হলেও বুধবার বিকাল পর্যন্ত লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
নিহত ইউনুসের বাবা বুলবুল মিয়া বলেন, আমার ছেলে যত বড়ই অপরাধী হোক তার লাশ পাওয়ার অধিকার তো আমাদের আছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের চার দিনেও আমি আমার ছেলের লাশ পাচ্ছি না।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ইউনুসের বোন বুলি খাতুন বলেন, চার দিন ধরে বিজিবি’র কাছে যাচ্ছি। তারা আমাদের কিছুই বলছে না। আমার কোনো কথাই শুনছে না।
বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘লাশ ফেতর নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনা হওয়ার পর বোঝা যাবে কবে বা কখন লাশ ফেরত পাওয়া যাবে। লাশ ফেরত পেলে আমরা তাদের পরিবারকে দিয়ে দেবো।’
আরও পড়ুন: শেরপুরে ‘বিএসএফের গুলিতে’ বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৯ আগস্ট) সকালে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তের ৮৪২ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাব পিলার এলাকার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড় গ্রামের বুলবুল হোসেনের ছেলে ইউনুস আলী (২৯) ও নীলফামারী জেলার জলঢাকা এলাকার সাগর (২৬)।
৬১ বুড়িমারী বিজিবি ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজনের একটি দল সীমান্তের ৮৪২ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাব পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে গরু আনতে যান। সেখান থেকে গরু নিয়ে ফেরার সময় ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জ থানার চ্যাংড়াবান্ধা এলাকার ১৪৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে সাগর ও ইউনুস গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে ভারতীয় সীমান্তবাসী মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ছবি তুলে বাংলাদেশি সীমান্তবাসীদের পাঠালে নিহতদের পরিচয় জানা যায়।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ভারতের দুইশ’ গজ অভ্যন্তরে দুই বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে বলে সীমান্তবাসীর মাধ্যমে জেনেছি।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটে বাংলাদেশি ২ যুবককে বিএসএফ’র মারধর
বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেয়া হয়েছে সব গেট
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বেড়েছে। তিস্তা অববাহিকায় আবারও প্লাবিত হয়েছে চরের নিম্নাঞ্চলগুলো।
শুক্রবার দুপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৬৮ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপরে। তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪ টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ওই দিন সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যায় তা কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত রবিবার দুপুরের পর থেকে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে থাকে। সন্ধ্যা ৬ টায় পানি ৫২.৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সোমবার দুপুরে তা কমে ৫২.৬৮ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মার পানি বৃদ্ধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
জানা যায়, তিস্তা ব্যরাজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলও ফের ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে আবারও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিঙ্গীমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী, চরবৈরাতী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চোরাহা, দক্ষিণ বালাপাড়া, কুটিরপাড়, চর গোবরধন এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
দোয়ানী-ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন বলেন, তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারত থেকে প্রচন্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এ কারণে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: তিস্তা-ধরলা পাড়ে ভাঙন, সরকারি ভাতার বদলে বাঁধ চায় এলাকাবাসী
লালমনিরহাটে বাংলাদেশি ২ যুবককে বিএসএফ’র মারধর
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা তিনবিঘা করিডোর গেটে দুই বাংলাদেশি যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকালে জয়নাল আবেদিন (৩২) ও আল মামুন (৪০) নামে দুই বাংলাদেশি যুবক করিডোর গেট দিয়ে ভুলবশত ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে গেলে তাদের রাইফেল দিয়ে মারধর করে ভারতীয় ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের তিনবিঘা ক্যাম্পের সদস্যরা।
এ ঘটনার জের ধরে বিজিবি এবং বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকের কারণে প্রায় ২ ঘণ্টা তিনবিঘা করিডোর গেট দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয়রা জানায়, তিনবিঘা করিডোরের ভিতরে দুই বাংলাদেশি যুবক ভুলবশত ভারতের অভ্যান্তরে ঢুকে পরে। এ সময় ভারতীয় ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের তিনবিঘা ক্যাম্পের সদস্যরা ওই দুই যুবককে রাইফেল দিয়ে মারধর করে। বিএসএফ’র নির্যাতনে আহত ওই দুই যুবক স্থানীয় বিজিবি’র কাছে অভিযোগ করেন। বিজিবি’র সদস্যরা তাৎক্ষণিক এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। পরে তিনবিঘা গেট সম্মুক্ষে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনবিঘা করিডোর গেট দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা চলাচল বন্ধ থাকে। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র দুজন কোম্পানী কমান্ডার বাংলাদেশিকে মারধরের ঘটনায় বিজিবি’র কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
৫১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছি। বৈঠকে বাংলাদেশি দুই যুবককে মারধরের ঘটনায় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশসহ এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বিএসএফের ধাওয়ায় নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটে করোনায় ইউপি সচিবের মৃত্যু
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ওবায়দুল হকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত ওবায়দুল হকের বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নে। তিনি প্রায় এক বছর ধরে ওই ইউনিয়নে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন বিএনপি নেতা রুহুল আমিন চৌধুরী
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চলবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৬ জুলাই অসুস্থ হয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হন ইউপি সচিব ওবায়দুল হক। পরে তার শরীরের অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন করোনা উপসর্গ দেখা দিলে রবিবার ভোরে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন জাপা মহাসচিবের ভাই শিল্পপতি হাসান মাহমুদ
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, হাসপাতালে থাকাকালীন তার শরীরে করোনা উপসর্গ ছিল।
‘রাজার’ মালিক এখন বাদশা
রাজাকে কিনেছেন বাদশা! কাকতালীয়ভাবেই বাদশা এখন রাজার মালিক। রাজা-বাদশার গল্প শুনে একটু অবাক হচ্ছেন তো? আসলে এই রাজা একটি ষাঁড়ের নাম। রাজার মতো চলাফেরা তার। তাইতো মালিক আদর করে তার নাম রেখেছেন রাজা । আর ক্রয়সূত্রে বাদশাই এখন রাজার মালিক। রাজার দাম পাঁচ লাখ হাঁকলেও বাদশা এটি চার লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনেছেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বারাজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা জুঁই তিন বছর ধরে ষাঁড়টি পালন করে আসছিলেন। গত কোরবানির ঈদে রাজার দাম উঠেছিল তিন লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
প্রতিবছর ঈদুল আজহা আসলেই দৈহিক আকৃতি ও দামের কারণে কিছু কিছু গরু আলোচনায় আসে। এদের আকর্ষণীয় নামও দেয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দৈহিক আকৃতির কারণে এবারের আলোচিত ষাঁড় হলো রাজা। এর উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট। ওজন ২৩ মণ। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি কালো রঙের।
আরও পড়ুন: চাঁদা না দেয়ায় ফেনীতে গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে ‘হত্যা’
রাজার আগের মালিক জাকিয়া সুলতানা জুঁই জানান, ষাঁড়টি বড় করার ক্ষেত্রে তিনি স্বাভাবিকভাবে খড়, বুট ও ছোলার ভুসি, গম, চিটাগুড়, ভেজানো চাল, খৈল, নেপিয়ার ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবারই দিয়েছেন। মোটাতাজা করতে বিশেষ কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেননি। করোনার সময় না হলে ষাঁড়টির দাম আরও বেশি হতো বলে মনে করেন জাকিয়া।গরু ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া জানান, ঢাকার এক মহাজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি এটি কিনেছেন। গাড়ি পেলে ষাঁড়টি ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ড্রাগন ফল চাষে ‘আবু তালেবের’ সাফল্য
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি এ ষাঁড়টির ব্যাপারে জানেন। অফিস থেকে ষাঁড়টির সার্বিক খোঁজ-খবর রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি ষাঁড়টির মালিককেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। করোনা না থাকলে ষাঁড়টির মূল্য আরও বেশি হত।
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সুভল চন্দ্র (৩৪) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিসতলী সীমান্তের মেইন পিলার ৯২০ এর সাব পিলার ৮ এর কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় লাশ আটকে রেখে টাকা দাবি, মর্গের সামনে বাবার আহাজারি
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, সুভল চন্দ্র ভেলাবাড়ী দুলালী সীমান্ত দিয়ে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দলের সঙ্গে ভারতের হিজলতলা গ্রাম দিয়ে গরু আনতে যান। ভোরে সবাই মিলে গরু নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করলে বিএসএফ ৭৫ ব্যাটালিয়নের রানীনগর ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় সবাই পালিয়ে আসে। তবে ঘটনাস্থলে সুভল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এছাড়া আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী
ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার রজব আলী বলেন, ঘটনার পর থেকে বিএসএফ বাংলাদেশ থেকে চার গজ দূরে ভারতের ভেতরে লাশটি ঘিরে রেখেছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল আলম বলেন, সীমান্তের তিনশ’ গজ ভারতের অভ্যন্তরে একটি লাশ পড়ে রয়েছে বলে জেনেছি।বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদসহ পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পাটখেতে নারীর গলাকাটা লাশ, ধর্ষণের অভিযোগ