লালমনিরহাট
লালমনিরহাটে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাটে বজ্রপাতে রসুল মিয়া নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রসুল মিয়া রাসেল (২১) ওই গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
নিহতের পরিবার জানায়, সকালে নিজ ঘর হতে টিউবওয়েলে পানি আনতে যায় রসুল মিয়া রাসেল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে সেখানে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাসেলের।
পরে রাসেলের পরিবারের লোকজন তাকে টিউবওয়েলের পাশ থেকে ঘরে নিয়ে আসে। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে দেখালে তিনি রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে নিহত ৩
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে জেলার বুড়িমারী মহাসড়কে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের বিদ্যুৎ স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাংবাদিক ইউনুস আলী (৪৫) হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি সময়ের কন্ঠস্বর ও স্বদেশ প্রতিদিন নামে দু’টি পত্রিকার লালমনিরহাট প্রতিনিধি এবং লালমনিরহাট জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের সংবাদ পরিবেশন শেষ করে মোটরসাইকেলে হাতীবান্ধা ফিরছিলেন সাংবাদিক ইউনুস আলী। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বুড়িমারী থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক ধাক্কা দিলে ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ দিকে এ ঘটনার বিচার ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের দাবিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলেই মহাসড়ক অবরোধ করেন ইউনুস আলীর সহকর্মী সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে এক মাস ধরে বিদ্যুৎবিহীন ৮ হাজার গ্রাহক
কুড়িগ্রামের নারায়ণপুর ও যাত্রাপুর ইউনিয়নে প্রায় এক মাস ধরে বিদ্যুৎবিহীন আছেন পল্লী বিদ্যুতের আট হাজার গ্রাহক।
সংযোগ থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সাংসারিক কাজকর্ম ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব মানুষের বাড়িতে কুপিই (বাতি) এখন শেষ ভরসা।
কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, নাগেশ্বরীর মাদারগঞ্জ এলাকা থেকে চরাঞ্চলের দিকে স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এতে নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর এবং সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ক্যাবলে ত্রুটি চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তবে নদীর পানি বাড়তে থাকায় মেরামতকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন অফিস।
আরও পড়ুন: তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জের জনজীবন
নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আব্দুল মালেক বলেন, গত এক মাস ধরে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা খুবই ভোগান্তিতে পড়ছি। দোকানপাটে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছি না। সন্তানদের লেখাপড়ায় খুবই সমস্যা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নুর ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের কারণে সেচপাম্প বন্ধ। ধানখেতে পানি দিতে শ্যালো মেশিন সেট করছে অনেকে। এ ছাড়া, একটি মোবাইল চার্জ দিতে যেতে হয় সোলারের দোকান কিংবা জেনারেটরে। এসব জায়গায় মোবাইল চার্জ দিতে ২০-৩০ টাকা লাগে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, কুড়িগ্রামের জেনারেল ম্যানেজার মো. মহিতুল ইসলাম বলেন, সাবমেরিন ভূগর্ভস্থ লাইনে ত্রুটি থাকার কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। আমরা ত্রুটি শনাক্তের চেষ্টা করছি। নদীতে পানি বাড়ার কারণে কাজ দুদিন বন্ধ ছিল। আমারা আশা করছি পরশু থেকে আবারও কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় আবারও বাড়ছে লোডশেডিং
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ৩৫ সেন্টিমিটার।
অর্থাৎ বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
ব্যারেজ ও নদী তীরবর্তী মানুষেরা জানান, কয়েকদিন থেমে থেমে ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে পানি বাড়তে থাকে। সোমবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় উজানের ঢেউ বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।
নদীপাড়ের মানুষজন জানায়, পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
নিম্নাঞ্চলের আবাদকৃত ফসলের খেতে পানি উঠেছে। শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইতোমধ্যেই চরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মহিষখোঁচা ইউনিয়নের চর গোবর্ধন এলাকার মমিনুর রহমান বলেন, রাত থেকে পানি বাড়ছে তিস্তায়। নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের খেত রাস্তাঘাট ও পুকুর। নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
হলদি বাড়ি তিস্তা পাড়ের আমছার আলী বলেন, নদীতে পানি বাড়লেই চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে বন্যা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। রাত থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। ক্রমেই বাড়ছে পানি। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। পরিবার পরিজন নিয়ে মাচাংয়ের ওপর বসে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষদের। এসব এলাকায় শিশু বৃদ্ধ আর গবাদি পশুপাখি নিয়ে চরম বিপদে রয়েছেন তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলা বলেন, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সোমবার সকাল ৬টা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে তিস্তার তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা পাড়ে কৃষকের নির্ঘুম রাত কাটছে
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো ৩ জনের
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ধরলা নদীতে গোসল নেমে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
একই দিনে জেলার আদিতমারীর মহিষখোচায় পুকুরের পানিতে ডুবে ঝুমকি রানি নামের ২ বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো- উপজেলার বসুলগঞ্জ এলাকার রাসেল মিয়ার ছেলে নাহিদ আহামেদ রাফসান (১৩) এবং একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে মিসকাত (১২)।
নাহিদ আহমেদ পাটগ্রাম ইসলামী আদর্শ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও মিশকাত ওই একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, নাহিদ আহামেদ রাফসান ও মিসকাত ধরলা নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় তারা মাঝ নদীতে ডুবে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে পাটগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
একই দিনে জেলার আদিতমারীর মহিষখোচায় বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে ঝুমকি রানি নামের শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে ঝুমকি রানি পুকুরে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাছভর্তি বালতির পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
জামালপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুকন্যার মৃত্যু
লালমনিরহাটে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১০ দোকান
লালমনিরহাটের আলোরূপা মোড়ে আগুনে ১০ দোকান ও গোডাউনের মালামাল পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে টানা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫ বসতঘর
ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, তবে ততক্ষণে গোডাউন ও দোকানে থাকা অধিকাংশ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুতের তার থেকে মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. ওয়াদুদ হোসেন বলেন, আগুন লাগার পরপরই খবর পেয়ে সদর ও আদিতমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এক যোগে প্রায় দুই ঘণ্টা কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে।
তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তদন্ত শেষে জানানো হবে।
দোকান মালিকেরা বলছেন, আগুনে তাদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়ারীতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বসতঘর পুড়ে ছাই
লালমনিরহাটের পচা আম বিক্রি নিয়ে সংঘর্ষ, প্রাণ গেল বৃদ্ধের
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পচা আম বিক্রিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের সিরাজুল মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজিজার রহমান (৭৫) রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের ইচলির চর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইচলির চর গ্রামের আনারুল ইসলাম সিরাজুল মার্কেটে আম বিক্রি করেন। সোমবার (১০ জুলাই) তার কাছ থেকে আম কেনেন একই গ্রামের শামীম ও শাহীন। সেই আম পচা ছিল, যা নিয়ে ওইদিন ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে বিতর্ক হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কিশোর নিহত
এর জেরে মঙ্গলবার পুনরায় ক্রেতা-বিক্রেতার তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে গড়ায়। এ সময় আনারুল ইসলামকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে গেলে পাশের দোকানে বসে থাকা বৃদ্ধ আজিজার রহমান হামলার শিকার হন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, আম বিক্রি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাশে বসে থাকা বৃদ্ধ আজিজার রহমান নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৪
সুনামগঞ্জে মসজিদে দানের একটি কাঁঠাল নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ৩
লালমনিরহাটে তিস্তায় নৌকাডুবি, ৩ কৃষক নিখোঁজ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নৌকাডুবিতে তিনজন কৃষক নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী এলাকায় হাজীর মোড়ের পশ্চিম পাশে তিস্তা নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নৌকাডুবিতে নিহত ১০৩
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের ফজলু মিয়া (৬০), আহেদুল ইসলাম (৫৮) ও শফিকুল ইসলাম (৫৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১০ জন শ্রমিক একটি ডিঙি নৌকায় কাজের উদ্দেশ্যে তিস্তা নদী পাড় হওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় মাঝ নদীতে প্রবল স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়।
এতে অনেকেই সাঁতরে পাড়ে উঠলেও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, একটি নৌকায় ১০ কৃষক তিস্তার চরে যাচ্ছিলেন। নদীর মাঝখানে প্রবল স্রোতের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।
তিনি আরও বলেন, সেসময় স্থানীয়রা দ্রুত অন্য একটি নৌকা নিয়ে সাতজনকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৩
লালমনিরহাটে কলাগাছের ভেলায় করে বাংলাদেশি যুবকের লাশ পাঠালো ভারত
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে কলাগাছের ভেলায় করে গুলিবিদ্ধ এক বাংলাদেশি এক যুবকের লাশ পাঠিয়েছে ভারত। শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৭ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নং সাব পিলার এলাকা দিয়ে লাশটি পাঠানো হয়।
নিহত রফিকুল ইসলাম (২২) লালমনিরহাট সদর উপজেলার কর্ণপুর চওড়াটারী গ্রামের হায়দার পাগলার ছেলে।
বিজিবি ও সীমান্তবাসী জানান, শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোররাতে কুমারটারী সীমান্তের ৯২৭ নং মেইন পিলারের ৩নং সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে রফিকুল ইসলাম। এরপর দুপুরে তার গুলিবিদ্ধ লাশ কলাগাছের ভেলায় করে বাংলাদেশি সীমান্ত পাড় করে দিয়ে চলে যান একজন ভারতীয় নাগরিক। এরপর স্থানীয়রা মৃতের পরিচয় শনাক্ত করে।
ভারতে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কঠোর নজরদারীর কারণে এটা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন সীমান্তবাসী।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকালে দুর্গাপুরের দীঘলটারী গ্রামে একইভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের হাতে আটক হন দুইজন ভারতীয় নাগরিক। পরে বিকালে দুই দেশের পতাকা বৈঠকে ভারতীয়দের ফেরত দেন বিজিবি সদস্যরা।
বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় সীমান্তের ওপার থেকে একটি লাশ ভেসে এসেছে। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ভারতের নির্বাচনের কারণে এটি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ কৃষক আহত
তিস্তার পানি বাড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
তিস্তা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
বুধবার সংস্থাটি তার নিয়মিত বুলেটিনে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে। যা ৪৮ ঘণ্টার বেশি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: পানি বাড়ায় তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য কমলগঞ্জ পয়েন্টে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, খোয়াই ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি কমে যাচ্ছে এবং সোমেশ্বরী ও ধলাই নদীতে যা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলতে পারে।
সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন
তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন