লালমনিরহাট
কালীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তেঁতুল গাছ থেকে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের গোপালরায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আয়নাল মিয়া (৬৬) ওই এলাকার বাসিন্দা।
কাকিনা ইউনিয়নের গোপালরায় (৪ নং ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য আতাউজ্জামান রঞ্জ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিজের গাছ থেকে বিকালে তেঁতুল পাড়ার জন্য গাছে ওঠেন আয়নাল। এ সময় গাছ থেকে মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আয়নালকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাচোলে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
সাতক্ষীরায় বিজিবি সদস্যের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ভারতের ভিসা নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া সীমান্তে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- দোলাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মংলু (৩৬) ও একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে সাদিক (২২)।
বড়খাতা ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম জানান, বুধবার গভীর রাতে মংলু ও সাদিকসহ কয়েক বাংলাদেশি দোলাপাড়া সীমান্তে যান ভারতীয় গরু আনতে। ভারতীয়দের সহায়তায় গরু নিয়ে পারাপারের সময় কাঁটাতারের এপাড়ে থাকা বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই বাংলাদেশি।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত মংলু ও সাদিকের লাশ তাদের সহযোগীরা নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দোলাপাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের অভিযোগ
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫,৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে: বিএসএফ
লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৯ টায় নামুড়ী রেলস্টেশন এলাকায় জেলা থেকে ছেড়ে আসা করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে সাইফুদ্দিন আহমেদ (১৭) মৃত্যু হয়।
সাইফুদ্দিন উপজেলার বেগুনটারী এলাকার মোস্তাক মিয়ার ছেলে।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে নামুড়ী এলাকায় কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইনে বসে ফোনে গেম খেলছিল সাইফুদ্দিন। এ সময় লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাইফুদ্দিনের।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু
নাচোলে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শাহাদাত হোসেন (২৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর সকালে পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় সীমান্তের ৮৬৩ নম্বর মেইন পিলারের ৭ ও ৮ নম্বর সাব পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শাহাদাত হোসেন উপজলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আউলিয়ারহাট গ্রামের গাইবান্ধাপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে এবং পেশায় গরুর রাখাল।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় শাহাদাত হোসেনসহ বাংলাদেশি রাখালের দল পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় সীমান্তের ৮৬৩ নম্বর মেইন পিলারের ৭ ও ৮ নম্বর সাব পিলারর মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তারা ভারতের কুচবিহার জেলার মাথাভাঙা থানার আশাকবাড়ি গ্রামের মডিকলবাড়ী সেতু এলাকা দিয়ে গরু আনছিলেন। এসময় বিএসএফ ১৬৯ রাণীনগর ব্যাটালিয়নের চুয়াঙ্গারখাতা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়। এসময় বাকি রাখালরা পালিয়ে এলেও বিএসএফ শাহাদাতের লাশ নিয়ে যায়।
শাহাদাত হোসেনের বাবা ইদ্রিস আলী বলেন, বিএসএফের গুলিতে আমার ছেলে শাহাদাত মারা গেছে। ছবিতে দেখেছি, তার বুকে গুলি লেগেছে। ছেলের লাশ ফেরত চাই।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত পিলার থেকে ১২০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে একটি লাশ পড়েছিল। এ বিষয়ে বিএসএফের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি কৃষক
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ -এর নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের উত্তর গোতামারী সীমান্তে ৯০১ নং সীমান্ত পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সাদ্দাম হোসেন (৩২) একই ইউনিয়নের ভুন্টিয়ামঙ্গল এলাকার আছির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ওই সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে নির্যাতন করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএফ ধরে নেয়ার ৩দিন পর মিলল কৃষকের লাশ
গোতামারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোনাবেরুল হক মোনা জানান, তিনি লাশ দেখেছেন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস ও হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম নিহত সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, জানিয়েছেন স্থানীয়রা
পাটগ্রামে বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে বাংলাদেশি আহত
কালীগঞ্জে জলপাই গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে জলপাই গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সুকানদিঘী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা চলাকালীন দর্শকদের চাপে ছাদ ধসে যুবকের মৃত্যু
সিরাজুল ইসলাম (৪৫) ওই এলাকার মোনছার আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে জলপাই পাড়ার জন্য গাছে উঠেন সিরাজুল ইসলাম। এ সময় অসাবধানতাবশত তিনি নিচে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলবলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজু এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
লালমনিরহাটে জেএমবির ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে নাশকতা ও অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত। একই সঙ্গে আরেক জেএমবি সদস্যকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার(২১ নভেম্বর) দুপুরে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সাংটেপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম, পার্শ্ববর্তী সাহেবডাঙ্গা গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে আপেল মিস্ত্রি ও কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতীর হাফিজুর রহমানের ছেলে মোখলেছুর রহমান।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার, ১ জনের কারাদণ্ড
১৪ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন পাটগ্রাম উপজেলার মির্জারকোট এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে তফিজুল ইসলাম।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ আগষ্ট রাতে জেএমবি সদস্যরা পাটগ্রামের এমএম প্লাজা মার্কেটের সংলগ্ন একটি কাঠের ফার্নিচার দোকানে বৈঠক করেন। ওই সময় সেখানে রংপুর র্যাব-১৩ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় চারজন আটক হন। এ সময় দেহ তল্লাশি করে শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। এ ছাড়া এই তিনজনসহ একজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কয়েকটি ধারায় আরেকটি মামলা হয়। সেই মামলায় একজনকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা দায়রা জজ আদালতের (পিপি) আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, তারা মূলত সরকারকে উৎখাত করতে বিভিন্ন নাশকতার জন্য বৈঠক করছিল। এসব বিষয় সত্যতা পেয়ে তাদের তিনজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, জানিয়েছেন স্থানীয়রা
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের গুলিতে বুধবার সকালে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষতুলি গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে ওয়াসকুরুনী (৩২) ও সাদেক আলীর ছেলে আয়নাল হক (৩০)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, কৈমারী বটফর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা আজ ভোরে গবাদি পশু আনতে সীমান্ত এলাকায় যাওয়া ওয়াসকুরুনি ও আয়নালসহ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই ওই দুই জনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
পাটগ্রামে বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে বাংলাদেশি আহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি কৃষক
৪ জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
বগুড়া, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও জেলায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের বেঞ্চটি আগামী সাত দিনের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ওই সব জেলার জেলা প্রশাসকদের প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে পাশাপাশি আগামী দুই সপ্তাহের
মধ্যে অবৈধ ইটভাটার তালিকা তৈরি করে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধ’ করা অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩-এর অধীনে চার জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধে তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা তাদের কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না- এমন বিধান থাকা সত্ত্বেও সারাদেশে এগুলোর বিস্তার অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে এক দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ৬ নভেম্বর রিটটি দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অবৈধ ৫ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি, পরিবেশের ডিজিসহ ৫ ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
কালী পূজা: দুই বছর পর লালমনিরহাট সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা
কালী পূজা উপলক্ষে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বাউরা ইউনিয়নের মেচেরঘাট সীমান্তে মঙ্গলবার সকালে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা হয়েছে। ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উদ্যোগে দুই বছর পর এই মিলন মেলা হয়।
দুই বাংলার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার দু-পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সকাল সাড়ে ৯ টায় দীপালী রানী নামে এক নারীর তার খালাতো বোনের ছেলে জয়ধর বাবুর সঙ্গে দেখা হয়। দেখা হলেও ভাগ্নেকে জড়িয়ে ধরে আদর করেতে পারেননি তিনি। কারণ তাদের মাঝে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে কাঁটাতার।
ভাগ্নের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে দীপালী রানী জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় তার খালা-খালু ভারতে চলে যায়। সেই সময় ছোট খালা দুই বোনের সঙ্গে শেষ দেখা হয়। কয়েক বছর আগেও একবার খালাতো বোনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কিন্তু গত বছর তার সেই খালাতো বোন মারা গেলেও যেতে পারেননি তিনি। আজ তার ভাগ্নেদের কাছে পেলেও ছোঁয়ে দেখতে পারেননি।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই লক্ষ্মীপূজা, জমে উঠেছে প্রতিমা আর সোলার ফুল বিক্রি
দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের মেচেরঘাট সীমান্তে কালী পূজা উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে দুই বাংলার এ মিলন মেলা বসে।
শুধু দীপালী রানী নয়, তার মত শত শত মানুষ সীমান্তে ছুটে এসেছে রক্তের টানে। দীর্ঘদিন পর কাছের লোকজনদের দেখতে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে অনেকই প্রাণের টানে ছুটে এলেও আত্মীয়দের দেখা না পেয়ে মন খারাপ করেও ফিরে গেছেন।
মিলন মেলায় আসা সফিকুল ইসলাম ও রবিন্দ্র নাথ জানান, বছরে একটা দিন আমরা কালী পূজা উপলক্ষে আমাদের আপন জনের দেখা করার সুযোগ পাই, তা যেন অব্যাহত থাকে। আইনের জটিলতা দিয়ে যেন এ মিলন মেলা বন্ধ না হয়।
তারা আরও বলেন, বছরে এমন একটি মিলনমেলা আমাদের মানবিক পৃথিবী তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিউল হক মিরন বলেন, এ সীমান্তে প্রতিবছর কালী পূজা উপলক্ষে দুই বাংলার মিলন মেলা বসে। এতে অনেকেই তাদের পুরাতন আত্মীয় স্বজনের দেখা করতে পেয়ে বেশি খুশি মনে বাড়ি ফিরেন। এটা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পূজার ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রম শুরু