বাগেরহাট
বাগেরহাটে ছুরিকাঘাতে ভ্যানচালক খুন
বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক ভ্যানচালককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার হোচলা গ্রাম থেকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ভ্যানচালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই ভ্যানচালককে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।নিহত মধু বাকচী (৩৫) ওই গ্রামের মুকুন্দ বাকচীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন।নিহতের স্ত্রী সুমি রানী বাকচী জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার স্বামী রাতের খাবার খেয়ে ঘর থেকে বাইরে বের হয়। এর কিছু সময় পর তারা বাড়ির পাশে বাগানে চিৎকার শুনতে পায়। সেখানে ছুটে গিয়ে কয়েকজনকে দৌঁড়ে যেতে দেখে। এসময় তার স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাগানে পড়ে থাকতে দেখেন। উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি উদ্দেশ্যে তার স্বামীকে হত্যা করা হতে পারে তা জানাতে পারেননি সুমি রানী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শিশির বসু জানান, মৃত অবস্থায় মধু বাকচীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। মধু বাকচীর বুকের পাজর, গালার কাছে এবং কানের সামনে ধারলো অস্ত্রের আঘাতের তিনটি চিহ্ন রয়েছে।ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ন ম খায়রুল আনাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পারিবারিক কলহের জের ধরে ভ্যানচালক মধু বাকচীকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কি উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
দিনে ১২ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে বাগেরহাটে
বাগেরহাটে করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় ২৪টি বুথে প্রতিদিন ১২ হাজারে বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে বুথগুলোতে টিকা নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এপর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭০ জনকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ, সাত লাখ ১০ হাজার ৬০৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ১৭ হাজার ৮৮২ জনকে বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে জেলায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শতভাগ শিক্ষার্থী অর্থাৎ, এক লাখ ৫০ হাজার ৭৮২ জনকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়া জেলার ফকিরহাট উপজেলাকে শতভাগ করোনা টিকা গ্রহণকারী উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ১২ থেকে ১৭ বছরের শতভাগ শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন
তবে, বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আট জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। এপর্যন্ত বাগেরহাটে মোট সাত হাজার ১০১ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত মারা গেছে ১৪৪ জন।
এর পরেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। হাট-বাজারে মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে অর্থদণ্ড পর্যন্ত করা হলেও মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বাগেরহাট জেলায় মোট জনসংখ্যা ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৭ জন। জেলায় ১২ লাখ ২১ হাজার ১০৬ জনকে টিকা দেয়ার টার্গেট নেয়া হয়েছে। এজন্য জেলায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এপর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে ৬২ দশমিক ২৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে এক দশমিক এক শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফকিরহাটে শতভাগ মানুষকে টিকাদান
চট্টগ্রামে বস্তিবাসীদের টিকাদান শুরু আজ
শরণখোলায় অজগর উদ্ধার, সুন্দরবনে অবমুক্ত
বাগেরহাটের শরণখোলায় পুকুর থেকে একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের একটি পুকুর থেকে বন সুরক্ষা বিষয়ক ওয়াইল্ড টিম ও ভিটি আরটির সদস্যরা ওই অজগরটি উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় অজগরটিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় অবমুক্ত করে বন বিভাগ।
পুকুর থেকে উদ্ধার করা অজগরটির দৈর্ঘ ১০ ফুট এবং ওজন প্রায় ১০ কেজি।
স্থানীয়রা জানান, তারা উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের জীতেন গাইনের বাড়ির পুকুরে বিশাল আকৃতির ওই অজগরটিকে দেখতে পায়। এরপর ওয়াইল্ড টিম ও ভিটি আরটির সদস্যদের খবর দেয়। তারা এসে অজগরটিকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে ১৫ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. সামছুল আরিফিন জানান, ওই অজগরটি সুন্দরবন ছেড়ে ভোলা নদী পাড়ি দিয়ে লোকালয়ে আসে। পুকুর থেকে অজগরটি উদ্ধার করার পর সন্ধ্যায় সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, এক বছরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা এবং চাঁদপাই রেঞ্জ সংলগ্ন লোকালয় থেকে শতাধিক অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায়ই নদী-খাল পাড়ি দিয়ে অজগর লোকালয়ে আসছে।
ডিএফও বলেন, সুন্দরবনে অন্যান্য বণ্যপ্রাণীর সঙ্গে অজগরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে মাঝে মধ্যে অজগর এবং হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে আসছে। বন্যপ্রাণী লোকালয়ে এলে না মেরে বন বিভাগকে খবর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর শরণখোলা উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে বিশাল আকৃতির একটি অজগর উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২০ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
বাগেরহাটে এবার মিলল সাড়ে ছয়শ’ বছর আগের তৈজসপত্র!
বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থাপনা বিখ্যাত মুসলিম শাসক খানজাহান (র.) বসতভিটায় মিলেছে ছয়শ’ বছর আগের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বাগেরহাট ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে এই স্থাপনায় আবার খনন শুরু করেছে প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তর। খননের পর মাটির নিচ থেকে এবার বেরিয়ে এসেছে সুলতান ও মোগল আমলের বিভিন্ন তৈজপত্র।
এর আগে মাটির নিচ থেকে পঞ্চদশ শতকে নির্মিত খানজাহানের বাসভবনের বিভিন্ন কক্ষের ভিত্তি, প্রাচীর, গোলাকার কর্নার, বুরুজ (গুম্বজ), প্রাচীন রাস্তা, মুসলিম ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ পেইন্টিং ওয়্যার, স্টোন, ওয়্যার, পোরসোলাইন পাত্রের টুকরা ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ জানায়, ২০০১ সাল থেকে প্রায় ১০ একর আয়তনের ওই বসতভিটা খনন করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এর ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই অর্থবছরে পুনরায় খনন কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত খনন কাজ চলবে।
আরও পড়ুন: লাল বাঁধাকপি চাষ: বদলে দিয়েছে কৃষক বেলালের ভাগ্য
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর জানায়, ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো খানজাহান (র.) নির্মিত ষাটগম্বুজ মসজিদসহ ১৭টি স্থাপনা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। এর মধ্যে খানজাহানের বসতভিটা অন্যতম। বাগেরহাট সদরের সুন্দরঘোনা গ্রামে এই বসতভিটা খননের জন্য ১৯৯৭ সালে ৯ একর ৬৭ শতক জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। ২০০১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে খনন কাজ চলছে।
জমি নিয়ে বিরোধ: বাগেরহাটে কৃষককে কুপিয়ে জখম
বাগেরহাটের শরণখোলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে এক কৃষককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ গেছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সদরের চার রাস্তার মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই কৃষক হামলার শিকার হন।
আহত সুমন হালাদার (৩৫) উপজেলার উত্তর তাফাল বাড়ি গ্রামের আব্দুল হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক।
আরও পড়ুন: মসজিদের সামনে গান, বন্ধ করতে বলায় সভাপতিকে কুপিয়ে জখম
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাদিয়া নওরীন তাসনোভা জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় সুমন হাওলাদারকে চিকিৎসার জন্য তার স্বজনরা শনিবার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তার দুই হাত এবং বাম পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম: আ’লীগ নেতা আটক
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, সুমন হাওলাদারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইয়ের জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই বিরোধের জের ধরে তার হাত ও পা কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের ধরতে রাত থেকে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
তবে রবিবার সকাল ১০টায় পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে ওসি জানান।
বাগেরহাটে ১২ থেকে ১৭ বছরের শতভাগ শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন
সারাদেশে গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করতে হয় সে জন্য সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এছাড়া টিকা না নেয়া শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে। সরকারি এ ঘোষণা অনুযায়ী বাগেরহাট জেলার শিক্ষার্থীরা আগ্রহ চিত্তে করোনার টিকা নিয়েছেন। জেলার ৯টি উপজেলার ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের শতভাগ শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন।
বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, জেলায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী মোট এক লাখ ৩৬ হাজার ৬৫১ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার টার্গেট নেয়া হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত ওই বয়সের এক লাখ ৪১ হাজার ৩০৮ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর ফলে ১০৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চার হাজার ৬৫৭ জন ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী।
জেলার ১৪টি টিকাদান কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে টিকা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৬৯ জন শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ বকসী জানান, ৫ ডিসেম্বর থেকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হয়। টিকাদান কর্মসূচির জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। এখন দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, আমরা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় এনেছি। এখন জানুয়ারি মাসের মধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনতে প্রচেষ্টা চলছে।
বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, জেলার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, জেলায় ১৮ বছরের ওপরে ৩৩ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৫৩১ জন প্রথম ডোজ পেয়েছেন। বাকি তিন হাজার ৫৩১ জন অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন।
জেলা প্রশাসন সব শিক্ষার্থীকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসায় অভিভাবক ও শিক্ষক সকলেই খুশি। টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে নেয়া পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন তারা।
জেলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল জানান, তার বিদ্যালয়ের এক হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থীর সবাই প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে।
মঙ্গলবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রের সামনে দেখা যায়, লম্বা সারিতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা করোনার টিকার- ফাইজার- দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
অপ্রিতা মহন্ত নামে জেলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়,নিবন্ধন করে মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) পাওয়ার পর ৮ জানুয়ারি সে সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। এখন সে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় ডোজের জন্য সে অপেক্ষা করছে এবং ক্ষুদেবার্তা পেলেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার কথা জানায় এই স্কুলছাত্রী।
শেখ আসাদুজ্জামান নামে এক অভিভাবক জানান, তার ছেলে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। এক মাস আগে ছেলে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। বাবা হিসেবে তিনি সচেতন হওয়ায় ছেলেকে সময় মতো টিকা দিতে উৎসাহিত করেছেন। ছেলের দ্বিতীয় ডোজ টিকার জন্য মঙ্গলবার সদর হাসপতাল কেন্দ্রে এসেছেন তিনি।
অনিতা বিশ্বাস, কোহিনুর বেগম, সুলতানা খাতুন, দেবাশীষ পাল, মোহন আলীসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, ১০ থেকে ১২ দিন আগে তাদের ছেলে-মেয়েরা প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে। তারা নিয়মিত স্কুল-কলেজেও যাচ্ছে।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিমুক্ত থাকতে দ্রুত টিকা নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে অভিভাকদের মধ্যেও হতাশা কাজ করে। সরকারি নির্দেশনা মেনে তাদের ছেলে-মেয়েদের টিকা দেয়া হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় চালু থাকলে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে-এমটাই প্রত্যাশা তাদের।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, বাগেরহাটে মোট জনসংখ্যা ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা দেয়া হবে। সেই হিসাবে এ জেলায় ১২ লাখ ২১ হাজার ১০৫ জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে।
এখন পর্যন্ত মোট ১০ লাখ সাত হাজার সাত জনকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ছয় লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৫ জনকে। শতকরা হিসাবে জেলার মোট জনসংখ্যার ৫৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং টার্গেট জনসংখ্যার ৮২ দশমিক ৪৭ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এছাড়া জেলার মোট জনসংখ্যার ৩৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং টার্গেট জনসংখ্যার ৫৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
বাগেরহাটে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংর্ঘষ, ৪ মাদরাসাছাত্র নিহত
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংর্ঘষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাড়িঁয়েছে। এর আগে ঘটনায় আরও তিনজন নিহত ও একজন আহত হয়। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার শ্যামবাগাত এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার রনজিৎপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আব্দুল্লা আল মাহামুদ (২৫), জেলার রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের ফেরদাউস আলীর ছেলে আব্দুল গফুর (১৪), জেলার ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ গ্রামের আবুবক্কর শেখের ছেলে শাকিব হাসান (১৭) এবং সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মালেখা গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (১৭)। তারা সবাই বাগেরহাট সদরের হাকিমপুর কওমি মাদরাসার ছাত্র।
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জানান, খুলনা থেকে পাঁচজন মাদরাসাছাত্রকে নিয়ে সিএনজিটি বাগেরহাটের হাকিমপুরে আসছিল। পথিমধ্যে শ্যামবাগাত এলাকায় পৌঁছলে মোংলা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে তিনজন মাদরাসাছাত্র নিহত এবং দুজন আহত হয়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয় গেছে। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে। গুরুতর অবস্থায় আহত শাকিব হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আহত হুসাইন শেখ (১৭) খুলনা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘন কুয়াশার কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংর্ঘষ হয় বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
পিকনিক থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বাগেরহাটে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংর্ঘষ, তিন মাদরাসাছাত্র নিহত
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংর্ঘষে তিনজন মাদরাসাছাত্র নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও দুজন। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার শ্যামবাগাত এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার রনজিৎপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আব্দুল্লা আল মাহামুদ (২৫), জেলার রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের ফেরদাউস আলীর ছেলে আব্দুল গফুর (১৪) এবং সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মালেখা গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (১৭)। তারা সবাই বাগেরহাট সদরের হাকিমপুর কওমি মাদরাসার ছাত্র।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে দেশে ৫৩৭১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬২৮৪
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, খুলনা থেকে পাঁচজন মাদরাসাছাত্রকে নিয়ে সিএনজিটি বাগেরহাটের হাকিমপুরে আসছিল। পথিমধ্যে শ্যামবাগাত এলাকায় পৌঁছলে মোংলা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে তিনজন মাদরাসাছাত্র নিহত এবং দুজন আহত হয়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয় গেছে। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে।
আহত শাকিব হাসান (১৭) এবং হুসাইন শেখকে (১৭) খুলনা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘন কুয়াশার কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংর্ঘষ হয় বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: পিকনিক থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বাগেরহাটে জেলের বাড়ি থেকে কুমির উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল পেয়ে শনিবার বাগেরহাটে এক জেলের বাড়ি থেকে একটি লবণাক্ত পানির কুমির উদ্ধার করা হয়েছে।
রামপাল উপজেলার কালেরবেড় গ্রাম থেকে আট বছর বয়সী চার ফুট লম্বা কুমিরটিকে উদ্ধার করেছে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তারা।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, শুক্রবার বিকালে পশুর নদী থেকে কুমিরটি জেলেদের জালে ধরা পড়ে এবং পরে স্থানীয় এক যুবক ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি জানান।সেখান থেকে বিষয়টি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনকে জানানো হয়।
আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনের একটি খালে কুমিরটিকে অক্ষত অবস্থায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে উদ্ধার হওয়া কুমির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনে ৩টি কুমির অবমুক্ত
মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার চাঁদেরহাট এলাকার খুলনা-মাওয়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় মোটরসাইকেল চালক আহত হন।
নিহত হৃদয় মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাঝিগাতী গ্রামের নাজিম মোল্লার ছেলে। সে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
আহত মোটরসাইকেল চালক নিয়ামুল হাসানকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
মোল্লাহাট হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবুল হাসান জানান, হৃদয় মোল্লা ও নিয়ামুল হাসান দুই বন্ধু মিলে মোটরসাইকেল যোগে খুলনা থেকে গোপালগঞ্জে বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মোটরসাইকেলের হাইড্রোলিক জ্যাম হয়ে চাকা জড়িয়ে পড়ে। এসময় মোটরসাইকেলে আরোহী হৃদয় ছিটকে রাস্তায় পড়ে নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: জামালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
বরিশালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৩
রাজধানীতে পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২