বাগেরহাট
বাগেরহাটে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাগেরহাটে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে আনারুল শেখ (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৭ জুন) বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত আনারুল শেখ বাগেরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার আব্দুল গণি শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদরের বৈটপুর এলাকার মাছের ঘের থেকে ফেরার পথে পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়কের বাগেরহাট মেরিন ইনস্টিটিউটের সামনে হামলার শিকার হন আনারুল।
হামালাকারিরা লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আনারুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন বিকালে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, মাছের ঘের নিয়ে বাচ্চু শেখের সঙ্গে কালাম বয়াতির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে আনারুল শেখকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, পরিবারের কাছে আনারুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছে তার কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
তবে রবিবার সন্ধ্যায় এরিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত থানায় এজাহার পাওয়া যায়নি বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ৬ খুনিসহ ২৬ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো ‘জল্লাদ’ শাহজাহান
সাংবাদিক রব্বানীর খুনিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: এমএসএফ
বাগেরহাটে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবকের ছুরিকাঘাতে নিহত ১, আহত ৪
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত এবং চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। রবিবার (১১ জুন) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাটরপাড়া স্টিল ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত সম্রাট শেখ (২২) চিতলমারী উপজেলার আড়–য়াবর্ণি গ্রামের আকরাম শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
নিহত রফিক খান (৪০) বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের গাউস খানের ছেলে এবং পেশায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক।
আহতেরা হলেন- রায়হান শেখ (২৭), আমিনুর রহমান (৩৬), আবু সাঈদ (২৪) ও তানভীর (২৪)।
আহতদের বাড়ি চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক সৈয়দ বাবুল আকতার জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক হঠাৎ করে ধারালো ছুরি দিয়ে চিতলমারী উপজেলা সদরে স্টিল ব্রিজের পাশে উপস্থিত ব্যক্তিদের এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। এসময় তার ছুরিকাঘাতে পাঁচজন গুরুতর জখম হয়।
আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রফিক খানকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর চারজনকে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রায়হান শেখের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানান।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে চিতলমারী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে আটক করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে। এঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসা চীনের পতাকাবাহী এমভি জে হ্যায়-৫২৬ নামের জাহাজটি শনিবার ভোরে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় নোঙর করে।
জাহাজটিতে ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটি থেকে ওই জাহাজের কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। খালাস কয়লা লাইটারেজ জাহাজে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
এমভি জে হ্যায়-৫২৬ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে জাহাজটি গত ২৭ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজটি শনিবার ভোর ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে নোঙর করে। জাহাজটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমাদানি করা কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ চলতি মাসের শেষের দিকে মোংলা বন্দরে ভিড়বে।
জানা গেছে, এর আগে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২৯ মে এমভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলা বন্দরে আসে। পরে ওই জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বাগেরহাটের রামপালে কয়রাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড।
এদিকে কয়লা সংকটের কারণে ৯ জুন থেকে পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এই দু:সংবাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি কয়লা নিয়ে জাহাজ মোংলায় আসায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য অনেকটা সুখবর বয়ে এনেছে বলে জানাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
বাগেরহাটে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বাগেরহাট সদরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলার বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের মাথাভাঙ্গা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অজয় ভট্টচার্য (৪২) বাগেরহাট সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মানিক লাল ভট্টচার্যের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে প্রায় এক ঘন্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ট্রাক চাপায় নারী এনজিও কর্মী নিহত
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসানুর রহমান জানান, সকাল ৭টার দিকে অজয় ভট্টচার্য বাড়ি থেকে বের হয়ে সিএন্ডবি বাজারের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা দূরপাল্লার একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাসটি জব্দ ও চালককে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
ঘূর্ণিঝড় মোখা: বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় আতঙ্ক, ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় মোখা ধেঁয়ে আসার খবরে বাগেরহাটের উপকূলবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কখন, কোথায় ঝড় আঘাত হানবে এবং কত উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হবে তা নিয়ে উপকূলের মানুষের ভাবনার শেষ নেই। বিশেষ করে শরণখোলায় বলেশ্বর, মোংলায় পশুর এবং মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদী পাড়ের মানুষ আকাশে মেঘ আর নদীতে পানি বাড়লেই তাদের নির্ঘুম রাত কাটে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আর স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারে পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পেলে অধিকাংশ এলাকায় বাঁধ উপচে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।
জলোচ্ছ্বাস হলে কয়েক হাজার মৎস্যঘের ডুবে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে যেতে পারে। সব মিলে জেলার উপকূলবাসী আতঙ্কে রয়েছেন।
জেলা প্রশসানের পক্ষ থেকে জেলায় ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে জেলায় মোট আবাদের ৯৮ শতাংশ জমির বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে।
বাগেরহাটে জলোচ্ছ্বাসে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নদী পাড়ের বাঁধ। প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। মানুষের ঘরবাড়ি, সম্পদ, ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি কি জলোচ্ছ্বাসে মানুষও ভেসে যায়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
বাগেরহাটে ‘ডাকাত’ দলের সর্দারসহ আটক ৪
বাগেরহাটের কচুয়ায় বসত বাড়ির গ্রিল কেটে দুর্ধ্বষ ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার গভীর রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।
আরও পড়ুন: ইউএনও’র ওপর হামলার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৪
আটকেরা হলো- আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার বানরগাথী এলাকার শহিদ গাজীর ছেলে কামাল গাজী (৩৫), একই জেলার রূপসা এলাকার মালেক গাজীর ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে আলিফ গাজী (২৫), ঢাকার খিঁলগাও এলাকার দ্বীন ইসলামের ছেলে সোহেল আবিদ ইসলাম ওরফে সোহেল (২৬) এবং বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকার অমরী চন্দ্র স্বর্ণকারের ছেলে প্রদীপ কুমার স্বর্ণকার (৪০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, লুণ্ঠিত একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি স্বর্ণের আংটি এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ। এনিয়ে ওই ডাকাতি মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার বিকালে বাগেরহাট পুলিশ অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ১২০ কোটি টাকা মূল্যের ‘আইস’ জব্দ, আটক ৪: র্যাব
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, উৎপাদন বন্ধ
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাত থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
এর আগে ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়েছিল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এদিকে হঠাৎ করে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর।
এছাড়া খুলনাসহ এই অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৫ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও উৎপাদন শুরু করা হবে।
কয়লা সংকট নেই দাবি করে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ রয়েছে। বেশকিছু কয়লা আমদানি করা হয়েছে। যা এখন পথে রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমুদ্র পথে বিদ্যুৎকেন্দ্রে এসে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবোঝাই জাহাজ নদীর চরে আটকা
বাগেরহাটে পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গা কিশোরী আটক
বাগেরহাটে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে দেয় পাসপোর্ট অফিস।
আটক আমিনা আক্তার জিগার (১৫) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা ক্যাম্পে অবস্থান করা খোকন রাহামাতুল্লাহ-এর মেয়ে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিষাক্ত জুস খেয়ে ছেলের মৃত্যু, মা আটক
জানা যায়, আমিনা আক্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের মো. খোকন ও সাদিয়া বেগমের মেয়ে পরিচয়ে জন্মনিবন্ধন করে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন।
তার কাছে বলইবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দেওয়া জন্মনিবন্ধন সনদ রয়েছে। এছাড়া তার সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসে বলইবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার মো. মিজান এসেছিলেন।
এ চক্রের সঙ্গে মিজান, ইউডিসি উদ্যোক্তা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সচিব জড়িত রয়েছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চৌকিদার মো. মিজান বলেন, পাসপোর্ট অফিসে ওই কিশোরীর সঙ্গে আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু সে যে রোহিঙ্গা এ বিষয়টি আমি জানতাম না।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. ইদ্রিস বলেন, উদ্যোক্তারা জন্মনিবন্ধন করেন। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
বাগেরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক একেএম আবু সাইদ বলেন, সকালে পাসপোর্ট করতে আসে ওই কিশোরী। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। একপর্যায়ে বোঝা যায়, সে বাংলাদেশের নাগরিক নয়। পরে যাচাই-বাছাই করে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পুলিশে দেওয়া হয়।
রোহিঙ্গা কিশোরীর পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, পাসপোর্ট অফিস থেকে আটক করে এক কিশোরীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ চারজন, ২০২০ সালের ১২ মার্চ ১২ জন এবং ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ১৫ জন রোহিঙ্গাকে বাগেরহাট থেকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের কক্সবাজারের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ১৫ সদস্য আটক
যশোরে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জব্দ, আটক ১
বাগেরহাটে ঘর পেয়ে আনন্দিত ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার
বাগেরহাটে আবারও জমিসহ ঘর পেলেন হতদরিদ্র ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার। বুধবার সকালে (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়ালি এই ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
পরে বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূমিহীন পরিবার গুলোর মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্থান্তর করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হতদরিদ্রদের মাঝে এই ঘরগুলো দেয়া হয়েছে। উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এখানে ভাল থাকবেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে জমি নিয়ে বিরোধে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ১২৫ টি ও চতুর্থধাপে ৫৭১ টি মোট ৬৯৬ টি ঘর নির্মান সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৪৪, মোংলায় ২২০, মোরেলগঞ্জে ১৩৭, কচুয়ায় ১০, ফকিরহাটে ৭৫, মোল্লাহাটে ৮৩, রামপালে ২০, চিতলমারী ৩২টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ৭৫টি ঘর রয়েছে। চতুর্থ ধাপে প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লক্ষ ৮৪ হাজার, ৫’শ টাকা। দুই শতাংশ জমিতে নির্মান করা প্রতিটি ঘরে বাড়িতে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা রয়েছে।
এসময়, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাছির উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বুলবুল কবির, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ৫ দিনব্যাপী খান জাহানের বসতভিটায় পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রদর্শনী
বাগেরহাটে চুরি হওয়া শিশু খুলনা থেকে উদ্ধার
বাগেরহাটে ৫ দিনব্যাপী খান জাহানের বসতভিটায় পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রদর্শনী
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থাপনা বিখ্যাত মুসলিম শাসক উলুঘ খান জাহান আলী (রহ.) এর বসতভিটা খননে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা গ্রামে খান জাহান আলী (রহ.)-এর বসতভিটায় পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: হাজার বছরের পুরনো দুর্লভ সামগ্রীর প্রদর্শনী
এসময় বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাসনিম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন, সহকারী পরিচালক মো. গোলাম ফেরদৌস, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আখতারুজ্জামান বাচ্চু, বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টডিয়ান মোহাম্মাদ যায়েদ, আল আমীন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার মোসা. আইরীন পারভীন, মো. হাসানুজ্জামানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রদর্শনীর খবরে স্থানীয় দর্শনার্থী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দলে দলে এসব মূল্যবান প্রত্নতত্ত্ব দেখতে আসছেন।
স্থানীয় বাগমাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৌসুমি আক্তার বলেন, খানজাহান আলী (রহ.) ও ষাটগম্বুজ মসজিদের বিষয়ে বইতে পড়েছি। আজ এখানে এসে স্বচক্ষে বসতভিটা দেখলাম। বসতভিটা খননে প্রাপ্ত খানজাহান আমলের বিভিন্ন তৈজসপত্র, পাথর ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দেখে আমাদের খুব ভাল লাগছে।
ষাটগম্বুজ খানজাহানিয়া-জব্বারিয়া আদর্শ আলিম মাদরাসার সহকারি শিক্ষক ওজায়ের সরকার বলেন, প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী দেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে এখানে এসেছি। অনেক পুরোনো দ্রব্য দেখলাম। খানজাহানের এই বসতভিটার সঙ্গে বাগেরহাট জেলা প্রতিষ্ঠার অনেক ইতিহাস জড়িত রয়েছে।