শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের সামরিক ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাফল্য বিশেষ করে সমগ্র মুক্তিযুদ্ধজুড়ে সশস্ত্র বাহিনীর অবিশ্বাস্য বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য রাজধানীতে একটি বিশ্বমানের স্থাপত্য- ‘বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর’- এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন এ জাদুঘরের উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটি নগরীর বিজয় সরণি এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটার সংলগ্ন ১০ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে যেখানে সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্রের সংগ্রহ রয়েছে।
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর জন্য পৃথক গ্যালারিসহ জাদুঘরটি ছয় ভাগে বিভক্ত।
আরও পড়ুন: জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস প্রদর্শনের জন্য ১৯৮৭ সালে মিরপুর সেনানিবাসে সামরিক জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে বিজয় সরণির বর্তমান স্থানে সেটি স্থানান্তরিত করা হয়।
বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর গৌরবময় অতীত, অর্জন ও সাফল্য প্রদর্শনের জন্য বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর প্রকল্পের অধীনে সামরিক জাদুঘরটির আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল জাদুঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে টাইগারদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
এলডিসি থেকে উত্তরণ মসৃণে শিগগিরই জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন: প্রধানমন্ত্রী
এলডিসি থেকে উত্তরণ মসৃণে শিগগিরই জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ মসৃণ করতে ‘জাতীয় মসৃণ উত্তরণ কৌশল’ প্রণয়নের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ মসৃণ করতে একটি জাতীয় মসৃণ উত্তরণ কৌশল প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সব ধরনের নির্দেশনা কৌশলপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
রবিবার স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ উপলক্ষে আয়োজিত উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন ও গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা ও জরিপ করে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে একটি সময় উপযোগী কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি,স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ইআরডি সচিব রাবাব ফাতিমা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন ও গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশে ও বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য পণ্য, এর চাহিদা ও গুণগতমান নির্ধারণে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিই। এটা ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রয়োজন। গবেষণার মাধ্যমে আপনাকে পণ্য, এর চাহিদা ও গুণগতমান নির্ধারণ করতে হবে।’
শনিবার ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু
প্রথমবারের মতো রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ মেলা শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বার্ষিক এ মেলার উদ্বোধন করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে মেলার অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভাপতিত্ব করেন।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মো. জসিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে রপ্তানি পণ্যের মান বজায় রাখা ও বৃদ্ধি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনাকে নিজেই ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সরকারের আর্থিক কূটনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ২৩টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে পিটিএ বা এফটিএ বা অন্য যে কোনো ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সরকার জরিপ কাজ শেষ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারির সময় বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে পড়েনি।
করোনার সময় দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার জন্য অংশীজনদের প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জিডিপি আট শতাংশ অতিক্রম করেছে। তবে হালকা ধাক্কা খেয়েছিল। তবে আমি বিশ্বাস করি আমরা এ বাধা অতিক্রম করতে পারব।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশ হবে
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রণোদনা প্যাকেজের কথা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার খোঁজ করা এবং পণ্যের মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারে চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে দৃষ্টি রেখে কৃষিভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি নাগরিককে টিকা গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন এবং আইসিটি পণ্য ও সেবাকে ‘প্রডাক্ট অফ দ্য ইয়ার ২০২২’ ঘোষণা করেছেন।
প্রথমবারের মতো রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ মেলা শুরু হয়েছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বার্ষিক এ মেলার উদ্বোধন করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে মেলার অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভাপতিত্ব করেন।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মো. জসিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলায় মানুষের ঢল
বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ২২৫টি স্টলকে এবাররে মেলায় লিজ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২৩টি প্যাভিলিয়ান, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ান, ১৬০টি স্টল ও ১৫টি ফুড কোর্ট রয়েছে।
এছাড়া মেলায় প্রার্থনা কক্ষ, শিশুদের খেলার জায়গা, অফিস কক্ষ, চিকিৎসা কেন্দ্র, কর্মকর্তাদের জন্য অতিথি কক্ষ ও স্টোর রুম রয়েছে।
এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হতো। তবে এ জায়গাটি দর্শনার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছোট হয়ে যেত।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করা যাবে। তবে সরকারি ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলার স্টল খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মেলায় প্রবেশের টিকিট মূল্য ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ শুরু বৃহস্পতিবার
মেলায় যাওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা দিতে ৩০টি বিআরটিসির বাস প্রদান করেছে সরকার। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মেলা পর্যন্ত যাওয়া যাবে। সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে দর্শনার্থীরা মেলায় যেতে পারবেন।
১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গত বছর করোনার কারণে মেলা হয়নি।
এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা মাথায় রেখে মেলায় আয়োজন করা হয়েছে। ১১টি দেশের ব্যবসায়ীরা এবারের মেলায় অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা
স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা শুক্রবার পদ্মা সেতুতে আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন যা দেশের উন্নয়নের ধারায় একটি মাইলফলক স্থাপন করেছে।
ইউএনবির মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৭টা ২৩ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর গাড়িতে চড়ে পদ্মা সেতুতে পৌঁছান এবং তার বোনকে নিয়ে ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নং পিলার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে যান।
এরপরে তারা জাজিরা পয়েন্টে সার্ভিস এরিয়া-২ এ নাস্তা করেন। সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
শেখ হাসিনার সফরকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান ও পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদেরসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের প্রকল্প সেতুটির অগ্রগতি দেখে প্রধানমন্ত্রী খুবই খুশি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে জুনে: ওবায়দুল কাদের
সরকার বিচার প্রক্রিয়ায় কখনই হস্তক্ষেপ করেনি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে সরকার কখনই দেশের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনি। তিনি বলেন, আমরা কখনই বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করিনি, কাউকে তা করার সুযোগ দেইনি। আমরা পথ পরিষ্কার করেছি যাতে সবাই ন্যায়ের পথে চলতে পারে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ’ শীর্ষক মুজিব স্মারক গ্রন্থ এবং ‘ন্যায়কণ্ঠ’ শীর্ষক মুজিববর্ষের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বে দেশ মাথা উঁচু করে থাকবে। আমরা সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ নেতা জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরের দুঃখজনক দিনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচার চাওয়ার অধিকার ছিনিয়ে নেয়ায় আওয়ামী লীগকে মামলা করতে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে।
তিনি বলেন, তখন গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের রক্ষকরা কোথায় ছিলেন? আমরা যদি টিকে না থাকতাম বা ক্ষমতায় আসতে না পারতাম, তাহলে এই বিচার কখনই শেষ হতো না...। এটাই বাস্তবতা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি অব্যাহত থাকত।’
বঙ্গবন্ধুর দুই স্বঘোষিত খুনিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে অত্যন্ত সোচ্চার আমেরিকা খুনি রাশেদকে আশ্রয় দিচ্ছে। ক্ষমতায় আসার পর আমি যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে দণ্ডিত অপরাধীকে ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আমি জানি না, গণতন্ত্রের ব্যাপারে সোচ্চার আমেরিকা কেন একজন খুনিকে আশ্রয় দিচ্ছে!
তিনি আরও বলেন, কানাডা আরেক স্বঘোষিত খুনি মেজর নূরকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমাদের তাদের কাছ থেকে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের সবক নিতে হয়,এটাই অবাক লাগে।
জাতির পিতাকে হত্যার বিষয়ে তার আরও একটি দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় যারা পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্র করেছে তাদের খুঁজে বের করা। এটি একদিন বের হবে…এতে কোন সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: ছাতকে যুবক গ্রেপ্তার
প্রধানমন্ত্রী দেশে পৌঁছেছেন
মালদ্বীপে ছয়দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসে পৌঁছেছেন। সোমবার বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মালদ্বীপের রাজধানী মালের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশি সময় ২টা ২০ মিনিটে) বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ওই ফ্লাইটে করে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ এর আমন্ত্রণে ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে যান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশের উদ্দেশে মালদ্বীপ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
সফরকালে শেখ হাসিনা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম, জাতীয় সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ ও প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুথাসিম আদনানের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
দ্বৈত কর পরিহারে চুক্তি এবং স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া খাতে সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও উপকরণ হস্তান্তর নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়। এছাড়া বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দেয় বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের জাতীয় সংসদ পিপলস মজলিসে ভাষণ দেন এবং দ্বীপ দেশটিতে বসবাস করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া কমিউনিটি সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ থেকে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
৬ দিনের সরকারি সফরে মালদ্বীপ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের উদ্দেশে মালদ্বীপ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
ছয়দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উদ্দেশে মালদ্বীপ ত্যাগ করেছেন। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০মিনিটে (বাংলাদেশি সময় ২টা ২০মিনিটে) দেশটির রাজধানী মালের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে করে তিনি দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি বাংলাদেশের সময় সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ এর আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে দেশটিতে যান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ থেকে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
সফরকালে শেখ হাসিনা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম, জাতীয় সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ ও প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুথাসিম আদনানের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
দ্বৈত কর পরিহারে চুক্তি এবং স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া খাতে সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও উপকরণ হস্তান্তর নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়। এছাড়া বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দেয় বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের জাতীয় সংসদ পিপলস মজলিসে ভাষণ দেন এবং দ্বীপ দেশটিতে বসবাস করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া কমিউনিটি সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
মালদ্বীপের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
স্মরণকালের ভয়াবহ লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৩ জনের লাশ শনিবার বেলা ১২ টায় বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী সরকারি গণকবরে দাফন করা হয়েছে। গণকবরে নেয়ার পরে সাতজনের লাশ শনাক্ত করে তাদের স্বজনরা। এসময় ২১ কবরে ২৩ জনকে সমাহিত করা হয়, দুটি কবরে মা ও সন্তানসহ চারজনকে দাফন করা হয়।
এর আগে এদিন বেলা ১১টায় স্থানীয় সার্কিট হাউস মাঠে ৩০টি লাশের একত্রে জানাজা হয়।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৩৫ জন ঘটনাস্থলে এবং তিন জন হাসপাতালে মারা যান।এরপর ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ একজন মারা যান।
আরও পড়ুন: লঞ্চের আগুনে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক: সামন্ত লাল
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন বরগুনা জেলা প্রশাসনের দলের কাছে ৩৭টি লাশ হস্তান্তর করে। অন্যদিকে, বরগুনা জেলা প্রশাসন ঝালকাঠি ও বরিশালে চার জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। অবশিষ্ট ৩৩ লাশ শুক্রবার মধ্যরাতে বরগুনা নিয়ে আসা হয়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে লাশগুলো শনাক্ত করার জন্য রাখা হয়। এখানে তিনটি লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ৩০টি লাশের গোসল, কাপড় পরানো এবং কফিনে লাশ ভরাসহ স্বজনদের লাশ দেখানোর দায়িত্ব পালন করেন রেড ক্রিসেন্ট ও স্কাউট সদস্যরা। এ সব লাশ সমাহিত করার জন্য শহরতলীর পোটকা খালি সরকারি গণকবরস্থানে ৩০টি কবর তৈরির ব্যবস্থা করেন ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল হক স্বপন। দাফনকাজ শুরুর আগে আরও সাত লাশ শনাক্ত করে তাদের পরিবারের সদস্যরা। এসময় এখানে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়। ২৩ লাশ শনাক্ত না হওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে তাদেরকে গণকবরে দাফন করা হয়েছে।
যে সকল লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে তাদের পরিবারকে দাফন-কাফনের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটির সুগন্ধা নদীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ১৬ জনকে, আহত হয়েছে শতাধিক।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। শুক্রবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার পর পরই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা লাশ গ্রহণ, স্বজনদের কাছে হস্তান্তর ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অজ্ঞাত লাশের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। নিখোঁজদের তালিকা তৈরি করার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছেছে
লঞ্চের আগুনে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক: সামন্ত লাল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন শনিবার হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
শুক্রবার প্রায় ২১ জনকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিম হাসানের (৮) শরীরের ৩০ শতাংশ, বাচ্চু মিয়ার (৫১) চার শতাংশ, ইসরাত জাহান সাদিয়ার (২২) ২০ শতাংশ, শাহিনুর খাতুনের (৪৫) ২৫ শতাংশ, মারুফার (৪৮) ১৫ শতাংশ, সেলিম রেজার (৪৫)১৮ শতাংশ, লামিয়ার (১৩) ১০ শতাংশ, মমতাজের (৭০) ৮ শতাংশ, মোহাম্মদ রাসেলের (৩৮) ১৮ শতাংশ, বঙ্কিম মজুমদারের (৬০) ১২ শতাংশ, মনিকা রাণীর (৪০) ৩০ শতাংশ, গোলাম রাব্বানীর (২০) ৯ শতাংশ, বিকাশ মজুমদার (১৬), খাতিজার (২৭) ১৫ শতাংশ এবং বশিরের (৩৫) শরীরের ৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। শুক্রবার রাতে আহত হাবিব খান (৪৫) মারা যান।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাবিব শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য শুক্রবার ভোরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ যাত্রী দগ্ধ ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর