শেখ হাসিনা
বুড়িগঙ্গায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
ঢাকার বুড়িগঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশনের সহযোগিতায় নৌকাবাইচের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের সোয়ারীঘাট লঞ্চঘাটে এ নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: চিত্রা নদীতে নারী-পুরুষের নৌকাবাইচ
কামরাঙ্গীরচরের ঢোডা ঘাট থেকে নৌকা বাইচ শুরু হয়ে শেখ জামাল স্কুলঘাট পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার মিটার বাইচে ১১ দল অংশগ্রহণ করে। এতে ৬০ মাল্লার নৌকা ইভেন্টে শেখ বাড়ি শেখ রাসেল ও তার দল প্রথম স্থান অধিকার করে এবং ১২ মাল্লায় বরিশাল রোয়িং ক্লাব বিজয়ী হয়।
এরপর নৌকা বাইচের পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে কামরাঙ্গীরচরের শেখ জামাল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ
তিনি বলেন, ‘নদীমাতৃক বাংলাদেশের নৌকাবাইচ থাকলে নদী থাকবে। নদী দখল ও দূষণের আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারা দেশে নৌকা বাইচ কিভাবে প্রসার ঘটানো যায় সেই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল আইজি আতিকুল ইসলাম ও হাজি সেলিম।
সবশেষ অংশে এক মনোজ্ঞ লেজার শো ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেখ হাসিনার ছয় প্রস্তাব
করোনাকে একটি সাধারণ শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের সামনে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর ধারণা সংবলিত ছয়টি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দুঃখজনক হলেও এই মহামারি আরও বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে বলে মনে হচ্ছে। সেজন্য এ অভিন্ন শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আমাদের অনেক বেশি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে আমি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরতে চাই।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সদর দপ্তরে শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে (ইউএনজিএ) ভাষণ দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বরাবরের মতো এবারও তিনি বাংলায় ভাষণ দেন।
টিকা বৈষম্য দূর করুন
প্রথম প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিডমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে টিকার সর্বজনীন ও সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর এ মহতি অধিবেশনে আমি কোভিড-১৯ টিকাকে ‘বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। বিশ্বনেতাদের অনেকে তখন এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেছিলেন।
সে আবেদনে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং আমরা ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকা বৈষম্য বাড়তে দেখেছি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, এ যাবৎ উৎপাদিত টিকার ৮৪ শতাংশ উচ্চ ও উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মানুষের কাছে পৌঁছেছে। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের দেশগুলো এক শতাশেরও কম টিকা পেয়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে এ টিকা বৈষম্য দূর করতে হবে। লাখ লাখ মানুষকে টিকা থেকে দূরে রেখে কখনই টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। আমরা পুরোপুরি নিরাপদও থাকতে পারবো না। তাই আমি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও সাশ্রয়ী মূল্যে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে টিকা প্রযুক্তি হস্তান্তর টিকার সমতা নিশ্চিত করার একটি উপায় হতে পারে। প্রযুক্তি সহায়তা ও মেধাস্বত্ত্বে ছাড় পেলে বাংলাদেশও ব্যাপক পরিমাণে টিকা তৈরি করতে সক্ষম।
জলবায়ু পরিবর্তনে কোভিডের প্রভাব
দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ মহামারি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অধিকমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)-এর ওয়ার্কিং গ্রুপ-১ এর প্রতিবেদনে আমাদের এ গ্রহের ভবিষ্যতের এক ভয়াল চিত্র ফুটে উঠেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক প্রভাব কাটিয়ে উঠা কঠিন হবে। ধনী অথবা দরিদ্র - কোন দেশই এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে নিরাপদ নয়। তাই আমি ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, নিঃসরণের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং টেকসই অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তির অবাধ হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’: বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব
তিনি বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ভালনারেবল-২০ গ্রুপ অব মিনিস্টারস্ অব ফাইন্যান্স-এর সভাপতি হিসেবে আমরা ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা- দশক ২০৩০’ এর কার্যক্রম শুরু করেছি। এ পরিকল্পনায় বাংলাদেশের জন্য জলবায়ুকে ঝুঁকির কারণ নয়, বরং সমৃদ্ধির নিয়ামক হিসেবে পরিণত করার কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’ (COP) এর ২৬তম শীর্ষ সম্মেলন আমাদের নতুন নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন আদায়ের অপার সুযোগ করে দিতে পারে। এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।’
রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্রুত উদ্যোগ চান শেখ হাসিনা
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে কথামালার ঊর্ধ্বে এসে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত উদ্যোগী হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে কথামালার ঊর্ধ্বে এসে আমাদের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই সংকটের সমাধান না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ সবার সাথে কাজ চালিয়ে যাবে।’
বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ‘হাই-লেভেল সাইড ইভেন্ট অনফোরসিবলি ডিসপ্লেস মিয়ানমার ন্যাশনালস (রোহিঙ্গা) ক্রাইসিস: ইম্পারেটিভস ফর এ সাস্টেইনেবল সলিউশন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের মোট ২৩ জন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের পর স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সকল বক্তারা রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বার বার বলে আসছি যে তারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের অবশ্যই নিরাপদে এবং আত্মমর্যাদার সাথে মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। আমাদের সবাইকে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটি করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে।’
তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগীদের এই বিষয়ে বাংলাদেশের চেষ্টার সহযোগিতা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার: প্রধানমন্ত্রী
সম্ভাবনাময় খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য এসডিজির রূপরেখা চান শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে একটি সাহসী ও উচ্চাভিলাষী রূপরেখা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন, যাতে কোন দেশ পিছিয়ে না থাকে। কারণ মহামারি অনেক দেশকে এসডিজির লক্ষ্যপূরণের যাত্রায় পিছনে ফেলে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এসডিজির লক্ষ্যগুলো অনেক দেশের কাছে অনেক দূরের বলে মনে হচ্ছে। তার ওপর মহামারি তাদের আরও পিছনে ফেলে দিয়েছে। এসডিজি লক্ষ্যে তাদের ফিরিয়ে আনতে আমাদের একটি সাহসী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী বৈশ্বিক রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
সোমবার ভার্চুয়ালি টেকসই উন্নয়নের ওপর নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আর্থ ইনস্টিটিউট, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং জাতিসংঘ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো দেশ একা এসডিজি অর্জন করতে পারে না। এই এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে আমাদের বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং সংহতি প্রয়োজন।’
সঠিক সময়ের মধ্যে এসডিজি অর্জনের পথে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোকে সামনে টেনে আনতে শেখ হাসিনা সম্মেলনে পাঁচটি প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে: সবার জন্য সব জায়গায় করোনার টিকা নিশ্চিত করা, ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে সম্পদের বিশাল ব্যবধান কমিয়ে আনা; বিশেষ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে করোনার অভিঘাত মোকাবিলা করা, জলবায়ু পদক্ষেপের সঙ্গে সংগতি রেখে করোনা থেকে পুনরুদ্ধার কর্মসূচি তৈরি করা এবং এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য পর্যবেক্ষণ বৃদ্ধি ও সহায়তা ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়া।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতিসংঘের এক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানো উচিত। জরুরি অবস্থা মোকাবিলা এবং পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা এড়াতে পর্যাপ্ত এবং সময়মত সহায়তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মহামারি এবং অন্যান্য জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় প্রস্তুতি বাড়াতে প্রতিটি স্তরে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ মহামারি পুরো বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, অসংখ্য মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে এবং জীবিকার ওপর প্রভাব ফেলছে।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করে বলেন, এটিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এমডিজির সাফল্যের ওপর নির্ভর করেই আমাদের এসডিজি যাত্রা।’
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে এবং সম্প্রতি একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও হালনাগাদ এনডিসি (ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস) জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভের নিন্দা কাদেরের
প্রসঙ্গত, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০২১ অনুযায়ী, এসডিজির অধিকাংশ সূচকে বাংলাদেশ অনেক ভালো করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং জিডিপির দিক থেকে ৪১ তম স্থানে রয়েছে। জাতিসংঘ এ বছর বাংলাদেশকে এলডিসি(লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি) ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত করতে সুপারিশ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার এসডিজির স্থানীয়করণে অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়েছে। এসডিজি ট্র্যাকারও চালু করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে এবং পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
অতিথি পাখিদের ভোট দেবেন না: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির অতিথি পাখিদেরকে ভোট না দিয়ে জনগণের পাশে থাকা ত্যাগী নেতাদেরকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানের আগে শহরের সার্কিট হাউজে সুধী সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, ' তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজকে গণমানুষের দল হিসেবে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত হয়েছেন, অনেক নেতা ভুল করেছেন, অনেক নেতা দল ত্যাগ করে চলে গেছেন, কিন্তু কর্মীরা কখনো দ্বিধান্বিত হয়নি, কর্মীরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ ছিল, কর্মীরাই দলকে টিকিয়ে রেখেছে।'
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো হবে না: তথ্যমন্ত্রী'২০০৭ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন আমাদের দলে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ছিলেন, অনেক নেতা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন, অনেক নেতা আপোষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল বিধায় তাদের আন্দোলনে জননেত্রী মুক্তি লাভ করেছিলেন এবং সেকারণে দেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে'- উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।ভোট প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, 'আগামী জাতীয় নির্বাচনে সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চাইবে। কিন্তু ত্যাগী নেতা ছাড়া আওয়ামী লীগের নৌকায় কাউকে প্রয়োজন নাই। তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেত্রীর পাশে, দলের পাশে ছিল তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হবে। অন্যদলের অতিথি পাখিরা এখানে ভোট চাইতে আসবে। যখন ভোট চাইতে আসবে তখন বলতে হবে আপনারা অতিথি পাখির মতো এতদিন পরে কেন! যারা জনগণের মাঝে আছে এবং থাকবে তাদেরকেই ভোট দিতে হবে এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার নেত্রীকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।'
আরও পড়ুন: চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ থাকার কোনো প্রমাণ নেই: তথ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, 'দেশ আজকে পরিবর্তন হয়ে গেছে, ১৩ বছর আগের ভিডিও যদি মিলিয়ে দেখেন তাহলে আজকে চেহারাগুলো অনেক সুন্দর। ১৩ বছর আগে ছেঁড়া কাপড় পরা, খালি পায়ে মানুষ দেখা যেতো, এখন যায় না, কুঁড়েঘরও খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণেই হয়েছে। দেশে যদি এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।'পরে মন্ত্রী সদর উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুরে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার লক্ষ্যে সমুদ্র তীরবর্তী রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করছেন।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সম্প্রসারণ কাজের শুভ সূচনা করেন।
বাংলাদেশে ইতিহাসে এই রানওয়েই হতে চলেছে সমুদ্র তীরবর্তী প্রথম রানওয়ে। এরফলে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার মূল ধাপে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। স্থানীয় ফ্লাইটের পাশাপাশি এবং আন্তর্জাতিক ও বড় বিমানও এই রানওয়ে ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক নিশ্চিতে প্রযুক্তি বিনিময়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মূলত হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো সমুদ্র তীরবর্তী জমি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পটি শেষ হলে বড় আকারের বিমানগুলো এখানে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ১৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্প কক্সবাজার এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: আবারও কক্সবাজারের সৈকতে বিশাল মৃত তিমি
সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের মতো পর্যটন নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে মেগা পরিকল্পনার আওতায় সরকার বর্তমানে কক্সবাজারে ব্যাপক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্প সম্পন্ন করার মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালে ১০ মে ধরা হলেও, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বিমানবন্দরটি প্রস্তুত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।
ভারতের উপহার: আরও ৪০ লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স পেল বাংলাদেশ
ভারত সরকারের উপহারের তৃতীয় চালানে আরও ৪০টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ছাড়পত্র পাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সগুলো বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার কথা রয়েছে।
চলতি বছরের ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরকালে করোনা মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশকে উপহারের ঘোষণা দিযে়ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: ভারত ফেরত যাত্রীদের জন্য শর্ত শিথিল করল সরকার
সিঅ্যান্ডএফ উত্তরা মোটরসের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, ভারত সরকারের উপহারের এই অ্যাম্বুলেন্স কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করা হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে আজই রওয়ানা হবে অ্যাম্বুলেন্সগুলো।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘ভারত সরকারের উপহার স্বরূপ তৃতীয় চালানে বৃহস্পতিবার সকালে ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পৌঁছায়। বাকি অ্যাম্বুলেন্সগুলো আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে আসবে।’
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিদের সাথে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করলেন দোরাইস্বামী
ভারত সরকারের উপহারের প্রথম চালানের একটি অ্যাম্বুলেন্স গত ২১ মার্চ, ৭ আগস্ট ৩০টি ও বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ৪০ টি অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসে। এ নিয়ে দেশে এলো মোট ৭১ টি অ্যাম্বুলেন্স। উপহার হিসেবে আসা প্রত্যেকটি অ্যাম্বুলেন্সে ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের কোনো বিকল্প নেই: হানিফ
এ দেশে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘এ দেশের উন্নয়ন কীভাবে করতে হয়, এ দেশের মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করতে হয় তা কেবল শেখ হাসিনা সরকারই জানে।’
রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় তিনি এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের কোনো বীরত্বগাঁথা ইতিহাসে নেই। বরং পঁচাত্তরের পরে ক্ষমতায় এসে দালাল আইন বাতিল করে কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমকে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে তিনি যে তাদের দোসর তা প্রমাণ করেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর অপরাধ ছিল তিনি এদেশের মানুষকে ভালোবাসতেন, এদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। বাংলাদেশ যেন বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্য ৭১ এর পরাজিতরাই জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। আর সেই খুনিদের বিচার না করে ইন্ডেমনিটি আইন বাতিল করে তাদের পুরস্কৃত করেছেন জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব বর্হিবিশ্বে প্রশংসিত: হানিফ
তিনি বলেন স্বাধীনতাবিরোধী চক্র শুধু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু পরিবারে তাদের ভয় ছিল আওয়ামী লীগ দল নিয়ে তাদের ভয় ছিল-তাই পরবর্তীতে গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসনিাকে হত্যাচেষ্টা চালায় সেই চক্র। বঙ্গবন্ধু হত্যায় যেভাবে বিএনপি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল ঠিক তেমনি শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায়ও খালেদা জিয়ার দল জড়িত ছিল। তা না হলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে পারতো।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসে, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডনসহ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের সক্ষমতা বিএনপির নেই: হানিফ
টিকা নিয়ে প্রমাণ করেছি বিএনপি মিথ্যাচারে লিপ্ত: হানিফ
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া এক পলাতক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা আসামি আরিফুর রহমান রঞ্জুকে আটক করে।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় হামলা চালানোর জন্য ৫০ জনের একটি দলের নেতৃত্ব দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা রঞ্জু। কলারোয়ায় একটি সভায় যোগ দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন শেখ হাসিনা।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় খুলনার একটি আদালত রঞ্জুসহ ৫০ জনের বিচার করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: দণ্ডিত ৭ আসামির জামিন স্থগিতই থাকছে
গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বলেন, রঞ্জু ১৯৯৩ সালে কলারোয়া কলেজে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। তিনি কলেজে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিতেন।
হাফিজ আক্তার বলেন, তদন্তের পর ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি আদালত রঞ্জুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। রঞ্জু তখন থেকেই পলাতক ছিলেন।
অতিরিক্ত কমিশনার আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য রঞ্জুকে শনিবার সাতক্ষীরার আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা: কলারোয়ায় মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পুনরায় শুরু
ভয়াল ২১ আগস্ট আজ
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কজনক অধ্যায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তনয়া এবং দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের র্যালিতে নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকী আজ।
শনিবার ওই হামলার স্মরণে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো দিনটিকে ‘গ্রেনেড হামলা দিবস’ হিসেবে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করবে।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে এই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জিয়া ও ২১ আগস্টের হামলায় খালেদা জড়িত: শেখ হাসিনা
হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে ফিরলেও, তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
এই হামলার প্রায় ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে গ্রেনেড হামলার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালাত।
এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্টের হামলা ‘আ’লীগের মাস্টারপ্ল্যান’: বিএনপি
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বার্তা প্রদান করবেন।
দেশের ইতিহাসের ওই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার স্মরণে রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিন ব্যাপী ‘আগস্ট রিপিটেড অ্যাটেম্পটস্’ শিরোনামে শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে।