পরীমণি
মাদক মামলায় পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় অভিনেত্রী পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম এ অভিযোগ গঠন করেন এবং মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
এছাড়া আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার সাক্ষাগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এ সময় পরীমণি ও মামলার অপর দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই আসামি হলেন-আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
এর আগে ২ জানুয়ারি, একই আদালত এই মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না তা নিয়ে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে আদালত
মামলায় পরীমণিসহ দু’জন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
গত বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকালে পরীমণি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় জামিন পেলেন পরীমণি
এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমণিকে আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমণি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমণি এ পর্যন্ত ৩০টি চলচ্চিত্র ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমণিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
মাদক মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে আদালত
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় অভিনেত্রী পরীমণিসহ দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পিছিয়ে দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
অভিযোগ গঠনের পর মামলার বিচার শুরু হতে পারে। মামলায় পরীমণিসহ তিন আসামিই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
অভিনেত্রীর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ-১৯ আদালতের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম আগামী বছরের ২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
মঙ্গলবার সকালে আদালতে যাওয়ার পথে পরীমণি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি আদালতের কাছে আরও কিছু সময় চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা: পরীমণির আবেদন নাকচ, অভিযোগপত্র গ্রহণ
পরীমণি আদালতে উপস্থিত না থাকলেও মামলার অপর দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন বিচারকের সামনে হাজির হন।
১৫ নভেম্বর, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা অভিযোগ আমলে নেন এবং অভিযোগ গঠনের জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ৪ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মোস্তফা কামাল।
এর আগে গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা: পরীমণির আবেদন নাকচ, অভিযোগপত্র গ্রহণ
ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমণির করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে ঢাকার একটি আদালত। সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন পরীমণির অনাস্থা আবেদন নাকচ করে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
মামলার পলাতক আসামি শাহ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এদিকে, আদালত আগামী ৩ মার্চ ২০২২ তারিখ এ মামলার বিচার শুরুর দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর পরীমণি এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চেয়ে একটি অনাস্থা আবেদন করেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার থানার পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরপরীমণি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন ৯ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে ছয়জন তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত
এর ভিত্তিতে ১৪ জুন সাভার মডেল থানায় নাসির ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন পরীমণি।
পরে গোয়েন্দাদের একটি দল উত্তরা থেকে নাসিরসহ চারজনকে আটক করে।
পরে গ্রেপ্তারের সময় মদ ও ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় নাসির ও অমির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় গত ২৩ জুন নাসির ও অমিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেন ঢাকার আদালত।
পরবর্তীতে গত ২৯ জুন ওই মামলায় নাসির ও অমিকে জামিন দেন আদালত।
আরও পড়ুন: পরীমণির রিমান্ড: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক
পরীমণির মাদক মামলার অভিযোগ শুনানি ১৫ নভেম্বর
পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচার কে এম এমরুল কায়েশ অভিযোগ আমলে নিয়ে শুনানির জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির রিমান্ড: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর মামলার তিন আসামিকে জামিন দিয়ে ১৫ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ৪ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মোস্তফা কামাল।
এর আগে গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণি।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
পরীমণির রিমান্ড: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে তাঁরা সতর্ক থাকবেন বলে আদালতের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দুই ম্যাজিস্ট্রেটের আইনজীবী ইতিপূর্বে দেয়া লিখিত ব্যাখ্যা পড়ে শোনান। আদালত শুনানি নিয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। পাশাপাশি মাদক মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তাফাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
দুই বিচারকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে জেড আই খান পান্না, পরীমণির পক্ষে মজিবুর রহমান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
ক্ষমা প্রার্থনাকারী দুই বিচারক হলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। দেবব্রত বিশ্বাস দ্বিতীয় দফায় পরীমণির দুই দিন এবং আতিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় এক দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান। গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও তার সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এরপর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।
এ মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির দিন দেরিতে নির্ধারণ করা নিয়ে জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পরীমণি। এই আবেদনের শুনানি করে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমণির জামিন আবেদন আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন। এছাড়া পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন। হাইকোর্টের এই রুল জারির পর গত ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।
অন্যদিকে হাইকোর্টে পরীমণির আবেদনের শুনানিতে তাঁকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাপারে দুই বিচারকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চান। দুই বিচারক ব্যাখ্যা দেন, যা ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। তবে প্রথম দফায় তাঁদের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে আবারও লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট। পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ও ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন দুই ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
নায়িকা পরীমণি আটক, মাদক উদ্ধার
পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা
পরীমণির মাদক মামলার অভিযোগ শুনানি ১৫ নভেম্বর
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণি ও তার দুই সহযোগীকে মঙ্গলবার জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এছাড়া আগামী ১৫ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানি হবে।
মঙ্গলবার তিন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম এ আদেশ দেন। বাকি দুজন হলেন আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেন।
এর আগে ১০ অক্টোবর পরীমণি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির রিমান্ড: ব্যাখ্যা দিতে এক সপ্তাহ সময় পেলেন ২ বিচারক
গত ৪ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মোস্তফা কামাল।
এর আগে গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণি।
পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
পরীমণির গাড়িসহ জব্দ করা ১৬ আলামত ফেরত দেয়ার সুপারিশ
পরীমণির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রে চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ আরও দুজনরে বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মোস্তফা কামাল।
চার্জশিটভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম দীপু এবং কবির হোসেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণি।
পড়ুন: মুক্তি পেলেন পরীমণি
পরীমণির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারককে আবার ব্যাখ্যা দিতে হবে
পরীমণির গাড়িসহ জব্দ করা ১৬ আলামত ফেরত দেয়ার সুপারিশ
পরীমণির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারককে আবার ব্যাখ্যা দিতে হবে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে আবারও ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য তাদের আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সাথে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৪ অক্টোবর তারিখ রেখেছেন আদালত।
যে দুই বিচারককে ব্যাখ্যা দিতে হবে তারা হলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফাকে ধার্য তারিখের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পরীমণির গাড়িসহ জব্দ করা ১৬ আলামত ফেরত দেয়ার সুপারিশ
পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের কারণ উল্লেখ করে আগে দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামের দেয়া ব্যাখ্যা গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু তাদের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ রাখেন। সে অনুসারে আজ বিষয়টি ওঠে।
পরে তাদের পক্ষে সময় চেয়ে আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল বলেন, ‘২ সেপ্টেম্বর তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট। রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে ব্যাখ্যা দাখিল করা হয়। কী কারণে রিমান্ড দেয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়েছে। শেষে বলা হয়েছে, সার্বিক বিবেচনায় দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশে ত্রুটি -বিচ্যুতি...।’
এই পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘তারা (দুই বিচারক) আমার অফিসে এসেছিলেন। দুজনই তরুণ বিচারক। তারা অনুতপ্ত, দুঃখিত। প্রশিক্ষণের অভাবের কারণে যথাভাবে জবাব লেখা হয়নি। দুজনই আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।’
আদালত বলেন, ‘ক্ষমা; তাহলে তারা (দুই বিচারক) আরেকটি ব্যাখ্যা (রিপ্লাই) দেবেন। এ জন্য সময় দিচ্ছি। বিষয়টি ২৪ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য আসবে।’ এ সময় আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ-নির্দেশনা যেন নিম্ন আদালত মেনে চলেন।
পড়ুন: পরীমণির রিমান্ড: দুই বিচারকের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন হাইকোর্ট
আদালতের আদেশ অনুসারে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফাকে ধার্য তারিখের মধ্যে (২৪ অক্টোবর) ব্যাখ্যা দিতে বলেন হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান শুনানিতে ছিলেন।
মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির দিন দেরিতে নির্ধারণ করা নিয়ে জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পরীমণি।
গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমণিকে জামিন না দিয়ে তার আবেদন শুনানি প্রশ্নে রুল জারি করেন। রুলে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিন আবেদন আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। হাইকোর্টের আদেশের আলোকে গত ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।
পড়ুন: ফোনে আড়িপাতা রোধে করা রিট খারিজ
এর আগে গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এরপর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।
পরে গত ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রায় না মেনে মাদক মামলায় আটক চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের স্ব-প্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন জানান।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরকারী বিচারকদের ব্যাখ্যা ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান।
পরীমণির গাড়িসহ জব্দ করা ১৬ আলামত ফেরত দেয়ার সুপারিশ
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণির ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত তাকে ফেরত দেয়ার সুপারিশ করে আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর আলামত হিসেবে এগুলো জব্দ করা হয়েছিল।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি দুটি জব্দ তালিকার মোট ১৬টি আলামত তাকে (পরীমণি) দেয়ার জন্য একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যদি পরীমণিকে তার থেকে জব্দকৃত আলামত ফেরত দেয়া হয় সেক্ষেত্রে তদন্তে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।’
আরও পড়ুন: মুক্তি পেলেন পরীমণি
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণির গাড়ি, ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ ১৬টি জব্দ করা আলামত জিম্মায় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত মালিকানা যাচাই করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
তার আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন পরীমণি।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পড়ুন: মুক্তি পেয়ে কী বার্তা দিলেন পরীমণি
পরীমণির রিমান্ড: দুই বিচারকের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন হাইকোর্ট
পরীমণির রিমান্ড: দুই বিচারকের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন হাইকোর্ট
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে পাঠানো নিয়ে নিম্ন আদালতের দুই বিচারকের ব্যাখ্যায় হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ওই ব্যাখ্যা হাইকোর্টকে ‘আন্ডারমাইন’ (হেয়) করেছে বলে দাবি আদালতের।
হাইকোর্ট বলেন, দুই ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ব্যাখ্যায় বলেছেন, রাষ্ট্র মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছে। পরীমণি বিদেশি মদ, আইস ও এলএসডিসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র সম্প্রতি এলএসডি গ্রহণ করে আত্মহত্যা করেছেন। উনারা (দুই ম্যাজিস্ট্রেট) উপরোক্ত বিষয়ে কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সরল বিশ্বাসে ভুল বলে দাবি করেছেন।
হাইকোর্ট বলেন, তারা রিমান্ডে নেয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের গাইড লাইন লঙ্ঘন করেছে। তাদের জবাবে আমরা সন্তুষ্ট না। তারা তাদের ভুল স্বীকার করেনি। তারা এ জবাব দাখিলের মাধ্যমে হাইকোর্টকে ‘আন্ডারমাইন’ করেছে। এ বিষয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর আদেশ দেয়া হবে।
এ সময় মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাও আদালতে যুক্ত ছিলেন। তাকে হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানালে তা নাকচ করে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর হাজির থাকতে বলা হয়।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারোয়ার কাজলের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দাখিল
মুক্তি পেয়ে কী বার্তা দিলেন পরীমণি
গত ১ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডের যৌক্তিকতা নিয়ে অধস্তন আদালতের দুই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চান হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট বলেন, রিমান্ড মঞ্জুরকারী ঢাকার সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটরা কী উপাদানের ভিত্তিতে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন এর ব্যাখ্যা জানাতে হবে। এ ছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফাকে ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার নথিসহ (কেস ডকেট) আদালতে হাজির হতে বলা হয়। পরীমণির বারবার রিমান্ডে নেয়ার আবেদনের বিষয়ে তার অবস্থান সেদিন হাইকোর্টকে জানাতে বলা হয়। ওই আদেশ অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার দুই ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ব্যাখ্যা হাইকোর্টের কাছে দাখিল করেন। বুধবার এ বিষয়ে শুনানি হয়।
বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ আগস্ট তাকে আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় পরীমণির নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব। এরপর প্রথম দফায় গত ৫ আগস্ট চারদিন তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানালে গত ১০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম (মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) দেবব্রত বিশ্বাস তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সর্বশেষ তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানালে গত ১৯ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মূলত দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরকারী ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরকারী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট।
জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট পরীমণির জামিন আবেদন নাকচের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। গত ২২ আগস্ট দায়রা জজ এ আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন রাখেন। পরদিন ‘আর্লি হিয়ারিং’ বা নির্ধারিত সময়ের আগে শুনানি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এতে ফল না পেয়ে ২১ দিন পর শুনানির দিন রাখার আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমণি।
আরও পড়ুন: পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
মাদক মামলায় জামিন পেলেন পরীমণি
শুনানি নিয়ে ২৬ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন এই বেঞ্চ রুল দেন। রুলে জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। জামিন আবেদনের শুনানি দ্রুত তথা দুই দিনের মধ্যে করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সাথে ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানির তারিখ রাখা হয়।
এরই মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমণিকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার প্রেক্ষাপটে স্বতঃপ্রণোদিত রুল চেয়ে ২৯ আগস্ট একই বেঞ্চে একটি আবেদন দাখিল করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। আবেদনে বলা হয়, তিন দফায় সাত দিনের মধ্যে প্রথমে চার দিন, দ্বিতীয় দফায় দুদিন ও তৃতীয় দফায় পরীমণিকে এক দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। গুরুতর প্রকৃতির অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত দীর্ঘসময় রিমান্ডে নেয়া হয়ে থাকে। জাতীয় নিরাপত্তা বা জনগুরুত্ব বিষয়ে গুরুতর মামলায় আদালতের এত দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিতে দেখা যায়। পরীমণিকে এতদিনের রিমান্ডে নেয়া সংবিধানের চেতনা, মৌলিক অধিকার ও সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনার (আটক ও রিমান্ড-সংক্রান্ত) লঙ্ঘন। ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যাখ্যা তলব করেন এবং আইওকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।