জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিজয় দিবস উদযাপন
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বিজয় দিবস উদযাপন করেছে।
মিশন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধে জাতির ঐতিহাসিক বিজয়ের এক গৌরবময় উদযাপনে স্বাধীনতা যুদ্ধের লাখো শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে।
হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
হাইকমিশনার রহমান ও অন্যরা মিশনের মুজিব কর্নারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: জাতি বিজয় দিবস উদযাপন করছে
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বিজয় দিবসের বাণী পাঠ করা হয়। এ.কে.এম. আতিকুল হক (বাণিজ্যমন্ত্রী); উইং কমান্ডার এস এম রাগিব সামাদ (সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা - বিমান); মো. আব্দুল ওয়াদুদ আকন্দ (কাউন্সেলর - রাজনৈতিক), জাকারিয়া বিন আমজাদ (দ্বিতীয় সচিব) ও সেলিম মো. জাহাঙ্গীর (মন্ত্রী - কনস্যুলার) আলোচনায় অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু ও যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাতের পর ৫২ বছরের বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের যাত্রার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেটি হবে শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দেশ। গত পাঁচ দশক ধরে আমরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ক্রমাগত পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, শিক্ষার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে।
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী তত্ত্বাবধায়নে হাইকমিশনার বলেন, তারা এখন বাংলাদেশকে একটি উন্নত, প্রযুক্তিনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করে বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে আবারও ৭ দিনের টিকা ক্যাম্পেইন
বাউল কামাল পাশার ১২১তম জন্মবার্ষিকী পালিত
সুনামগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত ৫৫টি গান পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে গানের সম্রাট মরহুম বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) এর ১২১তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধে ট্যাকেরঘাট সাবসেক্টরের যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ এর সভাপতি মহিবুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন-জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম.এ শাহিদ, জেলা কৃষকলীগ নেতা শাহ আলম সেরুল, ছাদিকুর রহমান ছাদিক, সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষ, গীতিকার শাহিনা জালালী পিয়ারা, গীতিকার আব্দুল আজিজ চৌধুরী, গীতিকার নির্মল কর জনি ও গীতিকার সামসুল আলম।
মঙ্গলবার থেকে দু’দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাউল কামাল পাশা রচিত ৫৫টি দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন বাউল কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বাউল তছকীর আলী, বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল, বঙ্গবন্ধু সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি বাউল শাহজাহান সিরাজ, সাংবাদিক রাজু আহমদ রমজান, বিটিভি শিল্পী তুলিকা ঘোষ চৌধুরী, বাউল ফারুক আহমদ, বাউল আমজাদ পাশা, বাউল শফিকুন নূর, বাউল এখলাছ দেওয়ান, বাউল জুবায়ের বখত সেবুল, বাউল বিভাষ দে, শিল্পী রাসেল আহমদ, তারিফ মিয়া, পূর্ণিমা শুক্ল বৈদ্য, শাহীন আলম ও শিশু শিল্পী প্রীতি মন্ডলসহ স্থানীয় শিল্পীরা।
উল্লেখ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশের সর্বপ্রথম সংগীত রচয়িতা বাউল কামাল পাশা ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলার দিরাই থানার রাজানগর স্কুল প্রাঙ্গনেপরিবেশন করেন ‘শেখ মুজিব কারাগারে আন্দোলন কেউ নাহি ছাড়ে/সত্যাগ্রহে এক কাতারে সামনে আছেন সামাদ ভাই/ঢাকার বুকে গুলি কেন নুরুল আমিন জবাব চাই’শীর্ষক দেশাত্ববোধক গানটি।
তিনি ১৯০১ সালের ৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ এবং ১৯৮৫ সালের ৩রা মে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
কবি নজরুলের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী বুধবার
‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তি জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনে অন্তর্ভুক্ত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক উক্তি ‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’ যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্দেশ করে। যা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) রেজ্যুলেশনের ১৪ তম অনুচ্ছেদে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। যার শিরোনাম দেয়া হয়েছে- ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব ডায়ালগ অ্যাজ আ গ্যারান্টি অব পিস, ২০২৩’।
কোভিড-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুর্কমেনিস্তান ইউএনজিএ’র পূর্ণাঙ্গ সভায় এই রেজ্যুলেশনটি পেশ করে।
মঙ্গলবার সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।
বিশ্ব মানবতা ও শান্তির দৃঢ় প্রবক্তা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তিটি প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আসামিকে দেশে ফেরাতে বিকল্প পথ খুঁজতে অনুরোধ
রেজ্যুলেশনের ১৪তম অনুচ্ছেদে বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতিটি যেভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে: ‘দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, নিরক্ষরতা ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব স্বীকার করে এবং গঠনমূলক সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেতনায় ‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’-এ জোর দেয়া এই উদ্দেশ্যগুলো অর্জনে সহায়তা করবে।’
এই অংশটি ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার প্রথম ভাষণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
বুধবার বাংলাদেশ মিশন জানায়, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিতের নির্দেশনায় বাংলাদেশ মিশন রেজ্যুলেশনের প্রস্তুতিতে নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বঙ্গবন্ধু কর্নার ও বঙ্গবন্ধু গার্ডেন উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং রেজ্যুলেশনে জাতির পিতার ঐতিহাসিক উক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশসহ ৭০টি দেশ এই রেজ্যুলেশনটি সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: জেলহত্যা দিবস: বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন বুধবার
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন পালিত হবে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর)।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির শাসনামলে প্রতিটি ধাপে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলো তার জীবন ও অর্জনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে জন্মদিন উদযাপন করা হবে।
তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথমবার, ২০০৯-২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৪-২০১৮ সালে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর-এ অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দলের নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়ী হওয়ার পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এছাড়াও তিনি তিনবার বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন।
শেখ হাসিনার শৈশবের অনেকটা সময় কেটেছে তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী নির্বাচিত হলে, তার পরিবার ১৯৫৪ সালে ঢাকায় চলে আসে। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে স্নাতক হন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৎকালীন সরকারি ইন্টামেডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রী সংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ নেতৃত্বের প্রশংসা করে বিশেষ প্রকাশনা উন্মোচন
শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সেই সময় জার্মানিতে থাকায় হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান।
শেখ হাসিনা নির্বাসনে থাকাকালীন তার অনুপস্থিতিতে ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। এরমধ্যে দিয়ে তার ছয় বছরের নির্বাসন শেষ হয়।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। তাকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাঁকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ২২ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
নেদারল্যান্ড-বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর: পানির গল্প নিয়ে ‘বই’ উন্মোচন
নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছরের অংশ হিসেবে পানির গল্প নিয়ে ‘বই’ উন্মোচন করা হয়েছে। বইটি যৌথভাবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়।
সম্প্রতি ডাচ পানি বিষয়ক দূত হেঙ্ক ওভিঙ্ক এবং নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ ডেল্ফ্-এ বাংলাদেশি এবং ডাচ তরুণ ফটোগ্রাফারদের পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি সম্মিলিত একটি স্মারক বই প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: অ্যাক্রিডিটেশন ল্যাব উন্নয়নে কাজ করবে নেদারল্যান্ড
হেঙ্ক ওভিঙ্ক ২০২৩ সালের জাতিসংঘের পানি সংক্রান্ত সম্বেলনের শেরপার দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রতিটি ব-দ্বীপে পানি সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি জনগণ-কেন্দ্রিক রূপান্তরে গুরুত্ব আরোপ করেন এবং আগামী কয়েক দশকে বাংলাদেশের পানি খাতে অব্যাহত ডাচ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
বইটি শীর্ষস্থানীয় ডাচ পানি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ডেল্টারেস এবং দূতাবাসের মধ্যে গত ১৬ মাসের সহযোগিতায় পরিচালিত ‘পানি বিষয়ক ছবি প্রতিযোগিতা’র মাধ্যমে তৈরি হয়। গত বছর উন্মুক্ত ফটো প্রতিযোগিতায় ১৬০০ ছবি জমা পড়ে যার মধ্যে জুরি ১০টি ছবি পুরষ্কারের জন্য নির্বাচন করে।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসে ভ্রমণকারী বাংলাদেশিদের জন্য নির্দেশনা
অনুষ্ঠানে আইএইচই, ওয়াগেনিঙ্গেন ইউনিভার্সিটি, রয়্যাল হাসকনিং সহ ডাচ পানি সেক্টরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে তার সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চাই। আমি এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও প্রণয়ন করেছি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী বৃহস্পতিবার উদযাপন করতে যাচ্ছে জাতি। একই সঙ্গে দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন।
কারাগার ও কারাগারের বাইরে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয় তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া দেশের সব মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সকালে দলটির সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনি নূরকে ফেরত দিতে কানাডাকে আবারও অনুরোধ ঢাকার
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
বিকাল ৩টায় দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা।
টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সব শিশুর সমান অধিকার’।
প্রকাশিত হলো বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’র ফরাসি সংস্করণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি ফরাসি সংস্করণ ‘Journal de Prison’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন। তিনি নিউইয়র্ক থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হন।
এ আয়োজনে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ফরাসি লেখক, দার্শনিক ও চলচ্চিত্রকার বার্নার্ড হেনরি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের রিজাল জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনী শুরু
বিশেষ বক্তা হিসেবে ঢাকা থেকে অংশগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হক।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন এই গ্রন্থের অনুবাদক প্রফেসর ফিলিপ, বইটির প্রকাশক সংস্থার প্রতিনিধি বারট্রান্ড।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার জীবনের ১৩ টি বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছেন। পরিবার পরিজনকে ছেড়ে কারাগারে অন্তরীণ জীবন যাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্ব সচেতনতা তৈরিতে এক সোচ্চার কণ্ঠস্বর।’
বিশিষ্ট ফরাসী লেখক, দার্শনিক ও চলচ্চিত্রকার বার্নার্ড তার বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘এ বইয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর কন্ঠস্বর শুনতে পাই।’
বার্নার্ড তার বক্তব্যে কয়েকটি বিশেষ দিক তুলে ধরেন। প্রথমত তিনি ফ্রান্সে বসবাসরত শেষ প্রজন্মের মানুষ যিনি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত ডাকটিকেট প্রদর্শনীর উদ্বোধন
তিনি বলেন, ‘এ গ্রন্থের মাধ্যমে একদিকে যেমন মিষ্টতার প্রকাশ অনুভব করতে পেরেছি, তেমনি দৃঢ়তাও ফুটে উঠেছে। জনমানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমত্ববোধ আস্বাদন করতে পেরেছি। এটি স্থায়ীভাবে এ গ্রন্থে গ্রথিত হল। বঙ্গবন্ধু তার বইতে যে ভাবে ফরাসি বিপ্লবের কথা বলেছেন, ফরাসি জনগোষ্ঠীর সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছেন, সে একইভাবে ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট ফরাসি দার্শনিক অঁন্দ্রে মার্লোও বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে তার সমর্থন প্রকাশ করেন।’
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তার শুভেচ্ছা বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত আশা ব্যক্ত করেন যে, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ, তার জীবন দর্শন সারা বিশ্বের ফরাসি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে এ বইটির অনুবাদ বিশেষ অবদান রাখবে।
ড.কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘মুজিববর্ষে কারাগারের রোজনামচা বইটির ফরাসি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।’
করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার, অনুবাদক, প্রকাশক সংস্থার প্রতিনিধি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সশরীরে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ফ্রান্সে অবস্থিত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট গুণীজনসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এই অনুষ্ঠানটি একইসাথে অনলাইনে আয়োজন করা হয়।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস শনিবার
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস শনিবার পালিত হবে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর মহুকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন।
আরও পড়ুন: ৯ বছরেও সংশোধন হয়নি মুজিবনগরে জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্যের ভুল তথ্য
তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার গঠনের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকার যাত্রা শুরু করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, 'মুজিবনগর দিবসে আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিমগ্ন হয়ে দেশের মানুষকে দেশ গঠনে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই।'
রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস জানতে সক্ষম হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখবে।
পৃথক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, '১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যা বাঙালি জাতির জীবনে স্মরণীয় দিন। এই দিনই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার মেহেরপুর মহুকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করে।'
মুজিবনগর দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা ধরে রাখার জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
জাতির পিতা অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সকল সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: মন্ত্রী
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিবসটির উদযাপন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সকাল ১০টায় নগরীর ধানমন্ডি-৩২ এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলোতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।
দিবসটির তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এই দিনটিকে ঘিরে ভার্চুয়াল আলোচনার সভার আয়োজন করবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো আওয়ামী লীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসকে স্বল্প পরিসরে পালনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ভবন ও আ’লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি দলের সকল জেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: মুজিব শতবর্ষ: গাইবান্ধায় বিশ্বের ‘দীর্ঘতম’ আলপনা উৎসব
আ.লীগ ধানমন্ডি-৩২ এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দলের নেতা-কর্মীরা সেখানে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখবেন।
আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের নেতৃত্বে একটি দল রাত ১০টায় মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। আ.লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের দল ও এর সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সীমিত পরিসরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ স্পষ্টতই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা কেননা বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে দুইবার দৃঢ়তার সাথে বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।