ভোলা
ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ভোলার মনপুরায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এসময় এক শিকারিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ মে) গভীর মধ্যরাত সাড়ে ৩ টার দিকে মনপুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উত্তর পাশের পাকা সড়কের ওপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. কালু (২৮) উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিদা গদু সর্দারের ছেলে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস ও মাথাসহ শিকারি আটক
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার মধ্যরাত সাড় ৩ টায় উপজেলা সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উত্তর পাশে সড়কে অভিযান চালিয়ে তারা ১৫ কেজি হরিণের মাংসসহ কালুকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় চক্রের অপর পাঁচ সদস্য পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের জেরার মুখে গ্রেপ্তার কালু চক্রের অপর পাঁচ সদস্যের নাম জানায়। পরে পুলিশ কালুসহ চক্রের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা করে।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি হরিণের মাংসসহ এক হরিণ শিকারিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের ছয় জনের বিরুদ্ধে বণ্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চক্রের অপর সদস্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
ভোলায় ইলিশা-১ কূপের তৃতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান মিলেছে
প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের পর তৃতীয় স্তরেও ভোলার ইলিশা-১ কূপে মিলেছে গ্যাসের সন্ধান।
সোমবার ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালেরহাট এলাকায় ইলিশা-১ নামের নতুন কূপে তৃতীয় স্তরের ড্রিল স্টেম টেস্ট (ডিএসটি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সকাল থেকে আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এ গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম এ উত্তোলন কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় 'গ্যাসের গন্ধ' সমস্যাটির সমাধান করা হয়েছে: তিতাস গ্যাস
এ কূপের তৃতীয় স্তর থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। প্রাথমিকভাবে ২০০ বিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে।
কূপে গ্যাসের চাপ ভালো বলে নিশ্চিত করেছেন বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন।
তিনি জানান, গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ কূপ খনন শুরু হয়। তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় ডিএসটি’র মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ১৪ এপ্রিল। এরপর বিভিন্ন ধাপে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনটি স্তরে গ্যাসপ্রাপ্তির সমূহ সম্ভাবনা দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, ২৮ এপ্রিল প্রথম, ৭ মে দ্বিতীয় ও ১৫ মে তৃতীয় স্তরে পরীক্ষারমূলকভাবে গ্যাস কূপে আগুন প্রজ্জ্বলন করা হয়।
মো. আলমগীর হোসেন জানান, সোমবার কূপটির তৃতীয় স্তরে আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলনের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তৃতীয় স্তরের পরীক্ষা শেষে প্রতিটি স্তর থেকে দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এটির প্রথম স্তর ৩ হাজার ৪৩৩ মিটার থেকে ৩ হাজার ৪৩৬, দ্বিতীয় স্তর ৩ হাজার ২৬৮ মিটার থেকে ৩ হাজার ২৭৫ মিটার এবং তৃতীয় স্তর ৩ হাজার ২৫০ মিটার থেকে ৩ হাজার ২৫৪ মিটার।
শাহাবাজপু ও ইলিশা মিলিয়ে আরও কূপ খনন করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগও জানিয়েছে, গ্যাসের সম্ভাবনা যাচাই করতে আগামী অক্টোবর থেকে নতুন করে গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্স।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে ভোলা নর্থ-২ নামে একটি কূপে পরীক্ষামূলকভাবে আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়।
১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুরে প্রথমবার গ্যাসের সন্ধান মেলে।
বাপেক্স সূত্র জানায়, নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের কূপ নিয়ে জেলায় মোট তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের ৯টি কূপ রয়েছে।
এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থ-এর দুইটি এবং সর্বশেষ ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রের ইলিশা-১ এর একটি কূপ।
এসব কূপে মোট মজুদ গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭ টিসিএফ ঘনফুট।
আরও পড়ুন: ভোলায় ইলিশা-১ নামে নতুন আরও একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান
গ্যাসের গন্ধের খবরে ঢাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের
ভোলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননী এক অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের সাজিকান্দি গ্রামের বসত ঘর থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত বিবি কুলসুম (৪০) ওই গ্রামের মো. তছির মাঝির স্ত্রী এবং ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের আলী মাঝির মেয়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় যুবকের লাশ উদ্ধার
নিহতের স্বজনেরা জানায়, প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত মামলার ভয়ে তার স্বামী বেশ কয়েকদিন ধরে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই কুলসুম তার সন্তানদের নিয়ে রাতে নিজের বসত ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। রাতে কে বা কারা কুলসুমকে হত্যা করেছে তা কেউ টের পায়নি।
জানা যায়, নিহতের স্বামী তছির রবিবার দিবাগত রাতে কুলসুমের ফোনে একাধিকবার কল দেয়। কল রিসিভ না করায় তছির তার বড় ছেলে হানিফকে সোমবার সকালে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলে। বড় ছেলে বিয়ে করে একই গ্রামে থাকেন। বড় ছেলে বাড়িতে গিয়ে এ হত্যাকণ্ড দেখতে পান।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে নিহত নারীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে শুনেছেন।
ওসি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: কীর্তনখোলা নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার
খুলনায় ডোবা থেকে ১৯ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
ঘূর্ণিঝড় মোখা: জেলেদের ফিরিয়ে আনতে ভোলায় কোস্টগার্ডের প্রচারণা
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত থেকে রক্ষা পেতে গভীর সাগর ও সাগর মোহনায় মাছ শিকার করতে যাওয়া ভোলার জেলেদের নিরাপদে বাড়ি ফিরে আনার জন্য মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলার কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল থেকে ভোলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসময় তারা জেলেদের সকর্ত করতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে সকর্ত করেন।
আরও পড়ুন: সিত্রাং: ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড
অপরদিকে, ভোলার মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলেরাও নদীতে মাছ শিকার করছে। তবে সমুদ্রগামী অনেক জেলে আবহাওয়ার সংবাদ শুনে ঘাটে ফিরে এসেছে। তবে অনেকে এখনো সাগরে রয়েছে।
বিভিন্ন মাছ ঘাটে নদী ও সাগরে থাকা জেলেদের সতর্ক করতে মাইকিং করছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। যাতে করে গভীর সমুদ্রে থাকা জেলেরা নিরাপদে ফিরে আসতে পারে।
এছাড়াও জেলেরা যারা সাগরে বা দূরবর্তী স্থানে রয়েছে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে ঘাটের আড়ৎদার ও পরিবারে মাধ্যমে খবর পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা শুনে আতঙ্কে রয়েছে উপকূলের মানুষ। ইতোমধ্যে জেলেরা তাদের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে শুরু করেছেন।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট মেহেদী হাসান গণমাধ্যমে জানান, গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা মাছ ধরার ট্রলার যারা ভিএফএস রেডিও সেট ব্যবহার করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তারা অলরেডি উপকূলে ফিরে আসছে। আর যাদের কাছে ভিএফএস রেডিও নেই তাদের ক্ষেত্রে মাছঘাট ও মৎস্য মালিক সমিতির মাধ্যমে বার্তাটি পৌঁছানো হয়েছে।
তারাও তীরে ফেরত আসছে বলে মালিক সমিতি নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও প্রতিটি মাছঘাটে কোস্টগার্ড সদস্য মাইকিং করছে।
ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন জানান, সমুদ্রগামী জেলেদের তীরে ফিরিয়ে আনতে কোস্টগার্ড ও সিপিপি সদস্যদের মাধ্যমে প্রতিটি ঘাটে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ জেলে তীরে ফিরে এসেছে। বাকীরাও দ্রুত চলে আসবে।
অপরদিকে নতুন করে যাতে কোনো জেলে সাগরে যেতে না পারে সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন: ঝড়ে চরে আটকে পড়া ২২ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড
সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
ভোলায় অগ্নিকাণ্ডে ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আড়াইটার দিকে জংশন বাজারের ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কাছে একটি টিভি-ফ্রিজের শো-রুম থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় বাজারের মেশিনারি পার্টসের দোকান, ফাস্টফুডের দোকান, টিভি-ফ্রিজের দোকান, ওয়ার্কশপের দোকান, ফার্মেসি, সুতার দোকান, মেশিনারি মালামালের গোডাউন, ফার্নিচারের দোকানসহ ৯টি পুরোপুরি এবং দুইটি আংশিক, মোট ১১টি দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলা সদর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সুমন সাংবাদিকদের জানান, রাত আড়াইটার দিকে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট গিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কীভাবে আগুনের সূত্রপাত ও কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মনপুরায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও ফরিদপুরে আশানুরূপ ক্রেতা নেই
ভোলায় ২ দিন নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা
ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী অভয়াশ্রমে র্দীঘ দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নদীতে নেমেছেন জেলেরা।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষে হওয়ার পর গত ২ দিন নদীতে জেলেরা কাঙিক্ষত মাছ পাচ্ছে না। ফলে প্রায় খালি হাতেই ফিরছেন তারা।
তবে জেলেদের আশা আগামী পূর্ণিমার পর হয়তো তাদের জালে ধরা পড়বে প্রত্যাশিত পরিমাণের ইলিশ।
আরও পড়ুন: রামগতিতে ৪ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, আটক ৯
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশের অভয়াশ্রম হওয়ায় দুই মাসের জন্য ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল ৯০ কিলোমিটার মেঘনা নদী ও ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম ১০০ কিলোমিটার তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ৩০ এপ্রিল রবিবার মধ্যরাত থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে নদীতে নেমেছেন ভোলার সাত উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ জেলে। তাদের আশা ছিল দুই মাসের অভিযান শেষে নদীতে প্রচুর মাছ পাবেন।
আর তাতে গত দুই মাসের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। ফিরে পাবেন স্বচ্ছলতা। কিন্তু জালে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছেনা।
ভোলার তুলাতুলি মাছ ঘাটের জেলেরা জানান, নদীতে সারাদিন জাল ফেলে দুই-চারটি যা মাছ ধরা পড়েছে তা আকারে ছোট। কোনো কোনো জেলে সামান্য মাছ পেলেও তা বিক্রি করে তেল খরচও উঠছেনা।
এতে তারা হতাশায় পড়েছেন। তবে মাছ কম পড়ায় দাম বেশ চড়া।
অন্যদিকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় তাদের ব্যবসা বন্ধ থাকায় লোকসান গুণতে হয়েছে। এবার নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ মাছ শিকার করলে জমজমাট হবে তাদের ব্যবসা।
এ ছাড়াও বিগত দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে নিবেন তারা। কিন্তু মাছ কম পাওয়ায় তারা হতাশ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে
ইলিশা মাছ ঘাটের মৎস্য ব্যাপারী শাহাবুদ্দিন জানান, মঙ্গলবার মাছের পরিমাণ আরও কমে গেছে। এতে তারা বিপাকে রয়েছে। সামান্য মাছ পাওয়া গেলেও তার দাম অনেক বেশি।
এদিকে এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা ও মাঝারি সাইজের সাত থেকে আট হাজার টাকা দরে।
মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত দুই মাসে ভোলার সাত উপজেলায় ৪০৩টি অভিযান পরিচালনা করে ৩৬২জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। ৪৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০৩ জন জেলেকে ছয় লাখ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আটককৃত বাকিরা অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন জানান, তাদের দুই মাসের অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া ইলিশ মাছ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে।
তিনি আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে জেলেরা প্রচুর মাছ শিকার করে দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে আবার ঘুড়ে দাঁড়াবেন।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
ভোলায় ইলিশা-১ নামে নতুন আরও একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান
দ্বীপজেলা ভোলায় একের পর এক জ্বালানি গ্যাস কূপের সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে। ভোলার ইলিশা-১ নামে নতুন আরও একটি কূপ থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে বাপেক্স। এ নিয়ে জেলার মোট ৯টি কূপে গ্যাসের সন্ধান পেল বাপেক্স।
শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৭ টা থেকে অগ্নি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এ গ্যাস উত্তোলন শুরু করে বাপেক্স। প্রতিদিন এই গ্যাস কূপ থেকে ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে আশা করা করছে সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি গ্যাসের চড়া দাম ও সংকটের মধ্যে একের পর এক গ্যাস কূপ পাওয়ায় এখন আশার আলো দ্বীপজেলা ভোলা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশে জ্বালানি সংকট দূর করার লক্ষে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। গত ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মালেরহাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কুপ এ বাপেক্স খনন শুরু করে।
বাপেক্সের নকশা ও লোকেশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গ্যাসপ্রম কূপ খনন কাজ পরিচালনা করছে। ৩ হাজার ৪৩৬ মিটার গভীরতায় তিনটি স্তরে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম স্টেট) এর মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ২৪ এপ্রিল। এরপর শুক্রবার সকাল ৭ টা থেকে আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের উপস্থিতি তারা নিশ্চিত করা হয়। গ্যাসের প্রবাহ ও প্রেসার পজেটিভ।
আরও পড়ুন: ভোলায় নর্থ-২ কূপে গ্যাসের সন্ধান
ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত ৩
ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকালে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন সকালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার চরফ্যাশন সড়কের বৈদ্যের পোল এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়।
নিহতেরা হলেন- মনির শরীফ (৫৫) ও তার মেয়ের জামাই আসগর আলী (৩২)।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার মনির শরীফ তার ছোট জামাই আসগরকে নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বড় জামাইয়ের দাদীর জানাজায় অংশগ্রহণ করতে রওনা দেয়। এসময় তারা বৈদ্যের পোল এলাকায় পার্শ্ব সড়ক থেকে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক অতিক্রম করার সময় ভোলা থেকে চরফ্যাশনগামী মা-জাহান নামের একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা দুজন মারা যান।
অন্যদিকে, ভোলা সদর উপেজলার পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মজগুনি বাড়ি এলাকায় একটি পিকআপের চাপায় এক যুবক নিহত হয়েছেন।
নিহত মো. আরিফ হোসেন (২৫) সদরের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্ত মুন্সি গ্রামের মো. আলীর ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর। আরিফ চট্টগ্রামে একটি বালুর জাহাজে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন।ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ৩
জানা যায়, এদিন সকালে ভোলার সদর উপেজলার পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মজগুনি বাড়ি এলাকায় ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক শরীফ তার ভাইকে নিয়ে লাকরি আনতে বাড়ি থেকে পরানগঞ্জ যাচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ ভ্যানটি রাস্তার উপর উল্টে যায়। ওই সময় একটি পিকআপ ওই ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এসময় ভ্যান চালকের ভাই আরিফ ঘটনাস্থেলই নিহত হয়েছেন এবং শরীফ আহত হয়েছেন।
এদিকে গুরুতর আহত শরীফকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বোরহানউদ্দিন থানার পরিদর্শক তদন্ত রেজাউল করিম রাজিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়াও বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৩
ভোলায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে যুবক নিহত
ভোলায় কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ৩
ভোলার দৌলতখানে মালবাহী কাভার্ডভ্যানের চাপায় সিএনজির তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সিএনজির চালকসহ আরও ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বকশেআলী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-সুজিত গোলাদার (৩০), শুভ চন্দ্র (২০) ও লিটন হাওলাদার (৩৮)।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু
নিহত সুজিত লালমোহন উপজেলার কালমা ৩নম্বর ওয়ার্ডের নির্মল গোলদারের ছেলে, শুভ চন্দ্র তজুমদ্দিন উপজেলার গোলকপুর এলাকার বাদল চন্দ্রের ছেলে এবং লিটন বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার বর্দা কান্ত হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলার লালমোহন থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি ভোলা শহরের দিকে আসছিল। এসময় দৌলতখান উপজেলার বকশেখালী ব্রিজের কাছে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা চরফ্যাশনগামী একটি মালবাহী কাভার্ডভ্যান সিএনজিটিকে চাপা দেয়। এসময় সংর্ঘষে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। পরে আহতদের মধ্য থেকে শুভ চন্দ্র নামের একজনকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যায়।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দুই জনের লাশ উদ্ধার করা করেছে। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে একজন বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, কাভার্ডভ্যানটি সিএনজিটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় সেটিকে আটক করা যায়নি।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ভোলায় ধরা পড়ল সাড়ে ৬ মণ ওজনের হাউস মাছ
ভোলার মেঘনা নদীতে প্রায় সাড়ে ছয় মণ ওজনের একটি বিশাল আকৃতির মাছ ধরা হয়েছে। এর পর মাছটি বরিশাল মোকামে নিয়ে আট হাজার ৮০০ টাকা মনে বিক্রি করা হয়। মাছটি ‘হাউস মাছ’ বলেও পরিচিত।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালে ভোলা সদরের ইলিশা ও রাজাপুরের মাঝামাঝি এলাকায় জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
পরে ইলিশা মাছ ঘাটে মাছটি বিক্রির উদ্দ্যেশে নিয়ে আসলে একনজর দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমান।
স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাইদুল মাঝির মাছ ধরা নৌকার জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। এর ওজন ছয় মণ ২৩ কেজি।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুই ভোল মাছ সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি!