আবদুল হামিদ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সাক্ষাৎ
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন এবং বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, নতুন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে আপিল বিভাগের বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তির কাজ দ্রুত হবে।
বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির মতো সংকটের সময়েও জনগণ যাতে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য বিচার বিভাগের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোরও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আদালতে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া বরদাশত করা হবে না: প্রধান বিচারপতি
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
রবিবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বিতর্ক এবং অনুমোদিত হবে।
বিকাল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
আগামী ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট প্রস্তাব পেশ করার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ১৮ মে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী জাতয়ি সংসদ অধিবেশন আহ্বান করেন।
গত ৬ এপ্রিল একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তদশতম অধিবেশন আটটি বৈঠকের পর স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশন ৫ জুন শুরু
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৪১ কোটি টাকা পেল সংসদ
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
খাদ্য নিরাপত্তায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ব্যাপক বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কথাকে কাজে পরিণত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সীমারেখা নেই।’
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
সিসিএফের আন্তর্জাতিক কমিটি অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
‘ঝুঁকি ও চরম প্রভাব বিবেচনা করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ব আগের চেয়ে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ একজন পরীক্ষিত বন্ধু হারাল: রাষ্ট্রপতি
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘পদক্ষেপ নেয়ার সময় বিলম্বিত করা যাবে না।’
সান্ত্বনামূলক প্রতিশ্রুতি, বড় বড় বক্তব্য, আকর্ষণীয় স্লোগান ও উল্লেখযোগ্য কাগজপত্রের উপস্থাপনা সমস্যা প্রশমনের জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে রোমানিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা সেজোনভ টেনে।
সেজোনভ নয়াদিল্লিতে অবস্থান করে একই সঙ্গে ভারত ও নেপালে তার দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
বুধবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন, তার দায়িত্বকালে রোমানিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক আরও বাড়বে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত রোমানিয়ার অনারারি কনসুল এনায়েতউল্লাহ খান রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলার সম্মানে তার বারিধারার বাসভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান প্রত্যাবাসনে নিহিত: পররাষ্ট্র সচিব
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশে এসে আমি খুবই গর্বিত।’
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ও রোমানিয়া তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একসঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের সংকটে রোমানিয়ানরা যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছে। এ সময় তারা কীভাবে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের এবং ইউক্রেনে আটকা পড়া কিছু বাংলাদেশিকে সাহায্য করেছিল তা স্মরণ করেন তিনি।
রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে আমাদের কিছু মৌলিক সাধারণ মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য এক হতে হবে। আমি এই পরিস্থিতির উন্নতির আশা করি।
তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি যুদ্ধ, সবাইকে এর সমালোচনা করতে হবে।
বেদ ও উপনিষদের প্রাচীন জ্ঞানের মাধ্যমে ভারতের প্রেমে পড়ে রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা বুখারেস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি কমিউনিস্ট-পরবর্তী রোমানিয়ায় হিন্দি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রথম ব্যাচের ছাত্রী।
ড্যানিয়েলা ১৯৯২ সালে আগ্রার কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থায় হিন্দি ভাষা ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে একটি বৃত্তি পেয়েছিলেন। এভাবেই মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি ভারতে আসেন।
এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে রোমানিয়া একটি।
এ সময় তিনি প্রায় ২০ বছর পর ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলাকে দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস নর্ডিক দেশগুলোর
তিনি জানান, গত দুই বছরে করোনা আমাদের ভিন্নভাবে ভাবতে শিখিয়েছে। মহামারি পরবর্তী ভোগান্তি আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও ভালো এবং শান্তিপূর্ণ হবে এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন নতুন চ্যালেঞ্জ থাকলেও সবাই মিলে একটি উন্নত বিশ্বের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব আমরা।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা নতুন বাংলাদেশ। ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশ এটি।’
এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘ইমেজ সংকট’ থেকে উত্তরণে বাংলাদেশকে উন্নীত করার লক্ষ্যে তারা কঠোর পরিশ্রম করছেন।
তিনি বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশা করে বলেন, প্রতিটি সংকটে একটি ভালো দিক আছে। আমি আশা করি বাংলাদেশ-রোমানিয়ার সম্পর্ক বৃহত্তর, শক্তিশালী ও গভীর হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী মলদোভা ও রোমানিয়া হয়ে ইউক্রেন থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সহায়তায় রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বুখারেস্টে বাংলাদেশ মিশনের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
সচিব বলেন, তিনি (রোমানিয়ান রাষ্ট্রদূত) যেভাবে বাংলাদেশকে গ্রহণ করেছেন তাতে আমি খুবই মুগ্ধ এবং তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে ভিন্ন উচ্চতায় উন্নীত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
সচিব বলেন, (দুই দেশের সম্পর্কে) অনেক অগ্রগতি হয়েছে। রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে প্রচুর জনবল নেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এবং নতুন রাষ্ট্রদূত এটি সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে।
এ সময় সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান ও কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমেরিটাস রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিমসহ বর্তমান ও সাবেক কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা: যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে প্রত্যাশা ঢাকার
হয়রানি ছাড়া ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি
বিচারপ্রার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের সমস্যার সমাধান ও ন্যায়বিচার পেতে সহায়তার জন্য আপনাদের কাছে আসে। তাই তারা যাতে কোনো ভাবে কোনো ধরনের হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
রবিবার কিশোরগঞ্জ জেলার নবনির্মিত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের উদ্বোধন ও জেলা আইনজীবী সমিতির ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ’ ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দেশে শুধু আইনের শাসন নয়, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠা সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের সুফল সর্বত্র পৌঁছে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ থেকে দুর্নীতিবাজদের বিতাড়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আন্তরিক।
বিচারকদের সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও আদালত সংকট নিরসনের পাশাপাশি মামলা পরিচালনায় বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের আইনি সহায়তা দিতে দেশের ৬৪ জেলায় এবং সুপ্রিম কোর্টে আইনি সহায়তা অফিস স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষ আইনি সহায়তা পাচ্ছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকের উদ্বোধনসহ ৩১টি জেলায় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। আমার আশা এই ভবনগুলো নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচারের সুফল পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেন, কিশোরগঞ্জে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন উদ্বোধন করা তার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। কারণ এই জেলার সঙ্গে তার জীবন জড়িত।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে জেলার বিচারপ্রার্থী মানুষ দ্রুততম সময়ে বিচারিক সেবা পাবে। পাশাপাশি মানুষ সুন্দর পরিবেশ পাবে, এটা আমার জন্য আনন্দের।’
প্রয়োজনীয় স্থানের অভাবে দায়িত্ব পালনকালে বিচারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের ফলে আপনারা সুন্দর পরিবেশে বিচার কার্য পরিচালনা করতে পারবেন।
কর্মক্ষেত্রে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং মানুষ উপকৃত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি, (ইউএনবি)- রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এসময় তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন ক্ষমতার অপব্যবহার না করার নিশ্চয়তা। তাই দায়িত্ব পালনকালে সচেতনভাবে ক্ষমতা ও দায়িত্বের মধ্যকার পার্থক্য বজায় রাখতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে আয়োজিত ডিসি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান নেতৃত্বের কথা কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ আমি রাষ্ট্রপতি, আপনারা সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক হয়েছেন, এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
সেবা পাওয়া জনগণের অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সেবক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিন। এটা মনে রাখতে হবে যে আমরা জনগণের টাকায় আমাদের সংসার চালাই। তাই সরকারি সেবা প্রদান কোনো দয়া বা কল্যাণের বিষয় নয়।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের কার্যকর মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ কর্মসূচির সুফল প্রকৃত দরিদ্রদের কাছে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবশ্যই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের দরিদ্র মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে, সামাজিক সুরক্ষা ও জনগণের ক্ষমতায়ন, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কার্যকর নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে আপনাদের।
তিনি বলেন, ভূমি সংক্রান্ত সেবার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তবে ভূমি রেকর্ডের সময় একদল অসাধু কর্মচারী স্থানীয় প্রভাবশালী দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নানা অনিয়ম করছে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
তিনি কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে কঠোর হতে এবং যেকোনো অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে এবং জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করতে বলেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী ফ্রন্ট ও জমিয়তে উলামায়ের বৈঠক
দুর্নীতিকে উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, মাঠ পর্যায়ে জনগণের জন্য গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার জন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম।
সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাগীর হোসেন ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
গণতন্ত্রকে আরও ফলপ্রসূ করতে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘সরকারি সব কাজে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গণতন্ত্রকে আরও ফলপ্রসূ করা প্রয়োজন...।’
রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনের ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন,গত দেড় দশকে সরকারের উন্নয়ন কাজ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। সরকারি তহবিলের অপব্যবহার ঠেকাতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করারও আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাংসদদের সব কিছুর ঊর্ধ্বে জনস্বার্থকে রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
আবদুল হামিদ বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হওয়ার পাশাপাশি মানুষ যাতে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে সেদিকে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
এ সময় ধর্মের নামে কোনো ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী যেন দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন তিনি।
ভাষণে রাষ্ট্রপ্রধান করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের সাফল্য এবং পরিবহন, অবকাঠামো, অর্থনীতি, শিক্ষা, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন ও পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেন।
এর আগে রবিবার বিকাল ৪টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশন শুরু হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করছেন। এটি ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশন এবং শীতকালীন অধিবেশন নামেও পরিচিত।
সংবিধানের ৭৩ (২) ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। এ জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব এনে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সংসদে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার আগে সংসদ সদস্যদের আলোচনায় অংশ নেয়ার কথা। এর আগে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার এবারের সংসদের ষোড়শ অধিবেশনের জন্য পাঁচ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনীত করেন।
প্যানেল সদস্যরা হলেন-মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), মো. মুজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩), মঞ্জুর হোসেন (ফরিদপুর-১) ও পারভীন হক সিকদার (মহিলা আসন-৩৯)।
তারা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে কালানুক্রমিকভাবে সংসদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
সংসদ সচিবালয় অনুযায়ী, করোনার মধ্যে অধিবেশন হওয়ায় সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে।
এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন শেষ হয়েছিল।
গত ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁর ওপর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বর্তমান সংসদের ষোড়শ অধিবেশন আহ্বান করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ঘরে বসে না থেকে মাঠে নামার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে সংলাপে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সুশীল সমাজকেও চায় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে তরিকত ফেডারেশনের নেতারা এ দাবি জানান।
বিকালে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেয়।
বঙ্গভবনে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই এ আলোচনার মূল লক্ষ্য। রাষ্ট্রপতি আশা করেন পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে। রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
আলোচনাকালে তরিকত ফেডারেশনের প্রতিনিধিদল স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেন। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। এছাড়া তারা আইন প্রণয়নের অনুপস্থিতিতে সার্চ কমিটি গঠন, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় এবং নির্বাচন কমিশনে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী ও তাদের পরিবারবর্গের কাউকে নিয়োগ না দেয়ারও প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসি পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রহসন ছাড়া কিছুই না: বিএনপি
দেশের সব আদালত ভার্চুয়াল করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের সব আদালতের কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস-২০২১’ উপলক্ষে বঙ্গভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়াল করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এতে আমাদের বিচার ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনলাইনে জামিন নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থা কার্যকরি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি অনলাইন কারণ তালিকা চালু করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট একটি রেকর্ড আদালত, তাই এটির সমস্ত নথি ডিজিটাল নথিতে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং মামলা দায়ের থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রমের ডিজিটাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে সকলের দায়িত্ব রয়েছে: রাষ্ট্রপতি
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে অত্যন্ত আন্তরিক এবং ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল যুগে আদালত ব্যবস্থাপনায়ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। রাষ্ট্রপতি তথ্য প্রযুক্তির সব সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে মামলার বিচারিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার পরিচালনার জন্যে আদালত ২০২০ সালের ৯মে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করেছিল, যা পরবর্তীতে আইনে পরিণত হয়।
করোনা মহামারি চলাকালীন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রত্যাশী জনগণকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, দেশবাসী আশা করে, বিচারকেরা তাদের মেধা ও চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। কারণ তারা দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল,সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, সিনিয়র আইনজীবী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, অনুষ্ঠানে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭২ সালের ১৬ তারিখ স্বাধীন বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। দিনটি সরকারি ছুটি থাকায় ১৮ ডিসেম্বর আদালতে প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব ঘোচাতে দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি
বেকারত্ব ঘোচাতে দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশের তরুণদের বেকারত্ব দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে দক্ষতার ব্যবধান চিহ্নিতকরণ ও কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দক্ষতার ফাঁকা জায়গাগুলো শনাক্ত করতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক, উদ্ভাবনী ও দক্ষ থাকার জন্য দ্রুত উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা নতুন করে সাজাতে হবে।’
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড (আইসি৪আইআর)-২০২১’ বিষয়ক দুদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাষণে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গ্রেজুয়েটদের মধ্যে বেকারত্বের হার অনেক বেশি, যা দক্ষতার অমিলকে নির্দেশ করে। আমাদের চাকরির বাজারে বিদেশিরা আধিপত্য বিস্তার করছে, বিশেষ করে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে, কর্পোরেট সংস্থা এবং বহু-জাতিক কোম্পানিতে। এই প্রবণতার ফলে বাংলাদেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রেমিটেন্স আউটফ্লো হয়।’
সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ আসবে
আরও পড়ুন: একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থানীয় ও বৈশ্বিক চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘ যদিও আমরা কৃষি, অটোমেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং এবং অন্যান্য অনেক খাতে ক্রমবর্ধমান উন্নতি করছি। তবে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে আরও বেশি জোর দিতে হবে।’
সম্মেলনের পাশাপাশি আরও দুটি ইভেন্ট হচ্ছে- ‘মুজিব ১০০ আইডিয়া কনটেস্ট’ এবং ‘মুজিব ১০০ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সিবিট’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপ-শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বৈষম্য দূর করতে সবার সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির