চাঁদপুর
চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
চাঁদপুর সদরের মহামায়া এলাকায় চাঁদপুর–কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া ব্রীজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শান্ত (১৭) চাঁদপুর সদর উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের হানিফ পটোয়ারীর ছেলে ও আসিফ (১৮) একই বাড়ির আক্তার পাটোয়ারীর ছেলে। এ ঘটনায় সাজ্জাদ (১৭) ও পথচারী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম (৭০) গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আলিম পরীক্ষার্থী নিহত
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, রাত ১০টার দিকে তিন যুবক বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল নিয়ে মহামায়া বাজার এলাকায় যাচ্ছিল। মহামায়া ব্রীজের কাছে পৌঁছলে মুক্তিযোদ্ধা নজরুলকে সাইড দিতে গিয়ে মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে ও খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শান্তর মৃত্যু হয়।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আসিফকেও মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে সাজ্জাদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ওসি জানান, নিহত দুই শিক্ষার্থী এবারের এসএসসির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সম্প্রতি তাদের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
হাসপাতালের বারান্দায় নারীর লাশ রেখে পালালেন স্বামী-শাশুড়ি!
চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সোমাবার এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত কোহিনুর আক্তার (৩০) উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও একই উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সুরমা নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শোয়েব আহমেদ চিশতী জানান, সোমবার কোহিনুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তখন লাশ বারান্দায় রেখে স্বামী ও শাশুড়ি উভয়ে হঠাৎ গা ঢাকা দেয়!
মৃত নারীর বাবা আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখেন মেয়ে লাশ হয়ে পড়ে আছে। তবে কী কারণে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
হাজিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনর রশিদ জানান, মঙ্গলবার সকালে লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে এখনও কোন মামলা হয়নি।
বাবার জালিয়াতির উপযুক্ত বিচার চেয়ে ‘মৃত সন্তানের’ সংবাদ সম্মেলন!
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিজের বাবার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ‘মৃত সন্তান’! এমনকি মৃত সন্তানের দায়ের করা মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে আছেন ওই বাবা।
ফরিদগঞ্জের চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বাবার বিরুদ্ধে কেন মামলা করতে বাধ্য হলেন,সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতেই শনিবার ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছেলে এমরান হোসেন জহির প্রকাশ ঝুটন(৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঝুটন জানান, তিনি তার বাবা আহাম্মদ উল্যা বেপারীর(৬৭) প্রথম স্ত্রী খুরশিদা বেগমের ছেলে। এই ঘরে খাদিজা বেগম লাকি নামে তার আরেক বোন ছিলেন, বর্তমানে যিনি মৃত। আমার মায়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই ঘরে সৎ মা এবং তিন বোন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি: রূপায়নের চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিচার শুরু
তিনি বলেন, জন্মের পর থেকে আমি বাবার আদর -ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হলেও,প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে বাবার সার্বক্ষণিক দেখভাল করেছি। তাকে খোরপোষ বাবদ টাকা এবং সৎ বোনের বিয়ে এবং বাবার চোখের অপারেশনের জন্য টাকা দিয়েছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমার বাবা আমাকে মৃত দেখিয়ে গত ২০১০ সালে ৮ আগস্ট আমাদের স্থানীয় ১১নং চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে তৎকালীন চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ পাটওয়ারী ও সচিবের স্বাক্ষরে নিজের নামে ওয়ারিশ সনদ গ্রহণ করেন। একই তারিখে তিনি আমার বোন খাদিজা বেগম লাকির মৃত্যুর সনদ দেখান।এরপর নিজেকে একক ওয়ারিশ দেখিয়ে সনদ গ্রহণ করেন।
ঝুটন আরও বলেন, আমি আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেও, আমার বাবার কাছে আমি মৃত। জন্মদাতা বাবা হয়ে তিনি কিভাবে শুধুমাত্র সম্পত্তির লোভে নিজের ঔরসজাত সন্তানকে মৃত দেখালেন!
তিনি অভিযোগ করে বলেন,এর আগে আমার বাবা নিজেকে তার বাবার একমাত্র সন্তান দাবি করে আমার পাঁচ ফুফুর অস্তিত্ব অস্বীকার করে, ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর একই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একই চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ওয়ারিশ সনদ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: তথ্য জালিয়াতি: ইউপি চেয়ারম্যানের মনোনয়নের প্রতিবাদে নাটোরে বিক্ষোভ
তিনি বলেন, আমি প্রবাস থেকে গত দেড় মাস আগে বাড়ি ফিরে আসার পর এক ফুফু কর্তৃক আমাকে দান করা ও আরেক ফুফুর থেকে কেনা জমিতে বাড়ি করতে গেলে বাধার সম্মুখিন হই। এক পর্যায়ে এর কারণ জানতে গিয়ে বাবার এসব কুকর্মের কথা জানতে পারি। এলাকায় এ বিষয়ে কয়েকবার আমাদের স্থানীয়ভাবে সালিশি হলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায়,আমি বাধ্য হয়ে গত ১৮ নভেম্বর চাঁদপুর আদালতে অভিযোগ করি।
পরে আদালতের নির্দেশে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। ওইদিন রাতেই আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন শুক্রবার পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
প্রেসক্লাব সভাপতি মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে এসময় এমরান হোসেন জহির প্রকাশ ঝুটনের মা খুরশিদা বেগম, স্ত্রী মুক্তা আক্তার, ফুফাতো বোন সরলা বেগম, ফুফাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম, সেলিম পাটওয়ারী, দেলোয়ার হোসেন এবং এলাকাবাসীর পক্ষে সোহেল ঢালী ও সামছুল আরেফিন মুকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা
চাঁদপুরে ট্রেন থেকে সোয়া কেজি ওজনের স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
চাঁদপুর-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী কমিউটার মেইলট্রেন ‘সাগরিকা এক্সপ্রেস’ থেকে ১০৪ ভরি ১০ আনা (এক কেজি দুইশ’১৯ গ্রাম)ওজনের দুটি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে চাঁদপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানার পুলিশ। এসময় শুপ্লব ধর (৩৪)নামের এক ব্যক্তিকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক বিশেষ অভিযানে চাঁদপুর বড় স্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক শুপ্লব চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার রামপুর বনিক পাড়ার অজিত ধরের ছেলে। তার কাছে থেকে জব্দকৃত স্বর্ণের বতর্মান বাজার মূল্য অনুমানিক ৬৯ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদুল্লাহ বাহার ইউএনবি কে জানান, আটক শুপ্লব ধরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারসহ শনিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের বের করা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারী শ্রমিক নিহত
এদিকে,রেলওয়ের চট্রগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল গফুর ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর মোরশেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন, জব্দকৃত স্বর্ণের বার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আসামির সাথে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করেন।
রেলওয়ে থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের মেহের স্টেশনে দুপুরে পৌঁছলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেলওয়ে থানার ওসির সন্দেহ হয়।পরে তাকে চোখে চোখে রেখে চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশনে নিয়ে আসে।
এরপর ট্রেনের বগি নং-জ-১৬৩৯, আসন নং-৬৪ তে বসে থাকা যাত্রী শুপ্লব ধরের শরীরে তল্লাশি চালিয়ে তার পায়ে থাকা জুতার ভিতর থেকে প্লাস্টিকের মধ্যে টেপ পেচানো অবস্থায় দু’টি স্বর্ণের বার জব্দ করে এবং শুপ্লব ধরকে আটক করেন।
আটক শুপ্লব জানান, সে চট্রগ্রাম হাজারি গল্লী থেকে স্বর্নের বার দু’টি নিয়ে চাঁদপুর হয়ে ঢাকার তাঁতী বাজার যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে সাড়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার
শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ
শাহরাস্তিতে ১০ মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস’
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলার শাহরাস্তি উপজেলাতে ১০ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সরকারি ঘর পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৭৩২ বর্গফুটের এ ঘরগুলো নির্মাণে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না সরকারের এমন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সারা দেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য ৩০ হাজার পাকাঘর নির্মাণ করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় শাহরাস্তি উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ১০ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পাচ্ছেন এ ঘর।
আরও পড়ুন: শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিবারের জন্য দিঘলিয়ায় তৈরি হচ্ছে ‘বীর নিবাস’
১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৪২ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য প্রতিটি বাড়ির রং হবে জাতীয় পতাকার রং লাল-সবুজের সমন্বয়ে। এসব বাড়ির নাম হবে ‘বীর নিবাস’। প্রতিটি বাড়ির আয়তন হবে একই সমান (৭৩২ বগর্ফুট)। দুই কক্ষ, বারান্দাসহ একতলা বিশিষ্ট প্রতিটি বাড়িতে থাকবে আলাদা বাথরুম ও টিউবওয়েল।
শাহরাস্তি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবু ইসহাক জানান, শাহরাস্তি পৌরসভার নিজমেহার, কাজিরকাপ, সূয়াপাড়া, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের সোনাচোঁ, টামটা, আলীপুর, মেহের উত্তর ইউনিয়নের তারাপুর ও চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের আয়নাতলী গ্রামের ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার বীর নিবাস পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো সোনালী ব্যাংক
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন (ইউএনও) জানান, বীর নিবাস প্রদানে লটারির মাধ্যমে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নির্ধারণ করা হয়েছে। পাকা ঘরগুলো নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের কার্যাদেশ দানের মাধ্যমে বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। দ্রুতই এসব কাজ শেষ হবে।
ফরিদগঞ্জে মার্কেটে আগুন, আহত ১০
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মার্কেটে আগুন লেগে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এই সময় আগুন নেভাতে গিয়ে প্রায় দশ জন আহত হয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে তাদের অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিরবাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুরাতন চেম্বার ভবনে অগ্নিকাণ্ড
স্থানীয়রা জানায়, রাতে ফরিদগঞ্জ-কালির বাজার সড়কের কালির বাজারের উত্তর গলির বাবুল পাটওয়ারীর মার্কেটে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এতে ওই মার্কেটের চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে প্রায় দশ জন আহত হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে নগদ অর্থসহ অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এসে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধারণা করছেন যে বৈদ্যুতিক শর্ট সাকির্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধী কলেজছাত্রের মৃত্যু
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পুলিশের একটি টহল টিম কালির বাজার অতিক্রমকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখে লোকজনকে সংবাদ দেয়।
ফরিদগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল আলিম পরীক্ষার্থীর
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আলিম পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানভীর ফরাজী (২২) ওই গ্রামের শাহাজাহান ফরাজীর ছেলে ও ফারাজী ইসলামপুর শাহ্ ইয়াছিন সিনিয়র মাদরাসার ছাত্র এবং আলিম পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
নিহতের মামা মুক্তার হোসেন জানান, সোমবার সকালে তানভীর একই বাড়ির সম্পর্কে চাচা স্যানিটারি মিস্ত্রি আনোয়ারের সাথে অপর চাচা রফিকুল ইসলামের বিল্ডিংয়ের কাজ করতে যায়। এসময় তারা বৈদ্যুতিক লাইনের সুইচ লাগানোর জন্য দেয়ালে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করার পর ড্রিল মেশিনের প্লাগ খুলতে গিয়ে হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় তানভীর। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু, স্বজনদের অভিযোগ হত্যা
চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎস্পৃষ্টের খবর পেয়ে লাশের সুরতহাল তৈরি করেছি। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। এরপর পরিবারের অভিযোগ না থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে যেতে পারবে।’
চাঁদপুরে পুকুরে ডুবে জমজ ভাইয়ের মৃত্যু
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে জমজ ভাই নিহত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের পশ্চিম আলোনিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো জসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান ও আব্দুল্যাহ। তাদের বয়স তিন বছর।
নিহতদের চাচাতো ভাই আকরাম জানান, আব্দুর রহমান ও আব্দুল্যাহ বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এ সময় তাদের মা শারমিন আক্তার ঘরে রান্নার কাজ করছিল। এক পর্যায়ে শিশু দু’টি বাড়ির পাশে পুকুরে হঠাৎ পড়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর ওই বাড়ির একজন পানিতে দুই জোড়া জুতা ভাসতে দেখে তার সন্দেহ হয়। তাদের খোঁজ না পেয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয় ও দ্রুত উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. কামরুল হাসান জানান, শিশু দু’টিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ হোসেন ইউএনবিকে জানান, তিনি বিষয়টি জানেন। তবে যেহেতু কোনো অভিযোগ নেই। তাই তাদের লাশ দাফনে কোনো আপত্তি নেই।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাঝ মেঘনায় বাল্কহেডে আগুন
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার একদিন পরে চাঁদপুরে ইউপি সদস্যের মৃত্যু
দেড় দশক শিকলে বাঁধা কোরআনে হাফেজ খালেকের জীবন
দীর্ঘ দেড় দশক ধরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় মানবেতর জীবন পার করছেন পবিত্র কোরআনের হাফেজ আবদুল খালেক। কারও সাথে কথাও বলেন না তিনি। মাথা নিচু করে সারাক্ষণ চুপ করে বসে থাকেন। অসুস্থতার কাছে কাবু হয়ে দিন দিন নিথর হয়ে পড়ছেন খালেক।
হাফেজ আবদুল খালেক (৩৮) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টী পূবর ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
বাবা-মার মৃত্যুর পর জানাজার নামাজে ইমামতি করবে সন্তান, এমন লক্ষ্য মাথায় রেখে নিজের মেধাবী সন্তানকে পড়িয়েছেন হাফেজি মাদরাসায়। আল্লাহর রহমত ও নিজের আপ্রাণ চেষ্টায় পুরো ৩০ পাড়া পবিত্র কোরআনের ৬ হাজার ৬৬৬টি আয়াত মুখস্থ করে নিজের বুকে ধারণও করেছেন আবদুল খালেক। তবে হাফেজি শেষ করলেও স্বপ্ন পূরণ হয়নি তার বাবা-মায়ের। হাফেজি শেষ করার কয়েক মাস পরই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে প্রায় ১৫ বছর শিকলে বাঁধা অবস্থায় মানবেতর জীবনযাবন করছেন খালেক।
আরও পড়ুন: করোনার ছুটি শেষে শাবিপ্রবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে থাকছে নজরদারি
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়শ্রেরী রাহমানিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন খালেক। পড়াশোনায় খুব মনোযোগী ছিলেন। ১৫ বছর পূর্বে তিনি হাফেজি পড়া শেষ করার কয়েক মাসের মধ্যে অসুস্থ হয়ে হারিয়ে ফেলেন মানসিক ভারসাম্য।
পরিবারের সামর্থ অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা করানো হলেও বর্তমানে আর্থিক অভাব অনটনের কারণে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে দিন দিন তার মানসিক ভারসাম্যের অবনতি হচ্ছে। চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারছেন না বিধবা মা। তার চিকিৎসায় সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবার।
অসুস্থ আবুদল খালেকের মা শামছুন্নাহার দুঃখ করে বলেন, আবদুল খালেক বিভিন্ন সময় ঘরের আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে। বিভিন্ন সময় এদিক-সেদিকও চলে যায়। পরিবারের পক্ষে সারাক্ষণ তাকে দেখে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। এ জন্য তাকে ঘরে বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মন মানসিকতা পরিবর্তনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, রাতে ছেলের পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় ঘরে ঘুমানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু ছেলের এমন অবস্থায় মা হয়ে আমি নিজেও সারারাত ঘুমাতে পারি না মানসিক যন্ত্রনায়। কারণ কখন সে কী করে বসে এই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
শামছুন্নাহার বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমার স্বামী শ্রমিকের কাজ করতেন। ছেলে অসুস্থ হওয়া পর সম্পত্তি বিক্রি করেও তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। আবদুল খালেক সুস্থ না হওয়াতে তার বাবাও কয়েক বছর আগে মারা যায়। বর্তমানে ঠিক মতো সংসার চালানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। ছেলের চিকিৎসা করবো কীভাবে? তাকে উন্নত চিকিৎসা করার সামর্থ আমাদের নেই।
কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা শামছুন্নাহার। তিনি আবেগজড়িত কণ্ঠে ছেলের চিকিৎসায় সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জয়শ্রেরী রাহমানিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার মুহ্তামিম হাফেজ মহসিন মিয়া ইউএনবিকে জানান, আবদুল খালেক খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। সে অসুস্থ হওয়ার পর আমরা মাদরাসায় আমাদের সামর্থ অনুযায়ী দোয়ার আয়োজন করছি যেন সে সুস্থ হয়ে যায়। বর্তমানে সে শিকল বাঁধা অবস্থায় আছে, বিষয়টি অনেক দুঃখজনক। তাকে সুস্থ করার জন্য আল্লাহর রহমতের পাশাপাশি সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল গনি বাবুল পাটওয়ারী এবং উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মানসিক ভারসাম্যহীন আবুদল খালেকের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান জানান, পরিবারের লোকজন আমাদের কাছে আসলে আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি কি না।
আরও পড়ুন: মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে বাংলাদেশি সংস্থার পাশে ফেসবুক
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার একদিন পরে চাঁদপুরে ইউপি সদস্যের মৃত্যু
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী মেম্বার মুরাদ মিজি (৬৫) মারা গেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: কুমিল্লায় সহিংসতায় যুবক নিহত
মরহুমের পরিবারের স্বজনরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার করেন। ঢামেকে চিকিঃসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখনও গেজেট প্রকাশ হয়নি। আমরা পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।’
আরও পড়ুন: সাবেক নারী ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে ইউপি সদস্যের লাশ
গত ১১ নভেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের থেকে তালা প্রতীকের নির্বাচন করেন মুরাদ মিজি। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নোমান মিজিকে ২০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।