অভিযোগ
সৌদি আরবে অবৈধ ভিসা ব্যবসার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আটক
অবৈধ ভিসা বাণিজ্য এবং কিংডমের বাইরে অর্থ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা দূতাবাসের দুই প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরবের তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ।
শনিবার কর্তৃপক্ষ এটির বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়েরের ঘোষণা দিয়েছে।
আরব নিউজ খবর অনুযায়ী দেশটির নাজাহা নামে পরিচিত কর্তৃপক্ষ বলেছে যে একজন বাসিন্দাকে বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ৬০ হাজার সৌদি রিয়াল প্রাপ্তির বিনিময়ে ২৩ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল(ছয় দশমিক এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার) আর্থিক প্রতিশ্রুতিতে সই করতে বাধ্য করার অভিযোগে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
নাজাহা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের নাম হলো কোর্ট সিকিউরিটির সার্জেন্ট (রিয়াদ অঞ্চলের পুলিশ) মেতাব সাদ আল-ঘনউম, রিয়াদে স্পেশাল মিশন ফোর্সের কর্পোরাল হাতেম মাস্তুর সাদ বিন তাইয়েব এবং ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারী সালেহ মোহাম্মদ সালেহ আল-শালাউত।
আরও পড়ুন: ‘আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার’: যুবদল নেতাসহ ১৯জন আটক
এতে আরও বলা হয়, ‘আরও তদন্তের পরে বাংলাদেশি বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন আকন্দ, আলমগীর হোসেন খান, শফিক আল ইসলাম শাহ জাহানসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’
‘সৌদির বাইরে ব্যবসা, অর্থ পাচার এবং অবৈধ ভিসায় জড়িত থাকার জন্য’ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন নূরের বাংলাদেশে একটি রিক্রুটিং অফিসের মালিক। এছাড়া জায়েদ উওসিদ মাফি, আবুলকলাম মোহাম্মদ রফিক আলিসলাম, আজিজ আলহাক মুসলিম উদ্দিন এবং পর্যটক আলামিন খান শহীদ আল্লাহ খান রয়েছে।
নাজাহা জানায় যে তারা বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের কর্মচারীদের সঙ্গে অবৈধ ভিসা বাণিজ্যে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং ‘তাদের বাড়িতে তল্লাশি করার পর নগদ দুই কোটি এক লাখ ৮০ হাজার রিয়াল পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে সোনার বার এবং বিলাসবহুল যানবাহন পাওয়া গেছে যা কিংডমে বেআইনিভাবে ভিসা বিক্রি কাজের অর্থ হতে পারে।’
দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা বলেছে যে তদন্ত শুরু হওয়ায় আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের প্রধান এবং সাবেক উপ-রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ মুদি আল-শামারি এবং দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের উপ-প্রধান খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি।
তাদের বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য এবং কাজের ভিসা ইস্যু চূড়ান্ত করার বিনিময়ে দূতাবাসে কাজ করার সময় কিস্তিতে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল প্রাপ্তির জন্য গ্রেপ্তার করা হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘তারা সৌদি আরবের অভ্যন্তরে গ্রেপ্তারকৃত বাসিন্দাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের কথা স্বীকার করেছে এবং বাকিটা কিংডমের বাইরে বিনিয়োগ করেছে।’
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ২: র্যাব
দিনাজপুরে ৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
দিনাজপুরে আমেরিকা প্রবাসী একটি পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় এক নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রিমান্ডের আবেদনসহ তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-মিসেস লাইজু (৪০), তার ভগ্নিপতি আলতাফ হোসেন (৪০), আলতাফ হোসেনের মেয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দিনাজপুর ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা ( ভাগ্নি) আঁখি সুবর্ণা (৩০) এবং ছেলে ( ভাগ্নে) অনুরাগ আল ইমরান আনন্দ (২৭)। তাদের সকলের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। তবে বর্তমানে তারা দিনাজপুর শহরের পাটুয়াপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।
পুলিশ সুপার জানান, ঢাকার নিউ মার্কেটের একটি মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় আমেরিকা প্রবাসী রোকেয়া রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয় কথিত জ্বীনের বেগম মিসেস লাইজুর সঙ্গে। নিজেকে জ্বীনের বেগম পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগী রোকেয়া রহমানকে টার্গেট করে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন লাইজু। জ্বীনদের জন্য মসজিদ নির্মাণ করে দেয়া এবং বেহেস্তে যাবার কথা বলে ও ভয়ভীতির ফাঁদে ফেলে প্রথমে বিকাশ এবং পরবর্তীতে ব্যাংকিং চ্যানেল ২০১২ সাল থেকে গত ১১ বছরে তিন কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নেন লাইজু।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ১০
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রোকেয়া রহমানের আমেরিকা প্রবাসী ছেলে সারোয়ার রহমান গতকাল শনিবার ( ৪ মার্চ) কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, আগে জ্বীনের বাদশা পরিচয়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটতো। তবে এবারের রাতভর ঝটিকা অভিযানে বাদশার পরিবর্তে কথিত জ্বীনের বেগম পরিচয় দেয়া জনৈক বাবুর স্ত্রী লাইজু বেগমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে তারা। তাকে ছাড়াও সহযোগী চক্রের সদস্য চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি জানান, অভিযানে ব্যাংকের চেক, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভিসা ডেভিটকার্ড, একটি মোটরসাইকেল এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীর কাছে টাকা হাতিয়েছে চক্রটি এমন তথ্যের সত্যতাও পেয়েছেন তারা।
কোতোয়ালি থানার কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম জানান, রাতভর ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) মমিনুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) মাসুম বিল্লাহ, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন এবং পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) গোলাম মাওলা শাহ।
মামলা তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে উপপরিদর্শক ইন্দ্র মোহন রায়কে। রিমান্ডের আবেদনসহ আজ তাদেরকে আদালতে উপস্থাপন করেছেন আইও। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শুনানি হয়নি।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে চক্রটির সৌদি প্রবাসী এক ব্যক্তির কাছে কয়েকলাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তারা। এছাড়াও আরও কেউ প্রতারণার শিকার হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
আরও পড়ুন: অপহৃত ভারতীয় তরুণীকে উদ্ধার করল এপিবিএন, গ্রেপ্তার ১
সিরাজগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার নবগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৯) ওই এলাকার মৃত জেকাত সরকারের ছেলে। তিনি উল্লাপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন এবং দুই মাস পর পিআরএলে যাওয়ার কথা ছিল তার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, চাকরির শেষ সময়ে উল্লাপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি বাসায় একাই থাকতেন। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডিউটি শেষে তিনি বাসায় যান। সকালে তিনি কর্মস্থলে না আসায় দুপুরের দিকে বাসায় খোঁজ নিতে গেলে ঘরের দরজা খোলা দেখা যায়। পরে শোয়ার ঘরে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় মোয়াজ্জেম হোসেনের লাশ দেখতে পায় পুলিশ।
ওসি আরও জানান, এটা পরিস্কার হত্যাকাণ্ড। রবিবার রাত থেকে সকালের মধ্যে তাকে কে বা কারা গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম মণ্ডল বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আটক ১
নড়াইলের ৮ মাসের শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা আটক
নড়াইলের লোহাগড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে এবং নিজের আট মাসের শিশু সন্তানকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তের নাম মামুন শেখ (৩৩)।
জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটনা উল্লেখ করে শিশুটির মা লোহাগড়া থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা, আটক ১
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে মামুন শেখের সঙ্গে কুলসুম বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্বামী মামুন শেখ তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো।
এছাড়া, এক বছর আগে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করে মামুন।
২৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুরে যৌতুকের টাকার জন্য মামুন আবার নির্যাতন করতে থাকে তার প্রথম স্ত্রীকে। কুলসুম বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার কারলে বাড়ির পাশে নিজের আট মাসের শিশু সন্তানকে পায়ে রশি বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতন করে। শিশুকে নির্যাতনের ওই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিত নারী বাদি হয়ে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন। এছাড়া অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন বলেন, আমরা তাকে আটক করেছি। মামলা হয়েছে।
নড়াইলের ৮ মাসের শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা আটক
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ‘পদ্মা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’- নামে একটি ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে
গ্রাহকদের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার রাতে উপজেলার নামোজগন্নাথপুর দোভাগি বাজার এলাকায় এনজিওটির কার্যালয় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এসময় সেখান থেকে পাঁচটি ভুয়া পাশ বই, ৯টি লোন রেজিস্টার খাতা,চারটি মোবাইল ফোন এবং ছয়টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সদর উপজেলার কৃষনগেবিন্দপুর হাসানুজ্জামান জেন্টু এবং মাঠকর্মী শহিদুল ইসলাম, সাইরন কেথা ও বদিউর রহমান। তাদের সবার বাড়ি নামোজগন্নাথপুর এলাকায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সোমবার দুপুরে র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, প্রতারক চক্রটি নামোজগন্নাথপুর দোভাগি বাজার এলাকায় ‘পদ্মা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠা করে। এরপর গ্রাহকদের অধিক মুনাফা দেয়ার আশ্বাস দেয়। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ অধিক মুনাফার আশায় সেখানে টাকা বিনিয়োগ করে। এক পর্যায়ে গ্রাহকদের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাত করে এই প্রতারক চক্রটি। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ছায়া তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রবিবার রাত ১০টার দিকে নামোজগন্নাথপুর দোভাগি বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল এনজিওটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
বরিশালে কবর থেকে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ
বরিশাল সদরে একটি কবর থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পাওয়া গেছে। এসময় আরও একটি কবর থেকে চুরির চেষ্টা করা হয়। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার কাশিপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রবিবার বিকালে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পায়। তখন তারা বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। একই সঙ্গে পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ
ওসি বলেন, কাশিপুরের হাওলাদার বাড়ির মৃত আব্দুস ছাত্তার হাওলাদারের কঙ্কাল চুরি হয়েছে। ২০১৭ সালে ৬৩ বছর বয়সে ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন।
ওসি আরও জানান,পাশের আরেকটি কবর খোড়া হয়েছিলো। কিন্তু কঙ্কাল বের করতে পারেনি। স্থানীয়দের বিষয়টি নিয়ে সর্তক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কঙ্কাল চুরির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গোরস্থান থেকে ১৯ টি কঙ্কাল চুরি
শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) হলের এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের ৯ কর্মীর বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের ঘটনায় হলের প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী সাকিবুল ইসলাম ফারাব্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র।
অভিযুক্তরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের জুনায়েদ হাসান রানা, ফার্মাসি বিভাগের নাইমুল ইসলাম সাগর, ইতিহাস বিভাগের আতিক শাহরিয়ার, চারুকলা বিভাগের মোহতাছিম বিল্লাহ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের উৎস ও কাব্য, গণিত বিভাগের জুনায়েদ ইভান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ইমরান মির্জা এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সৈকত ইসলাম। তারা প্রত্যেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী ২১৬ নং কক্ষের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ২১৯ নং কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। ফলে সারারাত গেস্টরুমেই রাত্রি যাপন করেন তারা।
সাকিবুল ইসলাম ফারাব্বি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আমি ও আমার বন্ধুরা ২১৬ নং রুমে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ২টার দিকে ভাইয়েরা আমাদের ডেকে ২১৯ নং রুমে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন যে আমি পলিটিক্যাল প্রোগ্রামে কেন থাকতে পারি নাই? গেস্টরুমে কেন থাকতে পারি নাই? আমি বলি আমার পরীক্ষা চলতেছে এবং সম্প্রতি ডিপার্টমেন্টের একটি ট্যুরে গিয়েছিলাম, এজন্য থাকতে পারি নাই। এই কথা বলায় তারা আমাকে হল ছাড়তে বলেন। এটা আমার অ্যালোটেড হল হওয়ায় আমি হল ছাড়তে অস্বীকার করি। তখন তারা আমাকে পোশাক খুলতে বলে, তো আমি পোশাক খুলতে অস্বীকার করলে তারা ক্ষেপে যায় ও মারধর শুরু করে। মারধরের চিৎকার শুনে আমার বন্ধুরা পাশের রুম থেকে আসে ও আমাকে নিয়ে যায়। তারপর আমরা সারারাত হলের গেস্টরুমে থাকি।
তবে অভিযুক্তরা মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন।
মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে আতিক শাহরিয়ার বলেন, 'মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। অভিযোগ যিনি দিয়েছেন সে তার বন্ধুদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছিলো। সে তার এক বন্ধুদের রুম থেকে বের করে দিয়েছিলো। তাই আমরা তাকে বোঝাতে গিয়েছিলাম।'
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ছাত্রলীগের চাপে চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ২ শিক্ষকের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে ছাত্রলীগের আন্দোলন ও চাপের মুখে দুই শিক্ষক নেতা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলেজের বর্ষপঞ্জিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না দেয়ার অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষক নেতা শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আজম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত ও শিক্ষক ক্লাবের সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লরির সঙ্গে শিক্ষা সফরের বাসের সংঘর্ষ, ২৬ ছাত্র-শিক্ষক আহত
তাদের দাবির মুখে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও শিক্ষক ক্লাবের সম্পাদক কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুদীপা দত্তের কাছে এ পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ মুদ্রিত একাডেমিক বর্ষপঞ্জি (আপন ভুবন) বের হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগ নেতারা। গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে তারা। এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর উপস্থাপন করা হয়।
দাবিগুলো হল- শিক্ষক ক্লাব ও শিক্ষক পরিষদের দায়িত্ব থেকে দুই শিক্ষক নেতাকে অব্যাহতি প্রদান। মুদ্রণ কমিটির আহ্বায়ক মো. আলমগীর ও সদস্য সচিব আরিফ মঈন উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ। বর্তমান মুদ্রিত একাডেমিক বর্ষপঞ্জি (আপন ভুবন) ২০২৩ বাজেয়াপ্ত করে পুনঃসংস্করণ করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর শিক্ষকদের ভবিষ্যতে কলেজে অনুষ্ঠেয় জাতীয় দিবস ও অন্যান্য অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য গঠিত বিভিন্ন উপ-কমিটিতে যাতে দায়িত্ব অর্পণ করা থেকে বিরত রাখা।
সুদীপা দত্ত বলেন, ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আজম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত ও শিক্ষক ক্লাবের সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন। তারা আমার কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
এ ব্যাপারে পদত্যাগকারী দুই শিক্ষক নেতা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আশীষ সরকার নয়ন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননাকারী আজম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত ও মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শুরু থেকেই আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবির মুখে ওই দুই শিক্ষক তাদের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর কয়েকদির আগে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকে নকল করতে বাধা দেয়ার কারণে কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈমের হাতে লাঞ্ছিত হন শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম। ওই ছাত্রলীগ নেতা শিক্ষককে মেরে বদলির হুমকি দেয় এবং গালাগাল করে।
সহকর্মীকে এমন লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদ করেন ওই কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবীর দাশ। এ ঘটনার কোনো ধরনের সুরাহা না হওয়ায় পদত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির কাজ চলতি মাসে শুরু
ইবি শিক্ষকের গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আটক ১
ঠাকুরগাঁওয়ে ফারহিয়া (৫) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার লাউছুতি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক সফিকুল ইসলাম (২০) ওই গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জামায়াত শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার একটি ভূট্টাখেতে ওই শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, শিশুটির লাশ দেখে মনে হচ্ছে তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তনাধীন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
চট্টগ্রামে মিছিল বের করার সময় জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
ময়মনসিংহে ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ময়মনসিংহে ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আব্দুল মতিন নিহত জয়নুদ্দিন (৭৫)-এর ছেলে।এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ছেলে পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে হত্যা!
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জয়নুদ্দিন তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে মতিন ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে শাকিবকে তিন কাঠা জমি লিখে দেন। ওই জমির দাগ নম্বর ভুল হওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
মঙ্গলবার ভোরে জয়নুদ্দিন ধানখেতে পানি দেয়ার সময় মতিন পেছন থেকে দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়না তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত ফারুক হোসেন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান,ঘটনার পর থেকেই মতিন পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
মুন্সীগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা