পানি উন্নয়ন বোর্ড
কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে বন্যার আশঙ্কা, বৃষ্টি থাকবে আরও দু'দিন
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রামেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, যা আগামী দু'দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস। দু’দিন থেকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে বিপাকে পড়েছে এখানকার খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ।
বুধবার (২০ অক্টোবর) রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী ভারি বর্ষণ, উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবার সব কয়টি গেট খুলে দেয়ায় তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ব্যারাজের সড়কের 'ফ্লাট বাইপাস' ভেঙে গেছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে, রেড অ্যালার্ট জারি
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশা চালক আব্দুল রহিম জানান, সকালে আকাশ ভালো দেখে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে শহরে আসার পর থেকে বৃষ্টি চলছে। প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের কি হবে? কোন যাত্রী পাচ্ছি না মানুষ বাসা থেকে বাহির হচ্ছে না। এরকম সারাদিন বৃষ্টি থাকলে তো আজ বাজার নিয়ে বাড়ি যেতে পারবো না।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপের বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রামে ৩৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলতে পারে। তারপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে। পাশাপাশি চলমান বৃষ্টির প্রভাবে কুড়িগ্রামের দিনের গড় তাপমাত্রা কমে এসেছে। বৃষ্টির প্রভাবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীতে অস্থায়ী বন্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন: তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিল ভারত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের ঢলের প্রবাহিত পানি বাঁধের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চরাঞ্চলের বাসিন্দারা সাময়িক সময়ের জন্য পানিবন্দি হতে পারেন। এই পানি দ্রুত নেমে যাবে বলেও জানান তিনি।
ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি সাংসদ প্রাণ গোপাল দত্তের
সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেছেন, ‘আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে সকল নির্বাচনে চান্দিনার প্রতিটি জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিব।’
শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় মাইজখার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংসদ ডা.প্রাণ গোপাল দত্ত এই কথা বলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মমিন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগ সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শাহজালাল মিঞা শিপনসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-৭ আসনে ডা. প্রাণ গোপালকে বিজয়ী ঘোষণা
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যেই যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে যমুনা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) নাসির উদ্দিন জানান, পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনা নদীতে আবারও কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যেই যমুনার অভ্যান্তরে অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ও হচ্ছে। এতে বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যাওয়ার উপক্রমও হয়েছে। এভাবে যমুনায় পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর ও এনায়েতপুরে এ ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব স্থানে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মধুমতি নদীতে ভাঙন
১০ বছরে মেঘনায় বিলীন ১৭০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা
সিরাজগঞ্জে ধসে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধের ১’শ মিটার
সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকায় ভয়াবহ ধস নেমে প্রায় ১’শ মিটার বাঁধ যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
টানা প্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলের পানিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে এ ধস শুরু হয়েছে। এতে শহরবাসী ও বাঁধ এলাকায় বসতীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। ধস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : সিরাজগঞ্জে ৮ জনের জরিমানা
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শহর রক্ষা বাঁধের একাধিক স্থানের তলদেশে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে সকালে প্রবল বর্ষণের কারণে এ ভয়াবহ ধস শুরু হয়েছে। ধস ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক নিক্ষেপ করা হলেও এখনও এ ধস নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলতে গিয়ে সিরাজগঞ্জে শিশুর মৃত্যু
যমুনা নদীতে তীব্র স্রোতে ও বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড আগে থেকে এ বাঁধের দিকে নজর না দেয়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, যথানিয়মেই এ বাঁধ সার্ভে করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে বিকেলে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ ও জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি কে.এম. হোসেন আলী হাসানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ধস এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ধস প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ।
নওগাঁয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা পাগলীর মোড় এলাকায় সরকারি এ্যকোয়ারকৃত পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে ইটের ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে গত দুই মাসে অর্ধ শতাধিক বসতবাড়ি ভেঙে গেছে। বিনষ্ট হয়েছে গাছপালা। হুমকিতে রয়েছে আবাদি জমিসহ ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাট বাজার।
বেড়িবাঁধে ফাটল: খুলনায় ১০ হাজার বিঘা জমির ফসল নষ্টের আশঙ্কা
খুলনার দাকোপ উপজেলার ঢাকী ও শিবসা নদীর বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দেয়ায় ১০ হাজার বিঘা জমির আমন ও শীতকালীন সবজি বিনষ্টের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ফরিদপুরে চতুর্থ দফায় পদ্মার পানি বিপদ সীমার ওপরে
ফরিদপুর অঞ্চলে চতুর্থ দফায় বাড়ছে নদ-নদীর পানি। বর্তমানে পদ্মার পানি বিপদ সীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফের নতুন করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসলের খেত।
সিরাজগঞ্জে কোটি টাকা ব্যয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না যমুনার ভাঙন
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যমুনার তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।
যমুনায় পানি বৃদ্ধিতে সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে আবারও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি।