ব্যবসায়ী
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক পল্ট্রি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে উপজেলার ভূজপুর থানার হাসনাবাদ এলাকা থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মো. ইউসুফ (৩৮) ওই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার রাত ১১ টার দিকে নিজের মাছের প্রজেক্ট ও মুরগির খামারে উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন ইউসুফ। কিন্তু রাতে ফিরে না আসায় রবিবার সকালে তার স্ত্রী তাকে খুঁজতে গিয়ে মাছের প্রজেক্টের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়।
তাদের দাবী দুর্বৃত্তরা ইউসুফকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়।
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, সকালে পরিবারের সদস্যরা থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন আছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ফুটবলারের আত্মহত্যার অভিযোগ
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
জেলার সদর উপজেলায় শনিবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে এক ব্যবসায়ীকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত আরিফুল ইসলাম রকি (২৫) উপজেলার খানখানাপুর সরদার পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয় আবুল কালাম জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন হাইস্কুলের সামনে বসে ছিলেন আরিফুল। এ সময় খানখানাপুর বাজারের দিক থেকে মোটরসাইকেলে এসে কিছু দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তার মাথা ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গুলি করে হত্যা
খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক শওকত হাসান জানান, কে বা কারা কী কারণে তাকে গুলি করে হত্য করেছে, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা!
তিনি আরও জানান, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, সেখান থেকে তারা কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
কক্সবাজারে ব্যবসায়ী অপহরণ: ডিবির বহিস্কৃত ৭ সদস্য ফের কারাগারে
কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিস্কৃত সাত সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি ফরিদুল আলম জানান, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে তার পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা দেয়া হলে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সেনাবাহিনীর এই নিরাপত্তাচৌকি স্থাপন করা হয়েছিল। অপহরণের বিষয়টি গফুরের স্বজনেরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাচৌকির কর্মকর্তাকে জানান। মেরিন ড্রাইভ সড়কে চৌকির সেনাসদস্যরা মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি সদস্যদের মাইক্রোবাস তল্লাশি করে তাতে ১৭ লাখ টাকা পান।
এসময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনাসদস্যরা।
পিপি জানান, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদি হয়ে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজমকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার প্রায় ১০ মাসের মাথায় ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আরও পড়ুন:কক্সবাজার সৈকতে প্রতিদিন ভেসে আসছে অসংখ্য জেলিফিশ
পিপি আরও জানান, মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ইতোমধ্যে জামিনে থাকা ডিবি পুলিশের সাত সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান বিচারক। এবং মামলার রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর সময় নির্ধারণ করেন।
আবদুল গফুর জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে। এ ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করছি।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর ডিবির সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি ডিবির সাত পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশও করে। বিভাগীয় মামলার কার্যক্রমটি এখনো চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে দেড় কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, আটক ১
কক্সবাজারে ৭ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
খুলনায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা!
খুলনায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোড়াগেট বিশ্বাসপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এমদাদুল হক (৫০) খুলনা মহানগরীর বানরগাতী এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে এবং পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী।
খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহমেদ বলেন, খুলনা রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া রাজশাহীগামী সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মেহেদী আত্মহত্যা করেছেন। ট্রেনে কাটা পড়ে তার শরীর চার টুকরো হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কানে হেডফোন, ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে রেলওয়ে থানার উপপরির্শক (এসআই) মো. ইদ্রিস বলেন, মেহেদী ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট: লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি বাড়ছে, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা
বাগেরহাটে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। দিন-রাতে তিন থেকে চার বার লোডশেডিং করা হচ্ছে শহরে। আর গ্রাম অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেশি। লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাসা-বাড়িতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতির মুখে রয়েছে ব্যবসায়ীরা।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিদিন চাহিদায় তুলনায় ২৫ মেগাওয়াট এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চাহিদার তুলনায় আড়াই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে। সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
জানা গেছে, বাগেরহাটের গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবারহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। আর বাগেরহাট পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহের দায়িত্বে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সব ধরণের ব্যবসা-বার্ণিজ্য এবং উৎপাদনমুখী কলকারখানায় লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মালটিমিডিয়া ক্লাশ করানো সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুরছে না ফ্যান আর জ্বলছে না লাইট।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, জাতীয় গ্রিড থেকে বাগেরহাট ১৩২/৩৩ কেবি গ্রিড উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়। এই উপকেন্দ্র থেকে বাগেরহাট জেলা এবং পিরোজপুরের সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবারহ করে। বাগেরহাট উপকেন্দ্রের প্রতিদিন পিক আওয়ারে চাহিদা ৯৮ মেগাওয়াট। সেখানে ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন জানান, জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক সংখ্যা তিন লাখ ৪০ হাজার। ৬১টি ফিডারের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়। প্রতিদিন তাদের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু সেখানে তারা পাচ্ছে ৫০ মেগাওয়াট। ২৫ মেগাওয়াট ঘাটতি থাকছে। দিন-রাতে চার বারে চার ঘণ্টা লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ঘাটতি মিটানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
পড়ুন: স্কুলশিক্ষকের তৈরি ভাসমান সেতুতে দুর্ভোগের অবসান হলো গ্রামবাসীর
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং এলাকায় জালাল উদ্দীন সুলতান নামে এক ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল ভূঁঞা এ রায় দেন।মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- আসামি কামাল হোসেন ও রাসেল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুরমা আক্তার ও নীলু আক্তার রিয়া।বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী বলেন, আদালত কামাল হোসেন ও রাসেল নামে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং লিলু আক্তার ও মোছা. সুরমা আক্তার নামের দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। চারজনের মধ্যে আসামি নীলু জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। আর বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকার ব্যাংক কলোনীর উত্তর গেট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ী হাজী জালাল উদ্দীন সাগরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় নিহতের ছেলে ইমাজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর ২০১৭ সালের ২৮ মে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চার্জগঠন করা হয়। আদালতে ২২ জনের সাক্ষী শেষে আজ এ রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মেয়ে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
ইন্দোনেশিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় ১০ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ১০ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শনিবার এ হামলায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা ফ্রি পাপুয়া অর্গানাইজেশনের সামরিক শাখা পশ্চিম পাপুয়া লিবারেশন আর্মির সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাপুয়া পুলিশের মুখপাত্র আহমদ মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রায় ২০ জন বন্দুকধারী এনডুগা জেলার নোগোলাইট গ্রামে হামলা চালায়। এসময় একজন মুদি দোকানদার তার জিনিসপত্র খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা তাকে এবং চার পথচারীসহ আরও সাত ব্যবসায়ীকে গুলি করে।
তিনি বলেন, নিহতদের বেশিরভাগই ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপ থেকে আসা অভিবাসী।
মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং তিনজন একটি ক্লিনিকে মারা গেছেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী হামলাকারীদের খোঁজ করছে।
তবে ফ্রি পাপুয়া অর্গানাইজেশন এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য গত বছর থেকে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে সংঘর্ষ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় ধূলিঝড়ে গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ৬
শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইনপ্রণেতাদের বৈঠক
সিলেটে নিখোঁজের একদিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বুধবার নিখোঁজের একদিন পর এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত নিজাম উদ্দিন (৩০) উপজেলার রাজাগঞ্জ গ্রামের মুনির আলী ছেলে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) দিলীপ চন্দ্র নাথ বলেন, মঙ্গলবার বিকালের দিকে নিজামকে রাজাগঞ্জ বাজারে দেখা যায়। কিন্তু রাতে তিনি বাড়িতে না ফিরলে তার আত্মীয়-স্বজনরা সব জায়গায় খোঁজা-খুজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।
আরও পড়ুন: সাভারে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
বুধবার সকালের দিকে স্থানীয় লোকজন রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের সুরমা নদীর তীরবর্তী পারকুল গ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় মাথায় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজামের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে কী কারণে নিজামকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান দিলীপ।
মালয়েশিয়ান স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন প্রবাসী ব্যবসায়ী
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রবাসী ব্যবসায়ী সুমন বেপারি (৪০) তার মালয়েশিয়ান স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে বাড়ি এসেছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি উপজেলা সদরস্থ এ আর মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করে।
সুমন বেপারির বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামে।
জানতে চাইলে সুমন বেপারি ইউএনবিকে জানান, ঈদের সময় দেশের সড়ক- মহাসড়কে জ্যাম লেগেই থাকে। তাই সময় বাঁচাতে ও ঝামেলা এড়াতে স্বল্প সময়ে (২০-২৫ মিনিটে) তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে হেলিকপ্টারযোগে বাড়ি এসেছেন।
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে প্রবাসী আটক, স্বর্ণ ও সিসা জব্দ
গায়ে আগুন দিয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা: হেনোলাক্সের ২ শীর্ষ কর্মকর্তা রিমান্ডে
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহননকারী কাজী আনিসের ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার’ অভিযোগে আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির দুই শীর্ষ কর্মকর্তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অভিযুক্তরা হলেন- কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন ও পরিচালক ফাতেমা আমিন।
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হোসেন খান তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর এ আদেশ দেন।
অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনও নাকচ করে দেন আদালত।
আরও পড়ুন: গায়ে আগুন দিয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা, হেনোলাক্সের মালিক গ্রেপ্তার
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম হোসেন জানান, আগের দিন ভিকটিমের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিহতের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (হেনোলাক্স কোম্পানি) তার এক কোটি ২৬ লাখ টাকা বকেয়া পরিশোধ করতে অস্বীকার করায় ‘হতাশা থেকে’ সোমবার বিকাল ৫টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ঠিকাদার ব্যবসায়ী কাজী আনিস (৪৫) গায়ে আগুন দেয়।
আরও পড়ুন: গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সেই ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ঘটনার সময় প্রেসক্লাবে উপস্থিত সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার গায়ে পানি ঢেলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়।
চিকিৎসকরা জানান, আনিসের শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায় এবং তাকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে তিনি মারা যান।