ফেসবুক
ফেসবুকে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস, বাসায় হাজির পুলিশ
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফেসবুকে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দেয়া এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের সহপাঠীর ফোন কলে পেয়ে ওই ছাত্রের বাসায় গিয়ে তাকে সান্ত্বনা ও পরামর্শ দিয়েছে ঢাকার সবুজবাগ থানার পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় ৯৯৯ এ ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে এক কলার জানান, তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি আত্মত্যা করতে যাচ্ছেন। এরপর থেকে তিনি ওই শিক্ষার্থীর ফোনে কল করে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। এরপর তিনি একাধিক সহপাঠীর সাথে যোগাযোগ করে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দেয়া শিক্ষার্থীর বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করে ৯৯৯ এ ফোন করেছেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ ফোন: খামার থেকে চুরি হওয়া গরু ২ ঘন্টায় উদ্ধার
তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থী ঢাকার সবুজবাগ থানাধীন আহমেদবাগ, বাসাবো বালুরমাঠ সংলগ্ন, সালাম ডেইরির বিপরীত পাশের একটি ভবনের স্থায়ী বাসিন্দা।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সবুজবাগ থানায় জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই মো. মাহফুজুর রহমান ও ৯৯৯ ডিউটি টিম সুপারভাইজার ইন্সপেক্টর নুর মোহাম্মদ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশী তৎপরতার আপডেট নিতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ঘুমের ওষুধ খেয়ে ৯৯৯ নম্বরে যুবকের ফোন, হাসপাতালে নিল পুলিশ
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে সবুজবাগ থানার একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে সবুজবাগ থানার এসআই (সাব ইন্সপেক্টর) মো. মনির ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা ওই শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের এ ঘটনা জানান, ইতোমধ্যে ওই শিক্ষার্থীর কয়েকজন সহপাঠীও সেখানে উপস্থিত হন। তারপর সবাই মিলে বুঝিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে তার রুম থেকে বের করে আনেন এবং তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সান্ত্বনা (কাউন্সেলিং) ও পরামর্শ দেন।
শেরপুরে নদীতে ভেসে এলো নারীর লাশ
শেরপুর শহরের উপকণ্ঠে মৃগী নদীতে এক নারীর লাশ ভেসে এসেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পূর্বশেরী এলাকায় পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসর আহাম্মেদ নারীর লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার হওয়া ওই নারীর বয়স আনুমানিক ৭০ বছরের মতো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে যুবকের লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পূর্বশেরী এলাকায় স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সদর থানা পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে শেরপুর সদর থানা ও জেলা পুলিশের ফেসবুক পেইজে উদ্ধার হওয়া ওই নারীর লাশের ছবি সংযুক্ত করে তাঁর পরিচয় কেউ জানলে শেরপুর সদর থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রবাসীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার, স্ত্রী পলাতক
বরিশালের সিভিল সার্জন সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত
করোনা প্রতিরোধে টিকা নিয়েও বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী মুর্শিদা বানু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনঃ চার মাস পর খুলনায় সর্বনিম্ন মৃত্যু
তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট দিয়ে দোয়া চেয়ে লিখেছেন, ‘আমার ফেসবুক বন্ধুরা আপনাদের আজ (১১/০৮/২০১) একটা দুঃসংবাদ দিচ্ছি। আমার ও আমার সহধর্মিণীর করোনা পজিটিভ এসেছে। সবার কাছে দোয়া চাই। সবার প্রতি অনুরোধ আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করুন। সম্ভব হলে ঘরেই অবস্থান করুন।’
আরও পড়ুনঃ বরিশালে বিভাগে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ মৃত্যু
উল্লেখ্য, করোনার টিকা নেওয়া হলেও করোনায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু টিকা নেওয়া হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়, যা চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
বাসায় টিকা নেয়ার অভিযোগে আটক ২
চট্টগ্রামে নিজ বাসায় বসে করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়ার ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডের বাসায় টিকা নেয়ার একটি ছবি ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে গতকাল রবিবার গভীর রাতে এবং আজ সোমবার সকালে ২ জনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন টিকা গ্রহণকারী মো. হাসান ও সহায়তাকারী মোবারক আলী।
আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্টের মধ্যে আসছে আরও ৫৪ লাখ টিকা
পুলিশ জানায়, আটক মো. হাসানের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম এলাকার ভোকাইয়া গ্রামে। সহায়তাকারী মোবারক স্থানীয় ইউসুফ আলী বাড়ির মোহাম্মদ আলীর পুত্র। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘বাসায় বসে টিকা নেওয়ার ঘটনায় মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। এরপর রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
ওসি আরও বলেন, হাসান ব্যবসায়ী। তাঁর বন্ধু সাজ্জাদও একইভাবে বাসায় টিকা নিয়েছেন। হাসান, মোবারক ও সাজ্জাদ তিনজনের বাসা জাকির হোসেন রোডে। আমরা এর সাথে জড়িত বাকিদের আটক করবো।
আরও পড়ুনঃ টিকা পেতে ভোগান্তি, বিশৃঙ্খলা
খুলশী থানার পরিদর্শক আফতাব হোসাইন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শনিবার এমডি হাসান নামের আইডি থেকে বাসায় টিকা নেয়ার একটা ছবি পোস্ট করা হয়। পোস্টে ওই ব্যক্তি লিখেন, ‘ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু মো. মোবারক আলীকে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে সহায়তা করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ মডার্নার প্রথম ডোজ সম্পন্ন।’
পুলিশ কর্মকর্তা আফতাব বলেন, ‘বাসায় টিকা নেয়ার ছবিসহ ফেসবুক স্ট্যাটাসটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসলে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করি। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার এক ব্যাংকার বন্ধুর মাধ্যমে বাসায় টিকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আমরা সেই বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
আরও পড়ুনঃ দেশে টিকার কোন সংকট নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘কে টিকা দিলেন, কে নিলেন, এর পেছনে কারা রয়েছেন—সবাইকে খুঁজে বের করা হবে। এর সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীকেও খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এভাবে বাসায় বসে টিকা নেওয়া ও দেওয়া অপরাধ।’
বাবার হাতে স্যালুট!
বাবা কী করেন, মেয়ে কী করেন সেটা বিষয় নয়, বিষয়টা স্যালুট। বাবা কেবল নিজের মেয়েকে নয় গোটা বাংলাদেশের সকল কন্যাকে এই অভিবাদন জানিয়েছেন তার মেয়েকে স্যালুট করে। একই ভাবে মেয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে বাবাকে। যারা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি দেখেছেন সবার একই অনুভূতি। আমাদের দেশের মেয়ে, আমার দেশের বাবা। এটিই আমার দেশের চিরায়ত সত্য, কারণ সকল বিজয়ের পিছনে আছে সংগ্রাম। আর আমাদের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস।
যুদ্ধে স্যালুট
কয়েকদিন আগে আমাদের তৈরি একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখিয়েছি আমার ফেসবুক পেজে। ‘যুদ্ধে নারী, যোদ্ধা নারী‘ শিরোনামে। ওতে আছে সেই সব নারীদের মধ্যে কয়েকজনের অভিজ্ঞতার বিবরণ। যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে, তার দাম প্রায় প্রত্যেককে দিতে হয়েছে অনেক চড়া ও নির্মমভাবে। কেউ হারিয়েছেন স্বামী। কেউ পাকিস্তানি আর্মির হাতে নির্যাতিত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি, যেমন হালিমা খাতুন। নিপা লাহিড়ী বরং ভাগ্যবতী, রণক্ষেত্রে সেবা দেন করতে করতে শহীদ হয়েছেন। আরো কত নাম আছে , আমরা কয়েকজনের নাম এনেছি, কত নাম সবাই মিলে ভুলে গেছি।
সোহাগপুর কতদূর ? ( ১৯৭১)
যখন প্রথম সোহাগপুর (শেরপুর) যাই- যে গ্রামকে সবাই বলে বেওয়াদের (অসহায় বিধবা) গ্রাম- তখন মনে হয়েছিল, এত কষ্ট আর সংগ্রাম মানুষ ধারণ করে কীভাবে? পাকিস্তানি আর্মি গ্রামের সকল পুরুষ মানুষকে মেরে ফেলেছিল, শুধু নারী ও শিশুরা ছিল। স্বামী-পুত্রদের লাশ দাফন করার কী যে কষ্ট কেবল তারাই বোঝে যারা করেছে।
কিন্তু এই বেওয়ারা সংসার টিকিয়ে রেখেছে, ছেলে-মেয়েদের অনাহার থেকে রক্ষা করেছে। সবাই বেঁচে থেকেছে, কাজ করেছে বাজারে মিনতি হয়ে, যা পেয়েছে সেটা নিয়েই সংগ্রাম চলছে যুদ্ধের পরেও বহুদিন। এই সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামের সমান সমান, বাঁচার আর বাঁচাবার সংগ্রাম। বাংলাদেশের নারীর রক্তে সংগ্রাম, আমরা দেখিনা কারণ দেশকে আর তার মানুষদের দেখি নষ্ট চোখে!
সেবা, চাকরি, পড়াশোনা (২০২১ )
এবার আমার এক ছাত্রীর গল্প শোনাই। মেয়েটা ক্লাসে খুব ভালো ছিল, কিন্তু হঠাৎ পড়াশোনা থেকে উধাও হয়ে গেলো। এমন ছাত্রীকে সবাই খোঁজে, তাই বহু ডালপালা ঘুরে তাকে পেলাম। মেয়েটা তার কোভিড আক্রান্ত মা-বাবাকে দেখছে, যাদের দেখার কেউ নেই। চাকরি করে রোগীর সেবা করে পারছে না, ভালোভাবে পড়াশোনাও করতে পারছে না। বললাম, ‘বলোনি কেন ?’ উত্তরে বললো, ‘আপনি যদি ভাবেন আমি অ্যাডভান্টেজ নিচ্ছি।’ পরীক্ষা দিতে বললাম, ও রাজি হলো না। এ বছর এসে জানালো আবার ভর্তি হবে, মা- বাবা অনেক ভালো আগের চেয়ে। এ কেমন মানুষ, আমি তো ওকে সুযোগ করে দিতাম, সেটা জানে বলেই আসেনি।
আজ মেয়েরা স্যালুট পাবেই
প্রতিদিন কোনো না কোনো মেয়েকে ধরছে। মদ, ইয়াবা, ব্ল্যাকমেইল নানা অনুষঙ্গে এক অদ্ভুত নতুন নারীর অবয়ব নির্মিত হচ্ছে যেন। এতে না চাইলেও ভূমিকা রাখতে হচ্ছে মিডিয়াকে। যদিও এরা সমাজে সব সময় ছিল, তবু যেন আমরা নতুন করে দেখছি। এদের প্রতি মানুষের অবজ্ঞা, শ্লেষ সব আছে, কিন্তু কজন বলছে এদের মুরুব্বি কারা, টাকা দেয় কারা, সেই নষ্ট সমাজের কী নাম ?
আমরা ভাবি, এসবের ভিড়ে আমাদের স্যালুটগুলো ভেসে যাবে। কিন্তু আমি মাস্টার-সাংবাদিক, ৫০ বছর ধরে। আমি জানি আমাদের মেয়েরা আজ যে স্থানে এসেছে, ইতিহাসে কোনোদিন তারা আসেনি। যে যাই করুক আজ, আগের কাল শেষ। আজ মেয়েরা স্যালুট পাবেই, যতই মানুষ ঢিল ছুঁড়ুক! আমার মতো বাবারা এটা বোঝে সবচেয়ে বেশি।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
ফেসবুকে জানা যাবে নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের খোঁজ
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে দেশে ভ্যাকসিন ফাইন্ডার চালু করেছে ফেসবুক। নতুন এই টুলটির মাধ্যমে বাংলাদেশিরা জানতে পারবেন কারা টিকা নিতে পারেন। একই সাথে টুলটি নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্র খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে ফেসবুকে ‘সুখবর’ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক জানায়, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, মানুষকে কোভিড-সম্পর্কিত তথ্য পেতে সাহায্য করা ও দেশে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য ফেসবুকের সামগ্রিক প্রকল্পের একটি অংশ এই ভ্যাকসিন ফাইন্ডার টুল। ফেসবুক নিউজ ফিডে এই টুলটি প্রয়োজনীয় তথ্যের সাথে মানুষকে যুক্ত করে। কারা টিকা নিতে পারবে, কোথায় টিকা দেয়া যাবে এবং টিকার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া কী - এই সকল তথ্য টুলে দেয়া আছে। ফেসবুকের কোভিড-১৯ তথ্যকেন্দ্রে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতেও ভ্যাকসিন ফাইন্ডার টুলটি পাওয়া যাবে।
পৃথিবীজুড়ে টিকাদান কার্যক্রমে সহায়তা এবং নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি পালনে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোভিড-১৯ তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে ফেসবুক বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটিরও বেশি মানুষকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দেয়া তথ্যের সাথে যুক্ত করেছে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ ও অনুমোদিত টিকা সম্পর্কিত ১ কোটি ৮০ লাখেও বেশি ভুল তথ্য সরিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা বিষয়ে সচেতনতা ও টিকাদানে সহায়তা করবে ফেসবুক
মহামারি চলাকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে ও মানুষকে সর্বশেষ তথ্যের সাথে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করছে ফেসবুক। এ পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি ফেসবুকের ব্লাড ডোনেশনস টুল ব্যবহার করে সাইন আপ করেছেন যেন তারা দেশে রক্তের সঙ্কট কমিয়ে আনার প্রচেষ্টায় ভূমিকা রাখতে পারেন।
আসছে ফেসবুকের বিকল্প দেশি সোশ্যাল মিডিয়া ‘যোগাযোগ’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশকে আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ফেসবুকের বিকল্প দেশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘যোগাযোগ’ তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের উদ্যোক্তারা তথ্য, উপাত্ত এবং যোগাযোগের জন্য নিজেদের মধ্যে একটি নিজস্ব অনলাইন মার্কেটপ্লেস ও গ্রুপ তৈরি করতে পারবে। উদ্যোক্তাদের বিদেশ নির্ভর হতে হবে না।
শনিবার প্রতিমন্ত্রী উইমেন ই-কমার্স (উই) আয়োজিত ‘এন্টারপ্রেনারশীপ মাস্টারক্লাস সিরিজ ২’ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই জুম অনলাইনের বিকল্প ‘বৈঠক’ অনলাইন প্লাটফর্ম এবং করোনা প্রতিরোধে টিকা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিজস্ব কমিউনিকেশনের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এর অল্টারনেটিভ হিসেবে ‘আলাপন’ নামেরও একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। তিনি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মসহ নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।তিনি জানান, উইমেন ই-কমার্স এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ নাগরিক সেবা অনলাইনে: পলক
২০১৮ সালে ডিজিটাল ই কমার্স পলিসি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের লাখ লাখ উদ্যোক্তা তৈরি করতে তরুণ ও যুবকদের যে কোন নতুন নতুন উদ্ভাবনে সরকার নীতিগতসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি সেক্টরে ২০লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এর মধ্যে সফলতার সঙ্গে ১৫ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স, হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার ,বিপিও সেক্টর মিলে ২০২১ সালের মধ্যে ২০ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।এ ছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম চ্যালেঞ্জ ঝুঁকি নেয়ার সাহস থাকা। তিনি সততা ,নিষ্ঠার ও স্বচ্ছতার সঙ্গে উদ্ভাবনে নিজেদের নিয়োজিত করতে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইসিটি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ জাহেদি, সিল্ক গ্লোবাল এর সিইও এবং উই এর বৈশ্বিক উপদেষ্টা সৌম্য বসু, উই এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা, উই এর এডভাইজর কবির সাকিব।
পরে প্রতিমন্ত্রী মাস্টার ক্লাশ সিরিজ- ২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নিউ-মিডিয়াবান্ধব হতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
প্রতিবন্ধী ও চাকরিদাতাদের সেতুবন্ধনে কাজ করবে ‘ইমপোরিয়া’: প্রতিমন্ত্রী পলক
ইউপিএল প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশনা জগতের পথিকৃৎ মহিউদ্দিন আহমেদ আর নেই
বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের পথিকৃৎ, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দিন আহমেদ আর নেই।
মঙ্গলবার রাত ১২ টা ৫৯ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে মাহরুখ মহিউদ্দিন ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই
তার নামাজে জানাজা মঙ্গলবার জোহরের নামাজ শেষে গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭৭ বছর বয়সী বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন গবেষণার ক্ষেত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার একজন নিবেদিত মানুষ প্রায় ২০ বছর ধরে পার্কিনসন রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি কোভিডের সাথে লড়াই করে সেরে উঠেছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মারা গেছেন
মহিউদ্দিন আহমেদ ১৯৪৪ সালে ফেনীর পরশুরামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক পাস করার পরে, মহিউদ্দিন পাকিস্তান কাউন্সিলের বৃত্তি নিয়ে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা অধ্যয়ন করেন।
সাংবাদিকতা অনুশীলনের পাশাপাশি তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও গণসংযোগে সহকারী প্রভাষক হিসাবে শিক্ষকতা করতেন।
মহিউদ্দিন সাংবাদিকতার মাধ্যমে পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন, তবে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে তিনি স্থায়ীভাবে একাডেমিক অঙ্গনে প্রবেশের ডাক পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:বরেণ্য সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী মারা গেছেন
যাইহোক, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিকেশনস (ওইউপি) এর সম্পাদনা এবং প্রকাশনাগুলি তাকে এতটাই আকৃষ্ট করেছিল যে এর জন্য তিনি ১৯৬৯ সালে পিএইচডি পড়াশুনা ছেড়ে দেন।
পরে ১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি ওইউপি এর উত্তরসূরি হিসাবে একটি নতুন প্রকাশনা সংস্থা ইউপিএল প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশে মানসম্পন্ন গবেষণা-ভিত্তিক ইংরেজি বইয়ের প্রকাশনার যে ধারা তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন তা আজ অবধি অন্য কেউ করতে পারেনি।
খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক সবুর কারাগারে
খুলনা থানায় দায়ের হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক এম এ সবুর রানাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
এর আগে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন আদালত।
সবুব রানা রামপাল উপজেলার সিংগড় ঘুনিয়ার মৃত ডা. আজিজ মোল্লার ছেলে। তিনি যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজের রামপাল প্রতিনিধি ও রামপাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল এনটিভি’র খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়ব মুন্সির ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে খুলনা সিটি মেয়রের বিপক্ষে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়। যে কারণে তিনি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হন। ওই ঘটনার পরে মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা থানায় দু’জন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতে এনটিভি খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়ব মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২১ দিন কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার এ মামলার অপর আসামি সাংবাদিক এম এ সবুর রানা জামিনের জন্য আদালতে হাজির হন। তবে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১ এর বিচারক শাহীদুল ইসলাম তার আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
আমামিপক্ষের আইনজীবী বেলাল হোসেন জানান, জামিনের জন্য আবেদন করলেও নিম্ন আদালতে তা নামঞ্জুর করা হয়েছে। তিনি এ জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
নোবেলের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্ত করবে সিআইডি
সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনালের আস্ সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলা করেন জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সিআইডিকে আগামী ৬ জুলাই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ ‘নোবেল ম্যান’ থেকে ইথুন বাবুকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন নোবেল। সেখানে নোবেল লেখেন, ‘ইথুন বাবু একটা চোর। অন্যের গান নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে’।
নোবেলের এমন স্ট্যাটাস ইথুন বাবুর ভক্তশ্রোতা, আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীরা দেখতে পেয়ে তাকে অবগত করেন। পরে গত ২৩ মে তিনি হাতিরঝিল থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করেন। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন নোবেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ইথুন বাবু বলেন, ‘আমার দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে যে কথা কেউ কোনোদিন বলতে পারেনি নোবেল আমাকে সেই কথা বলেছে। আমি নাকি চোর? আমার মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। ছেলে এমবিএ করছে। শ্রোতা-ভক্তসহ সারাদেশে সংগীত এবং সংগীতের বাইরে আমার অসংখ্য বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। নোবেলের স্ট্যাটাসের কারণে সবার কাছে আমার সম্মানহানি হয়েছে। তাই আমি এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছি, থানায় জিডি করার পর এবার জজ কোর্টে মামলাটি করেছি।'
আরও পড়ুন: কলকাতায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বাংলাদেশি শিল্পী নোবেল!
তিনি আরও বলেন, ‘একজন শিল্পী মাস্তান হতে পারে না। শিল্পীর মনোভাব কখনও এমন হয় না। নোবেল নিজেই তাকে শিল্পী নয়, ক্যাডার বলে আখ্যায়িত করেছে। তার ভয়েস মেসেজটি সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।'
'সাংবাদিকদের সে তুলে নিয়ে যাবে, আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করবে- তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না,’ বলেন তিনি।