ফেসবুক
ফর্মুলা ওয়ান ট্র্যাকে প্রথম বাংলাদেশি বিজয়ী রেসার অভিক আনোয়ার
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) এনজিকে প্রো কার চ্যাম্পিয়নশিপে এ পর্যন্ত তিনটি রেস জিতেছেন প্রথম বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক মোটর স্পোর্টস বিজয়ী এবং বাংলাদেশ র্যালিক্রস চ্যাম্পিয়ন অভিক আনোয়ার।
স্কটল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, বেলজিয়াম, মেক্সিকো, আয়ারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফর্মুলা রেসারদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি এই মর্যাদাপূর্ণ রেস জিতেছেন।
রেস জয়ের পর অভিক ভক্তদের জন্য তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করে আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বারটেক ওস্টালোভস্কি: বিশ্বে একমাত্র হাত বিহীন কার রেসার
ফেসবুক পোস্টে অভিক লিখেছেন,যারা বলেছে আমি পারবো না, যারা বলেছে এটা সম্ভব নয়, যারা সবসময় বাংলাদেশিদের অবজ্ঞার চোখে দেখেছে, আজকের জয় তাদের জন্য। স্বপ্ন পূরণের জন্য যত কষ্টই হোক না কেন, সব সময় বড় স্বপ্ন দেখা উচিত। ইনশাল্লাহ,একদিন স্বপ্ন সফল বাস্তবে পরিণত হবে।
এর আগে, অভিক একটি পৃথক ফেসবুক পোস্টে তার বিজয় নিশ্চিত করেছেন যেখানে তিনি লিখেছেন, আবারও ইতিহাস সৃষ্টি হল, ইয়েস মেরিনা ফর্মুলা ওয়ান সার্কিটে কোয়ালিফাইংয়ে রেস করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পোল পজিশন পেয়েছি! এটা সহজ ছিল না। তিনি তার পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,গত বছর আমি টুর্নামেন্টের মাত্র তিনটি রাউন্ডে খেলেছিলাম। আমি এই বছরের চ্যাম্পিয়নশিপের সব রাউন্ডে অংশ নিতে চাই। আমার প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে এবং প্রথম রাউন্ড জেতার পর আমার আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়েছে। আশা করি পরের রাউন্ডেও আমি আরও ভালো করতে পারব।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি মোটরস্পোর্টস সুপারস্টার হওয়া ছাড়াও, অভিক একজন সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও ইউটিউবার। তার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ১৩২ হাজারেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাজমুন নাহার: পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক
রুমমেটের ফেসবুক পোস্টে মানসিক চাপে কুবি ছাত্রীর আত্মহত্যাচেষ্টা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রুমমেটের দেয়া পোস্টের জেরে মানসিক চাপে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থী। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ মোড় এলাকায় ‘বাচ্চু মিয়ার মেস’ নামে একটি ছাত্রী নিবাসে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রাবিনা ঐশী৷
বাড়িওয়ালা ও মেসে অবস্থান করা অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাবিনা ঐশী ও একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়দা ফৌজিয়া নদী ওই মেসে একই কক্ষে থাকেন। কিন্তু ১৩তম ব্যাচের ঐশীর বান্ধবী লাবিবা ইসলাম নিয়মিত গ্রুপ স্টাডির নামে রাবিনা ঐশীর কাছে এসে থাকে এবং নিয়মিত আড্ডা দেন। এতে প্রায় দুই মাস ধরে সমস্যায় ভুগছিলেন নদী।
আরও পড়ুন: কুবির ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
শনিবার নদী মেস মালিক সোহাগ আলীকে এই সমস্যার কথা জানালে তিনি ঐশীকে গেস্ট সংখ্যা ‘লিমিটে’ আনতে বলেন। এটিকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় এবং ঐশী এই ঘটনা তার বিভাগের মো. এরশাদ হোসাইনকে জানালে তিনি একই ব্যাচের প্রণব চক্রবর্তীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের আরও কিছু আবাসিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে বাড়িওয়ালাকে খুঁজতে খুঁজতে মেয়েদের মেসের ভেতরে প্রবেশ করেন।
জুবায়দা ফৌজিয়া নদী অভিযোগ করে বলেন, মেসে ঢুকে এরশাদ, প্রণবসহ আরও কয়েকজন তাকে শাসান। তিনি বলেন, ‘উনারা মেসে ঢুকে আমাকে বলে তোরে মাইরা ফালাইয়া রাইখা যামু; কেউ টেরও পাইব না, তোর বাপ-মা শিক্ষা দেয় নাই? ক্যাম্পাসে কেমনে ফ্রিলি চলিস দেইখা নিমু নে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় নদী সাহায্যের জন্য তার বন্ধু রিয়াজসহ অন্যান্যদের ডেকে আনেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাড়িওয়ালা দুই গ্রুপকে নিয়ে নিচে নেমে যান। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ সে সময় উপস্থিত থাকায় বাড়িওয়ালা ও শিক্ষার্থীদের সাথে বসে শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে রুম পরিবর্তনের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন।
পরবর্তীতে রুমে ফিরে জুবায়দা ফৌজিয়া নদী ‘জীবন ও সম্ভ্রম নিয়ে শঙ্কায়’ আছেন উল্লেখ করে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার ওই স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়লে মানসিক চাপে পড়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ঐশী।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহজালাল বলেন, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এখন তাকে আইসিইউতে রাখা দরকার। তাই আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে বলেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল বলেন, আমার কাছে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়ে গিয়েছে। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করব। আরেকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি। তাই তাড়াহুড়ো করছি না। দু’পক্ষের কথা শুনেই সমাধান দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুবির প্রথম প্রো-ভিসি ড. হুমায়ুন
৫৯৪ দিন পর ক্লাসে ফিরলো কুবির শিক্ষার্থীরা
করোনার ছুটি শেষে শাবিপ্রবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে থাকছে নজরদারি
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিনের ছুটি কাটিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ভার্চুয়াল থেকে সশরীরে ক্লাসে ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা। আর এই ক্লাসে ফেরা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিতে নজরদারীতে এনেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।শিক্ষার্থীদের জন্য ইতোমধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে ‘সাস্ট মনের কথা’ ফেসবুক পেইজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালকের অধীনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবাটি পরিচালনা হচ্ছে। এতে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন্নেছা শাপলা।বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী কারও মানসিক সমস্যা দেখা দিলে সরাসরি সম্ভব না হলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘সাস্ট মনের কথা’ ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সার্বক্ষণিক মানসিক বিষয়ক স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যাবে। এই মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় সর্বদা গোপনীয়তা রক্ষা করে সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিভাগে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পুরুষ ও নারী আলাদাভাবে দুইজন করে শিক্ষক ছাত্র উপদেষ্টা বিদ্যমান।
আরও পড়ুন: করোনার দীর্ঘ ছুটিতে নতুন আঙ্গিকে শাবিপ্রবির চিকিৎসা কেন্দ্রকরোনাকালীন প্রথম থেকেই অনলাইন কার্যক্রমে সচল ব্যবস্থাপনা চালু রেখেছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শিক্ষার্থীদের স্বশরীরে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্লাসের আক্ষেপটি দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মাঝে। এছাড়াও দীর্ঘ এই ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী তোরাবি বিনতে হক, একই বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের আছিয়া আকতার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের তৌহিদুল আলম প্রত্যয়ের আত্মহত্যা ও রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কাঁদিয়েছে শাবিপ্রবিয়ানদের হৃদয়কে। চলতি বছরের ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ বর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর কবির ও ১৬ অক্টোবর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে গিয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাগুলো শাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে হৃদয় বিদারক পরিবেশ তৈরি করেছে।দীর্ঘ ছুটির পর ক্যাম্পাসে ফেরা নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সাথে। বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ফারজানা আকতার বলেন, কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর থেকে গত দেড় বছরে শাবিপ্রবি থেকে অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে কিছু মানুষকে আমরা হারিয়েছি। এর মধ্যে পাঁচজন আত্মহত্যা করেছেন, যাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও ছিলেন। একজন মানুষ কতোটা অসহায় হলে আত্মহত্যার মতো কঠিনতম সিদ্ধান্তে চলে যায় তা হয়তো আমরা জানি না। কিন্তু কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক ও শারিরীকভাবে সুস্থ্ থাকার জন্য একজন মনোবিজ্ঞানীসহ ছাত্র উপদেষ্টা-ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মহোদয়গণ অনলাইনে নানা সময়ে বিভিন্ন সেশন, আলোচনা অনুষ্ঠান ইত্যদির আয়োজন করে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ক্যান্সারে মারা গেলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
তিনি বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী যারা মাত্র দেড় মাস ক্যাম্পাসে কাটানোর পর দীর্ঘ দেড় বছর বাড়িতে কাটিয়ে এখন একজন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাসে ফিরছেন তাদেরসহ সকল শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যায় কিংবা কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে তাঁরা পরামর্শ দিয়ে যাবেন এবং শিক্ষার্থীরাও পরিবেশ-পরিস্থিতির এই নানা উত্থান-পতনে হতাশাগ্রস্থ না হয়ে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার চেষ্টা করবেন বলে আশা রাখছি।অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী প্রবাল বড়ুয়া বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর পর আমরা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছি। এই মহামারিতে যদি মানসিক অবস্থা চিন্তা করি তাহলে একপ্রকার বলা যায় শোচনীয় অবস্থায় ছিল। অনলাইন ক্লাসে যেহেতু আমাদের পাঠদান সম্পন্ন হচ্ছিল, ডিভাইস সমস্যা, নেটওয়ার্ক সমস্যা, ফ্যামিলির সমস্যা আরও অনেক ধরনের সমস্যার কারণে ক্লাসে ভালোভাবে উপস্থিত হতে পারি নি। যেহেতু ক্লাসগুলো এখন সশরীরে হচ্ছে সেহেতু ক্লাসগুলোতে আমরা নিয়মিত উপস্থিত হতে পারছি এবং আমরা মানসিকভাবে সতেজ থাকতে পারছি।
হলগুলোতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম বলেন, একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ বিশেষ করে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ইনডোর- আউটডোর খেলাধুলা এবং এক্সট্রা কারিকুলার কর্মকান্ড শিক্ষার্থীদের নির্মল মানসিক স্বাস্থ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জায়েদা শারমীন বলেন, করোনার মতো মহামারি মোকাবেলার অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের জন্যই আসলে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ হিসেবেই এসেছে। আর এই চ্যালেঞ্জের বড় একটা বিষয় হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিষয়টি আরও বড় ধরনের গুরুত্ব বহন করে বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: ওরা আর কখনো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ফিরবে না
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে অনেক দিন বাসায় থাকায় একদিকে যেমন তাদের মধ্যে একঘেয়েমিতা দেখা দিয়েছে তেমনি কিছুটা সেশন জ্যাম তৈরির ফলে চাকরির বাজারে প্রবেশের প্রতিবন্ধকতাও একটি বড় অংশের মধ্যে হতাশার জন্ম দিয়েছে। এ ধরনের মানসিক চাপ মোকাবেলায় আমাদের সকলকে ধৈর্যের সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। শিক্ষক –শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা -কর্মচারী সকলের মানসিক বিষয়টি প্রয়োজন অনুযায়ী গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য কাউন্সেলিং সেলের নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও তাতে সকলের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন্নেছা শাপলা বলেন, দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরেছে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটা আগের মতোন নাও মনে হতে পারে এডজাস্টমেন্টের ক্ষেত্রে। সকল শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের দরজা খোলা। অনলাইন, সশরীরে, মুঠোফোনে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত আছে। ডিপার্টমেন্ট ও হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় কাউন্সেলিং, ফলোআপ, মেডিসিনের বিষয়গুলোতে সেবা থাকছে।শাবিপ্রবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড.আলমগীর কবীর বলেন, আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তায় বিবেচনায় তৎপর। বর্তমানে করোনার এই দীর্ঘ ছুটি শেষে ক্যাম্পাসে ফেরা অনেক শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে এসেছে। আমরা প্রতিটা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সমাধানে চেষ্টা করছি। এই বিষয়গুলো আমাদের নজরে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির সুযোগ পেলেন শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থীবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জানান, লম্বা একটি ছুটি কাটিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ একটা সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যস্ততা ভুলে অন্য একটি পরিবেশে মিশে ছিল। আর এই সময়টিতে হল, মেস, বাসা, বিভাগ যেকোনো পরিস্থিতিতে কোনো মানসিক সমস্যা তৈরি হলে শিক্ষার্থীদের বলবো আমাদের কাছে চলে আসতে । আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ও অফলাইন দুই জায়গাতেই এই মানসিক স্বাস্থ্য সেবা চালু রেখেছি। শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যার সংকট নিরসনে আমাদের সাইকোলজিস্টসহ শিক্ষক উপদেষ্টাদের আন্তরিকভাবে স্বাস্থ্য সেবা তাদের মানসিক ভীতি দূর করতে সহায়তা করবে। আমরা চাই প্রতিটা শিক্ষার্থী মানসিক সুস্থতার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন পার করে তাদের ভবিষ্যত জীবনেও সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক।শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সবধরনের সমস্যা নিরসনে আমাদের শিক্ষকরা কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি বিভাগ, হলসহ সকল দপ্তরে শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতার কমতি নেই। এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের প্রতিটি দপ্তরে নির্দেশনা দেয়া আছে। স্ব স্ব জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় সকলে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
নাম পরিবর্তন করে ফেসবুক ইনক এখন ‘মেটা’
সমস্যায় থাকা অনেক কোম্পানির মতো ফেসবুকও তার নাম ও লোগো পরিবর্তন করছে। ফেসবুক ইনকরপোরেশন কে এখন মেটা প্লাটফর্ম ইনক বা সংক্ষেপে ‘মেটা’ বলা হবে। তবে সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকের নাম অপরিবর্তীত থাকবে।
এছাড়াও এর প্রধান নির্বাহীও সিনিয়র নেতৃত্ব, এর কর্পোরেট কাঠামো ও সংকট যা কোম্পানিকে আচ্ছন্ন করেছে তা অপরিবর্তিত থাকবে।
সন্দেহবাদীরা কোম্পানিটিকে ফেসবুক পেপারস এর বিষয়টি পরিবর্তন করার চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। ফাঁস হওয়া নথিগুলির ভাণ্ডার যা এটি ১৭ বছর আগে জুকারবার্গের হার্ভার্ড ডর্ম রুমে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এটিকে সবচেয়ে বড় সংকটে ফেলেছে। নথিতে ফেসবুককে বিশ্বজুড়ে ঘৃণা, রাজনৈতিক বিবাদ ও ভুল তথ্যের প্ল্যাটফর্ম থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য মুনাফাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিসেবা পুনরুদ্ধার করেছে ফেসবুক
তবে ফেসবুক অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের নাম পরিবর্তন হচ্ছে না। কোম্পানির কর্পোরেট কাঠামোও পরিবর্তন হবে না। কিন্তু ১ ডিসেম্বর থেকে এর স্টক একটি নতুন টিকার প্রতীক এমভিআারএসের অধীনে ব্যবসা শুরু করবে৷
রিব্র্যান্ড ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জুকারবার্গ বলেছেন ফেসবুক নামটি আর কোম্পানির সমস্ত কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে না। তিনি বলেন, আজকে আমাদের একটি সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ডিএনএ-তে আমরা এমন একটি কোম্পানি যা মানুষকে সংযুক্ত করার জন্য প্রযুক্তি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির সুযোগ পেলেন শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট: আটক ১
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেয়ার অপরাধে উত্তম মজুমদার (৩১) নামের এক যুবককে খুলনায় আটক করেছে র্যাব-৬।
বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে র্যাব-৬ খুলনার একটি আভিযানিক দল কেএমপি জেলার লবণচরা থানাধীন খুলনা টু সাতক্ষীরা হাইওয়ে সড়কের পাশে বোখারীয়া জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
আটক উত্তম বাগেরহাট জেলার চিতলমারি থানার অশোক নগর গ্রামের অমল মজুমদারের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উত্তম সাইবার অপরাধের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে জেলা জামায়াতের আমীরসহ আটক ৪
জানা গেছে,উত্তম মজুমদার বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এমএ সম্পন্ন করে খুলনায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছিল। গত ১৩ অক্টোবর থেকে উত্তম মজুমদার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য পোস্ট করছিল। সে নিজে ওই পেইজের এডমিন এবং তার সমমনা আরও কয়েকজন ব্যক্তিকে এডমিন হিসেবে নিযুক্ত করে। খুব দ্রুতই ওই পেইজের সদস্য ও ফলোয়ার কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই ফেসবুক পেইজ থেকে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং উসকানিমূলক পোস্ট দেয়া হচ্ছিল এবং বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও সহিংসতা বিস্তার করার অপতৎপরতা চলছিল। ওই ফেসবুক পেইজে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন নৃশংস ঘটনার ভিডিও আপলোড করে জনমনে ভয়-ভীতি তৈরিসহ উসকানি দেয়া হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অস্ত্রসহ ২ ডাকাত আটক
প্রাথমিকভাবে উত্তম মজুমদারের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
উত্তম মজুমদারকে কেএপি খুলনার লবণচরা থানায় হ্স্তান্তর করা হয়েছে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ফেসবুকে চাকরির সুযোগ পেলেন শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী
জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও টেক্সট জায়ান্ট সাইট ফেসবুকে চাকরির সুযোগ পেলেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী।
চাকরির সুযোগ পাওয়া মওদুদ আহমেদ শাহরিয়ার ও এম. নাজিম উদ্দিন দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।জানা যায়, চাকরির বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। মওদুদ আহমেদ শাহরিয়ার ও এম.নাজিম উদ্দিন দুজনই ইংল্যান্ডের ফেসবুকের ইউরোপিয়ান সদর দপ্তরে সফটওয়ার প্রকৌশলি হিসেবে যোগদান করবেন। চলতি বছরের জুন মাসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেন তাদের সাথে। বেশ কিছু ধাপে ভাইবার মাধ্যমে দক্ষতা যাচাই প্রক্রিয়া করে ফেসবুকে যোগদানের জন্য তাদেরকে নিয়োগের প্রস্তাবপত্র পাঠানো হয়। কোনো প্রকার জটিলতা না দেখা দিলে ২০২২ সালে ফেসবুকের এই দপ্তরে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন দুজনেই।
আরও পড়ুন: ওরা আর কখনো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ফিরবে নানিজের অনুভূতি জানিয়ে মওদুদ আহমেদ শাহরিয়ার বলেন, বিষয়টা আমার জন্য অবশ্যই খুশির খবর। ফেসবুকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন সংস্কৃতির সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা হবে। আশা করি এই অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে আরও বড় কাজে সাহায্য করবে। ছাত্র অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ের সাথে যুক্ত ছিলাম, ওই সময় অর্জিত দক্ষতা ফেসবুকের ভাইভায় উত্তীর্ণ হতে সাহায্য করেছে। যথাযথ সহায়তা পেলে বাংলাদেশ থেকে আরও অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে কাজ করার সুযোগ পাবে বলে মনে করি।এম. নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি খুবই আনন্দিত গুগল ও ফেসবুকের মতো পৃথিবীর টপ টেক জায়ান্ট থেকে অফার পেয়ে। সবকিছু বিবেচনায় আমি ফেসবুকের অফার গ্রহণ করেছি। প্রস্তুতির সময়টুকু মোটেই সহজ ছিল না। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার মা-বাবা, বন্ধু, সিনিয়রসহ সকলকে যারা আমাকে এই লম্বা প্রস্তুতির সময়টুকুতে সহযোগিতা করেছে, সাপোর্ট দিয়েছে। সত্যিকার অর্থে, ২০১৪ সালে যখন প্রোগ্রামিং শুরু করি, তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল পৃথিবীর টপক্লাস ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে টেক জায়ান্টে জব করার।
আরও পড়ুন: করোনার দীর্ঘ ছুটিতে নতুন আঙ্গিকে শাবিপ্রবির চিকিৎসা কেন্দ্রতিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ হওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করি গুগল, ফেসবুকের জন্য। প্রথম কয়েকবার আবেদন করে ব্যর্থও হই। কিন্তু সবসময় ই নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। অবশেষে এই বছর জুন মাসে ফেসবুক ও গুগল থেকে যোগাযোগ করে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভাইভা দেওয়র জন্য। প্রায় দুই মাসব্যাপী ছয়টা করে ইন্টারভিউ নেয় গুগল ও ফেসবুক। সবগুলো ইন্টারভিউ ভালো হওয়ার পর দুই কোম্পানি থেকেই অফার করে। সবকিছু বিবেচনায় আমি ফেসবুকের লন্ডন অফিসের অফার গ্রহণ করি। কোনো জটিলতা না থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে যোগদান করব।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে রাজধানীতে যুবক গ্রেপ্তার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন আশিষ মল্লিককে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১ এর এএসপি (অপারেশন অফিসার) নোমান আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি অপারেশনাল দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আশিষকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশিষ সাইবার অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায় এবং তিনি ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানায়, আশিষ গত ১৬ অক্টোবর একটি ফেসবুক পেইজ খোলেন এবং সেই পেইজে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য পোস্ট করেন। তিনি এবং আরও কয়েকজন সমমনা লোক অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করেছেন। খুব দ্রুত ওই পেইজের সদস্য ও ফলোয়ারের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এএসপি নোমান বলেন, এই ফেসবুক পেইজ থেকে কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও উসকানিমূলক পোস্ট দেয়া হয় এবং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: দলীয় নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ফেসবুক পেইজে প্রতিবেশী দেশগুলোতে সংঘটিত নানা নৃশংসতার ভিডিও আপলোড করে মানুষের মনে ভীতি তৈরি করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, অভিযুক্ত আশিষ প্রতিটি পোস্টে হ্যাশ ট্যাগ করে এই দেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।
বাংলাদেশের ছেলে বেলারুশের মেয়ে: সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় দম্পতি হাবিব-নাতালিয়া
বেলারুশিয়ান-বাংলাদেশি দম্পতির সাংসারিক জীবনের খুনসুটি ভরা মজার মজার ভিডিও হাস্যরসে ভরিয়ে তুলেছে সামাজিক মাধ্যম। মেয়ে বেলারুশের, নাম নাতালিয়া। আর ছেলে বাংলাদেশি, নাম হাবিব। ঘোরাঘুরি, কেনাকাটা, রান্নাবান্না, খেলাধুলাসহ জীবনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে ছড়িয়ে থাকা হাসির উপাদানগুলো দর্শকদের উপহার দিচ্ছে এই দম্পতি। এছাড়া বাংলাদেশের সমসাময়িক ঘটনার সাথে হাস্যরস মিশিয়ে নির্মল আনন্দের খোরাক যোগাচ্ছে তাদের ইউটিউব চ্যানেলটি। পাশাপাশি তাদের ফুটফুটে ছোট্ট মেয়েটিও ভিডিওগুলোর মধ্যমণি হয়ে থাকছে। চলুন, ভাইরাল হওয়া এই দ্বিজাতি দম্পতির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিই।
হাবিব-নাতালিয়ার সম্পর্কের শুরুটা
বিশ্ববিখ্যাত ফুটবল ক্লাব জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল স্টেডিয়াম আলিয়াঞ্জ অ্যারিনায় ঘটনাক্রমে একসাথে কাজ করতে হয়েছিল হাবিব ও নাতালিয়াকে। সময়টা ছিল ২০১২ সাল এবং সে সময় জার্মানির এক বিখ্যাত উৎসব অক্টোবর ফেস্ট চলছিল। আর সেই মেলাতেই খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটানোর মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে হাবিব ও নাতালিয়ার মধ্যে। এই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে পরিণত হয় পরিণয়ে। অবশেষে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই জার্মানির খেম্নিজে তাদের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: চরকিতে রায়হান রাফির প্রথম অনলাইন সিনেমা ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’
হাবিব ও নাতালিয়ার ব্যক্তি জীবন
হাবিব লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ছেলে। আত্মীয়-স্বজনরা সবাই ঢাকায় থাকে। বাবার কাজের কারণে হাবিবের সময় কেটেছে সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগে।
২০১২ সালে জার্মানি চলে যান উচ্চশিক্ষার জন্য। সেখানে মিউনিখ শহরের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ থেকে মাস্টার্স করেন। পড়াশোনা শেষে এখন একটি জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সাল্টিং ফার্মে ইন্টার্ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন।
অপরদিকে নাতালিয়ার জন্মস্থান চেক-এর রাজধানী প্রাগে। তার আত্মীয়রা থাকেন বেলারুশের রাজধানী মিনাস্কের নিকটস্থ বাবরুস্ক শহরে। ২০১০ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য জার্মানির মিউনিখে চলে যান। সেখানে লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসিতে ভর্তি হন। পড়াশোনা সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগেই ফার্মাসিস্ট হিসেবে একটি কোম্পানিতে ইন্টার্ন হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যান। এখন পর্যন্ত সে কোম্পানিতেই স্থায়ীভাবে কাজ করছেন নাতালিয়া।বর্তমানে মেয়ে নাদিয়াসহ হাবিব-নাতালিয়া জার্মানির স্থায়ী বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: আপন ঠিকানা : হারানো স্বজনদের খুঁজে পেতে আরজে কিবরিয়ার মহৎ উদ্যোগ
হামলার দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বিস্তৃতির দায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না ।’
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে ফেসবুকে ফেইক পোস্ট দেয়ার জন্য, সেটির দায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। আমি মনে করি, এটি নিয়ে ভাবার প্রয়োজন আছে। বিশ্বব্যাপীও এটি ভাবনার বিষয়। এ সপ্তাহেই আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে কমিউনিকেট করব। একইসাথে আইএমইডির সাথেও যোগাযোগ করব।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনাটি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) আপলোড না হতো, তাহলে এ ঘটনা বিস্তৃত হয়ে সারাদেশে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। পীরগঞ্জের ঘটনাও সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য যে কোরআন রেখেছে সে দায়ী, যে করিয়েছে সেও দায়ী। যারা পোস্টের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই না করে পরিস্থিতি তৈরি করল, তারাও দায়ী। একইসাথে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও দায়ী। সমাজে অস্থিরতা তৈরির জন্য এটি করা হয়েছে, তারাও দায়ী। তারাও দায় এড়াতে পারে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগেও বিভিন্ন ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। তবে সবকিছুই এমনভাবে পরিচালনা করা উচিত, যাতে সেটি খারাপ কাজে ব্যবহার করা না হয়, যাতে স্বচ্ছতা থাকে। ফেসবুকে পরিচয় গোপন করে পোস্ট দেয়া হয়, তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা দেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা: তথ্যমন্ত্রী
ইসলামের নামে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ান: তথ্যমন্ত্রী
কালিদাস কর্মকারের স্মরণে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আয়োজন
একুশে পদক বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী কালিদাস কর্মকারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে তাকে স্মরণ করেছে গ্যালারি কসমস।
রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে গ্যালারি কসমস এবং কসমস আতেলিয়ার৭১ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কালিদাস কর্মকার তার মনোমুগ্ধকর শিল্পকর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিল্প ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রশংসিত। ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর ৭৩ বছর বয়সে কালিদাস কর্মকার মারা যান।
গ্যালারি কসমসের একজন উপদেষ্টা ছিলেন কালিদাস কর্মকার। স্মরণ সভায় কালিদাস কর্মকারের শুভাকাঙ্ক্ষীরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: শিল্পী কালিদাস কর্মকারের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী রবিবার