তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির রাষ্ট্রদ্রোহিতার তদন্ত করে কাজ শুরু হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) যে কাজগুলো করেছে এবং করছে এগুলো রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এ বিষয়ে তদন্ত করে তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’
বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে তাদের খরচের হিসাব দিতে হয়। এখানে যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার জন্য, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য, তারা এই হিসাব নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে কি না। সেটি নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখবে। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, কী করবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের লেখা দুটি চিঠি গণমাধ্যমের সামনে পড়ে শোনান। এই চিঠি দুটির একটি লেখা হয়েছে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল ও অন্যটি ২৪ এপ্রিল। এছাড়া বিএনপির পক্ষে বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে দলটির নেতারা যে চুক্তি করেছেন তার নথিও তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশের ওপর ব্যবস্থা, এমনকি নিষেধাজ্ঞা দিতে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তিনি দাবি করেন, ‘একজন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি আজ আমাদের দলের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রবাসী কোনো পদক্ষেপ কোথাও নেয়, দেশের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য যদি কিছু করে, সে পদক্ষেপের দায়িত্ব তার, বিএনপির নয়।’
তবে সেই প্রবাসীর উদ্যোগে বিএনপির সমর্থন আছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
লবিস্ট নিয়োগের কথা অস্বীকার করলেও চিঠি লেখার কথা স্বীকার করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বিদেশে লেখা আমার ওই চিঠিগুলো কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।’
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে তিনি (মির্জা ফখরুল) আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন।’
চিঠির বক্তব্য তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তার কথার সারমর্ম হচ্ছে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করা। উনি গতকাল বলেছেন, তিনি সাহায্যের কোনো কথা বলেন নি। এখানে সাহায্য পূনর্মূল্যায়ন ও প্রকারান্তরে সাহায্য বন্ধের আহ্বান তিনি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব এই নথিগুলো কিভাবে অস্বীকার করবেন?
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে যারা এভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশকে বিব্রত করার জন্য এবং রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য, তাদের আসলে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা যে প্রচন্ড মিথ্যাচার করেন এটির প্রমাণ হলো এই নথিগুলো। দে আর অল লায়ার্স। তারা দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ এই নথিগুলো।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েও মিথ্যাচার করেছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যাচার করেছে ক্রমাগতভাবে গতকাল খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় তা প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ তাদের পুরো রাজনীতিটাই মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
১ এপ্রিল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সেট টপ বক্স কার্যকর: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচার মাধ্যম ডিজিটাল করতে আগামি ১লা এপ্রিল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সেট টপ বক্স কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিভি কেবল মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রচার মাধ্যম ডিজিটাল করতে আমরা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি সেটাকে বাস্তবায়ন করতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছিলো। ডিজিটালাইজড করতে না পারার কারণে এই মাধ্যমের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন একই সঙ্গে দেশও বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার যে ভ্যাট-ট্যাক্স এ খাত থেকে পায় সেটি সঠিকভাবে আদায় হয় না। এটি বছরে প্রায় দেড় থেকে হাজার কোটি টাকার কম নয়। এ জন্য আমরা গ্রাহককে আরও ভালো সেবা দেয়ার জন্য, এই সেবার দেয়ার পেছনে যারা আছে তারাও যাতে তাদের ন্যায্য হিস্যাটা পায় এবং রাষ্ট্র যাতে বঞ্চিত না হয় এ জন্যই এটিকে আমরা ডিজিটালাইজড করতে চাই।’
আরও পড়ুন: আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার নয়: তথ্যমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন যে এ উদ্যোগ নেয়ার পর একটি মামলা হয়েছিলো হাইকোর্টে। আমাদের উদ্যোগের উপর একটি স্থগিতাদেশ এসেছিলো। সেটি আমরা মন্ত্রণালয় থেকে ফেইস স্থগিত হয়েছে। অর্থাৎ এখন ডিজিটালাইজড করার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি টাইম ফ্রেম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আলোচনায় বসেছি। যে আলোচনাটা হয়েছে সেটি হচ্ছে, আমরা গ্রাহককে দু মাস সময় দিয়ে, অর্থাৎ আজ হলো ১লা ফেব্রুয়ারি, ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ৩১ মার্চের মধ্যে সব গ্রাহককে ডিজিটাল সেট টপ বক্স গ্রহণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। ১লা এপ্রিল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে যাতে আমরা সেটটপ বক্স সবাইকে দিতে পারি সে লক্ষ্য ঠিক করে সবাই কাজ করবো।ড. হাছান জানান, আরও দু মাস সময় দিয়ে ৩০ মে’র মধ্যে সব বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে একই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। ১লা এপ্রিল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের যেসব গ্রাহক সেটটপ বক্স নেবেন না বা বসাবেন না তারা অনেকগুলো চ্যানেল দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। একই বিষয় কার্যকর হবে ১লা জুন থেকে সব বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে। দেশে কয়েক লাখ সেটটপ বক্স এরই মধ্যে আনা হয়েছে যেগুলো মজুদ আছে। আমরা ধাপে ধাপে যাবো। এখানে অগ্রগতিটা দেখে জেলা শহরে কি করা যায় সেটা ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: শীতকালীন সংসদে গণমাধ্যমকর্মী আইন উত্থাপনের আশাবাদ তথ্যমন্ত্রীর তিনি আরও বলেন, ‘পুরো কেবল অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়টি আজকের আলোচনায় এসেছে। আমরা মনে করি যে একটি নীতিমালা করা প্রয়োজন। আইনের আলোকে একটি নীতিমালা ও পরামর্শক কমিটি করার কথা বলা আছে। আমরা এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছি। এটি করা হবে। আমাদের একটু সময় নিয়ে করতে হবে। স্টেক হোল্ডার যারা আছে তাদের সঙ্গে কথা বলে একটি কমিটি করে দিয়ে আমরা নীতিমালাটা তৈরি করবো।'এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটটপ বক্স সারা পৃথিবীতে গ্রাহককেই পয়সা দিয়ে নিতে হয়। আমরা আগেও এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি, সূলভ মুল্যে যাতে দেয়া হয়। ইন্সটলমেন্টে যাতে কেনা যায়। আমি মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সঙ্গে কথা বলেছি, তারা যাতে এখানেই সেটটপ বক্স তৈরি করতে পারে। তারা সে উদ্যোগটা নিচ্ছে।’
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি যে মিথ্যাচার করে সেটি খালেদা জিয়া সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিভি কেবল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার সংবাদ এসেছে, এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি এবং আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যাতে বাসায় ফিরে যান। তিনি যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সে জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়াতিনি বলেন, বিএনপি যে তার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করেছে, বেগম জিয়ার সুস্থতার মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে তারা। ডাক্তারদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। বলেছে বেগম জিয়াকে যদি বিদেশে নেয়া না হয় তাহলে তার যেকোনো সময় যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই যে কথাগুলো বলেছিলো, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা যে অপরাজনীতি করেছে এটিই আজকে প্রমাণিত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বেও তারা একই কাজ করেছিলো। আগেও যখন বেগম জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখনও একই কথা বলেছিলেন। বিদেশ না নিলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না, এবারও একই কথা বলেছিলো। বিএনপি যে মিথ্যাচার করে, এটি প্রমাণিত হলো বেগম জিয়ার সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে।এসময় তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটকো)'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
দেশের জনগণের জন্য সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে বিএনপি রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে বুঝতে পেরে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব (বিএনপি মহাসচিব) নিজে দস্তখত দিয়ে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য। সাহায্য মানুষের জন্য, জনগণের জন্য আসে; সাহায্য সরকারের জন্য আসে না। যে রাজনৈতিক দল নিজে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা মহামারি ওমিক্রন সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেক্ষে প্রতিরোধসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম গতকাল বিএনপির একটি সভা হয়েছে, সেই সভায় পলাতক আসামি তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেছেন। হাইকোর্টের একটি আদেশ আছে, তারেক রহমানের ব্যাপারে কোনো সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। কিন্তু আমি গণমাধ্যমে সেই সংবাদ দেখলাম। এটি হাইকোর্টের নির্দেশনার বরখেলাপ।’
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করতে হয়েছে।
বিএনপি করোনার টিকা নিয়ে যত অপপ্রচার চালিয়েছে সে জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদেরও আমরা করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েছি। বিএনপির যে নেতারা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, আসুন আমরা আপনাদের বুস্টার ডোজ দেব। যেন আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। কিন্তু দয়া করে অহেতুক সমালোচনা করবেন না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন পাস করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ‘না’ রোগে পাওয়ায় তারা অহেতুক এ আইনের বিরোধিতা করছে। “আসলে বিএনপিকে ‘না’ রোগে পেয়ে বসেছে। সব কিছুতেই না বলা। না বলতে বলতে নিজেরাই যে কখন নাই হয়ে যায়, আমি সেই শঙ্কার মধ্যে আছি।”
আরও পড়ুন: বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে বিএনপি দেশদ্রোহী কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে বিএনপি দেশদ্রোহী কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সরকারের কর্মকান্ডের সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ধ্বংস করতে বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দেয়া, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা দেশদ্রোহী ও দেশবিরোধী কাজ। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। মূলত: বিএনপি ও তাদের নেতারা দেশদ্রোহী কাজ করছেন।'শনিবার দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'বিএনপি বিদেশে লবিস্ট নিয়োগসহ দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করছে সেগুলো তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে। অবৈধ অর্থ কোত্থেকে কিভাবে গেল, কারা নিলো সেগুলো খুঁজে বের করে সেই তদন্তের প্রক্ষিতে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীও সেদিন সংসদে বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।'
আরও পড়ুন: বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রীসম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'জনগণের উপর আস্থা থাকলে তো বিএনপির বিদেশিদের কাছে চিঠি দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এদেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ, জনগণই ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় যাবে এবং কারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে। মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে স্বাক্ষর করে ইউএস কংগ্রেসের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে যেভাবে চিঠি দিয়েছেন সেটি কোনভাবেই কাম্য নয়।'ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় লবিস্ট নিয়োগ করে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র এবং আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা এফবিআই এজেন্ট নিয়োগ করেছেন, সেই এজেন্টকে পরে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে। বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বন্ধ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছেন কয়েক বছর আগে।'মন্ত্রী বলেন, 'এই কাজগুলো তো দেশবিরোধী। দেশোদ্রোহী এ কাজগুলো তারা করেছেন। তারা যে বিভিন্ন জায়গায় লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, সে ডকুমেন্ট আমার আইপ্যাডে সংগৃহীত আছে। এই নিয়ে গণমাধ্যমেও ডকুমেন্টসহ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। নিজের আইপ্যাড থেকে এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে প্রমাণপত্রগুলো দেখান তথ্যমন্ত্রী।এর আগে বক্তব্য দেয়ার সময় বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে একটি জাতীয় স্তরের গণমাধ্যম উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর অবস্থান চট্টগ্রামে হলেও টেরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশের সত্তর ভাগ অংশে এটি দেখা যায়। আর কেবল কানেকশন দিয়ে সারা দেশে এবং এপসের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষ দেখতে পারে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে: তথ্যমন্ত্রীএসময় তিনি জানান, শিক্ষা ও কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান নিয়ে বিটিভি’র অধীনে খুব শিগগিরই আরেকটি চ্যানেল চালু করা হবে। এছাড়া দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বিটিভির নতুন কেন্দ্র চালুর প্রকল্প চলমান।চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় এখানে নতুন স্টুডিও, অডিটোরিয়াম ও নতুন ভবন হবে। ফলে এ কেন্দ্র থেকে আরও মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচার করা সম্ভব হবে।দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিদায়ী মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য ও এই পদে নবনিযুক্ত মাহফুজা আক্তার এবং কেন্দ্রের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি সারা দুনিয়ায় দেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দেশের রপ্তানি ও উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্ত হয় এবং দেশের সুনাম যাতে ক্ষুণ্ন হয় সেজন্য বহির্বিশ্বে কাজ করছে তারা।’
শুক্রবার দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউজে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য না দেয়ার জন্য ও সাহায্য পুনর্মূল্যায়নের জন্য। একটি দলের মহাসচিব কিভাবে এটা পারেন; বলেও তিনি প্রশ্ন রাখেন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যের কারণে দেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি জামায়াত তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। যে কারনে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: টিআইয়ের প্রতিবেদন গতানুগতিক ও একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
দলের তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যের ভাগীদার দেশের জনগণ। কিন্তু এই সাফল্য তরুণ নেতাকর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে মাঝে মাঝে ম্লান হয়ে যায়। এসময় তিনি তরুণ নেতাকর্মীদেরকে ক্ষমতায় থাকাকালীন আরও বিনয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন।সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ফেসবুকে তুলে ধরার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে যে এত উন্নয়ন হচ্ছে সেটি বেশি বেশি করে প্রচার করতে হবে। শুধু সেলফি তুলে ফেসবুকে দিলে হবে না। দেশের সাড়ে আট কোটি মানুষ এখন ফেসবুক ব্যবহার করে। গাড়িতে, বাসে, ট্রেনে এমনকি বাথরুমে বসেও ফেসবুক দেখে। সুতরাং আমাদের এই মাধ্যমটাকে কাজে লাগাতে হবে। দেশবিরোধী বা সরকারবিরোধীপক্ষ ফেসবুকে অপপ্রচার চালালে আমাদের উচিত সেগুলোকে মিথ্যা হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরা।সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী
ইসি আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি’র মন্তব্য ‘না বলা বাতিকের' প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী
টিআইয়ের প্রতিবেদন গতানুগতিক ও একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতি বিষয়ক প্রতিবেদন গতানুগতিক ও একপেশে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এ ধরনের সংগঠন থাকা ভালো। কিন্তু সেই সংগঠনের কোনো প্রতিবেদন যদি ভুল তথ্য-উপাত্তের ওপর হয়, ফরমায়েশি হয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিংবা গতানুগতিক হয়, তখন সেই সংস্থাটির মান-মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এবং তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনও গতানুগতিক ও একপেশে।’
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “টিআই একটি এনজিও। বিভিন্ন জায়গা থেকে ‘ফান্ড কালেকশন’ করে তারা চলে। এটি জাতিসংঘের এফিলিয়েটেড কোনো সংস্থা নয়। এটি নিছক একটি এনজিও যেটিকে আমাদের দেশে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়। পার্শ্ববর্তী ভারত ও অনেক দেশে এদের প্রতিবেদনকে গুরুত্বই দেয়া হয় না।”
আরও পড়ুন: মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশন গঠন আইন নিয়ে টিআইবির বিবৃতি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে টিআইবি একটি বিবৃতি দিয়েছিল। টিআইবি কাজ করে দুর্নীতি নিয়ে আর নির্বাচন কমিশন গঠন পুরো বিষয়টাই হচ্ছে রাজনৈতিক। এ বিষয়ে টিআইবি বিবৃতি দিয়ে প্রমাণ করেছে, টিআইবি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয় এবং টিআইবির বিবৃতি ও বিএনপির বিবৃতির মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না। যার অর্থ তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয় এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।’
টিআই নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার উদাহরণ তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, ফ্রান্সের লো মন্ড পত্রিকার মতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের জরিপে কোনো দেশের দুর্নীতির আর্থিক মাত্রা পরিমাপ করতে পারে না। কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও দিয়ে এই জরিপ পরিচালিত হয় যা সম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে নয়।
যে সব সংস্থার অর্থে টিআইবি পরিচালিত হয় সেগুলোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “২০১৪ সালে সিমেন্স কোম্পানি থেকে তিন মিলিয়ন ডলার ফান্ড টিআই গ্রহণ করে। যে কোম্পানি ২০০৮ সালে বিশ্বে দুর্নীতির জন্য সর্বোচ্চ এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিয়েছে। ২০১৫ সালে টিআই এর ‘ওয়াটার ইন্টেগ্রিটি নেটওয়ার্ক’ এর আর্থিক লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কর্মকর্তা আনা বাজোনিকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিলে তিনি জনসম্মুখে এই ঘটনা তুলে ধরেন।”
আরও পড়ুন: বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার ‘কমিক’ করেছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘তাকে (মির্জা ফখরুল) লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিএনপি ভালোর জন্যই লবিস্ট নিয়োগ করেছে। অর্থাৎ আমরা এতো দিন ধরে যে কথাগুলো বলে আসছিলাম সেটি তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু সম্ভবত তার সহকর্মীদের চাপের মুখে পাঁচ মিনিট পরেই আবার তিনি বললেন তারা কখনও লবিস্ট নিয়োগ করেননি। আসলে প্রথমটাই সত্য ছিলো।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিএনপি ও জামায়াত যৌথভাবে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী। এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা করার জন্য তারা এফবিআইয়ের এজেন্ট ভাড়া করেছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে: তথ্যমন্ত্রী
দেশের বিরুদ্ধে বিএনপি বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সরকারের কাছে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘নয়াপল্টন অফিসের ঠিকানা দিয়ে তারা লবিস্ট ফার্মের সাথে চুক্তি করেছে। এ কাজের জন্য কিভাবে অর্থ বাংলাদেশ থেকে গেল সেগুলো তদন্ত ও দেখভাল সরকারের যে সমস্ত বিভাগ ও দপ্তর করে, তাদেরকে ইতোমধ্যে সেগুলো জানানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।'
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নেতাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার নয়: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, 'যে ১২টি মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে র্যাবকে বাদ দিতে চিঠি লিখেছে সেখানে দুই-তিনটি ছাড়া বাকিগুলো নামসর্বস্ব, এগুলোর নাম আমরাও আগে শুনিনি, আপনারাও শুনেছেন কি না আমার জানা নেই। এই চিঠি দিয়েছে গত বছর ৮ নভেম্বর, দুই মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর এটি হঠাৎ মিডিয়ায় কেন নিয়ে আসলো? এটির পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।'
তিনি বলেন, বিএনপি ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে, তাদের অবৈধ অর্থ লবিস্ট ফার্মে লগ্নি করে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য, রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের সমৃদ্ধি-প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
'প্রকৃতপক্ষে জনগণের ওপর বিএনপির কোন আস্থা নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি রাজনৈতিক দল দেশের বিরুদ্ধে যখন এ ধরনের ষড়যন্ত্র করে, তারা দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে কি না সেই প্রশ্নই এসে দাঁড়ায়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি দেশ থেকে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে, বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ পাঠিয়ে বিদেশে বাংলাদেশকে বিদেশের সামনে ভুলভাবে তুলে ধরার জন্য, সার্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ এবং রাষ্ট্রকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য যে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে সেটি যখন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সংসদে বললেন এরপর থেকে বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। কয়েকদিন বিএনপি নিশ্চুপ ছিল কারণ কেউ যখন অপরাধ করে, তার অপকর্মগুলো যখন প্রকাশ পায়, তখন কি বলবে খেই হারিয়ে ফেলে। বিএনপিও কয়েকদিন নিশ্চুপ ছিল, কারণ কি বলবে খেই হারিয়ে ফেলেছিল তারা।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি নেতাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা করার জন্য এফবিআই-এর এজেন্ট ভাড়া করেছিল। এফবিআই’র সেই এজেন্টকে পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ইসরায়েলি এজন্টের সাথে বৈঠক করেছিলেন, সে বৈঠকের ছবি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করানোর জন্য বিএনপি-জামাত লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। বিএনপি কি এগুলো অস্বীকার করতে পারবে? তাদের অপকর্ম যখন আজকে বেরিয়ে এসেছে তখন তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য আবোল-তাবোল বকছে, এর বেশি কিছু নয়।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে আইন করা হচ্ছে সেটা জনপ্রত্যাশা পূরণ করবে না - টিআইবি’র এমন বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন এবং গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একটা আইন করার কথা বলেছেন। সেই প্রেক্ষিতে সরকার একটি আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে, পুরো বিষয়টা হচ্ছে রাজনৈতিক। টিআইবি কাজ করে দুর্নীতি নিয়ে, এটির সাথে তো দুর্নীতির কোন সম্পর্ক নাই। রাজনৈতিক ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে টিআইবি প্রমাণ করেছে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করে। টিআইবি’র এই বিবৃতির সাথে বিএনপির বিবৃতির মিল আছে। এতে প্রমাণিত হয় টিআইবি রাজনৈতিক ক্রীড়নক হিসেবে অনেক সময় কাজ করে। রাজনৈতিক ইস্যুতে টিআইবির বিবৃতি দেখে আমি নিজেও আশ্চর্য হয়েছি।'
আরও পড়ুন: বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মনওয়ার রিয়াদ মুন্না এবং সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার নয়: তথ্যমন্ত্রী
আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার হলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে গুজব, অপপ্রচার রটিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হয়। একই সঙ্গে সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের তৎপর থাকাসহ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকদের মাঠ প্রশাসনের প্রাণ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে জেলা প্রশাসকরা হচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের প্রাণ। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমেই সরকারি সিদ্ধান্তগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়। এজন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে যে সেশনটি একটু আগে শেষ করলাম সেখানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে তার মধ্যে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় ৯ কোটি মানুষ ব্যবহার করে। সেটি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন প্রচারের বড় ক্ষেত্রে। তেমনি অপপ্রচার রটানোর ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় ক্ষেত্র। আমরা যদি গত আট বছরের পরিসংখ্যান দেখি তাহলে দেখতে পাই, আমাদের দেশে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, গুজব রটেছে, রটনা হয়েছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার প্রায় সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে করানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা সে বিষয়টি তুলে ধরেছি।
মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায় নানা বিভ্রান্তিমূলক খবর পরিবেশন করে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা করা হয়। সে বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে, তারা যেন এসব বিষয়ে তৎপর থাকেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেন।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বাংলাদেশের অভ্যুদয়: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রচারনীতিমালা অনুযায়ী কোন আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যালেনর মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। কিন্তু দেখা যায় আইপিটিবির মাধ্যমে এখনও কোন কোন জায়গায় খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। ইউটিউব চ্যালেনের মাধ্যমেও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা হচ্ছে। এটি আমাদের সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী করতে পারে না। যে সম্প্রচার নীতিমালা আমাদের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে।’
ইসি আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি’র মন্তব্য ‘না বলা বাতিকের' প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্য তাদের রাজনীতির অন্তঃসারশূণ্যতা এবং সবকিছুতে না বলার বাতিকেরই প্রমাণ।’বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আইন প্রস্তুত করার জন্য খসড়া মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে। মন্ত্রিসভা সেই আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে। আমাদের সংবিধানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা বলা আছে। কিন্তু ৫০ বছরেও সেই আইন হয়নি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি গত কিছু দিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যে সংলাপ করেছেন, সেখানে বেশির ভাগ দলই একটি আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। সে প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যাতে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়। কিন্তু সরকারের এই ভালো উদ্যোগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে এবং সেখানে তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে নজরুল ইসলাম খান সাহেব আইনের খসড়াটি পড়েন নাই এবং তাদের দলের যে নেতারা সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যটি তৈরি করে দিয়েছেন, তারাও পড়েন নাই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, ‘না পড়েই নজরুল ইসলাম খান সাহেব নানা মন্তব্য করেছেন যে, এখানে কোনো বেসরকারি লোক বা কোনো আইনজ্ঞকে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয় নাই। অথচ আইনের খসড়ায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ব্যক্তি যিনি ২০ বছর ধরে সরকারি কিংবা বিচার বিভাগীয় পদে বা আধা-সরকারি কিংবা বেসরকারি পদে কাজ করেছেন তাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে। বেসরকারি যখন বলা হয় সেখানে আইনজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ সবাই অন্তর্ভুক্ত।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একই সংবাদ সম্মেলনে আবার নজরুল ইসলাম খান সাহেব বলেছেন- এই সরকারের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবেন না। অর্থাৎ নির্বাচন যেভাবেই হোক তারা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। কেউ যখন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকে তখন যে কোনো ভালো উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে যেটি দেশের মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছে এমনকি কিছুদিন আগে আইনজ্ঞ এবং সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটি আইন করার তাগাদা এবং প্রস্তাবনাও দিয়েছিলেন এবং তারা অনেকেই আইন করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির সবকিছুতেই যে না বলার বাতিক, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
লবিস্ট ফার্ম নিয়ে একটি দৈনিকে প্রকাশিত কলামের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি’র পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য নাই। কিন্তু একটি শীর্যস্থানীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় সংবাদ বিশ্লেষণ নামে বিএনপিকে রক্ষা করার জন্য এটি ছাপানো হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। দেশের রপ্তানি, ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন সরকার পিআর ফার্মের মাধ্যমে লবি করে থাকে, বাংলাদেশ সরকারও করে। কিন্তু বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করা এবং আজকে যে দেশের ভাবমূর্তি বিদেশে উজ্জ্বল হয়েছে সেটিকে ম্লান করার হীন উদ্দেশ্যে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।’মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাহেব ঠিকই বলেছেন যে, নয়া পল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে যে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে বিএনপি চুক্তি করেছিল, সেই লবিস্ট ফার্মকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা তারা প্রদান করেছে। শাহরিয়ার আলম আরও একটি কথা বলেছেন যে বিএনপির মোট অর্থ ব্যয় প্রায় পৌনে চার মিলিয়ন। এবং বিএনপি আরও ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দিয়েও লবিস্ট নিয়োগ করেছে, এখন পর্যন্ত অনুসন্ধানে যেটুকু পাওয়া গেছে, তারা পৌনে চার মিলিয়ন ডলার এই ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে। এই টাকা তারা কোথা থেকে পেলো, এর হিসাব কি তারা নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে, এই টাকা বিদেশে পাঠানোর জন্য তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিয়েছে- কোনটাই তো নয়। তাহলে এই অপকর্মকে ঢাকার অপচেষ্টা সেটি সত্যিই দুঃখজনক। সুতরাং এখানে সংবাদ বিশ্লেষণের নামে বিএনপির এই অপকর্মকে ঢাকার অপচেষ্টা করা হয়েছে। একটি শীর্যস্থানীয় পত্রিকার জন্য সেটি কতটুকু যৌক্তিক সে প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়।’এসময় নারায়ণগঞ্জে মেয়র পদে পরাজিত প্রার্থী তৈমূর আলমকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘যদিওবা সেটি বিএনপির আভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে বিএনপি কম্বল বাছতে গিয়ে কম্বলটাই না জানি উজাড় হওয়ার পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। তৈমূর আলম খন্দকার যে ভোট পেয়েছে তাতে আমার মনে হচ্ছে তার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার ভূমিকা প্রশংসনীয় এবং নারায়ণগঞ্জে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। আসলে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে যে কেন এতো সুন্দর নির্বাচন হলো এবং তা সারাদেশে প্রশংসিত হলো। সেটার দায় তৈমূর আলম খন্দকারের ওপর দিতে চাচ্ছে। সে কারণে তাকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে বিএনপি কুমিল্লার মেয়রসহ আরও বিভিন্ন জায়গায় নানাজনকে নানা পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে, বহিস্কার করেছে।’
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী