তথ্যমন্ত্রী
যমুনা-বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়ার জন্য বিএনপির রোড মার্চ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন শকুনরা তাদের দিকে নজর দিয়েছে। এই শকুন ও রাজনীতির কাক থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি গঠন করেন, তখন বিভিন্ন দলের নেতারা কাকের মতো জড়ো হয়ে মন্দকে মেনে নেন। তারা রাজনীতির কাক।’
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলকে সম্মান জানাতে ১৫ আগস্টের অপরাধীদের শাস্তি হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশি শকুনের চোখ যখন দেশের দিকে পড়েছে, তখন রাজনীতির কাকগুলো তাদের মিত্র হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ২৮ অক্টোবর সরকার পতনের যাত্রা শুরু করবে, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে থেকে সরকার পতনের যাত্রা শুরু করতে চেয়েছিল, গোলাপবাগের পশুর হাটে মারা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘এবারও বিএনপি সরকার উৎখাত করে যমুনা বা বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়ার যাত্রা শুরু করবে। আর চট্টগ্রামে করলে কর্ণফুলী নদী বা বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাবে। আসলে ২৮ তারিখে বড় ধরনের পিকনিক করতে চায় বিএনপি। আমরা পিকনিক থেকে বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচের জন্য পাঠাব।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণ ও রাজপথের দল। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম। আমরা ২১ বছর বিরোধী দলে থেকে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা জানি, রাস্তায় কারা আছে তাদের কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়।’
তথ্যমন্ত্রী ফিলিস্তিন ইস্যুতে আবারও বিএনপির সমালোচনা করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনে শিশু হত্যা, হাসপাতালে বোমা হামলা, গির্জায় হামলা করে ১৮ জনকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব যখন প্রতিদিন প্রতিবাদ করছে তখন ‘শকুন’ অখুশি হতে পারে এমন ধারণায় কথা বলে না বিএনপি। শকুনরা দেশের সব সম্পদ লুট করলেও বিএনপি নীরব থাকবে। তারা আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখেন। তাদের হাতে দেশ হস্তান্তর করা যাবে না। তাদের হাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান লিটন, সহসভাপতি প্রকৌশলী গোলাম নওশের আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা উপদেষ্টা মোহাম্মদ আখতার হোসেন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখলেন তথ্যমন্ত্রী
২৮ অক্টোবর বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে: তথ্যমন্ত্রী
পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখলেন তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ পরিবারের বাচ্চা থেকে বড় সব বয়সী সদস্যদের নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ দেখেছেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে স্টার সিনেপ্লেক্সে সকালের প্রদর্শনীতে পঞ্চমবারের মতো সিনেমাটি দেখা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সম্প্রচারমন্ত্রী।
সে সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমাটি সবার দেখা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমি বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। কারণ, মুখে বলে ইতিহাস জানানো যায় কিন্তু সেটি যখন ছবিতে দেখা হয়, তখন হৃদয়ে গেঁথে যায়। এ জন্য নতুন প্রজন্মেরও সবার সিনেমাটি দেখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।'
তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমার পঞ্চমবার ছবিটি দেখা হলো। এ ছাড়া সিনেমাটি বানানোর সময় দুইবার দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে একবার দেখেছি, তারপর প্রিমিয়ার শোতে দেখেছি, আর আজকে বাচ্চাদের নিয়ে হলে এসেছি।’
সিনেমা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, প্রথমত এই সিনেমার নামই বলে দেয় ছবিতে কী দেখাচ্ছে। ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ এই ছবিটি দেখলে বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু কীভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে, বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতার প্রশ্নে অবিচল ছিলেন, কীভাবে তিনি মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দৃঢ় চিত্তে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
বায়োপিকটির বিশেষত্বের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে তিন ঘণ্টার মধ্যে দেশের ইতিহাস সংক্ষেপে জানা, কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এল, বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে উঠলেন, সেটি এ ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দীকে আমি দেখিনি। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকেও সেভাবে দেখা হয়নি। কাগজে, পত্র-পত্রিকায় যেটুকু দেখেছি এবং সবচেয়ে মর্মান্তিক যে বিষয়টি, ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড এখানে চিত্রায়িত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খুনীরা যে কী রকম পাষণ্ড ছিল, নির্মম ছিল, ১৫ আগস্টের চিত্রায়নটি দেখলে সেটি অনুধাবন করা যায়। আমি পাঁচবার দেখার পরও ইমোশোন ধরে রাখতে পারিনি, পারছি না।'
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে: তথ্যমন্ত্রী
শেখ রাসেলকে সম্মান জানাতে ১৫ আগস্টের অপরাধীদের শাস্তি হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
শেখ রাসেলকে সম্মান জানাতে ১৫ আগস্টের অপরাধীদের শাস্তি হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন ও বিচারের আওতায় আনা হলে শেখ রাসেল ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্য শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা আরও পূর্ণতা পাবে।
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনিদের জিম্মি করা কখনো সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক এখন সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হচ্ছে। দেখবেন গণহত্যার সময় বাড়ির সিঁড়ির নিচে আশ্রয় নেওয়া শেখ রাসেলকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন শেখ রাসেল বলেছিল, ‘আমি আমার মায়ের কাছে যেতে চাই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঘাতকরা তাকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের লাশের কাছে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। অর্থাৎ সেদিন খুনিরা কতটা নৃশংস ছিল, এই হত্যাকাণ্ড তারই প্রমাণ।
তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্যতম প্রধান হোতা। তারা হত্যার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে তারা আবির্ভূত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন এলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়: তথ্যমন্ত্রী
দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে এবং একইসঙ্গে মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর কাজে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম সমাজের তৃতীয় নয়ন ও উন্মোচিত নয় এমন বিষয় উন্মোচন করতে পারে, যেখানে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি পড়ে না, সেখানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারে।
সোমবার সন্ধ্যায় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রথম বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনে জনসমর্থন নেই: হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, ‘আমি কালবেলাকে অসংখ্য অভিনন্দন জানাই যে অত্যন্ত অল্প সময়ে, প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যে এটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। পত্রিকাটি শতবর্ষী হোক।’
তিনি আরও বলেন, দৈনিক কালবেলা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে, একইসঙ্গে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করছে।
মন্ত্রী বলেন, সবার আগে সংবাদ পরিবেশনার প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে অস্থিরতার অবস্থা যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় কালবেলার সম্পাদক আবেদ খান, নির্বাহী সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, প্রকাশক নজরুল ইসলাম, সম্পাদকীয় দল, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সম্পাদক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা হাছান মাহমুদের
ফিলিস্তিনের বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে ইউরোপীয় দেশগুলো : ড. হাছান মাহমুদ
নির্বাচন এলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আপামর বাঙালি সাম্প্রদায়িক নয়। সবাই মিলে-মিশে একাকার। সেই কারণে এ দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই অপশক্তি অবদমিত হয়েছে।'
কিন্তু সেই অপশক্তি নির্মূল হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দেখা যায়, যখন নির্বাচন আসে, তখন এই অপশক্তি আবার ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়। তাই এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।'
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর বনানী মাঠে স্থাপিত পূজামণ্ডপে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত মহালয়া ১৪৩০ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব সব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, তারপর ধর্মের পরিচয়। কিন্তু এই চেতনার বেদিমূলে আঘাতের ফলে পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব সম্প্রদায়ের মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। লাল সূর্যখচিত সবুজ পতাকা ছিনিয়ে এনেছি।'
আরও পড়ৃুন: যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনিদের জিম্মি করা কখনো সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৫ সালের পর সেই সাম্প্রদায়িক ভাবধারা ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আজকেও সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আমাদের দেশে আছে। এবং তারা সময়ে সময়ে তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়।'
নির্বাচনকে সামনে রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা গত ১৫ বছরের পথচলায় চেষ্টা করেছি, ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশের যে মূল চেতনা হারিয়ে গিয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনার। একটি রাষ্ট্রের কখনো 'শত্রু সম্পত্তি আইন' বলে কিছু থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সেটি বিলুপ্ত করে ভিন্ন আইন করা হয়েছে। এভাবে অনেক কাজ করা হয়েছে।'
হাছান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেন- ধর্ম যার যার উৎসব সবার, ধর্ম যার যার রাষ্ট্রও সবার। আর সেটির প্রতিফলন আমরা দেখি দুর্গাপূজা, ঈদ, প্রবারণা পূর্ণিমাসহ সব ধর্মীয় পার্বণে, যেখানে সব ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর হয়ে শামিল হয়।'
মানুষের সামর্থ্য ও সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বিধানের কারণে প্রতি বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আশা করি এই শুভ মহালয়ায় দেবী দুর্গার যে আগমনী বার্তা ধ্বনিত হচ্ছে, তা সব ধর্মের যে মর্মবাণী, মানুষে-মানুষে শান্তি-সম্প্রীতি, তা আরও দৃঢ় করবে।'
শিল্পী মনোজ সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গুলশান-বনানী পূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক
প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ, সন্তোষ শর্মা প্রমুখ। শেষে ফাউন্ডশনের শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
আরও পড়ৃুন: বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, বেগম জিয়াও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন: তথ্যমন্ত্রীর আশা প্রকাশ
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, বেগম জিয়াও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন: তথ্যমন্ত্রীর আশা প্রকাশ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি সব সময় বলে যে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না, কিন্তু পরে তারা অংশ নেয়।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, এবারও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
সোমবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের চেয়ে জনগণের অংশগ্রহণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও তার মিত্ররা যদি নির্বাচন বর্জনও করে, জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন বাংলাদেশে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের চেয়ে ভোটারদের অংশগ্রহণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে চায় কি না জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক, সেজন্যই আমরা তাদের বারংবার আহ্বান জানাচ্ছি। তারা যদি এতো জনপ্রিয়ই হয়, নির্বাচনে আসুক।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মহান স্রষ্টার কাছে দোয়া করি, বেগম জিয়া যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান সে জন্য সরকার আন্তরিক এবং যতো ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সেটি করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে ভালো একটি হাসপাতালে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে এটিও বলা হয়েছে, যদি কোনো বাইরের ডাক্তারও আনার প্রয়োজন পড়ে তারা আনতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, আর বিদেশ পাঠানো সেটি আদালতের এখতিয়ার। যদি তাদের সেটাই করতে হয় তাহলে তারা আদালতে শরণাপন্ন হতে পারেন।
আরও পড়ুন: পত্রিকায় ছোটদের পাতা প্রকাশ অব্যাহত রাখুন: তথ্যমন্ত্রী
হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে চায়: হাছান মাহমুদ
রাজনৈতিক দলের চেয়ে ভোটারদের অংশগ্রহণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
যেকোনো রাজনৈতিক দলের চেয়ে নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নিলেও সেখানে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে সচিবালয়ে পাকিস্তান সরকারের ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট প্রকাশিত ‘পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কিত শ্বেতপত্র’ এর পুনঃমুদ্রণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি এলে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আমরা চাই তারা অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু তারা যোগ না দিলেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ হবে এবং নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আলী সরকার, তথ্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা নাসরিন জাহান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, এত দিন পর তারা উপলব্ধি করেছে যে, কেউ তাদের হাতে ধরে ক্ষমতায় বসাবে না। এটি একটি ভালো উপলব্ধি।
হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুলের উৎফুল্লতা এখন ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে। কারণ তারা বুঝেছে সময়মতো নির্বাচন হবে এবং তাদের কেউ ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি থেকেও অনেকে অংশ নেবেন। বিএনপির কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাই নির্বাচন প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার পথ পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমি তাদের অনুরোধ করব এবং বাস্তবতা মেনে নিয়ে নির্বাচনের পথ অনুসরণ করার অনুরোধ জানাব।
নির্বাচনের সময় সরকারের আকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সময় সরকারকে সঙ্কুচিত করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচনী সরকারের পতন হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, এটা ভালো। কারণ বিদেশিরা আমাদের নির্বাচনে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমাদের উন্নয়নে সর্বত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে। তারা যে প্রতিনিধি দল এসেছে, আমি মনে করি এটা ভালো।
এর আগে পুনর্মুদ্রিত শ্বেতপত্র উন্মোচনের সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে কারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল, কারা মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে ছিল তা বোঝা যাবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ‘পূর্ব পাকিস্তান সংকট’ শিরোনামে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। এই শ্বেতপত্রে জিয়াউর রহমানের কোনো উল্লেখ নেই। যাইহোক, এই দেশে অপরাধীদের বীরত্বের মর্যাদায় উন্নীত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পত্রিকায় ছোটদের পাতা প্রকাশ অব্যাহত রাখুন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান করা ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী
পত্রিকায় ছোটদের পাতা প্রকাশ অব্যাহত রাখুন: তথ্যমন্ত্রী
শিশুদের বিকাশের জন্য সব পত্রিকায় ছোটদের পাতা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আগে দৈনিক পত্রিকাসহ প্রায় সব পত্রিকায় নিয়মিত ছোটদের পাতা প্রকাশ হতো, সেখানে শিশু-কিশোরদের লেখা, তাদের জন্য লেখা বের হতো।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশ মুক্ত গণমাধ্যমের উদাহরণ: ইংরেজি দৈনিকের উদ্বোধনীতে তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন অনেক পত্রিকা ছোটদের পাতা বের করে না। কিন্তু এই ধরনের পাতা প্রকাশের মাধ্যমে শিশুদের বিকাশ ও সমাজ গঠনের জন্য সব পত্রিকার প্রতি আমার আহ্বান থাকবে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় টাইমস মিডিয়া ভবনে দৈনিক সমকাল পত্রিকার ১৯তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তার শুভেচ্ছা বার্তায় এ কথা বলেন।
সংবাদপত্রের সঙ্গে ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাল্যকালে আমি ছোটদের পাতায় লিখতাম। যেদিন আমার কোনো লেখা বা কবিতা ছাপা হতো, সেদিন যে আমার কী আনন্দ হতো! বড়দের কাছে গিয়ে সেটি দেখাতাম। সেসব এখনো আমার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে।
সমকালের জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, দৈনিক সমকাল শুরুতেই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং ১৮ বছর পাঠকপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। সমকাল শতবর্ষী হোক।
সমকাল তার ভবিষ্যতের পথচলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে- প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান করা ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান করা ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চে অংশ নেওয়া বাবার ছবি দেখে ক্ষোভে বিষপান করা রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা নীরব ইমনকে (২২) দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নীরব ইমন। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকালে অসুস্থ ইমনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
চমেক হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ইমনের পাশে কিছু সময় কাটান তথ্যমন্ত্রী। তখন পাশে ছিলেন ইমনের বাবা মোহাম্মদ জহিরও। এসময় তিনি অসুস্থ ছাত্রলীগ নেতার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা ও চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য ইমনের বাবার হাতে আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট এলাকার নিজ বসতঘরে বিষপান করেন নীরব ইমন। তিনি পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাবা জহির ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি।
অসুস্থ ইমন শুক্রবার চমেক হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা অনেকদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, কিন্তু তার দল রাঙ্গুনিয়ায় কোনো উন্নয়ন করেনি।
তিনি আরও বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের নেতা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে চাকরি দিয়েছেন। বাবা অন্য দলের রাজনীতি করবে আর বন্ধুরা সেটা আমাকে দেখিয়ে দেবে সেটা আমি মেনে নিতে পারিনি।
চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সাত্তার জানিয়েছেন, বিষপানে অসুস্থ ইমনকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শুরুতে তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। পাকস্থলি পরিষ্কার করা হয়েছে। এখন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আশাকরি দ্রুতই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
কিছু দেশ মানবাধিকারকে অন্যের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অন্য দেশের বিরোধিতা করার জন্য বর্তমান বিশ্বের কিছু দেশ মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের কান্না' আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'কিছু উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ আজ মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। মানবাধিকার এখন মানুষকে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অপছন্দ করে, তারা প্রথমে বিভিন্ন ছদ্মবেশে মানবাধিকার নিয়ে আসে, তারপর সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'আমাদের দেশে জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নির্বাচন সুষ্ঠু, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটদের পশ্চাদপসরণের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও তার পরাজয় মেনে নেননি। কিন্তু বাংলাদেশে পরাজিত প্রার্থীদের অধিকাংশই স্বীকার করেছেন বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বলেন, 'দয়া করে আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না, আমাদের সংসদ ভবনে হামলা চালিয়ে কাউকে হত্যা করা হবে না।
তিনি বলেন, 'যারা মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের নামে বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে, দয়া করে আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক স্বার্থে খালেদা জিয়াকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি কয়েকদিন ধরেই বলে আসছে, তাদের চেয়ারপারসনের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং তার জীবন বিপন্ন। বিদেশে না নিলে তিনি মারা যাবেন। তবে প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সরকার আন্তরিকভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া আদালতের এখতিয়ার।
তিনি বলেন, আদালতের আদেশ ছাড়া খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন না। তাই তার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।
হাছান মাহমুদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো নৈরাজ্য সৃষ্টির যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
মায়ার কান্নার সভাপতি কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক মন্ত্রী তারানা হালিমসহ নিহতদের স্বজনরা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী