গ্রেপ্তার
গোয়ালন্দে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় বিয়ের আশ্বাসে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার রাতে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে গ্রেপ্তার ইউসুফ শেখকে (২৫) রাজবাড়ীর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অভিযুক্ত ইউসুফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
ইউসুফ কোতোয়ালি থানার দক্ষিণ চর মাধবদিয়া দিরাজতুল্লার ডাংগী গ্রামের সোলায়মানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, অভিযুক্ত কারাগারে
শনিবার ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা অভিযোগে জানান, ইউসুফ মাঝে মধ্যে তার মেয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলতো। মোবাইলে কথা বলতে নিষেধ করায় ইউসুফ ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়েকে অপহরণ করার চেষ্টা চালায়। তার মেয়ে গত সোমবার (২২ নভেম্বর) আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের স্থানীয় আতর চেয়ারম্যানের বাজারে যায়। সেখান থেকে কৌশলে তাকে ইউসুফ মোটরসাইকেলে তুলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার কামাডাঙ্গী এলাকার ইউসুফের মামা জনৈক রানার বাড়িতে নিয়ে যায়। তুলে নেয়ার দুই দিন পর বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তার মেয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
বাড়ি ফিরে কিশোরী পরিবারকে জানায়, ইউসুফ তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। সেখান থেকে সে বাড়িয়ে ফিরতে না চাইলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এখন সে বিয়ে করবে না বলে অস্বীকার জানায়। পরে তিনি বাদী হয়ে অভিযুক্ত ইউসুফকে আসামি করে শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে ‘ধর্ষণ’: সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবির জানান,এ বিষয়ে কিশোরীর মা শুক্রবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।পরে রাতেই অভিযুক্ত ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে শনিবার রাজবাড়ীর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লায় কাউন্সিলরসহ জোড়া খুনের মামলায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও আওয়ামীলীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে খুনের ঘটনায় করা মামলার আরেক আসামি মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলায় দুইজন গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে বুধবার মামলার চার নম্বর আসামি মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট যৌথ অভিযান চালিয়ে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে। তাকে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: গ্রেপ্তার ১
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রুমন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দশজনকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২২ নভেম্বর নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওই দু'জন। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা: ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৯৯৯ এ কল: শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন কলের ভিত্তিতে শিশু যৌন নির্যাতনের পর মীমাংসা প্রচেষ্টা বন্ধ করে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া সদর থানার পুলিশ।
অভিযুক্ত সিরাজ উদ্দীন (৫৫) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বারাদি কানা বিলের মোড় এলাকার তাজু শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: আত্মহত্যা চেষ্টাকারী নারীকে উদ্ধার করল পুলিশ
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একজন কলার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, কুষ্টিয়া সদর থানাধীন বারাদি কানাবিলের মোড় এলাকায় ওইদিন দুপুরের দিকে ১২ বছর বয়সী ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে এক ব্যক্তি যৌন নির্যাতনের করেছেন। এখন বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজন ভুক্তভোগী শিশু, তার পরিবার ও অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে মীমাংসার চেষ্টা করছেন।
কলার জানান, তিনি আশঙ্কা করছেন শিশুটি ন্যাবিচার থেকে বঞ্চিত হবে, যে কারণে কলার ৯৯৯ এর কাছে যথাযথ আইনি সহায়তার জন্য ফোন করছেন।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কুষ্টিয়া সদর থানায় জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়। সংবাদ পেয়ে কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো ভাই আটক
পরে কুষ্টিয়া সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শঙ্কর ৯৯৯ কে জানান, তিনি ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত সিরাজ উদ্দীন গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছেন। এ সংক্রান্তে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এই সময় হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে কার্যকারী পদক্ষেপে নেয়া না হলে সিটি করপোরেশনের সকল সেবামূলক কাজ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৬ দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিকদের মানববন্ধন
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
মানববন্ধনে সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, প্যানেল মেয়র জমিরুদ্দিন খান জম্পি, কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান, সরকার মো. জাবেদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর (সোমবার) বিকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এজহারভুক্ত আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: গ্রেপ্তার ১
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া পাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সিটি করপোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহা হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার রাতে নগরীর কুচাইতলি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ঘটনার প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর নিহত কাউন্সিলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে সুমনসহ ১১ জন নামীয় এবং ১০ জন অজ্ঞাতের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কার্যালয়ে ঢুকে কাউন্সিলরসহ দু’জনকে গুলি করে হত্যা
জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদর জানান, এ মামলার এজহারভুক্ত আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ সময় গুলিতে কাউন্সিলরের সহযোগী হরিপদও নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা: ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নওগাঁয় ২ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, অস্ত্র জব্দ
নওগাঁয় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশি বিদেশি ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার দোগাছি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, দোগাছি দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইসমাইল প্রামাণিকের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০) ও মুজিবুর রহমানের ছেলে জামিল হোসেন (৩৬)।
আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু আলাউদ্দিনকে হত্যার দায়ে ৩ আসামি গ্রেপ্তার
বুধবার সকালে র্যাব-৫ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় দোগাছি গ্রামের লিটন হোসেনের বাড়ির সামনে অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা ও গাঁজা সেবনের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুই সন্ত্রাসীকে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে, তাদের বাড়ি থেকে হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মারামারির কাজে ব্যবহারকৃত পাচঁটি রামদা, ৮টি চাপাতি, ছয়টি ধারালো ছুরি, পাচঁটি বাটাল, পাচঁটি ছোট ছুরি, একটিটি বিদেশি ছোরা,একটি বিদেশি তলোয়ার, ১৪টি ছিনতাইকৃত মোবাইল, ৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৫ আরও জানায়, তাদের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মারামারিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু আলাউদ্দিনকে হত্যার দায়ে ৩ আসামি গ্রেপ্তার
মহেশখালীতে আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম প্রকাশ মামুন (২৮), মামুনের সহযোগী মো. রিফাত (২৩) ও মামলার অপর আসামি আইয়ুব আলী (৪০)।
আরও পড়ুন: র্যাব অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, নরসিংদীতে আটক ২
র্যাব-১৫ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বান্দরবানের লামা থানার ফাইতং এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামুন ও রিফাতকে আটক করে।
র্যাব জানায়, আলাউদ্দিন হত্যা মামলার আসামি মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের পাহাড়তলী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৫ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে কালামারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা কালুর ব্রিজ এলাকায় আত্মসমর্পণকারী জলদস্যু আলাউদ্দিনকে (২৬) সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে।
এর পরদিন নিহতের ভাই সুমন উদ্দিন বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় ১৮ জন আসামি করে ও অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: অপপ্রচারের অভিযোগে ফেনীতে ৩ যুবক আটক: র্যাব
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বন্দুক উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে র্যাব সদস্যরা। এ ছাড়া, অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান একজন র্যাব কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার রাতে আরবি শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় মামলা করে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার আবদুল মালেক (৩৫) সাতকানিয়া উপজেলার পুরাণগড় ইউনিয়নের মনেয়াবাদ এলাকার স্থানীয় একটি মক্তবের (আরবি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান) শিক্ষক।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিশুটির মায়ের অভিযোগ, তার মেয়ে ওই শিক্ষকের কাছে গিয়ে নিয়মিত আরবি পড়তো। গত ১৭ নভেম্বর মক্তব ছুটি হওয়ার পর ওই শিশুকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক। শনিবার রাতে শিশুটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি মাকে জানায়। পরে ওই রাতে ধর্ষণের অভিযোগে শিশুর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
বারহাট্টায় সৎ ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই খুন
নেত্রকোণার বারহাট্টায় জমিতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে সৎ বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পলাশ মিয়া (৩০) মারা যাওয়ার পর পরই অভিযুক্ত বড় ভাই আলামিন মিয়া (৪০) বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা ওই উপজেলার গোড়াউন্দ গ্রামের রব মিয়া ছেলে।
নিহত পলাশের ছোট ভাই মো. পিতাস বলেন, আমার বড় ভাই পলাশ মিয়া ও সৎ বড় ভাই আলামিন মিয়াসহ আমরা শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির উঠানে আলোচনা করছিলাম জমিতে সেচ দেয়ার বিষয়ে। আলোচনার এক পর্যায়ে আলামিন উত্তেজিত হয়ে আমার ভাই পলাশকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার সময় পলাশ মারা যায়।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
জমি নিয়ে বিরোধ: পাবনা, খুলনা ও ভোলায় নিহত ৪
পঞ্চগড়ে প্রতিমা ভাঙচুর, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
পঞ্চগড়ে তিনটি কালিমন্দিরের ১০টি মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলার আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে এই প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করা হয়। শুক্রবার এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে আটোয়ারী থানা পুলিশ। তারা দুজনই হিন্দুধর্মাবলম্বী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শক্তি চন্দ্র পাল ও সনাতন চন্দ্র পাল। শক্তি চন্দ্র পাল বর্তমান ইউপি সদস্য ও আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে হিন্দু ভোটারদের সমর্থন আদায়ের অপকৌশল ও অপর ইউপি সদস্য প্রার্থী শাহজাহান আলী টিএনওকে ফাঁসাতে প্রতিমা ভাঙচুর করা হতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।
পুলিশ জানায়, আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বহুবাঁধ শ্মশান কালি মন্দির, দোমুরকী-ঝাকুয়াপাড়া কালী মন্দির এবং ঠাকুরপাড়া পুরানপাড়া কালি মন্দিরে গভীর রাতে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। সকালে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পুজা অর্চনার জন্য মন্দিরে গেলে প্রতিমাগুলোর বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। ভাঙচুর অবস্থা দেখে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যোদয়
এই ঘটনার খবর পেয়ে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সিআইডির ক্রাইম ইউনিটসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এই ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডের দয়াল চন্দ্র রায় জানান, শক্তি চন্দ্র পাল হিন্দু ভোটারদের সমর্থন আদায়ের জন্য মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এটা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায়না। এখানে আমরা হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে বসবাস করছি। এটা হিন্দু ধর্মের জন্য লজ্জার ব্যাপার।
ওই এলাকার বিপ্লব রায়, বিষ্ণু রায়, অনিমেষ জানান, ঘটনা যেই ঘটাক তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবেন এমনটি আশা করছি। এ বিষয়ে ছাড় দেয়া ঠিক হবে না।
পঞ্চগড় জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায় জানান, স্থানীয় নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদিপ কুমার রায় জানান, সকালে আলোয়াখোয়া গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আমাকে খবর দেয় প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। আমি তাৎক্ষনিক ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি,তবে কেন এই প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে এখনই বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রাকিবুল ইসলাম এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তদন্ত করা হচ্ছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, রাতের কোন অংশে দুষ্কৃতিকারীরা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনাটি তদন্তের বিষয়। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে কে কারা এবং কেন ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই এর রহস্য উদঘাটন করা হবে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান,নির্বাচনকে ঘিরেই এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা তদন্ত করছি। জড়িতদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা সজাগ রয়েছি।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর আটোয়ারী উপজেলার আলোয়া খাওয়া ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে শক্তি চন্দ্র পাল টিউবওয়েল প্রতিকে এবং মো. শাহজাহান আলী টিএনও তালা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে শিশু ও নারীসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক