পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের আইনি পরিণতি সম্পর্কে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তুর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশের দেওয়া জোরালো বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সব পক্ষের সংকল্পের কোনো বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত দৃঢ় সমর্থন, আন্তরিক সহযোগিতা ও গাজাবাসীদের সাহায্য করতে পণ্যসামগ্রী পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
চলতি সংকট মুহূর্তে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা কামনা করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আইইউটি উপাচার্যের সাক্ষাৎ
ওআইসিভুক্ত ২৪টি দেশের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে আইইউটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার (১৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে ড. হাছান মাহমুদকে এই আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, কাঠামো, পরিচালনা পর্ষদ, একাডেমিক কার্যক্রম, বাজেট ব্যবস্থাপনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান আইইউটির ভিসি।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আইইউটি’র মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুকরণীয় পারফরম্যান্স দীর্ঘদিন ধরে রাখায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আইইউটিকে ইসলামি সংহতির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় কাজ অব্যাহত রাখবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা সর্বাধুনিক পাঠ্যক্রম অনুসারে শিক্ষা গ্রহণ করবে।
আইইউটি’র অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রমের উন্নয়নে সরকারের সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে ড. হাছান মাহমুদ ভাইস চ্যান্সেলরকে আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করা লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সে উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে কুয়ালালামপুরে পাইরেসি রিপোর্টিং সেন্টার, নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার, যুক্তরাজ্য মারিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) এবং এশিয়ায় দস্যুতা ও সশস্ত্র ডাকাতি প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত দপ্তরকে খবর দেওয়া হয়েছে।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে সাংবাদিকরা গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম কোম্পানির মোজাম্বিক থেকে দুবাইগামী জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ দখল ও ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিককে বন্দি করার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের চট্টগ্রাম অফিসে স্বজনদের ভিড়, উদ্ধারের আশ্বাস মালিকপক্ষের
তিনি আরও বলেন, ‘ঐ অঞ্চলে চলাচলরত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের জাহাজগুলোকেও বাংলাদেশের জাহাজটির অবস্থা রিপোর্ট করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত কনসার্ন এবং মন্ত্রিপরিষদ সভায় এটি অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচিত হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘জলদস্যুদের সঙ্গে কোনো 'ফরমাল' যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি। অন্য পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটি নিয়ে তৎপর রয়েছে। ইতোপূর্বেও একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ এবং ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছিল।’
এর আগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ঢাবি সিনেট ভবন মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডিভালপমেন্ট স্টাডিজ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসবে বক্তৃতা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান।
আরও পড়ুন: জিম্মি নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
‘ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীর জন্য বিনিয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী তার বক্তৃতায় জাতির সমৃদ্ধির জন্য নারীর উন্নয়ন ও কল্যাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি জাতির আত্মিক উন্নয়নে নিবেদিত। আর এ জন্য নারীর আত্মিক উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন, তেমনি অর্থনৈতিক, কারিগরি, ডিজিটাল উন্নয়নও প্রয়োজন।
এই সরকার নারীবান্ধব উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী, অনেক ডিসি, এসপি, ইউএনও আজ সারা দেশে কর্মরত, যা দু'দশক আগে কেউ ভাবেনি।’
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ এলায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপের প্রেসিডেন্ট নাসিম ফিরদাউস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ ডিভালপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, ঢাবি সমাজকল্যাণ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সব ক্রু সদস্যকে মুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ চায় নাবিক জয়ের পরিবার
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আবারও যেসব সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, আগের মতোই তাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ দিন দুপুর পর্যন্ত নতুন করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আসার চেষ্টা করেছিল তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তাই করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্যই বারবার এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ১৭৯
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে, এখনও ডাকা হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী শেস্তাকভ এবং শ্রীলংকার হাইকমিশনার ভিরাক্কোডির সাক্ষাৎ
ঢাকা সফররত বেলারুশের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী ইয়েভগেনি শেস্তাকভ সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে ১৯৭১ সালে তৎকালীন ইউনিয়ন অভ সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকের (ইউএসএসআর) অন্তর্ভুক্ত অংশ হিসেবে বেলারুশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেওয়ার জন্য উপমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল বিএনপি: হাছান মাহমুদ
ইউরেশিয়ান ইকনোমিক ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি এবং ইউরেশিয়ান ইকনোমিক কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরে বেলারুশের সহযোগিতা ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কগুলোতে আরও বিনিয়োগ কামনা করেন মন্ত্রী। উভয় নেতা এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ দিন বিকেলে মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলংকার হাইকমিশনার ধর্মপালা ভীরাক্কোডি।
সাক্ষাৎকালে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আনন্দ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কার সংকটকালে বাংলাদেশ সবসময় পাশে আছে। উভয় দেশ বাণিজ্য, কৃষি, মৎস্য, আইসিটি এবং আতিথেয়তা খাত, নৌপরিবহন, সামুদ্রিক যোগাযোগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন ড. হাছান।
বৈঠকে দু'দেশের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কগুলোতে আরও বিনিয়োগ, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন ও সার্ক, বিমসটেক, ইন্ডিয়ান ওশান রিমের মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলোতে একসঙ্গে কাজের নানা ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা স্থান পায়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান সহজীকরণের প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু, ভিসা পদ্ধতি সহজ এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণের প্রস্তাব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশটির মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে এ অনুরোধ জানান দেশটিতে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সকালে দুবাইয়ে মানবসম্পদমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের মধ্যে আমিরাতে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রবাসীদেরকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
এ সময় বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানে কোনো বাধা নেই জানিয়ে আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার প্রযুক্তিচালিত চাকরির বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া করার জন্য এআই এবং সম্পর্কিত সফ্টওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে জানান এবং চাকরি প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই পদ্ধতি তুলে ধরেন।
এই প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান আমিরাত-গামী কর্মীবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশি কর্মীদের প্রস্তুত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাষা প্রশিক্ষক নিয়োগের কথাও জানান।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
বৈঠকে মন্ত্রী ড. হাছান কুয়েত সরকারের বাংলাদেশি নার্স নিয়োগের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ থেকে যোগ্য নার্স ও চিকিৎসা পেশাজীবী নিয়োগের জন্য আমিরাত পক্ষকে অনুরোধ করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকায় আসন্ন যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠকে কুয়েতি নিয়োগের মডেল পরীক্ষা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
উভয় পক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের কল্যাণমূলক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ দিন সন্ধ্যায় আবুধাবির আল আইন শহরের রয়্যাল প্যালেসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই দিনের সফরে মন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সেখানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে একটি কমিউনিটি মিটিংয়ে যোগ দেবেন এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যারা ৭ মার্চ পালন করে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা আজকে ৭ মার্চকে অস্বীকার করে, তারা আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটি নিয়েই সন্দেহ।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা ৭ মার্চ পালন করে না। বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা ৭ মার্চ ছাড়া হতে পারে না। সুতরাং যারা এটি মানে না বা পালন করে না, তারা আসলে স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ।
বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সারা দেশে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, '৭ মার্চের ভাষণ শুধুমাত্র একটি ভাষণ নয়। এটি একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে রচিত মহাকাব্য। জাতির পিতা ঘোষণা করেছিলেন- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি এ-ও বলেছিলেন- যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো, শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। অর্থাৎ তিনি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময় নিয়েছিলেন, এরপর তিনি চূড়ান্ত স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।'
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে ৭ মার্চেই তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেদিন ঢাকা থেকে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা রাওয়ালপিন্ডিতে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল- 'চতুর শেখ মুজিব কার্যত পূর্ব-পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।' অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু এমনভাবে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন যে তাতে করে তাকে অভিযুক্ত করারও সুযোগ ছিল না।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে ওআইসি বৈঠকে যোগ দিতে জেদ্দায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসির জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সদর দপ্তরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্ক থেকে জেদ্দায় যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান।
এর আগে সোমবার এই অধিবেশনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সিনিয়র অফিসিয়ালস মিটিং (এসওএম) অনুষ্ঠিত হয়।
জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের বক্তৃতায় ফিলিস্তিন ও আল-কুদস বিষয়ক সহকারী মহাসচিব রাষ্ট্রদূত সামির বকর বলেন, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইসরায়েলি বাহিনী ভয়ংকর গণহত্যা চালায়। যেখানে খাদ্য সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল শত শত মানুষ, সেখানে তাদের জীবন হারাতে হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি আগ্রাসন বিষয়ক ওআইসির বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বকর বলেন, এই গণহত্যা ইসরাইলি দখলদার সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের উদাহরণ ও সাক্ষী। এর জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে আইনি প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা প্রয়োজন। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের জবাবদিহি নেওয়ার জন্য বৈধ ও কার্যকর স্থান এই দুই আদালত।
বকর আরও বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যেভাবে নৃশংস অপরাধ ও গণহত্যা চালাচ্ছে, এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও কার্যকর আন্দোলনের প্রয়োজন রয়েছে। এই নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসন মোকাবিলা করতে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে যৌথ আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত রেজুলেশন বাস্তবায়নে রাজনৈতিক, আইনি ও গণমাধ্যমসহ সম্ভাব্য সব বৈধ উপায়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
আজ (মঙ্গলবার) ওআইসির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে খসড়া নীতিমালা জমা দেবে এসওএম।
ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা ওআইসি বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব রিয়াদে আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে যৌথভাবে ওআইসি ও আরব রাষ্ট্রগুলোর লীগ।
এ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে রয়েছে সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত কমিটির রাজধানীগুলোতে ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় সফর।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনে নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, ১৮ অক্টোবর ওআইসির সদর দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১-৩ মার্চ তুরস্কে আয়োজিত আনতালিয়া কূটনীতি ফোরামে অংশ নিয়ে এই অনুষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ফোরামে হাসান মানবতা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য ইসরায়েলকে দায়বদ্ধ করে গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, গাজায় সহিংসতা ও নৃশংসতা বন্ধে পর্যাপ্ত বৈশ্বিক পদক্ষেপের অভাব তুলে ধরেন হাসান।
সংঘর্ষে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুর মতো বেসামরিক লোকদের মৃত্যুর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা কেবল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। শুধু মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়, জাতিগত নিধনও চলছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ‘যুদ্ধ ও গণহত্যা’ বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না বরং ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
তুরস্কের ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে এই নৃশংসতা মোকাবিলায় সমবেত বিশ্ব সম্প্রদায়কে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান হাসান।
ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি গাজায় এই নৃশংসতা, জাতিগত নিধন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে থামাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে পারি।’
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় ফোরামটি ৩ মার্চ শেষ হয়।
‘অ্যাডভোকেসিং ডিপ্লোম্যাসি ইন টাইমস অফ টারময়েল’ প্রতিপাদ্যে এবারের ফোরামে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ইসরায়েলি আগ্রাসন বিষয়ক ওআইসির বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৫ মার্চ জেদ্দায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সৌদি আরবের জেদ্দায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্ক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জেদ্দা যাবেন।
১-৩ মার্চ তুরস্কে অনুষ্ঠিত আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরামে অংশগ্রহণকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন।
ফোরামে হাছান মাহমুদ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নিধনের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
ওআইসি সদর দপ্তর জানিয়েছে,ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা ওআইসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) খসড়া এজেন্ডা এবং কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ও গ্রহণ এবং খসড়া রেজুলেশনটি বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলে জমা দেবেন।
গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব রিয়াদে ওআইসি ও আরব রাষ্ট্রসমূহের লীগ যৌথভাবে আয়োজিত বিশেষ যৌথ আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ১৭ মার্চ ঢাকায় আসছেন আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য, কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভেনি
সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সফরের জন্য সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধে অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওআইসির সদর দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি উন্মুক্ত নির্বাহী কমিটির বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাছান মাহমুদ গাজায় সহিংসতা ও নৃশংসতা বন্ধে পর্যাপ্ত বৈশ্বিক পদক্ষেপের অভাবের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা স্রেফ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। শুধু মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়, জাতিগত নিধন চলছে।’ এই সংঘাতে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিমস্টেকের পাঁচ দিনব্যাপী ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম উদ্বোধন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এই 'যুদ্ধ ও গণহত্যা' বন্ধে যথেষ্ট প্রচেষ্টা দেখছেন না এবং ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করছে।
তুরস্কে অনুষ্ঠিত ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাছান মাহমুদ। এসব নৃশংসতা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সমবেত বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ভিডিও সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা যায়, 'আমি মনে করি, গাজায় এসব নৃশংসতা, জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে থামাতে আমরা আমাদের ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে পারি।’
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পৃষ্ঠপোষকতায় ফোরামটির বৈঠক ৩ মার্চ শেষ হয়।
'অ্যাডভান্সিং ডিপ্লোম্যাসি ইন টাইমস অব টার্ময়েল’ শীর্ষক এবারের আয়োজনে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তুরস্কের স্থানীয় সময় রবিবার আনতালিয়ায় কূটনৈতিক ফোরামের তৃতীয় দিনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় হাকান ফিদানকে এ প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা তুরস্কে মৌসুমি চাষ করবেন এবং ফলনের পর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।’
তুরস্ক বিষয়টি পরীক্ষা করবে এবং আগামী জুলাই মাসে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের পরবর্তী পরামর্শের সময় এটি নিয়ে আলোচনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন ফিদান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করতে এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তুরস্কের বৃহত্তর ভুমিকা কামনা করেন।
বৈঠকে উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে এবং এইভাবে জ্বালানি, এলএনজি ও ফসলের দাম কমবে। যা এখন উভয় দেশের পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তুর্কি হোপ স্কুল নিয়ে তুরস্ক উত্থাপিত বিষয়ের প্রতিক্রিয়ায় ড. হাছান মাহমুদ আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয় উভয়ই শিগগিরই তুর্কি হোপ স্কুল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে।
আনতালিয়া ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফেরত চিঠি হাকান ফিদানকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় নয়জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ৭০ জন পররাষ্ট্রবিষয়ক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অত্যন্ত সফলভাবে আনতালিয়া কূটনৈতিক ফোরাম আয়োজনের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
তুরস্কের স্বাধীনতার শতবর্ষ এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে হাকান ফিদানকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের সংগ্রাম থেকে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জাতির বন্ধুত্বের উষ্ণ বন্ধন প্রতিনিয়ত দৃঢ়তর হচ্ছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ শাখার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর