আদালত
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নেত্রকোণায় অতিরিক্ত প্রধান বিচারিক হাকিম আদালতে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এঘটনায় এ নিয়ে মোট দুটি মামলা করা হলো।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল বাদী হয়ে মামলা করেন। অসিত সরকারের আইনজীবী মো. শহিদুল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
মামলায় বলা হয়, গত ১৯ মে প্রকাশ্য জনসভায় শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি প্রধানমন্ত্রীর জন্যে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্যে হুমকি। এ ধরনের হুমকি দেওয়ায় বাদী সংক্ষুব্ধ, মর্মাহত ও মানসিকভাবে আহত হয়েছেন।
আইনজীবী মো. শহিদুল্লাহ জানান, মামলায় প্রাণনাশের হুমকি, মানহানি ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিচারক মো. কামাল হোসাইন মামলা আকারে গ্রহণের জন্য নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন বলে জানান এই আইনজীবী।
এর আগে গতকাল সোমবার (২২ মে) একই আদালতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটন বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
ইমরান খানের গ্রেপ্তার: পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা
দুর্নীতির একাধিক মামলায় অভিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মঙ্গলবার আদালত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে রাজনৈতিক উত্তেজনা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সারা দেশে তার ক্ষুব্ধ সমর্থকদের দ্বারা সহিংস বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা ইমরান খানের গ্রেপ্তার পাকিস্তানকে বিপর্যস্ত করার সর্বশেষ সংঘাতের প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে বছরের পর বছর ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ রয়েছে।
বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় বিক্ষোভকারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন, সেখানে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরে অনুরূপ সহিংসতায় প্রায় ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: ইসলামাবাদের আদালত থেকে ইমরান খান গ্রেপ্তার
সহিংসতার মধ্যে পাকিস্তানের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রকরা টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং রাজধানী ইসলামাবাদ ও অন্যান্য শহরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। বুধবার কিছু বেসরকারি স্কুলের ক্লাস বাতিল করা হয়।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফাওয়াদ চৌধুরী জানান যে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর নিরাপত্তা এজেন্টরা ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে একটি সাঁজোয়া গাড়িতে নিয়ে যায়।
৭১ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকার গ্রেপ্তারকে 'অপহরণ' বলে আখ্যায়িত করেছেন ফাওয়াদ চৌধুরী। পাকিস্তানের স্বাধীন জিও টিভি খানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সম্প্রচার করেছে।
আদালতের বাইরে খানের সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষে খানের কয়েকজন আইনজীবী ও সমর্থক আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খানকে ইসলামাবাদের নিকটবর্তী রাওয়ালপিন্ডিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তার নিয়মিত মেডিকেল চেকআপও হওয়ার কথা ছিল।
দুর্নীতি মামলায় অভিযোগের মুখোমুখি হতে নিকটবর্তী লাহোর থেকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এসেছিলেন ইমরান খান।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বাড়িতে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ৬১
ইসলামাবাদের আদালত থেকে ইমরান খান গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের ইসলামাবাদের আদালত থেকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দল তেহরিক ই ইনসাফের কর্মকর্তারা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের আদালতে একাধিক দুর্নীতি মামলার অভিযোগে আদালতে হাজির হওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সরকারবিরোধী সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুলিবিদ্ধ
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, ৭২ বছর বয়সী খানকে মঙ্গলবার আদালতের প্রাঙ্গণে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর এজেন্ট গ্রেপ্তার করেছে।
গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন খান। তিনি তার ক্ষমতাচ্যুতকে অবৈধ এবং পশ্চিমা ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে তার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৬০, কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
লিজ নেওয়া খেজুর বাগানের মেয়াদকাল শেষ না হতেই একই বাগান পুনরায় দরপত্র আহ্বান করায় ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহজাহান কবির ও খামার পরিচালক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মনিরুজ্জামান মনির নামে এক ব্যক্তি।
গত বছরের ২৫ শে এপ্রিল ঠাকুরগাঁও সুগার মিল সদরের নারগুন ইউনিয়নের মোহন কৃষি খামারের বোচাপুকুর শাখার ৪৭০টি খেজুর গাছের রস আহরণের জন্য ভ্যাট ও আয়করসহ এক লাখ ৮২ হাজার ১১০ টাকায় বাগানটি লিজ নেন ওই এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির।
যার মেয়াদকাল ছিলো চলতি বছরের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
কিন্তু সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির বাগানের মেয়াদ শেষ না হতেই আট মাস আগেই পুনরায় ওই বাগানের দরপত্র আহ্বান করেন চলতি মাসের ৪ এপ্রিল।
গত বুধবার মনিরুজ্জামান মনির এ মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানিয়েছে এমএসএফ
আদালত বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে সুগার মিল কর্তৃপক্ষের চলতি মাসের ৪ এপ্রিলের ঘোষিত দরপত্রটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং সেই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে বিবাদিকে দরপত্রের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন।
কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এমডি তার মতো করে টেন্ডার সিডিউল বিক্রি ও গ্রহণ করেন।
মনিরুজ্জামান মনির জানান, ঠাকুরগাঁও সুগার মিল কর্তৃপক্ষ কোন কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে আমার লিজ নেয়া খেজুর বাগানটি নতুন করে লিজ প্রদানে দরপত্র আহ্বান করে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিষয়টি আমি জানতে পেরে মিল কর্তৃপক্ষকে বন্ধের অনুরোধ করা হলেও কর্ণপাত করেননি তারা।
তিনি আরও বলেন, ধার-দেনা করে বাগান লিজ নিয়েছি। সময়ের আগেই অন্য কাউকে লিজ দিলে চরম ক্ষতির মুখে পড়বো আমি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি এবং ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও খামার পরিচালক এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান মনিরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম জানান, সুগার মিল কর্তৃপক্ষ নতুন করে যেন লিজ প্রদান করতে না পারে সে কারণে আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পাশাপাশি মামলাটি চলমান রয়েছে।
সুগারমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহজাহান কবির দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আদালতের কাগজটি দুই দিন আগে হাতে পাওয়ায় টেন্ডার প্রক্রিয়াটি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তবে লিজ দেওয়া হবে কি না তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
ফেনীতে বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে মামলা, আটক ১
চট্টগ্রামে ‘নওমুসলিম’ যুবকের মৃত্যুর আড়াই মাস পর আদালতের রায়ে দাফন
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত আহমদ (২৯) নামে এক নওমুসলিম যুবকের লাশ দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকার পর আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক দাফন সম্পন্ন হচ্ছে।
নিহত আহমেদের (পূর্বের নাম রতন দাশ) ধর্মপরিচয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় সোমবার আদালতের রায়ে তার জানাজা শেষে দাফনের ব্যবস্থা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
নিহত আহমদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পূর্ব মায়ানী গ্রামে। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন দাশ ও মায়ের নাম সন্ধ্যা রানী দাশ।
সোমবার দুপুরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে পটিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহ নিহত নওমুসলিম আহমদকে ইসলামী রীতি মোতাবেক দাফনের পক্ষে রায় দেন।
আদালতে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নিহত নওমুসলিম আহমদের লাশ তার ধর্মীয় শিক্ষক আকরাম হোসেনের তত্ত্বাবধানে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক এখন করার জন্য বিজ্ঞ আদালত রায় দিয়েছেন।
নিহত যুবকের সহপাঠী সিরাজুল মাওলা মিলাদ বলেন, আমাদের সহপাঠী আহমাদ আগে হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার একটি মাদরাসায় মাওলানা হারুন এজাহারের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
এরপর থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ও ইসলাম ধর্মের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলতেন।
তার মৃত্যুর পর আমরা বন্ধুরা তার দাফনের ব্যবস্থা করলে তার পরিবার হিন্দু ধর্ম মতে সংস্কারের দাবি করে। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে তা আদালত পর্যন্ত করায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
সোমবার আদালতে রায়ের পর আমরা তার দাফন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি। রাতে জানাজা শেষে তার লাশ নগরীর চৈতন্য গলির কবরস্থানে আহমদকে কবর দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিড করে এবং কালেমা পড়ে স্ব-ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে পটিয়া উপজেলার মনসা বাদামতল এলাকায় তেলবাহী লরির চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আহমদের মৃত্যু হয়।
তখন নিহত যুবকের মা সন্ধ্যারানী দাশ দাবি করেন যে তার ছেলে রতন দাশ হিন্দু ছিলেন। তাই হিন্দু ধর্মের নিয়ম মেনে শেষকৃত্য চিতায় সম্পন্ন করতে চান।
কিন্তু তার সহপাঠীদের দাবী রতন দাশ তার হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তাই তার দাফন করা হবে।
যুবক আহমদের শেষ যাত্রা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টির কারণে মৃত্যুর পর দিন ৩০ জানুয়ারি পটিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত মার্চের ১৩ তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৩ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি হাইওয়ে থানা পুলিশ।
সেদিন তারা আবারও অধিকতর তদন্তের জন্য সময়ের আবেদন করে আদালতে একটি চিঠি দিয়েছেন।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত ২০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির এ নির্দেশ দেন। কিন্তু ২০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে এই দিন ছুটি থাকার কারণে সেদিন আদালত বন্ধ থাকায় সোমবার (২৪ এপ্রিল) উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আদালত দাফনের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৬
ফারদিনের মৃত্যু: সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ আদালতের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলাটি সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার বাদী নুর উদ্দিন রানার নারাজি দাখিল করেন।
আদালত নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডিকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফারদিনের মৃত্যু: স্থায়ী জামিন পেলেন বুশরা
আগামী ২৪ মে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: নারাজি দিতে সময়ের আবেদন বাবার
আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
ঢাকার আদালত থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দুই জঙ্গির একজনের স্ত্রীকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শিখা মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবের স্ত্রী।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি দল শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে শিখাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সাক্ষর-সিল জালিয়াতির অভিযোগে নাপিত গ্রেপ্তার
উক্ত জঙ্গিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান, যারা প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর পুলিশের ওপর পেপার স্প্রে ব্যবহারের পর অন্য কয়েকজন জঙ্গির সহায়তায় তারা ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্য।
আরও পড়ুন: ডাক্তার-নার্স পরিচয়ে বাড়িতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬: ডিএমপি
নারায়ণগঞ্জে জামিন পেয়ে আদালত থেকে বের হয়ে আসামির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে জামিন পেয়ে আদালত থেকে বের হয়ে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত জালাল আড়াইহাজার থানার একটি জালিয়াতি মামলার আসামি।
গত বুধবার তাকে গ্রেপ্তারের পর তাকে আড়াইহাজার থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর আদালতে হাজির করে। এ সময় আসামি পক্ষের উকিল জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
জামিন পাওয়ার পরই আদালত প্রাঙ্গণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জালাল। পরে তার ছেলে পুলিশের সহায়তায় তাকে শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, আসামিকে আড়াইহাজার থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।
তিনি আরও বলেন, পরে বের হয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে তার ছেলের সঙ্গে পুলিশ সদস্য ও লেগুনা ঠিক করে দেই। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
কোনও মামলা ছাড়াই নওগাঁর সুলতানা জেসমিনকে (৪৫) র্যাবের হেফাজতে নেওয়া থেকে শুরু করে হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া তা আইনগতভাবে কতটুকু সঠিক ছিল তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, আটকের পর সুলতানা জেসমিনকে সম্মানজনক জায়গায় (থানা অথবা কার্যালয়ে) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কিনা এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া আইনগতভাবে হয়েছে কিনা? তাকে একটা অভিযোগের ভিত্তিতে তুলে নেওয়া র্যাবেরজুরিসডিকশনে (এখতিয়ার) ছিল কিনা?
রাষ্ট্রপক্ষকে আগামী বুধবারের মধ্যে এসব প্রশ্নের জবাব দাখিল করতে বলেছেন। একই সঙ্গে ওইদিন বেলা ২টায় এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেছেন।
এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা এক রিটের শুনানিকালে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতিআহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এসব প্রশ্নের জবাব চান।
এর আগে র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু সংক্রান্ত প্রকাশিত খবর গত সোমবার আদালতের নজরে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ চেয়েছিলেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব হাইকোর্টের
বিষয়টিতে শুনানির পর হেফাজতে ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা এবং মৃত্যুর কারণ জানতে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেখতে চান আদালত।
সুলতানা জেসমিনকে আটকের কারণ, স্থান, সময়, হেফাজতে নেওয়ার কারণ, জিজ্ঞাসাবাদ সুনির্দিষ্ট তথ্যও চান আদালত।
আর এসব তথ্য জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে এক দিনের সময় দেওয়া হয়।
আর আদালতের দৃষ্টিতে আনা ওই আইনজীবীকে বলা হয় রিট আবেদন নিয়ে আসতে।
নির্দেশমত গতকাল মঙ্গলবার আদালতে প্রতিবেদন দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। সেখানে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছিল না।
অন্যদিকে, র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কারণ ও র্যাবের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন ওই আইনজীবী।
সোমবার বেলা আড়াইটায় এ রিটের শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
আবেদনের আরজি তুলে ধরে রিটকারী মনোজ কুমার বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো বিষয়ও বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। র্যাব গঠন করা হয়েছিল দাগি চোর-ডাকাত, মাদক চোরাকারবারি ধরতে। এই নারীকে (সুলতানা জেসমিনকে) আটক করা হয় ২২ মার্চ। আর ২৪ মার্চ তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই আইনে কাউকে গ্রেপ্তারের এখতিয়ার পুলিশের থাকলেও র্যাবের নেই। তাছাড়া ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৭ ধারা অনুসারে সুলতানা জেসমিনকে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়নি।'
আরও পড়ুন: নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ভূমি অফিস সহকারীর মৃত্যু : অভিযোগ পরিবারের
তিনি আরও বলেন, 'কোনও অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতেই র্যাব এ ধরনের বেআইনি ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা আজ অসহায়। র্যাব যাকে ইচ্ছা তাকে তুলে নিয়ে উধাও করে দিচ্ছে। এটি (সুলতানা জেসমিনকে আটক, হেফাজত, জিজ্ঞাসাবাদ) সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে করা হয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সুলতানা জেসমিনের মাথায় আঘাত থাকার কথা বলেছেন, যা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসেছে। ফলে র্যাবের কর্মকাণ্ড ও নারীর মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। যে কারণে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।’
এরপর শুনানিতে আসেন অ্যাটর্নি জেনারেল। নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সুলতানা জেসমিনের উচ্চ রক্তচাপ ছিল।
সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চ ১১ টা ৫০ মিনিটে নওগাঁ সদরের নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুসারে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। পরে জনসাধারণের সামনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। তার আগে আটক ওই নারীর মোবাইল ফোন থেকে অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য ও নথি উদ্ধার করা হয়।’
২৪ ঘণ্টার বেশি সময় র্যাব ওই নারীকে আটকে রাখেনি দাবি করে আমিন উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশে সোপর্দ করতে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে আটক নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুর সোয়া ১টায় প্রথমে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তার রক্তচাপ ছিল ৯০/১৬০। এরপর ওইদিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তিতে রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এটি সম্পূর্ণভাবে ভুল যে, ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ওই নারীকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।’
শুনানির এক পর্যায়ে আদালত বলেন, একজন নাগরিক জঘন্য অপরাধী হতে পারে। অত্যন্ত খারাপ কাজ করতে পারে। সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া (প্রসিডিউর) আছে। দিনশেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যখন র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করলো তখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা ছিল না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে পুলিশ আটক করলেও একটা কথা ছিল। আইনে তাদের ক্ষমতা আছে। কিন্তু র্যাবের কি ওই আইনে সে ক্ষমতা আছে? কথা হচ্ছে র্যাব তাকে উঠিয়ে নিয়েছে, এরপরই তাকে পুলিশে দেবে। কিন্তু এখানে সেটা দেখা যাচ্ছে না। তাকে উঠিয়ে নেওয়ার পর অন্তবর্তী সময়ে যেভাবে ঘটনা ঘটেছে আমাদের উদ্বেগটা সেখানে। পুরো প্রক্রিয়া আইনগতভাবে হয়েছে এবং র্যাবের কি জুরিসডিকশন (এখতিয়ার) ছিল?
আদালত আরও বলেন, সবার মনে প্রশ্ন কারণ এটা বড় করে পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। সবার ধারণা তাকে র্যাবের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে। এটা একটা হাইপোথিটিক্যাল (অনুমানিক) বিষয়।
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেলেএ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আগে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসুক। তারপর এটা বোঝা যাবে।
আদালত বলেন, সবার মনে যে প্রশ্ন, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে নাকি অন্য কিছু এটা পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কোন অপরাধ করে, তাহলে তার দায় রাষ্ট্র নেবে না।
আদালত এসময় বলেন, কেউ যেন এ ঘটনায় ভিকটিম না হয়। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। এই মহিলা একজন সরকারি কর্মচারী।
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, তাকে আটকের পরই তার মোবাইলের কথোপকথনসহ যাবতীয় তথ্য প্রিন্ট আউট করা হয়েছে। টাকা যে পাঠানো হয়েছে, মোবাইলে তার ছবি রয়েছে, কথোপকথন প্রকাশ পেয়েছে। যখনই এগুলো প্রিন্ট আউট হয়েছে, তখনই তার প্রেসার বেড়ে গেছে।
এ সময় আদালত বলেন, আমাদের প্রধান উদ্বেগ হচ্ছে আইনগত প্রক্রিয়া। এর বাইরে অনুমাননির্ভর বিষয়ে যাবো না। মামলা হবে কি হবে না সেটা রাষ্ট্র ও ভুক্তভোগীর পরিবারের বিষয়।
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মামলা হবে কি হবে না সেটা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে। আর রিটকারীর যে মূল যুক্তি ২৪ ঘন্টা। এই যুক্তি তো থাকছে না। তদন্ত করতে হলে তো যুক্তি থাকতে হবে।
এসময় রিটকারী মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, পুরো বিষয়টা কতটুকু আইনসঙ্গতভাবে হয়েছে নাকি হয়নি আমি সেটার তদন্ত চাই।
আদালত বলেন, আমরা আইনী পয়েন্টে থাকতে চাই। কোনও মামলা ছাড়াই এভাবে তাকে উঠিয়ে নেওয়ার জুরিসডিকশন র্যাবের আছে কিনা?
এখানে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, র্যাবের আলাদা রেগুলেটরি আইন আছে। সেখানে কোনও ক্ষমতা আছে কিনা দেখতে হবে। এছাড়া তাকে সাড়ে ১০টায় উঠিয়ে নেওয়া হয় এবং সোয়া ১টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল। হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত র্যাবের হেফাজতে রাখার এখতিয়ার আছে কিনা, একজন মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছে, তার ভিত্তিতে তাকে উঠিয়ে নিতে পারে কিনা?
র্যাব বলেছে, সে অপরাদ স্বীকার করেছে, তার কাছ থেকে কিছু ম্যাটেরিয়াল (উপাদান) সংগ্রহ করেছে-এগুলো করতে পারে কিনা? তার মাথায় আঘাতের বিষয়টি পত্রিকায় এসেছে। কিছু পত্রিকায় বলা হয়েছে ২২ তারিখেই ব্রেইন হ্যামারেজ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখন তার ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে। এ অবস্থায় তাকে তুলে নেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া সঠিক ছির কিনা। এর পেছনে আইনগত ভিত্তি, ময়নাতদন্ত রিপোর্টসহ তিনটি বিষয় দেখে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য আগামী বুধবার বেলা ২টায় সময নির্ধারণ করেন।
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ২০১৬ সালে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং শিশু আইনে একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সোহাগ (২৯) ও সাগর (২৭)। এদের দুইজনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আটকাদেশ প্রাপ্তের নাম রনি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার ঢুলিয়া গ্রামে জলসার মেলা থেকে ১০ বছরের শিশুকণ্যাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী বিলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে সোহাগ, সাগর ও রনি নামে তিনজন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক সোহগ ও সাগরকে যাবজ্জীবন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপর আসামি রনিকে শিশু আইনে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড