আদালত
গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে আদালতের নিরাপত্তায় ১১ দফা নির্দেশনা প্রধান বিচারপতির
দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন এতথ্য জানায়।
হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি মহোদয় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে ইতোপূর্বে একাধিকবার দেশের প্রত্যেক আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল।
এতে আরও বলা হয়েছে, অধস্তন দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমাসমূহের নথিতে বিচারপ্রার্থী জনগণের মূল দলিল বা ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। আদালতের হেফাজতে থাকা এসব দলিলাদি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি বা নষ্ট হলে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। তাই অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য প্রধান বিচারপতি মহোদয় সংশ্লিষ্ট সকলকে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করেছেন:-
(ক) আদালত ও বিচারকের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সুসংহত করা।
(খ) আদালত ও ট্রাইব্যুনালের এজলাস বিভাগ, প্রতিটি ফটক ও আদালতের বাহিরে সিসিটিভি স্থাপন করা।
(গ) আদালত ভবনের বাইরে ও ভিতরে নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেয়া।
(ঘ) আদালত ভবনের দরজা ও জানালাগুলি গণপূর্ত দরজা ও জানালাগুলি নতুন করে স্থাপন করা।
(ঙ) আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা।
(চ) মামলা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নিরাপদ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
(ছ) আদালতে ব্যবহারের নিমিত্ত মানসম্মত ফার্নিচার ও লকার নিশ্চিত করা।
(জ) আদালত সীমানার চারিদিকে সিকিউরিটি পোস্ট স্থাপন করা।
(ক) জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশের আদালত এলাকায় রাতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল জোরদার করা।
(ঞ) অবকাশকালীন সময়ে আদালত ভবনের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(ট) প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কর্মকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা।
আজকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করত দেশের প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতির আদালত বর্জন প্রত্যাহার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলা জজের আদালত ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ আদালত ছাড়া সকল আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেন আইনজীবীরা।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি।
এতে করে বিচারপ্রার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তারা জানান, এতদিন কোর্ট বন্ধ থাকার কারণে তাদের অর্থ ও সময় উভয় নষ্ট হয়েছে। সেসঙ্গে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তবে আবারও আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তাদের আর হতাশ হয়ে ফিরতে হবে না।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভুইয়া জানান, আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেয়ায় রবিবার থেকে আইনজীবীরা আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। তবে জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের বদলির আগ পর্যন্ত তাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া, নাজির মোমিনুল ইসলামকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বদলি করা হবে।
আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে ওই দুই বিচারকসহ নাজিরকে অপসারণ করা না হলে সাধারণ সভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচি নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীদের আদালত বর্জন
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আইনজীবীরা আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। এতে করে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। এছাড়া আদালতের এজলাসগুলোতে বিচারকেরা বিচারকাজ পরিচালনা করছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা।
এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়।
এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারিরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা।
এছাড়া বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করেছেন উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সঙ্কট নিরসন
আদালত স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সঙ্কট নিরসন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ঘটনায় রাজধানীতে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মধ্যে বৈঠকে আট দিন পর স্থবিরতা অপসারণ করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন যে রবিবার থেকে দুই বিচারপতি ছাড়া বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন তারা। তাদের তিনটি দাবি মেনে নেয়ায় রবিবার থেকে আইনজীবীরা তাদের কর্মকাণ্ডে যোগ দেবেন
তিনি আরও বলেন, জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ না হলে তারা আদালত বয়কট করবেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ ফারুকের আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামকে অপসারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগে নতুন আইন আসছে: আইনমন্ত্রী
মফিজুর রহমান জানান যে আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আইনমন্ত্রীর বাসায় অচলাবস্থা নিয়ে দুই ঘণ্টা বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করতে আসা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বিচারক ফারুক। ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে গত ২৬ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারুকের আদালত বয়কটের ঘোষণা দেন আইনজীবীরা।
অন্যদিকে, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসদাচরণের প্রতিবাদে আদালতের কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেন। এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পরদিন সব আদালত বর্জন করে লাগাতার কর্মসূচি পালন করেন আইনজীবীরা।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারকদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ জন আইনজীবীকে দুবার তলব করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: আদালত স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করে: আইনমন্ত্রী
নির্ধারিত সময়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে: আইনমন্ত্রী
বিএনপির আসলাম চৌধুরীর জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার উৎখাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
একইসঙ্গে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, ৫ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্ট তাকে (আসলাম চৌধুরী) জামিন দেন। আমরা সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করি। আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার জজ আদালত সেই জামিন স্থগিত করেছেন।
এছাড়া ৩০ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্যের সঙ্গে ভারতে আসলাম চৌধুরী বৈঠক করেছেন। এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর আসলাম চৌধুরীকে ২০১৬ সালের ১৫ মে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৫ মে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। মামলায় অবৈধভাবে সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: ৩২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা বাতিলে আসলাম চৌধুরীর আবেদন খারিজ
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন স্থগিত
আদালত স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের বিষয়ে শুক্রবার আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে না।
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা প্রেসক্লাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের মুক্তিতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’
অ্যাটর্নি জেনারেলের বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দুই নেতার হাইকোর্টে জামিন প্রক্রিয়ায় আইন লঙ্ঘন হয়েছে। তাই হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: আইনমন্ত্রী
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়ে আনিসুল বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন, এখন হাইকোর্ট বিষয়টি তার এখতিয়ারে নিয়েছে। ‘এ বিষয়ে আমি কোনো কিছু বলব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখেছি এবং যদি এটি সত্য হয় তবে আমি লজ্জিত ও দুঃখিত। একজন আইনজীবী পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি বিশ্বাস করি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আইনজীবী এ যে ঘটনা ঘটেছে তা আইনজীবীরা করতে পারেন না। আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
বৃহস্পতিবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে তলব করেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
তলব করা ব্যক্তিরা হলেন-আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া, সচিব (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলাম।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৪ জানুয়ারি জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ফারুক হাইকোর্টে লিখিত অভিযোগ পাঠান। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বিচারপতির লিখিত অভিযোগ হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।
গত ২ জানুয়ারি আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভূঁইয়া, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী এবং জুবায়ের ইসলামসহ প্রায় ১০-১৫ জন আইনজীবী এসে বিচারককে অভদ্রভাবে আদালত কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন।
অভিযোগে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তানভীর আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে: আইনমন্ত্রী
চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করাই নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: আইনমন্ত্রী
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার রিট খারিজ; মামলা চলবে
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা।
এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি ৫ জুন
১৫ বছর পর তারেক-জোবায়দার রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে বিসিআইসিকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুদককে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।একইসঙ্গে ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্কিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
‘৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ’-শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোতে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আইনজীবী খুরশিদ আলম খান প্রতিবেদনটি নজরে আনলে আদালত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইউএফএস’র ১৫৮ কোটি টাকা লোপাট: এমডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট
প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।
মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।
পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মে’র মধ্যে।
সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি।
সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জামালউদ্দিন হত্যা: ২০ বছর পর আদালতে আসামির আত্মসমর্পণ
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জামালউদ্দিন অপহরণ ও হত্যার মামলা আসামি ফটিকছড়ি কাশেম চেয়ারম্যানকে জামিন না মন্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
হত্যার পর ২০ বছর ধরে বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় সম্প্রতি দেশে ফিরে আজ সোমবার (৩ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক নারগিস আক্তার তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যার অন্যতম আসামি ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাসেম দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থাকার পর গত ২২ নভেম্বর উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত ৬ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে কাসেম আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবার জামিন আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতেই জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এই মামলায় মোট সাক্ষী ৮৪ জন। তাঁদের মধ্যে মাত্র তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২৪ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের চকবাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে চান্দগাঁওয়ের বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন শিল্পপতি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের দুই বছর পর অপহরণকারী চক্রের সদস্য আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম গ্রেফতার হয়। একই সময়ে গ্রেপ্তার হয় চট্টগ্রামের এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার মাহবুব ওরফে কালা মাহবুব।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতেই ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার করে র্যাব। সিঙ্গাপুরে ডিএনএ পরীক্ষার পর কঙ্কালটি জামাল উদ্দিনের বলে নিশ্চিত হয় পরিবার। এরপর অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করে শুরু হয় তদন্ত।
মামলার অন্যতম আসামি আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জামাল উদ্দিনকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ডিস ব্যবসায়ী হত্যায় ১২ জনের যাবজ্জীবন
রাজধানীতে আল কায়েদা অনুপ্রাণিত ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: ৬৯ বার পেছালো প্রতিবেদন জমার তারিখ
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় ৬৯ বার পেছানো হলো।
রবিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। তাই ঢাকার মহানগহর হাকিম রাজেশ চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা।
দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বিচারপ্রার্থীদের আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর জন্য সকলকে যথাযথভাবে বিচারকর্ম পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার সারাদেশের অধস্তন আদালতের জেলা ও দায়রা জজগণের উদ্দেশ্যে অভিভাষণ প্রদানকালে প্রধান বিচারপতি এই নির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, আইনজীবীরা বারবার সময় আবেদন করলেই তা যেন গ্রহণ করা না হয় সেদিকে সচেষ্ট থাকতে হবে। অযথা শুনানি মুলতবি করলে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি বাড়ে। বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে জেলা জজদের আইনানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিচারকদের সুশৃঙ্খলভাবে কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
তিনি সততা ও দক্ষতা নিয়ে ন্যায়বিচার করার মানসে মনোনিবেশ করার জন্য দেশের সকল বিচারকগণকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় চাই শক্তিশালী বিচার বিভাগ: প্রধান বিচারপতি
এছাড়াও দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত কোনো বিচারককে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধান বিচারপতি।
এছাড়া দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেনহাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সারা দেশের তিন শতাধিক জেলা ও দায়রা জজ এবং সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বিচারকগণের পক্ষ থেকে মোট ১২জন বিচারক বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বর্তমানে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে: প্রধান বিচারপতি
আদালতে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া বরদাশত করা হবে না: প্রধান বিচারপতি