শিল্প সংস্কৃতি
সিলেটে ৩ দিনব্যাপী লোক সংস্কৃতি উৎসব শুরু
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সিলেটে তিন দিনব্যাপী লোক সংস্কৃতি উৎসব শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) থেকে উৎসব শুরু হয়ে চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সিলেট এম এ জি ওসমানী অঞ্চলের বাস্তবায়নে তিনদিন ব্যাপী এ উৎসব প্রতিদিন বিকাল ৫টায় শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ১০টায়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাই কমিশন ঢাকার পৃষ্ঠপোষকতায় সিলেটের কিন ব্রিজ ও আলী আমজাদের ঘড়ি সংলগ্ন এলাকা জুড়ে এই উৎসবে সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে আগত দল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে দুই দিনব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনী
সিলেট সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন সিলেট ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে থাকছে মণিপুরিনৃত্য, লোকনৃত্য, লোকগীতি, লোকনাট্য, ঢাক-বাদন, বিয়ারগীত, ঝুমুর-নৃত্য, কাঠি নৃত্য, পুথিপাঠ, পালানাটক, লাঠি খেলা, আইলামবর, মালজোড়া ইত্যাদি।
এছাড়াও উৎসব প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে কুষ্টিয়া থেকে আগত লোক বাদ্যযন্ত্রের স্টল ও লোক বিষয়ক বইয়ের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র।
এ উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক রজত কান্তি গুপ্ত জানান, বিগত প্রায় চারদশকের বেশি সময় ধরে দেশবাপী ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের উৎস অনুসন্ধান করে আসছে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। আমাদের উদ্দেশ্য বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক চেতনাকে সুসংহত করে ভবিষ্যতের অভিসারী করা।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার ‘সিলেট বিভাগীয় লোকসংস্কৃতি উৎসব’ এ তিনি সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের উপস্থিতি প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য, ‘হাতের মুঠোয় হাজার বছর আমরা চলেছি সামনে’এই স্লোগান নিয়ে ঢাকা থিয়েটারের তত্ত্বাবধায়নে ৬ মাঘ ১৩৮৮ বঙ্গাব্দ, ২০ জানুয়ারি ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ সালে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার তালুকনগর গ্রামে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সেলিম আল দীন ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ। বর্তমানে সারা দেশে দুই শতাধিক সংগঠন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সারা দেশের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য ৩৬টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এ সকল অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছেন আঞ্চলিক সমন্বয়কারীরা। আঞ্চলিক সমন্বয়কারীদের কাজের তত্ত্বাবধান করেন আট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আট জন বিভাগীয় সমন্বয়কারী।
আরও পড়ুন: শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব
সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না। দেশের লোকজ সংস্কৃতির ধারক বাহক হিসেবে এগিয়ে চলছে সংগঠনটি। খুব সংক্ষিপ্তভাবে ইতিহাস বর্ণনা করতে গেলে যেতে হয় ৮০ দশকে।
এর ধারাবাহিকতায় বর্ণনাত্মক নাট্যরীতি ও বর্ণনাত্মক অভিনয় রীতি বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। এছাড়াও গ্রাম থিয়েটারের ঐতিহ্যবাহী (লোক) সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
২ বছর আগে
ফ্রাঙ্কফুর্ট ৭৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলা: বাংলাদেশ স্টলের উদ্বোধন
বিখ্যাত জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে বুধবার ৭৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলায় শুরু হয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বইমেলার বাংলাদেশ স্টলের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওইদিন স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ স্টলের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ২০০ কেজি সোনায় কারুকার্যমণ্ডিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী 'মুজিববর্ষ' এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত নির্দেশনা মোতাবেক ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গর্বের বিষয়। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বছর মুজিববর্ষের সমাপ্তিলগ্নে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সময়োপযোগী ও সফল হয়েছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এই অংশগ্রহণ বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
আরও পড়ুন: এস এম সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলে আর্ট ক্যাম
তিনি বলেন, ‘লাখো শহিদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি বলেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারছে।’
ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্ৰ বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বইসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকদের লেখা চার শতাধিক নির্বাচিত বই নিয়ে অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
করোনা মহামারি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. সোহেলা আক্তার, একুশে পদকপ্রাপ্ত জার্মান প্রবাসী কবি নাজমুন নেসা পিয়ারি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, জার্মানিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান মিডিয়া কর্মকর্তা নাসরীন জাহান লিপি, প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব ডা. মীর আনোয়ার হোসেনসহ প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে