এ কে আব্দুল মোমেন
নাসরিন মুক্তির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) নাসরিন মুক্তির মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক শোক বার্তায় বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন নাসরিনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘ক্যান্সারের মতো চ্যালেঞ্জিং ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করেও নাসরিন তার দায়িত্ব পালনে অসাধারণভাবে নিবেদিত ছিলেন। অসুস্থতার সত্বেও অফিসিয়াল দায়িত্বের প্রতি তার অটল অঙ্গীকার সত্যিই প্রশংসনীয়।’
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনও নাসরিন মুক্তির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
সোমবার বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ব্রিকলেন মসজিদে বাদ আসর পবিত্র কোরআন খতম ও বাদ-মাগরিব বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাদ-জোহর ব্রিকলেন মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: রেবেকা মমিন ও আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকর্বাতায় তিনি বলেন, ‘নাসরিন মুক্তি ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) পদে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সার্বিক সম্পর্ক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন করে গেছেন। যার জন্য আমি তার কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।’
বিসিএস ২০তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য নাসরিন (৪৯) দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের (বীর উত্তম) কন্যা নাসরিন তার স্বামী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: চিত্রগ্রাহক আফজাল চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
ভারতের মতো পরিপক্ক সরকার আঞ্চলিক স্বার্থে কিছু বলতেই পারে: মোমেন
ভারত সরকারকে ‘অত্যন্ত পরিপক্ক’ হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নয়াদিল্লি তাদের নিজেদের এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে কিছু বলতেই পারে। যদি এ বিষয়ে তারা কিছু বলেন, তবে এটি অবশ্যই এই অঞ্চলের জন্য উপকারী হবে।
মোমেন বলেন, ভারত একটি অত্যন্ত শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেদেশের সরকার অত্যন্ত পরিপক্ক। তারা (ভারত) তাদের জন্য যা ভালো মনে করে তাই করে। এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করার কোনো কারণ নেই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি তাদের একটি পরিপক্ক সরকার ব্যবস্থা রয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনন্দবাজার পত্রিকা ও ডয়চে ভেলে বাংলার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের ব্যাপারে সাংবাদিকরা তার মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে, হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে তা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয়।
বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত খুশি নয় এবং এই বার্তা ওয়াশিংটনকেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রটি জানিয়েছে।
দুটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরপরই সরকার ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এবং সেখানে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে আগামী মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাইডলাইনে বেশ কয়েকটি বৈঠকের ব্যবস্থা করব। শেষ মুহূর্তে এ ধরনের বৈঠক চূড়ান্ত হয় । এ কারণে এগুলো এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন: কোনো দেশ কি বন্দিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়: মোমেন
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সরকার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত উভয় দেশেই বেশ কয়েকটি বৈঠক করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা সীমিত সময় থাকব, যেগুলো সম্ভব আমরা সেসব বৈঠক (সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে) করার চেষ্টা করব এবং বাকিগুলো নয়াদিল্লিতে হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ২২টি দেশ ব্রিকসের সদস্য হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। পাঁচটি মূল সদস্য দেশ নতুন সদস্যদের নেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন এবং ঐকমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
মোমেন বলেন, আমরা জানি না কবে নতুন সদস্যরা যোগ দেবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে তারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অবস্থান করবেন।
নাম উল্লেখ না করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোদি জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে সারা বছর ধরে অনুষ্ঠিত সব জি-২০ প্রক্রিয়া ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে।
নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-২০ নেতরা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় এবং সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এর আগে বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য নয়াদিল্লি জোহানেসবার্গের চেয়ে ভালো হবে। বৈঠকের বিষয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: সুইস রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে।
এসময় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
রবিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেঙ্গলির সঙ্গে বৈঠকে মোমেন এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় রেঙ্গলিকে অভিনন্দন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন সুইজারল্যান্ডকে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বাংলাদেশকে ‘প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ডে’ রূপান্তরের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
অন্যান্য অনেক প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আয় বেশি বলে উল্লেখ করে মোমেন বাংলাদেশে আরও সুইস বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মার্কিন সরকার পদত্যাগ করবে কি না সফররত কংগ্রেসম্যানদের মোমেনের প্রশ্ন
বাংলাদেশকে ‘সুযোগ ও প্রাণবন্ত অর্থনীতির দেশ’ উল্লেখ করে তিনি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি বিনিময়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
সুইস রাষ্ট্রদূত ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুইজারল্যান্ড সফরের কথা স্মরণ করেন।
গত বছর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে আরও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বাংলাদেশে সুইস বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ এবং বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে সুইস রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনে তার সরকারের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটে সহায়তার জন্য সুইস সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আরও সুইস সহায়তার প্রত্যাশা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য ওআইসি-ইউএনএইচসিআরের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ মে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের জন্য বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ। আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক আছে। তারা বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক উন্নয়নকে তার নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতির কারণে অন্যান্য দেশের কাছে একটি মডেল হিসেবে বর্ণনা করে।’
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এর প্রেসিডেন্ট ডেভিড আর ম্যালপাস ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘মূলত (যুক্তরাষ্ট্রে) আমরা বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে ‘অনিশ্চয়তা’ আছে বলে তারা কখনো শোনেননি।
তিনি বলেন, ‘আমরা গুজবে কান দিই না।’
মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর সফল ও অর্থবহ হবে।
বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে, বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে চলতি বছরের ২২শে জানুয়ারি ঢাকায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফর: প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ ৮টি চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা
ড. ইউনূসের জন্য ৪০ জন বিশ্বনেতার আবেদনের সমালোচনা মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কিছু লোকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, যারা বাংলাদেশ এবং এর নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের কাছে ‘আঙ্গুর ফল টক’।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে ৪০ জন বিশ্বনেতার আবেদনের বিষয়ে একজন সাংবাদিক তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠিতে বিশ্ব নেতারা নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের ‘সুস্থতার জন্য গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।
চিঠিটি ২০২৩ সালের ৭ মার্চ (মঙ্গলবার) ওয়াশিংটন পোস্টে একটি পূর্ণ-পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রকাশ হয়েছিল।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল এবং বিশ্ব তা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: পার্শ্ব বৈঠক করবেন মোমেন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও সাহসী নারী এবং এইসব লোকেরা তাকে মাইনাস করার মিশনে রয়েছে, যাতে এখানে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়।
জি-২০ পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকের সময় নয়াদিল্লিতে তার ব্যস্ততার কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, ‘আমরা খুবই সন্তুষ্ট। ভারত খুব ভালো এবং অনন্য কাজ করেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জি-২০ দেশগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে যে ‘আমরা একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তি চাই। এই যুদ্ধ বন্ধ করুন। দরিদ্র মানুষ ও দরিদ্র দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
মোমেন বলেন, তিনি তার ভারতীয় সমকক্ষ এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোও উত্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা সীমান্ত ইস্যুতে তাদের অঙ্গীকার রাখতে বলেছি।
মোমেন বলেন, ভারত বাংলাদেশে ডিজেল পাঠাবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদি ১৮ মার্চ এর উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের নতুন ফোরাম গঠনের জোরালো আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা রেজুলেশন বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন
কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবররিন সাংবাদিকদের বলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যারিস শহরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে একটি নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সেখানে একটি পাবলিক লাইব্রেরিতে বাংলাদেশ কর্নারেরও উদ্বোধন করবেন মোমেন। এছাড়াও তিনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বক্তৃতা দেবেন।
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মোমেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে কয়েকটি বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানান সেহেলী।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
‘ভুল বোঝাবুঝি’ বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক চায়: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘তারা (মার্কিন) বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। তারা আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়।’
বৃহস্পতিবার মোমেন সিলেটে সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) ছিল ‘বাংলাদেশের জন্য একটি দারুণ দিন’।
ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, তারা সকলেই বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন এবং গভীর সম্পর্কের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলের আগমনের আগে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ধারাবাহিক বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে: ডেরেক শোলে
মোমেন বলেন, ‘আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। তারা সম্পর্ক জোরদার করতে এসেছে।’
ডেরেক শোলে বুধবার বলেছেন, ৫১ বছর ধরে গড়ে ওঠা শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ব্যাপারে ‘আশাবাদী’।
শোলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী। আমাদের মধ্যে খুব দৃঢ় অংশীদারিত্বের ৫১ বছর পার হয়েছে। আমরা পরবর্তী ৫১ বছর এবং তার পরের সম্পর্কের জন্যও অপেক্ষা করছি। আমাদের উভয়ের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে আমাদের অনেকগুলো সম্ভানাময় ক্ষেত্রও রয়েছে; যেগুলো নিয়ে আমরা আজ কথা বলেছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে দক্ষিণ কোরিয়াকে আহ্বান জানাল প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী: মার্কিন কাউন্সেলর চোলেট
আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
চীন আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, সংযোগ এবং সাউথ সাউথ কোঅপারেশনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় চীন বাংলাদেশে যে ‘মূল্যবান’ সহায়তা করেছে, তা স্বীকার করেছেন মোমেন।
তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সমর্থন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা দরকার এবং আশা প্রকাশ করেন যে প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু হবে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার জন্য সঠিক পথে এগোচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক মধ্যাহ্নভোজ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সময় এসেছে আমরা এমন ন্যারেটিভ তৈরি শুরু করার, যা বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তার জন্য বৈশ্বিক ইনকিউবেটর হিসেবে কাজ করবে।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এবং এর জন্য শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ঢাকার একটি হোটেলে নেটওয়ার্কিং লাঞ্চের আয়োজন করে।
এই শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করতে আগামী ১১-১৩ মার্চ পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’- আয়োজন করবে এফবিসিসিআই।
আরও পড়ুন: মার্কিন কর্মকর্তাদের 'ঘন ঘন সফর' ইতিবাচক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশকে আজ একটি ‘প্রাণবন্ত অর্থনীতি’ ও ‘সম্ভাবনাময় দেশ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের বিশ্বের জন্য একটি নতুন ভিশন চালু করেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জনগণের কল্যাণ এবং ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।
মোমেন বলেন, “আমি এই দর্শনকে ‘হাসিনানোমিক্স’ বলি।”
তিনি আরও বলেন, তিনি হাসিনানোমিক্স অর্জনের জন্য চারটি চালিকাশক্তির পরিচয় দিয়েছেন– ডিজিটাল বাংলাদেশ, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার বিকাশ; উদ্যোক্তা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং উদার মুক্ত বাজার উদ্যোগ। ফলে আমাদের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাস্তুতন্ত্রকে স্থিতিশীল করতে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এর ধারা অব্যাহত রাখতে তারা তাদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়ে কাজ করছে।
মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ সেই কাজটিই করছে প্রধানমন্ত্রী যা যথার্থভাবে বলেছেন 'জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা' এবং বাংলাদেশকে সংযোগের কেন্দ্রে পরিণত করা, কারণ সংযোগই উৎপাদনশীলতা।”
তিনি আশাবাদী যে এই ইভেন্ট তাদের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার জন্য উইন-উইন দৃষ্টান্ত তৈরিতে তাদের বৈশ্বিক সংযোগ জোরদার করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য ‘জোরালো অগ্রগতি’ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুবই সীমিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নই; যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সব কূটনীতিকদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হবে।
সোমবার তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সরকার সব কূটনীতিকের পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনি কি কখনও শুনেছেন যে বাংলাদেশে কোন কূটনীতিককে হত্যা করা হয়েছে? ভয় পান কেন?’
মোমেন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে বোমা বিস্ফোরণে বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী আহত হন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ছোট্ট একটি ঘটনার কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কোনো সুযোগ তিনি দেখছেন না। ‘এটি একটি বহুমুখী সম্পর্ক।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে একটি পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ছিল, যা মূলত ফোনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে সশরীরে বৈঠক হয়।
মন্ত্রী বলেন, মার্কিন পক্ষ বলেছে যে তারা ১৪ ডিসেম্বরের ঘটনাটি বাংলাদেশ সরকারের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে’ এবং সেইসঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে উত্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) তার নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা আতঙ্কিত। আমাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
এর আগে, রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন যে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকার শাহীনবাগ এলাকায় গেলে (সেখানে) নিরাপত্তার কোনো অভাব ছিল না।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন সেটিকে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ হিসেবে দেখা যাবে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটিকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এ ঘটনা ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে যে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্ত অভিযোগকে ‘গুরুতরভাবে’ নেয় এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে।
১৪ ডিসেম্বর ‘মায়ের ডাক’-নামক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠককে ঘিরে বিভিন্ন নিবন্ধ এবং বিবৃতির আলোকে রবিবার মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, গত কয়েক বছর ধরে ‘মায়ের কান্না’-নামের সংগঠনটি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।
একটি ইমেলে গণমাধ্যমকে দেয়া বার্তায় মুখপাত্র আরও বলেন, মানবাধিকার মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির ‘মূল বিষয়’।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে’ ১৪ ডিসেম্বর ‘মায়ের ডাক’ নামক সংগঠনের সঙ্গে তার ‘পূর্বনির্ধারিত’ বৈঠক করছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।‘বিক্ষোভকারীরা সে বৈঠকটি বাধাগ্রস্ত করে। তারা (বিক্ষোভকারীরা) রাষ্ট্রদূত যেখানে ছিলেন সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। অন্য বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রদূতের গাড়ি ঘেরাও করেছিল।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার: মার্কিন উপ-সহকারী সচিব
শাহীনবাগের ঘটনাকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখার সুযোগ নেই: পররাষ্ট্র সচিব