ওমিক্রন
বাংলাদেশে এখন কোনো লকডাউন দেয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার দেশে করোনার কারণে ফের লকডাউনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
সাভারে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট বিল্ডিং (বিআইএইচএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং দেশে লকডাউন কার্যকর করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জাহিদ মালেক বলেন, নতুন করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। দেশে এর কোনো উপস্থিতি নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে এখন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের মজুদ রয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি রয়েছে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন নিয়ে জরুরি বৈঠক: বিদেশে যাওয়ার মাঝপথে দেশে ফিরলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ২৬ কোটি
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩০ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫২ লাখ ৩২ হাজার ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার ১২৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ৮৭ হাজার ৬৯৫ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৫ হাজার ৪০০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ ২৯ হাজার ৪০৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৬ লাখ ১৫ হাজার ৭৫৭ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭০ হাজার ১১৫ জনে।
আরও পড়ুন: ডেল্টার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওমিক্রন প্রতিরোধ করতে হবে: ডব্লিউএইচও
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৮৯ জনে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ২৪৩ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৭০ জনে পৌঁছেছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৩৮৭ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৮৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ২৪৩
ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
ডেঙ্গু: নতুন ২৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
দেশে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে ২৫ জন ঢাকায় এবং বাকি সাত জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগের বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ২৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২১৬ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার ৪৮৩ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৯১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯৮ জন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
ওমিক্রন: দেশে আসতে প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
ডেল্টার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওমিক্রন প্রতিরোধ করতে হবে: ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমিত দেশসমূহের সীমান্ত বন্ধ করে ওমিক্রন ছড়ানো বন্ধ করা যায়। তবে শুধু সীমান্ত বন্ধ না করে, ডেল্টার বিরুদ্ধে করা লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামা উচিত।
শুক্রবার ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে সম্প্রচারিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. তাকেশি কাসাই বলেছেন, একদিকে যেমন কয়েকটি দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, অন্যদিকে কিছু দেশে আবার ক্রমে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
কাসাই বলেন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় পেছাতে পারে, ফলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরও বেশি সময় পাওয়া যাবে। প্রতিটি দেশেরই এর বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
কাসাই আরও বলেন, এরমধ্যে সবচেয়ে ইতিবাচক খবর হল, ওমিক্রন সম্পর্কে আমাদের কাছে বর্তমানে যে তথ্য রয়েছে, এর ভিত্তিতে বলা যায় এতদিন ধরে অনুসরণ করা স্বাস্থ্যবিধিতে ওমিক্রনের জন্য নতুন কোনও পরিবর্তন প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
কাসাই বলেছেন, মিউটেশনের সংখ্যার কারণে ওমিক্রনকে নিয়ে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা যায়, এটি ভাইরাসের অন্যান্য রূপের চেয়ে বেশি সংক্রামক হতে পারে। অনেকের প্রশ্ন, এতে আক্রান্ত হলে মানুষ কি আরও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা এটা কি করোনা টিকার সুরক্ষাকে বাতিল করে দেবে?
এর উত্তর এখনও আমাদের কাছে নেই, এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসার জন্য আরও পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক জরুরি পরিচালক ড. বাবাতুন্ডে ওলোওকুরে বলেছেন, এখন পর্যন্ত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, হংকং, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতে প্রথম ওমিক্রন শনাক্তের কথা জানা গেছে।
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফিলিপাইনের সরকারি মহামারি ব্যুরোর পরিচালক আলথিয়া ডি গুজম্যান বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশটিতে আসা ৭১ জনের মধ্যে একজন করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তবে তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত কি না তা শনাক্তের জন্য এখনও পরীক্ষা চলছে।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম ২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
ডি গুজম্যান আরও বলেন, আমরা আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ওমিক্রন মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করছি।
ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক জরুরি পরিচালক ড. বাবাতুন্ডে ওলোওকুরে ম্যানিলায় বলেছেন, দেশগুলোর এখন কী করা উচিত সে প্রসঙ্গে, গত কয়েক বছরের আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। সেইসাথে কীভাবে আরও টেকসই উপায়ে ভবিষ্যৎ মহামারির সাথে মোকাবিলা করা যায় তা আলোচনা করতে হবে। নাগরিকদের টিকাদান, সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা ইত্যাদি বিধি অনুসরণ করতে হবে।
অন্যদিকে ডব্লিউএইচওর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. তাকেশি কাসাই আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হল আমরা সঠিক সময়ে, সঠিক রোগীদের, সঠিক জায়গায়, সঠিকভাবে চিকিৎসা করছি তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা, ওমিক্রনের ঝুঁকি ‘খুব বেশি’
ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্তে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশ আফ্রিকার সাতটি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে। বৃহস্পতিবার সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ এই নির্দেশনা জারি করে।
দেশগুলো হলো, বতসোয়ানা, এস্বাতিনি, ঘানা, লেসোথো, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে।
নির্দেশনা অনুযায়ী আদেশটি শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: দেশে আসতে প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, এই সাতটি দেশ থেকে আগত সমস্ত যাত্রীদের তাদের নিজস্ব খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের সপ্তম ও ১৪ তম দিনে যাত্রীদের নিজস্ব খরচে আরটি পিসিআর পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সপ্তম দিনের পরীক্ষার ফলাফলে কোভিড-১৯ পজিটিভ যাত্রীদের আলাদা করা হবে তবে করোনা নেগেটিভ যাত্রীরা ১৪ দিন পর্যন্ত তাদের কোয়ারেন্টাইন চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম ২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
এই সাতটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের চেক-ইন করার সময় বাংলাদেশে হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পূর্ববর্তী নির্দেশিকাতে পরিবর্তনের সাথে, ফ্লাইট ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করতে হবে এবং সমস্ত গন্তব্য থেকে আসা ১২ বছরের কম বয়সী শিশু ছাড়া সকল যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনার নেতিবাচক ফলাফলের প্রমাণ থাকতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার জানিয়েছে সারা বিশ্বের ২৩ টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফ্রিকা থেকে আসা কাউকে বোর্ডিং পাস দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোভিড-১৯: বিশ্বে মৃত্যু ৫২ লাখ ৩৩ হাজার ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ কোটি ৪১ লাখ ৩১ হাজার ৫৫৪ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৮৮ লাখ ৩২ হাজার ৩০২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ৮৫ হাজার ৯০৭ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৫ হাজার ১৭৯ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৭৮২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৬ লাখ ৬ হাজার ৫৪১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৯ হাজার ৭২৪ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ২৬১ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৮৬ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৮২৭ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৫৭ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ২৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩১৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্বদের করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের
আফ্রিকা থেকে আসা কাউকে বোর্ডিং পাস দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে প্রথম ২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
ভারতে প্রথম দু’জনের শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে বৃহস্পতিবার ৪৬ ও ৬৬ বছর বয়সী দুই পুরুষের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুজনকেই কর্ণাটকে শনাক্ত করা হয়েছে। গোপনীয়তা রক্ষার জন্য তাদের পরিচয় আপাতত প্রকাশ করা হবে না।
তিনি বলেন, শনাক্ত দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সব লোকের সন্ধান করা হয়েছে এবং তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। দু’জনের হালকা উপসর্গ রয়েছে। কোনও গুরুতর লক্ষণ নেই। ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সচেতনতা খুবই অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: দেশে আসতে প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো অবশ্য নাম প্রকাশ না করে সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেছে যে ৬৬ বছর বয়সী একজন বিদেশি আর ৪৬ বছর বয়সী কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত একজন স্বাস্থ্যকর্মী। বিদেশ থেকে ফিরে আসার পরে তারা দুজনেই করোনা পজটিভ শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ভারত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোট ৯ হাজার ৭৬৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত করেছে। এই নিয়ে দেশটিতে মোট শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ৪৬ লাখ ছয় হাজার ৫৪১।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কে হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে সতর্কতা
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেই চট্টগ্রামে নিখোঁজ ২ জন
চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা পাঁচ প্রবাসীর মধ্যে দুই জনের খোঁজ মিলছে না। ভুল মোবাইল নম্বর ও ভুল ঠিকানা দেয়ার কারণে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জানায়, পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও বাকি দুই জন ভুল ফোন নম্বর ও ঠিকানা দেয়ার কারণে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী,আফ্রিকা ফেরত বাংলাদেশির মধ্যে যাদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের পাঁচ জন রয়েছে। এরমধ্যে তিনজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। এই তিনজনের মধ্যে একজন বোয়ালখালীর, একজন মীরসরাইয়ের আর একজন সাতকানিয়ার বাসিন্দা। তবে আফ্রিকা ফেরত সাতকানিয়ার ওই ব্যক্তি বর্তমানে ঢাকার বাড্ডায় অবস্থান করছেন এবং তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এদিকে, খোঁজ পাওয়া তিনজনের সকলেই সুস্থ এবং কোয়ারেন্টাইনে আছেন বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী জানান, গত ১৭ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তারা দেশে ফেরেন। এর মধ্যে একজন হালিশহরের বাসিন্দা, একজন বোয়ালখালী, একজন সাতকানিয়া, একজন সীতাকুণ্ড ও আরেকজন মীরসরাইয়ের বাসিন্দা। খোঁজ না পাওয়া দুইজন চট্টগ্রামের হালিশহর ও সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’র বিস্তার রোধে এ বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সংক্রমণ রোধে বিমানবন্দরেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, যশোর-খুলনা মহাসড়কের উন্নয়নে অর্থায়নে আগ্রহী সৌদি আরব
চট্টগ্রামে বাসচালককে পিটিয়ে হত্যা, প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
করোনার কারণে সাত মাস বিলম্বের পর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
এ বছর প্রায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর আগের বছর অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন।
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯০১ জন বৃদ্ধি পেয়ছে এবং বৃদ্ধির হার দুই দশমিক ৪৮ শতাংশ।
৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় এক লাখ ১৩ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কারিগরি পরীক্ষায় এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
এছাড়া ৪০৬ জন শিক্ষার্থী বিদেশ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। দেশব্যাপী পরীক্ষা গ্রহণের জন্য দুই হাজার ৬২১টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
করোনার কারণে এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সময়সূচি অনুযায়ী নেয়া সম্ভব হয়নি এবং পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার
পরীক্ষাকে সামনে রেখে ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
করোনার কারণে গেল বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয় এবং এ বন্ধ বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতির উন্নতিতে ১৩ সেপ্টেম্বর সরকার স্কুল ও কলেজ খুলে।
গত বছর শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তাদের এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয় যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
কোনো বাধা ছাড়া যেন এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
পড়ুন: ঢাবি কর্তৃপক্ষকে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
এইচএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান দীপু মনির
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ২৬ কোটি ৩৪ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকলেও করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকালে বিশ্বে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ২৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ৭৮২ জনে পৌঁছেছে। একই সময়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫২ লাখ ২৩ হাজার ৬৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৫ জন এবং মারা গেছেন সাত লাখ ৮২ হাজার ১০৪ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৪ হাজার ৯৬৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ ৫ হাজার ৮৭২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭৬ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৯ হাজার ২৪৭ জনে।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্বদের করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে ২৮২ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৮৩ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৬৬ জনে পৌঁছেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৮৫১ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কে হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে সতর্কতা
ওমিক্রন: ক্লাস নেয়ার দিন বাড়ানো যাবে না, চলবে এইচএসসি পরীক্ষা
ওমিক্রন: দেশে আসতে প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে বিদেশ থেকে দেশে আসতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এখন থেকে যেকোনো দেশ থেকে দেশে আসতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনা রিপোর্ট দেখাতে হবে, যা পূর্বে ছিলো ৭২ ঘণ্টা।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত যাত্রীরা আফ্রিকা থেকে আসবে বাধ্যতামূলকভাবে তাদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে নিতে বলেছি। একই সঙ্গে তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। যেকোনো দেশ থেকেই করোনা টেস্ট ছাড়া কেউ আসে, তাদেরকে অবশ্যই ৪৮ ঘন্টার বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে যেতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কোয়ারান্টাইনের জন্য আমাদের আগের যে হোটেলগুলো ছিল, সেগুলোতে লোকজন অনেক কম। তাই অনেকগুলো আবারও তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে গেছে। আমরা আবারও তাদের আহ্বান জানাচ্ছি এবং সেগুলোতে কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করছি।’
তিনি বলেন, 'আমরা বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ দেশের প্রবেশ পথগুলোতে নির্দেশনা জারি করেছি যেন ওমিক্রন দেশে প্রবেশ করতে না পারে। আশা করি আমরা সফল হব যদি সকলে আমাদের সহযোগিতা করেন।'