ওমিক্রন
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৮ কোটি ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ কোটি ১২ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৫৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭২ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৫৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৯০ হাজার ৫১৬ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৮ হাজার ৩৫৬ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮১ জন।
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৯ জন এবং মারা গেছে চার লাখ ৯৬ হাজার ২৪২ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩ হাজার ১৫৪
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলছে। মহামারি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ১৩ হাজার ১৫৪ জন। এ পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪২৫ জনে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৯৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জনে পৌঁছেছে। এসময় শনাক্তের হার ২৯.১৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৭২১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৩৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: জাস্টিন ট্রুডো করোনায় আক্রান্ত
সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী
করোনার ঊর্ধ্বগতি আরও ২ সপ্তাহ চলবে: আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
করোনার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধরন ওমিক্রন বাংলাদেশে বর্তমানে পুরোদমে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন করছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও দুই সপ্তাহ দেশে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে।
তারা বলছেন, করোনা শনাক্তের হার আগামী মাসের শেষের দিকে দ্রুত কমার আগ পর্যন্ত মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
সরকারি তথ্য মতে, গেল কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে করোনার শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের বেশি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনায় আক্রান্ত অনেক মানুষ পরীক্ষা না করায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও শনাক্তের হার সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল, ডা. বে-নাজির আহমেদ, ডা. মুশতাক হোসেন ও এম এইচ চৌধুরী লেনিন করোনার সংক্রমণ কমাতে সরকারকে বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় বাধ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন।
চূড়ার দিকে যাচ্ছে করোনা
হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. লেনিন বলেন, ‘দেশে করোনা শনাক্ত চূড়ার দিকে যাচ্ছে। এজন্য করোনা শনাক্ত ক্রমাগত বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনার তৃতীয় ঢেউ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের দিকে হ্রাস পাওয়ার ধাপ শুরু হতে পারে। তবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে- এর ওপর নির্ভর করে এটি দ্রুত বা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহার করে দেশে দুই লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যেতে পারে। কিন্তু আমি জানি না, কেন এ ধরনের পরীক্ষা দেশে এখনও এত কম। অনেক মানুষ করোনা পরীক্ষা বাইরে থেকে যাচ্ছেন এবং আমরা সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র পাচ্ছি না।’
ডা. লেলিন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির আংশিক চিত্র পাওয়ায় আমাদের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাঝে মাঝে সঠিক পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।’
করোনা সংক্রান্ত জনস্বাস্থ্য উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. ফয়সাল বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা যাবে। আগামী মাসের শেষের দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’
তবে তিনি বলেন, ‘অনেক আক্রান্ত মানুষই পরীক্ষা করান না। তাই সরকারি হিসাবে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিফলিত হয় না। সরকারি হিসাবে করোনা আক্রান্তের খুব ক্ষুদ্র অংশ রেকর্ড করা হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত এক বা দুই লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঝুঁকিতে গ্রামীণ মানুষ
ডা. ফয়সাল বলেন, ‘ভাইরাসটির সংক্রমণ এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় বাড়তে থাকবে। ‘এই ভাইরাস কাউকে ছাড়বে না। এটা উদ্বেগের যে গ্রামীণ এলাকার অনেক মানুষ এখনও করোনার টিকা নেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘করোনার নমুনা পরীক্ষার করার বিষয়ে গ্রামীণ এলাকার মানুষ খুব কম সচেতন। অধিকাংশ জেলায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন চললেও আমরা করোনা পরিস্থিতির আসল চিত্র পাব না।’
এই বিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বন্ধ করা যাবে না। আমাদের এখন রোগী ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দেয়া উচিত। গ্রামীণ এলাকার অধিকাংশ মানুষ টিকা না নেয়ায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা উচিত।’
তিনি বলেন, যারা এখনও টিকার এক ডোজও নেয়নি তারা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। ‘তাই তাদের খুব সতর্ক থাকা উচিত। এছাড়া বয়স্ক মানুষ ও যাদের একাধিক রোগ রয়েছে তাদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া উচিত। কেননা তাদের মধ্যে মৃত্যু হার বেশি।’
পড়ুন: করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩ হাজার ৫০১
বিধিনিষেধ শুধু কাগজে
ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) পরামর্শক ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ভয়ানকভাবে বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধির প্রতি মানুষের এখনও চরম অনীহা।’
তিনি বলেন, ‘মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আইন প্রয়োগে সরকারও মনে হয় অনিচ্ছুক। যদি এটা চলতে থাকে, আমি মনে করি, বর্তমান ঢেউ আমাদের অনুমানের চেয়ে আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।’
ডা. ফয়সাল বলেন, ‘অধিকাংশ সরকারি বিধিনিষেধ শুধু কাগজেই আছে। কেননা সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অভিযান নেই। মানুষ এখনও মাস্ক পরতে এবং জনসমাগম এড়াতে অনিচ্ছুক।’
তিনি বলেন, ‘কোভিড সংক্রমণ কমাতে সরকারের উচিত সব বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।’
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব টার্গেট জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে টিকাদান কর্মসূচি আরও বাড়ানো উচিত।’
সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞা ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিক না। অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও সব কিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, বিভিন্ন নির্বাচন, সব সামাজিক সভা চলছে এবং দোকানপাটও খোলা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মৃত্যু হারও খুব কম হলেও প্রতিটি জীবনেরই মূল্য আছে। ‘জীবন বাঁচাতে এবং মানুষকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা নেয়া উচিত।’
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘অন্তত আরও তিন সপ্তাহ মানুষকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া উচিত না এবং যে কোনো ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে যাওয়া। স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনা চলা উচিত এবং মাস্ক ছাড়া বাইরে বের না হওয়া।’
অঅরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি: বাগেরহাটে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
এপ্রিলে আসতে পারে আরেক ঢেউ
ডা. বে-নাজির মনে করেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে নিয়ন্ত্রণে এসে পড়তে পারে। দেশে আরেকটি ঢেউ পরে আবার আঘাত হানতে পারে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা এপ্রিলে আবার করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় এর আগের দুই বছর এপ্রিলে করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে।’
তিনি এও বলেন, ‘মনে হচ্ছে করোনাভাইরাস খুব শিগগিরই বিদায় নেবে না। কেননা আরও বিপজ্জনক ধরন যে কোনো সময় আবির্ভূত হতে পারে। ভাইরাসটিকে সঙ্গে নিয়েই কীভাবে বাঁচা যায়-তা আমাদের শিখতে হবে।’
বুস্টার ডোজ দেয়ার বয়স আরও কমল
এবার বুস্টার ডোজ দেয়ার ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৫০ বছর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। কিন্তু আমরা খুব বেশি পরিমাণ সাড়া পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত খুবই কম সংখ্যক মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছে। তাই এখন থেকে ৪০ বছরেও পাবে বুস্টার ডোজ। আমাদের হাতে নয় কোটি টিকা রয়েছে।’
আজ রবিবার মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। দেশে করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সরকার গত মাস থেকে করোনার টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করে। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আমরা ১২ বছরের ওপরে সবাইকে টিকা দিব। পূর্বে শুধু স্কুল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ছিল, এখন শিক্ষার্থী ছাড়াও বাকি সবাইকে টিকা দেয়া হবে। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এখন টিকা পাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২ কোটি ১২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল ফ্রান্স
শিশুদের টিকা প্রয়োগ পদ্ধতি প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম বর্তমানে যেভাবে চলছে, সে পদ্ধতিতেই ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হবে। কেন্দ্রে গেলেই টিকা পাবে। যদি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে, তাহলেই আমরা টিকা দিব। কিছু দেখাতে না পারলেও আমরা তাদের ফেরত দেব না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করা হয়েছে, বাংলাদেশেও এমন কোন পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে আমাদের আলাপ হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবে বলে জানিয়েছে। তাদের থেকে আমরা বার্তা পেলেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছরে নামিয়ে আনা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের টিকা সনদ থাকতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
‘১২-১৮ বছর বয়সী ৬৪ ভাগ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে’
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
শনিবার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১১ হাজার ৫৮৮ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, যা গত বছরের আগস্টের পর একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এছাড়া একদিনে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ইন্দোনেশিয়া গত বছর করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। গত ডিসেম্বেরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ২০০-এ নেমে এসেছিল। তবে ওমিক্রন সংক্রমণ শনাক্তের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সংক্রমণ অত্যন্ত দ্রুত বাড়বে। আমরা শিগগিরই সংক্রমণ বৃদ্ধি দেখতে পাব। বর্তমান ঢেউ সম্ভবত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বা মার্চের শুরুতে শীর্ষে উঠবে৷
তিনি বলেন, সরকার কোভিড রোগীদের জন্য আরও শয্যা বৃদ্ধি করেছে। সব এলাকায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ওমিক্রন প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল রাজধানী জাকার্তা। যদিও রাজধানীর ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে বলে জাকার্তার ডেপুটি গভর্নর আহমদ রিজা পাত্রিয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার লঙ্কান ক্রিকেটার ইসুরু উদানা করোনায় আক্রান্ত
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ কোটি ২১ লাখ ১৬ হাজার ৭৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪১ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৪২ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৪ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৬ হাজার ৮৭০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৫২ লাখ ৫৬ হাজার ১৯৮ জন।
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ৮ লাখ ৫৮ হাজার ২৪১ জন এবং মারা গেছে চার লাখ ৯৩ হাজার ১৯৮ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলছে
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলছে। মহামারি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৩৭৮ জন। এ পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩২৯ জনে। এর আগে শুক্রবার করোনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৩৭৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জনে পৌঁছেছে। এসময় শনাক্তের হার ৩১.১০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ১০৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঢাকার লঙ্কান ক্রিকেটার ইসুরু উদানা করোনায় আক্রান্ত
করোনায় আরও ২০ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩.৩৭ শতাংশ
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ১৫ হাজার ৪৪০ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩০৮ জনে। এছাড়া মোট শনাক্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩৩.৩৭ শতাংশ।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজার ২৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৩২৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ কোটি ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার ২৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ দুই হাজার ১৪০ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৫ হাজার ১৬৯ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার ৯২২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৬২ লাখ ১৯৭ হাজার সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৯২ হাজার ৩৫৭ জনে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার ৫৩.৩৯ শতাংশ
চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৬৮, মৃত্যু ২
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ কোটি ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার ২৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ দুই হাজার ১৪০ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৫ হাজার ১৬৯ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার ৯২২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৬২ লাখ ১৯৭ হাজার সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৯২ হাজার ৩৫৭ জনে।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ১৫, শনাক্তের হার ৩১.৯৮
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ১৫ হাজার ৮০৭ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৮৮ জনে। শনাক্তের হার ৩১.৯৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৪২৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জনে পৌঁছেছে। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার ৫৩.৩৯ শতাংশ
চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৬৮, মৃত্যু ২
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৬ কোটি ২৯ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ কোটি ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে করোনা থেকে বিশ্বে মোট সুস্থ হয়েছে ২৮ কোটি ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ১৮৯ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার ৪০৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৯৮ হাজার ৬৮০ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৪ হাজার ৫০৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৪৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫০ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
যুক্তরাজ্যে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৯ জন এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৭০২ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৯১ হাজার ৭২৯ জনে।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে শনাক্ত সাড়ে ১৫ হাজার, মৃত্যু ১৭
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১৫ হাজার ৫২৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৭৩ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫২৪ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬০ হাজার ছয়জন। এছাড়া, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভ্রমণকারীদের জন্য করোনার বিধিনিষেধে পরিবর্তন আনছে যুক্তরাজ্য
নারায়ণগঞ্জে ৩ দিনে করোনায় আক্রান্ত ৬৩০
ওমিক্রন প্রতিরোধে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার দুপুরে ভার্চুয়াল বুলেটিনে এসে অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণেই ক্রমাগত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন তৈরিও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ!
তিনি বলেন, ওমিক্রনের যে উপসর্গ আছে সে উপসর্গগুলো এতে (ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন) যোগ করা হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো উপসর্গ রয়েছে কিনা সেটি খুঁজে দেখা হচ্ছে। তবে যাই হোক না কেন, রোগ নিয়ন্ত্রণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক নিয়মে মাস্ক পরতে হবে। সাবান-পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে এই অতিমারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’দেশে এখন করোনা শনাক্তের হার ৩২ শতাংশের উপরে। মঙ্গলবার দেশে করোনা শনাক্ত হয় ১৬ হাজারের বেশি মানুষের। বুধবার সাড়ে ১৫ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় শনাক্ত এক হাজার ছাড়াল
করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
নারায়ণগঞ্জে ৩ দিনে করোনায় আক্রান্ত ৬৩০
নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২০৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এ নিয়ে এ জেলায় গত দিনে ৬৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ২০৪ জন ও সোমবার ২২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয় জেলায়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জে গত তিন দিনে ছয় শতাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের লক্ষণ বিবেচনায় ডেল্টার প্রভাব বেশি বলে আমরা ধারণা করছি। আর ওমিক্রনের প্রভাবও রয়েছে। তবে আশার কথা ওমিক্রনে মৃত্যুর হার অনেক কম। এ ধরনটি যেমন দ্রুত ছড়ায় তেমনি রোগি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে করোনা শনাক্ত ৫৮.৬০ শতাংশ
বুধবার দুপুরে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি জানান, ‘আমরা আমাদের সিনিয়র সিটিজেনদের ভ্যাকসিনের আওতায় এনেছি। আমাদের দুই লাখ ২৩ হাজার স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ফাইজারের প্রথম ডোজ দিয়েছি। সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে এবং অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে হবে।’
গত ২৪ ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জে ৯৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭৩ জন, আড়াইহাজারে ছয় জন, বন্দরে ২০, রুপগঞ্জে ১৩, সদরে ৫৪ এবং সোনারগাঁয়ে ৩৮ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ হাজার ২৩৬ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে