ওমিক্রন
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৩৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৩৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৯৪ হাজার ৮৮০ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৩ হাজার ৯০১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
যুক্তরাজ্যে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখ ৪৭ হাজার ৭১৬ জন এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৬ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৮২ হাজার ৭৪২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৯১ হাজার ১৫৪ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১৬ হাজার ৩৩ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬ জনে। এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া দেশে এদিন করোনা শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৪৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২ শতাংশ।মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক সহাজার ৯৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা রোগীদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ৭০ থেকে ৮০ ভাগই ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন করোনা সংক্রমণের ৭০ থেকে ৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত; যা আশঙ্কাজনক।’
মঙ্গলবার বিকালে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে জনগণ এগিয়ে না আসলে সফল হবে না। ওমিক্রন মৃদু; এটা ভেবে হালকা ভাবে নিলে তা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, সংক্রমণ যখন কমে এসেছিলো, তখন মৃত্যুও শূন্যের কোটায় চলে এসেছিলো। আমরা ধারণা করেছিলাম করোনা এবার বিদায় হবে। কিন্তু তখন আমাদের জনগণের মধ্যে অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস (কনফিডেন্স) চলে এসেছিলো। মাস্ক ছাড়া ঘুরাফেরা করেছি, কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানিনি।
তিনি বলেন, কক্সবাজার যারা গিয়েছে তারা কেউ মাস্ক পড়েনি। যখন সংক্রমণ কমেছে, তখন আমরা দেখেছি প্রচুর বিয়ে-শাদি হয়েছে। হাজার হাজার লোক সেগুলোতে গিয়ে জটলা পাকিয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো মাস্ক ছিল না, সামাজিক দূরত্ব ছিলো না। আমরা এখনও দেখছি বাণিজ্যমেলায় খুব কম লোকজনই মাস্ক পরছে। বাজারে খুব কম লোকই মাস্ক পরছে। এসব কারণেই সংক্রমণ বেড়েছে।
করোনার ডেল্টা ধরন সফলভাবে মোকাবিলা করেছেন দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেলটা ভেরিয়েন্ট (ধরন) আমরা সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। কিন্তু আমাদের অনেক ঘাটতি ছিল। পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না; পর্যাপ্ত শয্যা ছিলো না; ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিজ্ঞতা ও মনোবল কম ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করে আসাদের আস্থা, সাহস বেড়ে গেছে। আমরা এখন যে কোনো ঢেউ মোকাবেলা করতে পারি, সে সক্ষমতা আমাদের হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
৫০ বছর হলেই বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বে একদিনে ২৮ লাখের বেশি করোনা শনাক্ত, মৃত্যু সাড়ে ৭ হাজার
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৫৩৮ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ ২২ হাজার ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮ লাখ ২০ হাজার ৫২৮ জনের, এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ কোটি ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ২১০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৯১ হাজার ৫৯৫ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৩ হাজার ৪১২ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৬ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
যুক্তরাজ্যে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৫৯ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৫ জন। এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৯১৬ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৯৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩২৮ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার ৮৯৬ জনে।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১৪ হাজার ৮২৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৩৮ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৪ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৮০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৬ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯৯৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
পড়ুন: ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের টিকা সনদ থাকতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশকে আরও ৯৬ লাখ ডোজ ফাইজার টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বিধি-নিষেধ বাড়বে কি না সিদ্ধান্ত একসপ্তাহ পর
আগামী একসপ্তাহ পর করোনা পরিস্থিতি দেখে চলমান বিধি নিষেধ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
সরকারের দেয়া বিধি নিষেধ আরও দীর্ঘায়িত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই পরিস্থিতি বিবেচনা করে। কারণ আমাদের সচেতনতার ওপরে এখন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখছি ওমিক্রন সেটা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট কিন্তু খুবই ভালো।
আরও পড়ুন: করোনা: জনগণের চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ, রেড জোনে সাধারণ ছুটি
৮৫ শতাংশের বেশি সংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন। আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখব এটা (সংক্রমণ) কী পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেব।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে দেশ ভাইরাসটির তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। এ অবস্থায় গত শুক্রবার থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য নানা বিধি নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এর মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রবিবার জারি করা আরেকটি বিধি নিষেধে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ সম্পাদন করতে বলা হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সকলেই মাস্ক পরুক। এই সময়টা আমরা অতিক্রম করতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্য নাগাদ এটি বাড়তে থাকবে। সকলকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই- এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যেনো খুব তাড়াতাড়ি উত্তোরণ করতে পারি। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।
গণপরিবহন সরকারের বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ সবাইকে মানতে হবে। ইউরোপ সংক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের পিক সময় পার করেছে। আমাদের একটু পরে শুরু হয়েছে, এজন্য আমাদের একটু পরে সেটা (চূড়ান্ত সংক্রমণ) হতে পারে।
আরও পড়ুন: হিলিতে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ, চলবে আমদানি-রপ্তানি
সেক্ষেত্রে আমরা চাইব যাদেরকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চললে তা সকলের জন্যই ভালো। পরিবহন সেক্টরে যারা রয়েছেন তাদেরকেও আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। নিয়ম মেনে তারা গণপরিবহন পরিচালনা করবেন। এরমধ্যে দিয়ে আমরা একটা ভাল রেজাল্ট পাব। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ উত্তোরণ করব।
সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে এর আগে মোবাইল কোর্টের নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।
ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ওমিক্রন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গা দখল করছে বলে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটছে। আমরা দেখছি, ওমিক্রমন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গাগুলোকে দখল করে ফেলছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, এখন সিজনাল যে ফ্লু হচ্ছে তার সঙ্গে ওমিক্রনের মিল রয়েছে। ওমিক্রনের যে উপসর্গগুলো আছে, শতকরা ৭৩ শতাংশ মানুষের নাক দিয়ে পানি ঝরছে। ৬৮ শতাংশ মানুষের মাথা ব্যথা করছে। ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্ন-ক্লান্তি অনুভব করছেন। সাত শতাংশ রোগী হাঁচি দিচ্ছেন। গলা ব্যথা হচ্ছে সাত শতাংশ রোগীর। ৪০ শতাংশ রোগীর কাশি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগীর সংখ্যা যদি প্রতিদিনই বাড়তে থাকে এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে আমরা যদি নিজের মতো করে চলতে থাকি তাহলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে, সেটি সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবে। এই অতিমারিকে যদি আমরা পরাস্ত করতে চাই তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ২২ জানুয়ারি এসে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি রয়েছে। সপ্তাহের শুরু ১৬ জানুয়ারি যেটা ছিল ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
হাসপালে রোগী বাড়ছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়ার জন্য আগ্রহী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশে বেশি। আজ পর্যন্ত যে গড় আছে তা ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
করোনা উপসর্গে দিনাজপুরে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫১.৫১ শতাংশ
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৫ কোটি ছুঁইছুঁই
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ কোটি ৯৮ লাখ ২৩ হাজার ৬৭৮ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ ১০ হাজার ১৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ১৭ লাখ ২৮ হাজার ৫৫৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৮৮ হাজার ৬২৩ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২২ হাজার ৯৭৯ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ২০৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
যুক্তরাজ্যে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৫৭ লাখ ৮৪ হাজার ৪৮৮ জন। এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৭ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার ৪২২ জনে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষায় কার্যকর বুস্টার ডোজ: সিডিসি
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ৯ হাজার ৬১৪ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২০৯ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৩১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২ শতাংশ।মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৮২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে মৃত্যু বাড়ছে
‘১২-১৮ বছর বয়সী ৬৪ ভাগ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে’
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষায় কার্যকর বুস্টার ডোজ: সিডিসি
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে এবং অসুস্থতার মাত্রা কমাতে টিকার বুস্টার ডোজ কার্যকর বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি)।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সিডিসির করা এ সংক্রান্ত তিনটি গবেষণার ফল প্রকাশ করে বলা হয়- এই তিন গবেষণা থেকে জানা যায়, করোনার বুস্টার ডোজ নেয়া লোকেরা ওমিক্রন থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে।
মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের করা বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় প্রচলিত টিকাগুলো করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কম কার্যকর। তবে, এটিও ঠিক যে দুই ডোজ টিকা ও বুস্টার ডোজ নেয়া লোকেরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভালোভাবে লড়াই করতে পারছে এবয় খুব দ্রুতই তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি পুনরুদ্ধার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু যুক্তরাজ্যে
সিডিসির করা প্রথম গবেষণায় আগস্ট থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি এবং জরুরি ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের ওপর পরিচালিত হয়েছে।
করোনার চিকিৎসা সেবা দেয়া হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, ওমিক্রন প্রতিরোধে ফাইজার বা মডার্না টিকার তি ডোজের কার্যকারিতা সবচেয়ে ভাল বলে তারা মনে করছে। এই দুই টিকার দুই ডোজ গ্রহণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৯৪ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া গেলেও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা কমে ৮২ শতাংশে নেমে আসে।
এই গবেষণায় বিশেষজ্ঞেরা শুধু সংক্রমণই নয়, গুরুতর রোগ প্রতিরোধের ওপরও জোর দিয়েছেন। সেই হিসেবে আশাপ্রদ খবর হলো টিকার তৃতীয় ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অন্তত ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা
দ্বিতীয় গবেষণাটি এপ্রিলের শুরু থেকে ডিসেম্বরে বড়দিন পর্যন্ত ২৫টি রাজ্যে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর হারের ওপর করা হয়েছে। এ গবেষণায় দেখা যায়, যখন ডেল্টা খুবই কার্যকর ছিল এবং যখন ওমিক্রন বাড়তে শুরু করে, এই দুই সময়েই যে সমস্ত লোকেরা বুস্টার ডোজ নিয়েছিল, এই টিকা তাদের করোনভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য ওমিক্রন সংক্রমণের ঢেউয়ের মুখোমুখি: বরিস জনসন
সিডিসি এই দুটি নিবন্ধ অনলাইনেও প্রকাশ করে।
সিডিসি গবেষকদের নেতৃত্বে আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল তৃতীয় গবেষণাটি প্রকাশ করেছে। এটি ১০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চার হাজার ৬০০টিরও বেশি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত লোকদের ওপর করা হয়েছে।
এ গবেষণায় দেখা যায়, ফাইজার ও মডার্না টিকার তিনটি ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকা না দেয়া মানুষের তুলনায় প্রায় ৬৭ শতাংশ কার্যকর ছিল। যদিও দুই ডোজ টিকা নেয়ার কয়েক মাস পরে যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে তাদের শরীরে উল্লেখযোগ্য কোনো সুরক্ষা দেখা যায়নি।
গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য সিডিসির এমা অ্যাকরসি বলেছেন, এটি সত্যি যে,একটি বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সিডিসির ডিরেক্টর ডা.রোচেল ওয়ালেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আপনার যদি টিকার বুস্টার ডোজ নেয়ার সময় হয় এবং আপনি এটি না নিয়ে থাকেন তবে আপনি যথেষ্ট সচেতন নন এবং দ্রুত আপনাকে বুস্টার ডোজ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফাইজারের পিল করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমায় প্রায় ৯০ শতাংশ
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩২ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ তিন হাজার ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৭৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৩ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২২ হাজার ৬৪৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৩৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪১ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
যুক্তরাজ্যে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৫৭ লাখ ৯ হাজার ৫৯ জন। এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫ লাখ তিন হাজার ৪৯০ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৮৯ লাখ ১ হাজার ৪৮৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৮ হাজার ৯১১ জনে।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ৪৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৯২ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে বৃহ্স্পতিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চার জনের মৃত্যু এবং ১০ হাজার ৮৮৮ জন শনাক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৫২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দিনে ১২ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে বাগেরহাটে
সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত প্রধান বিচারপতি, বিএসএমএমইউতে ভর্তি
করোনায় দেশে আরও ১২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৪৩৪
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ৪৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৯২ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জনে পৌঁছেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে বৃহ্স্পতিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চার জনের মৃত্যু এবং ১০ হাজার ৮৮৮ জন শনাক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৫২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
করোনা সংক্রমণ রোধে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো.সাবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে পাঁচটি বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে। বিধিনিষেধগুলো হলো-
১. ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৩. সামাজিক/ রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অব্যশই টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টফিকেট আনতে হবে।
৪. সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমুহে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের টিকা সনদ প্রহণ করতে হবে।
৫. বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সধরণের জসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৪ কোটি ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। বিশ্বে গেলো ২৪ ঘণ্টায় আরও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৭ জনের, যা আগের দিনের তুলনায় পাঁচশোর বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৪ জনের, যা আগের দিনের তুলনায় সোয়া এক লাখেরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় শনাক্ত হয়েছে ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৫ জনের। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার ১৮৩ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ২৭ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৫ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ২৩ হাজার ৮৬৬ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৫২২ জন। রাশিয়ায় মারা গেছেন ৬৮৪ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৫০ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৩৬৪ জন এবং মৃত্যু ৩৩০ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৮৫ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত ৪ লাখ ২৫ হাজার ১৮৩ জন এবং মৃত্যু ২৪৫ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩০ জন এবং মৃত্যু ১৭৬ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ৩২৪ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬০ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে ১৬৬ জন, হাঙ্গেরিতে ৭১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৩৯ জন, পোল্যান্ডে ৩১৫ জন, কানাডায় ২১২ জন, স্পেনে ১৬২ জন, আর্জেন্টিনায় ১৮১ জন এবং ভিয়েতনামে ১৫২ মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার ১৩৮ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে মারা গেছে ৭ শতাধিক মানুষ। এছাড়া প্রায় ৭’শ মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়। আর ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, স্পেনেও দৈনিক সংক্রমণ দেড় থেকে ২ লাখের কাছাকাছি।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৮৮৮ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৮০ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৮২ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ২৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৩৭।মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭০ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।