হাসপাতাল
দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ২
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও দুই জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে একজনই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি একজন ঢাকার বাইরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: দেশে ৩ জন রোগী শনাক্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১২ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১৬ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৪ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৭৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৫৭ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৩৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৭১৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৩৩৯ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩৭৮ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ১
দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ১৬
বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে সোমবার বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, আজ বেলা ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হবেন।
আরও পড়ুন: অনুকূল পরিবেশ থাকলে রাজনীতি করবেন খালেদা জিয়া: বিএনপি
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত বছরের ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপারসনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ওই ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের 8 ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। মুক্তির শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়াকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন তারেক: সজীব ওয়াজেদ
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সচিব মাহবুব আল আমিন মারা গেছেন
মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
বিএনপির গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অধ্যাপক মুমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, ফখরুল হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছেন, যা তার সাম্প্রতিক কারাবাসের সময় আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
সিঙ্গাপুরে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন তিনি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ফখরুল ও তার স্ত্রী ফলো-আপ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
২০১৫ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায় ফখরুলের ঘাড়ের অভ্যন্তরীণ ক্যারোটিড ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ে।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। এরপর থেকে ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য প্রতি বছর তাকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়।
গত ৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন তিনি।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির বহুল আলোচিত জনসভার একদিন আগে রাজধানীর বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু, টুঙ্গিপাড়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ এনে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা কমলেশ বাগচীর ওপর হামলা করেছে রোগীর স্বজনেরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চিকিৎসকেরা।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিএমএ গোপালগঞ্জ শাখার আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ১০-১৫ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করেন ডা. কমলেশ বাগচী। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: ডিমলায় ভূয়া দলিল তৈরি করে জমি দখলকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
মানববন্ধনে চিকিৎসকেরা বলেন, টুঙ্গীপাড়াসহ সারা দেশেই বিভিন্ন সময় ডাক্তার লাঞ্ছিত হয়। তাই আমরা নিরাপদ কর্মস্থল চাই। টুঙ্গিপাড়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার না হলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মানববন্ধনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, অর্থোপেডিক চিকিৎসক জুলফিকার, চিকিৎসা কর্মকর্তা তানভীর হোসেন, চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম, চিকিৎসক মনির হোসাইন, চিকিৎসক আলিফ শাহারিয়াসহ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সংগঠন ফারিয়ার সদস্য ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের জায়েদ মুন্সী (১৭) জ্বর, শ্বাসকষ্ট, শারীরিক দুর্বলতা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কমলেশ বাগচী তাকে দ্রুত গোপালগঞ্জ সদর অথবা খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন গড়িমসি করে সময় নষ্ট করে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেননি। এমনকি রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসকের দেয়া প্রয়োজনীয় টেস্টও করাননি।
পরে দুপুরে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হলে নার্স কমলেশ বাগচীকে জানান। তখন তিনি রোগীকে দেখে মৃত ঘোষণা দিয়ে মৃত্যুসনদ দেন।
এতে রোগীর স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসককে মারধর করেন। পরে হাসপাতালে কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে কক্ষে নিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে নিহত জায়েদ মুন্সীর চাচা আরিফ মুন্সী বলেন, হাসপাতালে কোন রোগী গেলে চিকিৎসক খারাপ ব্যবহার করে। একজন নার্সকে হুকুম দিয়ে তাদের দ্বায়িত্ব শেষ। তাদের এক থেকে দুই বার ডাকতে গেলে বলে এখান থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যান। রোগীর কাছে আসতেই চায়না। এরা সব সময় তাদের ব্যক্তিগত চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবুল মুনসুর বলেন, চিকিৎসকের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান হত্যা: বিচারের দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৩ জন
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে চারজন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৯ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬ জন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৭ জন ঢাকার মধ্যে এবং ২৫ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩০৯ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৩৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫৯৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ২৮৭ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩০৭ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩ জন
দেশে আরও ১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
দেশে আরও ১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আরও ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে চারজন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি সাতজন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৬ জন ঢাকার মধ্যে এবং ২০ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৯৯ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৩২৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫৭৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ২৭৮ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩০০ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
দেশে আরও ১১জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
দেশের ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে শুক্রবার সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) এর ডা. শেখ দাউদ আদনান, পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিএইচএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০টি শয্যা এবং ১০টি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) শয্যা প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, এ বছর সারা দেশে নিপাহ ভাইরাসে মোট পাঁচজন মারা গেছেন।
আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে এই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
সাধারণত ৭০ শতাংশের বেশি সংক্রামিত লোক মারা যায়। যারা কাঁচা খেজুরের রস এবং আংশিকভাবে পাখি, বিশেষ করে বাদুড় খাওয়া ফল খান তাদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া সুস্থ ব্যক্তিরা যারা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসেন তাদেরও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এটি দ্রুত একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে যা উদ্বেগের বিষয়।
আরও পড়ুন: পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজশাহীতে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে ২০ মাদরাসা শিক্ষার্থী হাসপাতালে
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাদরাসার ২০ শিক্ষার্থী।
পৌরসভার কেল্লা বারুইপাড়া এলাকার মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসার অসুস্থ ওই শিশু শিক্ষার্থীদের বুধবার বিকালে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাদের বয়স ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রলির ধাক্কায় মাদরাসাছাত্র নিহত
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ ফারুক জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ জন গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুপুরে তারা মুরগীর গোসত, শাক, ডাল ও ভাত খেয়েছে। কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। আপাতত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কারও অবস্থা গুরুতর নয়।
এদিকে এদের কয়েকজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসাপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসার সুপার মুজিবুর রহমান বলেন, খাইরুল ইসলাম নামে একজনের বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আর কোন খাবার খাইনি।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ ছাত্রীদের চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, খাবারে বিষক্রিয়ার হওয়ায় ছাত্রীদের বমি ও পেটের পিড়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অপহৃত মাদরাসাছাত্র উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের
দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, ‘দেশের সরকারি হাসপাতালের সেবার মান আরও বৃদ্ধি করতে ঢাকাসহ সকল জেলা সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। এর আগে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেবা চালু করা হয়েছে। আজ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এই ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেবা ব্যবস্থা উদ্বোধন করা হলো। এর ফলে এখন থেকে এই জায়গাতেই একজন রোগী সব রকম সেবা ঝামেলামুক্ত থেকেই পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি, এখানে ৫০০ বেড থেকে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করে এই হাসপাতালে আজ থেকে প্রায় ১৩৫০ বেডের সেবা কার্যক্রম শুরু করা হলো।’
মন্ত্রী বলেন, এখানে নানারকম টেস্ট সুবিধা, আইসিইউ, এসডিইউ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এখন থেকে আর কোনো রোগীকে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। রোগীরা এই হাসপাতালে এখন থেকে উন্নত বেডে চিকিৎসা নিতে পারবে।’
আরও পড়ুন: সবাইকে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি এন্ড ক্যাজুয়াল্টি (ওএসইসি) সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যখাতের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্সদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের শুধু ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করার কাজেই সরকারের ৯২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ৭৫ হাজার স্কয়ার ফিটের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২টি নতুন অপারেশন থিয়েটারসহ শতশত বেড বৃদ্ধি করা হলো। কিন্তু এগুলোতে যদি সেবা দিতে কাজ করাই না হয়, মানুষকে সেবা দিতে নৈতিকতা কাজ না করে তাহলে সরকারের সব প্রচেষ্টা নষ্ট হবে। কোন যন্ত্র নষ্ট হলে তা যদি ঠিক না করে ফেলে রেখে রোগীদের বাইরে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয় সেটা নৈতিক অপরাধ হবে। এজন্য যন্ত্র নষ্ট হলে তা মেরামত করতে হবে, মেরামত না হলে নতুন করে কিনতে হবে, কিন্তু সরকারি সেবা নিতে আসা অসহায় রোগীদের নিজেদের সরকারি হাসপাতালে সেবা না দিয়ে বেসরকারি কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পাঠানো যাবে না।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিকিৎসা সেবা দিয়ে আপনারা সরাসরি মানুষের দোয়া পান, মানুষের ভালোবাসা লাভ করতে পারেন যা অন্য কোন পেশায় চাকরি করে পাওয়া অসম্ভব। কাজেই এই দোয়ার কাজটি আরও দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। কোন অসহায় মানুষ যেনো সরকারি হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে চলে না যান সেটি আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। আর ভালো কাজ করলে আপনাদের জন্য সরকার সব সুযোগ সুবিধা আরও বৃদ্ধি করবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাচিপ এর সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর আহমেদুল কবীর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী সফিকুল আজম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবিএম মাসুদুল আলম, পরিচালক খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, অসুস্থ বোধ করায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।
আরও পড়ুন: 'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকারকে পতনে বাধ্য করবে': ফখরুল
তিনি জানান, ফখরুল হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন। সাম্প্রতিক কারাগারে থাকাকালীন সময় তার এই জটিলতা আরও তীব্র হয়।
এর আগে, জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি ৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির বহুল আলোচিত জনসভার একদিন আগে রাজধানীর বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের ‘জনবিরোধী’ সিদ্ধান্ত: ফখরুল
সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল