খালেদা জিয়া
বিকালে হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুধবার বিকালে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।
দলটির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই বিকালে ৫টার দিকে তাকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে তার কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে।
চেয়ারপার্সনের পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি জ্বরে ভুগছেন এবং তার মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে নেওয়া হবে।
এর আগে গত ১৩ জুন হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় একই হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া।
পরে তিনি হাসপাতালে তার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যান এবং সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা নেন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন: নাইকো দুর্নীতি মামলা: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন
৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
নাইকো দুর্নীতি মামলা: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ‘গত ১৯ মার্চ ঢাকার একটি আদালত এ মামলায় চার্জ গঠন করেন। ওই চার্জ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেছি। এখন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানি হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করা আছে।
বিচার শুরু হওয়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ৷
আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুদক।
তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
হাসপাতাল থেকে ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকালে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
এটা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি জানান, ‘৪৮ বছর পর আবারও একটি সম্পূর্ণ মিথ্যাতে সামনে আনা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। এর পিছনে একমাত্র উদ্দেশ্য হল জনগণ যখন গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নামতে শুরু করেছে, তাদেরকে বিভ্রান্ত করা।’
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ থাকায় জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মিথ্যাচার ও ৪৮ বছরের পুরনো ইস্যু উত্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পেছনে তাদের (সরকারের) সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটা তাদের চক্রান্তের অংশ।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে আবারো ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
এর আগে কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমের মেয়ে নাহিদ ইজহার খান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় ৪৮ বছর পর গত বৃহস্পতিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
মামলায় নাহিদ দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর (অব.) আব্দুল জলিলকে আসামি করে দাবি করেন, জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
দলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রাতে ভোটের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান সংসদের সংসদ সদস্য এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' সরকারের সুবিধাভোগী নাহিদ হয়তো ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বরের ঘটনা নিয়ে তার নিজের মা নিলুফার হুদার লেখা বইটি পড়েননি।
তিনি বলেন,'দ্য ওয়ার অব কর্নেল হুদা অ্যান্ড মি'- বইয়ে নিলুফার হুদা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে জিয়াউর রহমান সেদিন কর্নেল নওয়াজিশকে খালেদা জিয়া, কর্নেল নাজমুল আল হুদা ও মেজর এটিএম হায়দারকে রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঁচদিন পরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা'তে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডামকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা পর্যালোচনা করে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, খালেদা জিয়া বিকাল সাড়ে ৪টায় হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাসায় পৌঁছান।
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তার কিছু অসুখ ও কিছু উপসর্গ ছিল। এজন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ভর্তির পর চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে দেওয়া চিকিৎসায় তিনি মোটামুটি ভালো সাড়া দিয়েছেন।’
কিছু মেডিকেল টেস্ট ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য গত শনিবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে একটি কেবিনে রাখা হয়েছিল এবং তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ায় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকেই বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি একই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যান। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খালেদা ছয়বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন।
গত ১০ জুন তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ওই ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুরো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের 8 ফেব্রুয়ারি একটি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২০ সালের ২৫মার্চ সরকার তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্ত্রীদের ‘অপপ্রচার’ ফের কারাগারে নেওয়ার ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
এসময়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন অসুস্থ… আজকে না বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। আপনারা জানেন একবার তাকে চার মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছে এবং তখনও আপনাদেরকে বার বার করে বলেছি যে, তিনি খুব জটিল কিছু রোগে ভুগছেন। তার মধ্যে আছে লিভার সংক্রান্ত জটিলতা, হৃদরোগের সংক্রান্ত জটিলতা, তার ডায়বেটিক জটিলতা আছে… এই বিষয়গুলো সবাই জানেন।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘এরপরেও যদি তারা এই সমস্ত কথাবার্তা বলে, অপপ্রচার করে…. এই কথা বলার অর্থই হচ্ছে তারা আবারও কোনো গভীর চক্রান্ত করছে। যে চক্রান্তের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে তারা আবার কারাগারে নিতে পারে কিনা, পরিকল্পনা-চক্রান্ত করছে কিনা সেটা আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বার বার করে বলেছি যে, তার চিকিৎসা পাওয়া একটা মৌলিক অধিকার। এজন্য ডাক্তারা বলেছেন, তার মেডিকেল বোর্ড বলেছেন যে, তাকে উন্নত চিকিতসার জন্য বাইরে বিদেশে পাঠানো দরকার। বাংলাদেশে তার সেই উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘ কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার সে বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি। উপরন্তু এই ধরনের (অপপ্রচার) কথাবার্তা বলে অমানবিক আচরণ করছেন তারা আমাদের দেশনেত্রীর সঙ্গে এবং জনগণের সঙ্গে একটা তামাশা করছেন।’
৭৭ বছর বয়েসী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারসহ নানা রোগে ভুগছেন। অসুস্থতার মধ্যে গুলশানে ‘ফিরোজা‘য় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছিল। গত ২০ এপ্রিল তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে এভারকেয়ারে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ডিএসএ বাতিল ও এই আইনের সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
গতকাল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ এই সংবাদ সম্মেলনে জানান বিএনপি মহাসচিব।
‘অত্যবশ্যকীয় পরিষেবা বিল: জনগণের স্বার্থবিরোধী’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে গতকাল স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটি নানা কারণে বিতর্কিত, অগণতান্ত্রিক, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের স্বার্থবিরোধী, একতরফা, নির্যাতনমূলক এবং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির স্পষ্ট বরখেলাপ। এই আইনটি প্রণয়নে কোনো পর্যায়ই অংশীজনের মতামত নেয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মনে করে, প্রস্তাবিত বিলটি শুধু শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ ও অধিকারকেই ক্ষুন্ন করবে না, এটি সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জনগণের সংবিধান সম্মত প্রতিবাদের অধিকারের পরিপন্থি। বিএনপি প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনের পরিধি শুধু বিস্তৃত নয়, অসীম। সরকার ইচ্ছা করলেই যেকোনো শিল্প, প্রতিষ্ঠা, পেশা ও সেবাকে এই আইনের আওতায় এনে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করে তা অমান্য করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বানাতে পারবে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই প্রস্তাবিত আইনকে প্রচলিত শ্রম আইনের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে যুগ যুগ ধরে আন্দোলন করে শ্রমজীবী জনগণ যা কিছু অধিকার অর্জন করেছিলো তা এই আইন দিয়ে নাকচ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আইএলও কনভেনশন নং ৮৭ ও ৯৮ অনুসমর্থন করেছে। যেখানে ধর্মঘটের অধিকারকে সংগঠিত হওয়ার অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত বিলে দেশের বিপুল সংখ্যক শিল্প, প্রতিষ্ঠান ও সেবা খাতকে ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা’ চিহ্নিত করে শ্রমজীবী মানুষের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অর্থ হলো তাদের সংগঠিত হওয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহুমদ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ায় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
এর আগে শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কিছু মেডিকেল টেস্ট ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর শনিবার রাতে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয় এবং তারা বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে ভর্তি
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি এবং মেডিক্যাল বোর্ড আজ (রবিবার) সন্ধ্যায় রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করতে এবং তার চিকিৎসার পরবর্তী পন্থা নির্ধারণ করতে আবার বসবে। গতকাল (শনিবার) তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল বোর্ড তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।’
জাহিদ জানান, সকালে মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন।
হাসপাতালে ভর্তির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের আগের রোগের পাশাপাশি নতুন কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা জরুরি ছিল।
চিকিৎসক বলেছেন,‘মিডিয়ায় রোগীর অসুস্থতা নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। আমি শুধু বলতে পারি তিনি হার্ট, লিভার এবং কিডনির জটিলতা সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন... তাদের মধ্যে কোন কোনোটির একটু অবনতি হয়েছে। তাই চেক-আপ এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।’
জাহিদ বলেন, কেবিনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সরা খালেদা জিয়ার যথাযথ যত্ন নিচ্ছেন।
খালেদা জিয়া কতদিন হাসপাতালে থাকতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও তার শারীরিক অবস্থার ওপর। তাই এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জাহিদ জানান, স্থানীয় চিকিৎসক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন চিকিৎসক এবং খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার আরেক পুত্রবধূ ও প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান শিঁথিও হাসপাতালে তার সঙ্গে রয়েছেন।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি একই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যান। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খালেদা ছয়বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন, কিন্তু বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো। কারণ খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে বিএনপির নেতারা বলেছিল যে খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশ নেওয়া না হয়; তাহলে তার জীবন শঙ্কায় পড়বে। সেটি বলার মধ্যদিয়ে আমরা দেখতে পেয়েছি, বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন খালেদা জিয়া এবং তিনি খুব ভালো আছেন।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাবক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা ও দেখানো। রাজনৈতিক ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যে বিএনপি সব সময় সেটা করে আসছে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা সেটি তাদের বিষয় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি মনে করি, গণমানুষের সংগঠন যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচনের বাইরে থাকে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে; তাহলে সে সংগঠন আর গণমানুষের সংগঠন থাকে না। সেই সংগঠন একটি স্বার্থরক্ষা করার জন্য এাটি সংগঠনে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, ‘আসলে বিএনপিকে নিজের একটি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে দেখতে চান দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সে কারণেই বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে চায় না। এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কী সাত সমুদ্র তের নদীর ওপরে বসে থাকা কারও লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হবে, নাকি রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি অনজন রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আ.লীগ: কাদের
দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে ভর্তি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কিছু পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আগামীকাল (রবিবার) বিএনপি চেয়ারপার্সনের আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান তিনি।
জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার চিকিৎসার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তার মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে গুলশানের বাসা থেকে তিনি হাসপাতালে আসেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বেশ কিছু পরীক্ষা করা হবে।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই হাসপাতালে যান। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া ছয়বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন।
গত ১০ জুন তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না এই শর্তে করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) আজ বিকাল ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
এর আগে ৬ এপ্রিল তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একই হাসপাতালে যান।
সর্বশেষ গত বছরের ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি, যেখানে তার লিভার সিরোসিস রোগ ধরা পড়ে।
লিভার সিরোসিসের কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে ৮১ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন।
আরও পড়ুন: বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া