খালেদা জিয়া
আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না।
তিনি বলেছেন, আইন যা বলে, তাই হবে। আইনে যদি বলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন, তাহলে তিনি করবেন। আর আইন যদি বলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না, তাহলে তিনি তা করতে পারবেন না। আপতত যে আইন আছে তাতে মনে হয় না যে, তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ করতে পারবেন।
সোমবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না-এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৪৭ তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আইনমন্ত্রী কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, যদি কোন ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে নূন্যতম দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।
তিনি (খালেদা জিয়া) তো আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত।
বিএনপির আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করে তা শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এর ফল কি হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা কি করবেন, আর কি করবেন না, আমি কি সে জন্য তাদের উপদেশ (এডভাইস) দিবো?
তারা আপিল শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছেন না, তার কৈফিয়ত যদি আমাকে দিতে হয়, তাহলে তো সেটা অযৌক্তিক হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, এ আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ এ আইন করাই হয়েছে শুধু সাইবার অপরাধ দমন করার জন্য।
বাক স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য এ আইন করা হয়নি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় যে ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোর নাম ঘোষণা দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিবেন বলে জানান আইনমন্ত্রী।
প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী
আবেদন করলেই শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। রবিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর এখন এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’
খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নিবেন এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যেতে দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে তার পরিবার। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও অনুমতি চেয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি পরিবারের
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে গুলশানে তার বাসভবনে থাকবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না এই শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে ছয়মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের’ দুর্নীতির মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান। এরপর তিনি আরও একটি মামলায় দণ্ডিত হন।
কারাগার থেকে মুক্তির পর ৭৭ বছর বয়সী বিএনপি প্রধান তার গুলশানের বাসভবন থাকছেন। এরপর বেশ কয়েকবার তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল তার চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ফিরোজায় খালেদা জিয়া
সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ১৩ দিন চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ (শুক্রবার) বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কোভিডের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে বলে এভারকেয়ারের মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা ভাবছে।’
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা বাসায় তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন।
জাহিদ বলেন, ‘আশা করি, ম্যাডামকে বিকালের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড আজ বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করবে।
গত ১০ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে।
করোনারি এনজিওগ্রামে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে আরও দুটি ব্লক পাওয়া গেছে।
১৫ জুন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড আজ বিকালে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, এদিন বিকাল ৫টায় মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে চিকিৎসকরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের অবস্থা ও বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া এখনও করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ‘তার কার্ডিয়াক পয়েন্ট এখনও পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়’।
তিনি বলেন, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপার্সনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করছে। ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে তার অবস্থা সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না।
এর আগে রবিবার জাহিদ হোসেন বলেছেন, শনিবার করোনারি এনজিওগ্রাম টেস্টে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক এবং কিছু জটিলতা থাকায় ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘শনিবার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে করোনারি এনজিওগ্রাম করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের হার্টে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে। একটাতে এনজিও গ্রামের সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা তার বর্তমান স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। তিনি এখন সিসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
আরও দুটি ব্লক সম্পর্কে জাহিদ বলেন, কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় ওনার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, অন্য দুটি ব্লক অপসারণের জন্য যে ওষুধের প্রয়োজন তা তার কিডনিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, পরিবারের কোনো সদস্য ও বিএনপি নেতাদের এখন তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার ভোররাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড শনিবার জানিয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
খালেদার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে গঠিত ১২ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের তীব্র করোনারি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড খুব দ্রুত তার এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পরিবারের সদস্যদের ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
আরও পড়ুন: খালেদার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মেডিকেল বোর্ড
এর আগে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে মেডিকেল বোর্ড জরুরি বৈঠকে বসে বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ অবস্থা এবং তার হার্টের বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, লিভার ও কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়া দরকার, কিন্তু সরকার দীর্ঘদিন ধরে তাকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে আসছে।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াকে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফের হাসপাতালে খালেদা জিয়া
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে আইনি বাধা নেই: আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় দাওয়াত দিতে আইনি কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ব্যাপারে দুটি শর্ত আছে, তা হলো তিনি বাংলাদেশের ভিতরে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন আর বিদেশে যেতে পারবেন না। সে কারণে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় তাকে দাওয়াত দিতে আইনি কোন বাধা নেই।’
রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটগণের জন্য আয়োজিত ১৪৬তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় দাওয়াত দেবে। এ বিষয়ে আইনি কোন বাধা নেই বলে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আজ সকালে জানিয়েছেন।
পড়ুন: পরীক্ষামূলক বাতি জ্বললো পদ্মা সেতুতে
আনিসুল হক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিদ্বেষের বশীভূত হয়ে কারও প্রতি কোন ‘একশন’ নেন না। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া ও তার পুত্রদ্বয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দেয়া হয়েছিল। সেগুলো দুদকের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। তারা যদি এটা বলে যে, আওয়ামী লীগ সরকার এই মামলাগুলো করেছে, তাহলে আমার মনে হয় যে, তারা শুধুশুধু জনগণ যেটা বিশ্বাস করে তাদের দুর্নীতির ব্যাপারে, সেটাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য আওয়ীমী লীগ সরকারকে দোষারোপ করছে। তাদের দোষারোপ করাটা ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। ২০০৪ সালের আইনের পরে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুদককে চেয়ার টেবিলও দেয়নি বিএনপি সরকার। ২০০৭ সালে এটাকে প্রকৃত কার্যকর করা হয়েছে।
বিচার বিভাগের বাজেট বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তিসংগত যে কোন প্রয়োজনে অর্থ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় কার্পণ্য করবে না। জাতীয় বাজেটে আইন মন্ত্রণালয়কে যে টাকা দেয়া হয় তা আগে কোন সরকার দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই প্রথম বিচারকদের প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্পের একটি অংশ বাস্তবায়নের জন্য ২১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এটা আইন মন্ত্রণালয়ের নামে বরাদ্দকৃত মূল বাজেটের বাইরে।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য এই আইন করা হয়েছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, কোর্স পরিচালক মীর মো. এমতাজুল হক বক্তব্য দেন।
পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: হাতিরঝিলে লেজার শো, ৬৪ জেলায় উদযাপন
খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির
পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে নদীতে ফেলে দেয়া উচিত বলে করা মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপনি খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তিনি দেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় নেত্রী; যিনি কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক হত্যার হুমকির প্রতিবাদ’ শীর্ষক এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।
এ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ।
এসময় তিনি তাকে (খালেদা জিয়াকে)উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য তার দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ফখরুল বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য আসাটা অকল্পনীয়।
তিনি বলেন, ‘কোনও সভ্য দেশের মানুষ এ ধরনের মন্তব্য সহ্য করতে পারে না। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) আপনার মন্তব্যের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলছি।’
বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় জনগণ ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ না দিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
এর আগে বুধবার আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু প্যাচওয়ার্ক দিয়ে তৈরি হওয়ায় ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ঠুস করে ফেলে দেয়া উচিত।’
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এমন আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, কারণ তিনি এখন তার ক্ষমতার অবসান ঘটতে দেখছেন।
খালেদার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়া এখন খুবই অসুস্থ এবং বিদেশে যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ না দিলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
ফখরুল বলেন, ‘এই সমাবেশ থেকে আমরা সরকারের কাছে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে এবং সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানাতে চাই।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় চেয়ারপার্সনকে গণতন্ত্রের আন্দোলনে বাধা দিতে তাকে ‘গৃহবন্দি’ করে রেখেছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
একই বছর তিনি আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫শে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন।
তবে মুক্তির শর্ত ছিল, তিনি (খালেদা জিয়া) তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ রছরড় বাইরে যাবেন না।
মার্কিন প্রতিবেদনে দেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত অবস্থা ফুটে উঠেছে: বিএনপি
বাংলাদেশের মানবাধিকার চর্চার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, তারা মনে করেন প্রতিবেদনে দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত অবস্থা ফুটে উঠেছে।
শুক্রবার এক বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' শাসনের ফলে মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ আন্তর্জাতিকভাবে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, র্যাব ও এর সাত (সাবেক ও বর্তমান) কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সেই সত্যকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস এর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার আহ্বান বিএনপির
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের কারাগারের অবস্থা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, রাজনৈতিক বন্দি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনি হস্তক্ষেপ ই্ত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের ফলে হেফাজতে মৃত্যু, আন্দোলনকারীদের বাবা-মা, ভাই-বোনদের গ্রেপ্তার, বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা, বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খালেদা জিয়াকে 'মিথ্যা' মামলায় কারাগারে পাঠানোর প্রকৃত সত্য প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না: বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ২০১৮ সালের নির্বাচনকে একটি প্রহসন হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘অনির্বাচিত’ আওয়ামী সরকারের অধীনে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বুধবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন।
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে জানান, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজ (বুধবার) বিকাল ৫টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন।’
গত বছরের ১১ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা পজিটিভ হন। এরপর গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ দিন পর ৮মে তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
পরে ৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা টিকা নেয়ার জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
সরকার এখনও এ আবেদন নিষ্পত্তি করেনি। তবে, মন্ত্রীরা বলছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন জেলে ফিরে আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে গত বছরের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আজ এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আজ এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আজ (বুধবার) বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।
বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে জানান, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজ (বুধবার) বিকাল ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
গত বছরের ১১ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা পজিটিভ হন। এরপর গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ দিন পর ৮মে তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
পরে ৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা টিকা নেয়ার জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
সরকার এখনও এ আবেদন নিষ্পত্তি করেনি। তবে, মন্ত্রীরা বলছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন জেলে ফিরে আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে গত বছরের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে