খালেদা জিয়া
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসার পরই সরকার সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠিত বিচারহীনতার চলমান সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ‘বিজয় ৭১’ এর ১২ তলা ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে ন্যায়ের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে তাকে এবং তার সরকারকে অনেক বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান দেশে অন্যায়ের সংস্কৃতি কায়েম করেছিলেন এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া তা সফলভাবে চালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘দেশে যে অন্যায়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সরকার খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। এর মাধ্যমে খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দেয়ার মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সাত খুনের মামলার বিচার বন্ধ করা হয়েছে, তাদের মুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তারা জাতির পিতার খুনি, যুদ্ধাপরাধী, নারী ও শিশু হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে ধ্বংস করেছে।
সমস্ত সামরিক শাসকের শাসন এবং তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পদক্ষেপ অবৈধ ঘোষণা করায় তিনি বিচার বিভাগের প্রশংসা করেন।
শে হাসিনা বলেন, আমি মনে করি এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে মানবিক কারণে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে আগের মতই মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এরপর আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে।আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ফাইলটি ছেড়ে দিয়েছি। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলে গেছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আগের শর্তে (বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং দেশে চিকিৎসা নিতে হবে) তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয়মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দেয়া হয়েছে। সব কিছু আগের মতো, নতুন কিছু যুক্ত করা হয়নি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ১২ এপ্রিল
করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার আবেদনে মতামত আজই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের বিষয়ে আজই মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আবেদন কি আছে আমি এখনও দেখি নাই। আবেদনের ওপর মতামত দিয়ে আজকের মধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
বুধবার (১৬ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
মতামত দেয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে কি না প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে না। আইন মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণের ওপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর উপর মতামত দেবে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘ওনাদের (খালেদা জিয়ার পরিবারের) একটা পত্র আমরা পেয়েছি। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আমরা পাঠিয়েছি। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে যে পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হবে সেখানে প্রেরণ করবো আমরা।’
আরও পড়ুন: কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন সম্ভব নয়: আইনমন্ত্রী
মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থতায় কর্মীরা স্বস্তি প্রকাশ করলেও নেতারা হতাশ এই ভেবে যে, বেগম জিয়ার সুস্থতা তাদের আন্দোলনে জল ঢেলে দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য 'খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য বিদেশেই নিতে হবে' -এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাতে বিএনপি নেতারা হতাশ; কারণ তাকে বিদেশে নেয়ার জন্য তাদের দেশব্যাপী যে সভা-সমাবেশ আন্দোলন করছিল, তাতে পানি ঢেলে দিয়েছে ডাক্তাররা। ডাক্তারেরা বলছেন, তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছেন এবং তার যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা আর্থরাইটিসসহ বার্ধক্যজনিত।'
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
কোনো ডাক্তার কি কখনো কোনো সংকটাপন্ন রোগীকে বাড়িতে পাঠায় -প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, 'রিজভী সাহেব হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল বকছেন। অপরদিকে কর্মীরা চেয়েছিলেন বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন, কিন্তু এতে নেতাদের মনে স্বস্তি নেই।'
সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সম্পাদক ফোরাম অনেকগুলো জনপ্রিয় পত্রিকার একটি বড় ফোরাম। করোনাকালের নানা প্রতিকূলতার এই সময়ে বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র বন্টন যেন কয়েকটি পত্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে তাদের বকেয়া বিল সহজে পাওয়ার বিষয়গুলো তারা তুলে ধরেছেন।
ড. হাছান বলেন, 'বাংলাদেশ আজকে অনেক এগিয়ে গেছে, কিন্তু যাদের এই উন্নয়ন- অগ্রগতি পছন্দ নয়, তারা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যসহ সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র ও বিদেশিদের কাছে নানা ভুল তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছে। এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং জনগণ যেন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয় সেবিষয়ে সম্পাদক ফোরাম তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।'
বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিমা খান মন্টি, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার ও সদস্য দুলাল আহমেদ চৌধুরী, মফিজুর রহমান খান বাবু ও রিমন মাহফুজ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি যে মিথ্যাচার করে সেটি খালেদা জিয়া সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিভি কেবল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার সংবাদ এসেছে, এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি এবং আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যাতে বাসায় ফিরে যান। তিনি যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সে জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়াতিনি বলেন, বিএনপি যে তার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করেছে, বেগম জিয়ার সুস্থতার মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে তারা। ডাক্তারদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। বলেছে বেগম জিয়াকে যদি বিদেশে নেয়া না হয় তাহলে তার যেকোনো সময় যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই যে কথাগুলো বলেছিলো, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা যে অপরাজনীতি করেছে এটিই আজকে প্রমাণিত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বেও তারা একই কাজ করেছিলো। আগেও যখন বেগম জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখনও একই কথা বলেছিলেন। বিদেশ না নিলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না, এবারও একই কথা বলেছিলো। বিএনপি যে মিথ্যাচার করে, এটি প্রমাণিত হলো বেগম জিয়ার সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে।এসময় তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটকো)'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
কোকোর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বর্তমান চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার পালিত হয়েছে।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে।
ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি সকালে বনানী কবরস্থানে কোকোর কবরে কোরআন পাঠ ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নতুন বিল অনুগত লোকদের নিয়ে আরেকটি ইসি গঠনের চক্রান্ত: বিএনপি
এছাড়া বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার ২৬টি থানা ইউনিটে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং দুস্থ ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এদিকে বিকাল ৫টায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আরেকটি দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি এবং এর নগর ও জেলা শাখার বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনও সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেছে।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি, কোকো মালয়েশিয়ায় ৪৫ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
২৭ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে সরকারের পদক্ষেপ আরেকটি ‘উপহাস’: বিএনপি
নতুন বিল অনুগত লোকদের নিয়ে আরেকটি ইসি গঠনের চক্রান্ত: বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত নতুন বিল সরকারের অনুগত লোকদের নিয়ে আরেকটি কমিশন গঠনের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়াই সরকার নির্বাচন কমিশন বিল পাস করবে এবং এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার হুদা-রাকিবের মতো আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বিলের খসড়া তৈরি করেছে। নতুন নির্বাচন কমিশনে জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে না।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে সরকারের পদক্ষেপ আরেকটি ‘উপহাস’: বিএনপি
সোমবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বর্তমান চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার বনানী সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দণ্ডিত ব্যক্তিদের ইসি সদস্য হওয়ার অনুমতি দিয়ে খসড়া বিলের একটি বিধান উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এর অর্থ হলো গত ১৪ বছরে যারা নৃশংসতা করেছে তারা কমিশনের সদস্য হতে পারবে।
তিনি বলেন, আসলে সরকার তাদের অনুগত লোকদের ইসি সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিতে চায়। তারা কোন ভদ্রলোক নিয়োগ করতে চায় না।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেছেন, সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচন কারচুপির চক্রান্তের অংশ হিসেবে তড়িঘড়ি করে বিলটি সংসদে পেশ করেছে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার: বিএনপি
রিজভী বলেন, মুজিব কোট পরা লোকেরা সরকারের সার্চ কমিটিতে থাকবে। এই সার্চ কমিটিও মুজিব কোট পরা লোকদের খুঁজে বের করবে।
এর আগে রবিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও নির্বাচন কমিশনার বিল-২০২২’ নামের খসড়া বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন এবং পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এটি যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।
লন্ডনে ফিরে গেলেন কোকোর স্ত্রী
সাড়ে তিন মাসের বেশি ঢাকায় অবস্থানের পর লন্ডনে ফিরে গেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, রবিবার রাতে তিনি ঢাকা ছাড়েন এবং সোমবার লন্ডনে পৌঁছেন।
এর আগে শনিবার লন্ডনে যান কোকোর বড় মেয়ে জাহিয়া রহমান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী
গত বছরের ২৫ অক্টোবর খালেদা অসুস্থ হয়ে পড়ায় জাহিয়াকে নিয়ে শর্মিলা ঢাকায় আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা জানান, খালেদার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় শর্মিলা লন্ডনে চলে গেছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন।
১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শর্মিলা খালেদা জিয়ার দেখভাল করছিলেন।
৯ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত: চিকিৎসক
বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া এখন বিএনপি এবং তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যের যদি কোনো হানি হয় তাহলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের সবাই আসামি হবে’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বুধবার বিএনপি’র গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, পারে নাই। তারা ৫শ’ ভোট কেন্দ্র আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। পাঁচশ’ স্কুলের ভোট কেন্দ্রে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বিতরণের জন্য যে বই সংরক্ষিত ছিল সেগুলোও জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ঐ দিন তারা গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, যাতে নির্বাচন না হয়। নির্বাচন না হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে একটি গণতন্ত্রহীন পরিবেশ তৈরি হয় এবং অন্যকিছু ঘটে, তারা সেই চেষ্টা করেছিলো কিন্তু সফল হয়নি।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল, মানুষের লাশের ওপর দিয়েই ক্ষমতায় টিকে ছিল।’
বিএনপি’র বুধবারের মানববন্ধনসহ বিভিন্ন সমাবেশে নিজেদের মধ্যে মারামারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের মতো মহাসচিবের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাকর যে তার সামনে নেতাকর্মীদের মারামারি, বাকবিতণ্ডা হয় এবং তা থামানোর জন্য তাকে উচ্চস্বরে চিৎকার করতে হয়। এটি বিএনপির জন্য সত্যিই লজ্জাকর এবং যারা নিজেদের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, একটি সমাবেশের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, সারাদেশে সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, তারা কিভাবে দেশ চালাবার স্বপ্ন দেখে, এটিই হচ্ছে প্রশ্ন।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যে চিঠি গ্রহণ করেছে, সেটি ভালো দিক। আমি আশা করবো বিএনপি সংলাপে অংশগ্রহণ করবে। তাদের যে ওজর আপত্তি কিংবা সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের যে প্রশ্ন সেগুলো তারা সেখানে বলে আসতে পারে। তাহলেই সেটি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের আচরণ হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের চলমান আন্দোলন থামবে না। দেশজুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বর্তমান দানব শাসনের পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ঠাকুরগাঁও শহরের গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির অয়োজনে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হবে না। আসুন এই জনসভা থেকে আমরা শপথ নিই যে যতক্ষণ না আমরা এই শাসককে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে ঘরে ফিরব না। আমাদের আন্দোলন চলবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন আন্দোলনে খালেদার ভূমিকার কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, নেত্রী এখন উন্নত চিকিৎসার অভাবে জীবনযুদ্ধে লড়ছেন। আমরা তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের আহ্বানে কর্ণপাত করছে না।
চলমান আন্দোলনকে একটি শক্তিশালী আন্দোলন দাবি করে এই বিএনপি নেতা জানান, খালেদার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এক মাস ধরে সারাদেশে আন্দোলন করছেন তারা। আন্দোলন মানে হরতাল-অবরোধ নয়। সমাবেশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ জোর গলায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল