সংঘর্ষ
ঢাকায় বিএনপির ৫৪৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা
ঢাকার মূল প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৫৪৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অন্তত ১১টি মামলা করা হয়েছে।
এসব মামলায় অন্তত ১৪৯ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তদের মধ্যে ৪৬৯ জনের নাম রয়েছে এবং আরও ৭০-৮০ জন অজ্ঞাত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন জানান, শনিবার অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে।
মামলার মধ্যে রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুর ও কদমতলী থানায় একটি করে, যাত্রাবাড়ি থানায় দুটি, বিমানবন্দর থানা একটি, উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি, উত্তরা পূর্ব থানায় তিনটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সহিংসতা-অগ্নিসংযোগ
তিনি বলেন, ডিএমপির অসম্মতি উপেক্ষা করে গতকাল বিএনপি ‘অবৈধ সমাবেশ’ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা বাস ভাঙচুর করে এবং ককটেল বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, পুলিশ অফিসারদের ওপর হামলা করে এবং তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়।’
শনিবার ঢাকার মূল প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষ ও সহিংসতার কারণে বহু সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় মাতুয়াইল, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেও পিটিয়ে আহত করে পুলিশ। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে ঘটনাস্থল থেকে তুলে নিয়ে যায়।
দুপুর ১২টার দিকে গাবতলী বাসস্টেশন থেকে বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকেও ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা ঢাকার কয়েকটি প্রবেশপথে জড়ো হলে বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ধোলাইখাল, উত্তরা, মাতুয়াইল, রায়েরবাগ ও গাবতলীতে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করে অবস্থান নিলে পুলিশের সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের পর গয়েশ্বর ও আমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিএনপির ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শনিবার
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০০ জামায়াত-শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকায় জামায়াত- শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) বাদী হয়ে সিএমপির ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজন পুলিশকে আহত করে।
ঘটনাস্থল থেকে আটক ২১ জনের মধ্যে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির কর্মী ঝটিকা মিছিল বের করে।
মিছিলটি চৌমুহনী মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দিলে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে সামনে পেয়ে তারা পুলিশের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় গাড়ির ভেতর থেকে পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার মুকুর চাকমা বের হলে তাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে তিনিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। ওদিন ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২১ জনকে আটক করে।
তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়, পুলিশ জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহযোগিতায় হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে স্ত্রী ও দুই শ্যালকের বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুক দাবির মামলা!
চট্টগ্রামে ইয়াবা জব্দ: মামলায় ট্রাকচালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ পুলিশ আহত, আটক ৯০: ডিএমপি
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ৯০ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০, আটক ৫
আহতদের মধ্যে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান ও সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফারুক জানান, শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজধানীর প্রবেশপথ গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর, ধোলাইখাল, উত্তরা ও মাতুয়াইলে জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে অবস্থান নেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
যান চলাচল সচল ও জনদুর্ভোগ লাঘব করতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও পুলিশের ব্যবহৃত যানবাহনে হামলা চালায়। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
সংঘর্ষের পর গয়েশ্বর ও আমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে রাস্তায় নামলে পুলিশ আটক করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথে জড়ো হন।
সকাল ১১টার দিকে শনির আখড়া, ধোলাইখাল, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, নয়াবাজারসহ উত্তরা ও গাবতলীর কয়েকটি এলাকায় বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দেয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধোলাইখাল মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে পুলিশ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে গয়েশ্বরকে আটক করে।
দুপুর ১২টার দিকে গাবতলী বাসস্টেশন থেকে আমানকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
বেলা ১১টার দিকে আমান বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে খালেক পরিবহনের বাস কাউন্টারের সামনে জড়ো হন, যখন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা কাছেই অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে পুলিশ আমান ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে।
আমান প্রত্যাখ্যান করলে পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে আমান মাজার রোডের নাবিল পরিবহনের সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়লেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে পুলিশের ভ্যানে তুলে দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির আরও পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উত্তরা, যাত্রাবাড়ীসহ সব এলাকা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে অনির্দিষ্ট সংখ্যক বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিএনপির ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শনিবার
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন
সীতাকুণ্ডে আসামি বহনকারী বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আসামি বহনকারী পুলিশের বাসের সঙ্গে কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১টার সময় উপজেলার ফৌজদারহাটের পুলিশ বক্সের কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
আহত তিন পুলিশ সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কারাগার থেকে ২৩ জন আসামি নিয়ে পুলিশের একটি বাস ১৫ পুলিশসহ ঢাকার গাজীপুর কারাগারে যাওয়ার পথে ফৌজদারহাটের পুলিশ বক্সের কাছে একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে তিন পুলিশ আহত হন।
তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর বলেন, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট রোড দিয়ে আসামিসহ বাসটি ফৌজদারহাট এলাকায় আসলে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে উল্টে যায়।
তিনি আরও বলেন, আহত তিন কনস্টেবলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের 'শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা' শুরু আজ বিকালে
এক দফা আন্দোলন: গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার দিকে বিএনপির পদযাত্রা শুরু
সিলেটে মাইক্রোবাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৬
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের সালুটিকর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনায় ৬ মাসে নিহত ৫৭: এসসিআরএফ
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের সালুটিকর এলাকায় ভোলাগঞ্জগামী মাইক্রোবাসের চাকা ফেটে সিলেটগামী অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দু’টি যানবাহনই সড়কের পাশের খালে পড়ে যায়। এতে অটোরিকশার চালক ও নারীসহ ৪ যাত্রী নিহত হন। এছাড়া আরও ৩ জন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি।
তিনি আরও জানান যে নিহত ৬ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম কাজী আমির উদ্দিন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক। বাকিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫০
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫০
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে বেশ কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সজীব নামের একজন নিহত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশসহ বিএপির অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বেশ কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনাও ঘটে।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ আহত ৫০
প্রাথমিকভাবে জানা যায় নিহত যুবক সজিবের বাড়ি চন্দ্রগঞ্জ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পঠান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এ দু’দলের পূর্ব নির্ধারিত পৃথক কর্মসূচি পালনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা শহরে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হতে শুরু করেন।
বিকাল ৪টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এ্যানি চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরের গোডাউন রোড থেকে পদযাত্রায় মিছিল নিয়ে বের হন।
এসময় শহরের সামাদ একাডেমির মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ব্যানার ফেষ্টুন ছেঁড়া শুরু করে বিএনপির কর্মীরা। মিছিলের মাঝামাঝি স্থান থেকে বিএনপি’র ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী হঠাৎ করে কলেজ রোডের দিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ আসা ১৫ থেকে ২০ জনকে ধাওয়া করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় মদিন উল্যাহ হাউজিং এর একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয়ের জন্য দৌড়ে গিয়ে লুটিয়ে পড়ে এক যুবক। এর কিছুক্ষণ পর ওই যুবক প্রচুর রক্তক্ষরণে মারা যায় বলে জানান বাড়ির মালিক।
এদিকে বিএনপির মিছিলটি ঝুমুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। একইভাবে শহরের বাগবাড়ি এলাকায়ও সংঘর্ষ হয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের।
এদিকে ঝুমুর এলাকায় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে হাইওয়ে সড়কে উঠতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি, টিয়ারসেল ও কাঁদানী গ্যাস নিক্ষেপ করে।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, বিএনপি মিছিল নিয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে হাইওয়ে সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। বিএনপি’র হামলায় সদরের ওসি মোসলেহ উদ্দিন, সদর সার্কেল অফিসার সোহেল রানাসহ পুলিশের ১০ সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ-গুলি
লালমনিরহাটের পচা আম বিক্রি নিয়ে সংঘর্ষ, প্রাণ গেল বৃদ্ধের
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ-গুলি
সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের একদফা দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিএনপির মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে শহরের রথখলা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
এছাড়া এ ঘটনায় সাংবাদিক ও পুলিশসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা পদযাত্রা করে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠ থেকে রথখলা এলাকা পার হওয়ার সময় পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়।
এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে নেতাকর্মীরা। পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
খাগড়াছড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাপলা চত্বর এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের 'শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা' শুরু আজ বিকালে
এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগও একই সময়ে মিছিলের পরিকল্পনা করেছিল।
স্থানীয়রা জানান, শাপলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় ৮টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নির্য়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
এতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক নুরুল আজম, মো. আলমাস, কাজরী মারমাসহ ২৫ থেকে ৩০ জন আওয়ামী লীগকর্মী আহত হন। অপর পক্ষে জেলা বিএনপির সমবায় সম্পাদক মো. হোসেন বাবুসহ ২০ থেকে ২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।
এদিকে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা একে অপরকে দায়ী করেছেন।
খাগড়াছড়ি আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন মিছিলে অংশ নিতে যাওয়ার পথে বিএনপি ক্যাডাররা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, তারা খাগড়াছড়ির পৌরসভা ভবনসহ অসংখ্য বাণিজ্যিক ভবন ভাঙচুর করেছে।
খাগড়াছড়ি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মিছিল করতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালালে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আহত কয়েকজনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপির পদযাত্রায় হামলা
এক দফা আন্দোলন: গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার দিকে বিএনপির পদযাত্রা শুরু
খুলনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
খুলনায় ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার নগরীর লবণচরা থানার টেক্সটাইল কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সুজন ব্যাপারী হরিণটানা এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে এবং পেশায় একজন চটপটি ব্যবসায়ী।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, বেলা ১১টার দিকে সুজন লবণচরা থানাধীন টেক্সটাইল কলেজের সামনে রাস্তার উল্টা পথ ধরে চলছিলেন। এ সময়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের সাথে সুজনের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
সিলেটে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কিশোর নিহত
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, আরসা কমান্ডার নিহত